নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমোদাচির ব্লগবাড়িতে স্বাগতম!!

তোমোদাচি

শিকড়ের টানে শিকড় গেড়ে বসতে শিকড়ের কাছে ফিরছি .।

তোমোদাচি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূমিকম্পে সতর্কতা

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

জাপানে যাওয়ার পর প্রথম যে সকল বিষয় শেখানো হয় তার মধ্যে অন্যতম ভূমিকম্পকালীন সতর্কতা। সেরকম একটা ট্রেনিংএ ট্রেইনার আমাদের জিজ্ঞাসা করল ভুমিকম্প হলে প্রথমে কি করবে? আমি উত্তরে বল্লাম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘর থেকে বের হয়ে ফাকা জায়গায় যাব; শুনে ওরা সবাই খুব অবাক হয়েছিল। বল্ল, এটা তুমি কোথায় পেয়েছ!! আমার যতদুর মনে পড়ে ছোট বেলায় আমাদের সেভাবেই শেখানো হয়েছিল। গতকালও শুনলাম ভূমিকম্পের সময় অনেকেই হুড়াহুড়ি করে বাসার নিচে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন, দু'জন মারাও গেছেন। এটা খুবই বোকামী। ভূমিকম্প সাধারণত স্থায়ী হয় কয়েক সেকেন্ড, সেটা হয় হঠাত করে, আর বাসার নিচে যেতে উচ্চতা ভেদে কয়েক মিনিট লেগে যায়। তাই বাসার নিচে ফাকা যায়গা যাওয়ার চেষ্টা করে সরু সিড়িতে আটকা পড়ার কোন মানে হয় না। হঠাত ঘুম ভেঙ্গে দৌড় দেওয়াতে হার্ড এর উপর চাপ পড়তে পারে, বিশেষ করে বাচ্চাদের ভিতর এটা প্রচন্ড ইফেক্ট করে। তাই আতংকিত না হয়ে হাতের কাছেই কোথাও আশ্রয় নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। প্রথমে সেইফ করতে হবে মাথা, তারপর সম্ভব হলে সমস্ত শরীর।

সাধারনভাবে বলা যায় ভূমিকম্পে বিল্ডিং আপনার মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা ০.০১%; আর আল্লাহ না করুক সেটা যদি কখনো হয়েই যায় তাহলে ছুটাছুটি না করে বরং খাস দিলে তাড়াতাড়ি তওবাটা পড়ে নেওয়াই উত্তম!;) ভূমিকম্পে অধিকংশ সময় যা হয় তা হলো ঝাঁকুনিতে নিজে পড়ে গিয়ে অথবা বাসার আসবাপত্র বা ছাদের প্লাষ্টারের আঘাতে আহত হওয়া। তাই এর থেকে সরবাজ্ঞে নিজেকে সাম্লাতে হবে।

ভূমিকম্পের সতর্কতা বিষয়ে দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা মন্ত্রালয়ের এই সাজেশন গুলো খুব ভাল। আমি শুধু একটা পয়েন্ট যোগ করব, ভুমিকম্পের সাথে সাথে টেলিফোনে আশেপাশে সবার খোজ নেওয়া ভাল কিন্তু আপনার খাট কিভাবে দোলনা হয়ে আপনাকে দুলাল বা আপনার কুম্ভকর্ণ বন্ধু কিছুই টের পায়নি বলে তাকে ঠাট্টা করার মত খাজুরে আলাপ মোবাইলে না করায় ভাল; কারন এই সময় মোবাইল লাইনে জ্যাম স্রিষ্টি করা অন্যের জন্য জীবন-মরন সমস্যা হতে পারে।

আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঝাঁকি খাইলে এতকিছু মনে থাকবে তো! :|

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ তোমোদাচি ভাই । অনেকদিন পরে আপনাকে ব্লগে দেখলাম......।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


//সাধারনভাবে বলা যায় ভূমিকম্পে বিল্ডিং আপনার মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা ০.০১%; আর আল্লাহ না করুক সেটা যদি কখনো হয়েই যায় তাহলে ছুটাছুটি না করে বরং খাস দিলে তাড়াতাড়ি তওবাটা পড়ে নেওয়াই উত্তম!//
:(

ভাই এভাবে ভয় দেখাইয়া আবার হাসেন... |-)

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি ভূমিকম্পের সময় ঘুম ভেঙ্গে যাবার পর মাথার উপ্রে বালিশ দিয়ে আবার ঘুমায়া পরছি, এত নড়াচড়া করে কি লাভ :| খুব কম হলে ফ্যান খুলে পড়বে, সেক্ষেত্রে বালিশ আছে কিছু হবে না, বেশি হলে বিল্ডিং ধসে পড়বে, সেক্ষেত্রেও, ইয়ে মানে, বালিশ আছে কিছু হবে না আশা করি B-)

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

সোহানী বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাইয়ের কমেন্ট দ্রষ্টব্য....

ভাই এভাবে ভয় দেখাইয়া আবার হাসেন... |-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.