নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে আলাদা ভাবে কিছুই বলার নেই। খুব সাধারন মানুষ। অন্য আট, দশজনের মতোই।

রাসেলহাসান

লেখালিখি করতে ভালো লাগে তাই লিখি। নতুন কিছু ক্রিয়েট করতে সব সময় ভালো লাগে। ফেসবুক লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/rasel.hasan.7

রাসেলহাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

---"ভৌতিক অভিজ্ঞতা"---

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৯

আমি তখন খুব ছোট, ক্লাস ৪/৫ এ পড়ি।

স্কুলে যেতে চেতাম না প্রায় দিনই না যাওয়ার জন্য

কান্না কাটি করতাম।

তো একদিন রাতের ঘটনা। আমি আর আমার

ছোট বোন একসাথে থাকতাম।

আর আম্মু আব্বু আর বড় আপু আলাদা আলাদা

রুমে থাকতো। তো এক রাত্রে প্রতিদিনের

মত ঘুমোতে গেলাম।

আমি ঘুমচ্ছিলাম, রাত ২ টা কি ৩ টা

বাজে তখন। আমার হটাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল।

শীত কাল, মশারি টানানো ছিল। আমি ঘুমানোর সময়

বরাবর লেপ মুড়ি দিয়েই ঘুমায়,

লেপ বাঁ কাথা মুড়ি না দিলে আমার ঘুম

আসেনা। তো ঘুম ভাঙার পর আমি লেপ মুখ

থেকে একটু নামালাম।

হটাৎ মশারির বাইরে চখ গেলো, এ কথা বলতে

আমার এখনও গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাই।

যা দেখলাম,মশারীর বাইরে কেউ একজন দাড়িয়ে

আছে, যার কোন মুখ নেই, মাথা থেকে পাউ

পর্যন্ত সাদা কাফনের কাপড় দিয়ে প্যাঁচানো।

আমি ভয়ে কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

আর নিজের চোখকে ও কোন ভাবেই

সরাতে পারছিলাম না। ভয়ে আমার সারা

শরীর বরফের মত জমে যাচ্ছিলো।

আমি আবার চোখ বন্ধ করে লেপ মুড়ি

দিলাম, ৫/৬ সেকেন্ড পর আবার তাকালাম

দেখার জন্য আসলে এটা কি ভুল ছিল না

অন্য কিছু, কিন্তু আমি ওই জিনিস টাকে আবার

উপলব্দি করলাম।

আমি আশ্বস্ত হলাম যে এটা ভুল না,

সে আমার সামনেই দাড়িয়ে।

মনে মনে "আল্লাহ" কে ডাকতে লাগলাম,

আবার লেপ মুড়ি দিলাম, পাশে

আমার বোনকে ডাকতে লাগলাম কিন্তু

আমার গলা থেকে স্বর বের হচ্ছিলো না।

পরান ধুক ধুক করতে ছিল।

তারপর আবার তৃতীয় বার তাকালাম, এবার

দেখলাম সামনে কিছুই নেই। আমি এবার

আরো ভয় পেয়ে গেলাম।

আমার ছোট একটা সাইকেল ছিল,

খাটের ঠিক পেছনে। এবার মনে হল কেউ যেন

সাইকেলের বেল বাজালো ২/৩ বার।

আমি সাহস করে পেছনে তাকালাম,

কেউকেই দেখলাম না।

আমার মাথাটা ঘুরছে, আর কিছুই খেয়াল নেই।

সকালে আমাকে ডেকে তুলল আম্মু,

তখন আমার গায়ে খুব জ্বর। জ্বরে

সারা শরীর পুড়ে যাচ্ছিলো। তারপর সবাইকে

ঘটনাটা বললাম। আব্বু আম্মু

বিশ্বাস করতেছিল না ভাবতেছিল স্কুল ফাকি

দেয়ার ধান্দা হইতবা।

পরবর্তীতে যখন জ্বর কমতেছিল না তখন বিশ্বাস করল।

আর তখন অনেক ডাক্তার/কবিরাজ/হুজুরের

পানি পড়া এগুলো খাওয়ালো আস্তে আস্তে

সুস্থ হয়ে উঠলাম। "আল্লাহর" অশেষ রহমতে

ওই যাত্রাই বেচে গেলাম।

এরপর আরও কিছু কিছু ঘটনা আমার

সাথে ঘটেছে এগুলো আরেকদিন

আপনাদের সাথে "শেয়ার" করবো...

এই ঘটনা গুলো কিন্ত আসলেই সত্য

এখন আপনারা বিশ্বাস করবেন কি করবেন না

এটা আপনাদের ব্যাপার...

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৮

নানাভাই বলেছেন: ধুর মিয়া, রাইতে এই গপ্প ব্লগে ছাড়লেন ব্লগে?
ডরাইছি.....

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

রাসেলহাসান বলেছেন: :)

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৩

ভিটামিন সি বলেছেন: তখন আপারে ছাড়লে আবার কিন্তু ধরা খাইবেন আর এইবার আর ছাড়বো না।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

হেডস্যার বলেছেন:
ভাই, ভয়ে ডরে তো আমি বারবার মুর্ছা যাইতেছি... ;) কি শুনাইলেন??

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

রাসেলহাসান বলেছেন: ;)

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভয় পাই নাইক্কা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৬

রাসেলহাসান বলেছেন: য় না পাওয়ায় ভাল :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.