নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে আলাদা ভাবে কিছুই বলার নেই। খুব সাধারন মানুষ। অন্য আট, দশজনের মতোই।

রাসেলহাসান

লেখালিখি করতে ভালো লাগে তাই লিখি। নতুন কিছু ক্রিয়েট করতে সব সময় ভালো লাগে। ফেসবুক লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/rasel.hasan.7

রাসেলহাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

---"ভৌতিক অভিজ্ঞতা"---

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৪

তখন আমি মাদ্রাসাতে ছিলাম। আমাদের সাথে পড়তো এক ছাত্র নাম তৌহিদ। এলাকার একটা বাড়িতে লজিং থাকতো। প্রতিদিন সকাল, দুপুর, রাতে খেতে যেতো সেই বাড়ি কিন্ত কখনো কোন অসুবিধা ছিলনা। একবারের ঘটনা।

তৌহিদ বরাবরের মত রাতের বেলা ঈশার নামাজ পড়েই তার লজিং এ খেতে চলে গেলো। ওর লজিং ছিল ওই এলাকার একজন ভালো পয়সা অলা বড়লোকের বাড়িতে।

খুব ভালো রান্না বান্না হতো সেই বাড়িতে। তৌহিদ প্রতিদিন খেয়ে এসে সবার সামনে গল্প করতো, আজ এই রান্না করেছে কাল ওই রান্না করেছে এমন। তৌহিদ যে বাড়ি খেতে যেতো সেই বাড়িতে যাওয়ার পথে একটা কবর স্থান বাঁধতো। তো ঐদিন রাতের

বেলা তৌহিদ যখন খেতে গেলো তখন আবার কারেন্ট ছিলনা। অন্ধকারে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে তৌহিদ। হাঁটতে হাঁটতে কবর স্থানের কাছে এসে পৌছালো। কবর স্থানের পাশ দিয়ে তৌহিদ যখন যাচ্ছে, ঠিক তখন তৌহিদ বুঝতে পারলো ওর পিছে পিছে কেউ হাঁটছে। তৌহিদ সেটা মাথায় না এনে আবার হাঁটা শুরু করলো। একপর্যায় পিছ থেকে কেউ যেন তৌহিদের পা ঘেঁসতে লাগলো। তৌহিদ পিছে তাকিয়ে লক্ষ্য করলো একটা ছাগল তৌহিদের পায়ে পায়ে হাঁটছে । কেমন চলায় বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করছে। তৌহিদ গ্রাহ্য না করে ছাগলটাকে পা দিয়ে সরিয়ে দিলো। এরপর দ্রুত ওই বাসায় যেয়ে খেয়ে দেয়ে আবার মাদ্রাসায় চলে এলো। আসার পথেও ওই ছাগলটা রাস্তায় চলায় বাঁধা দিচ্ছিলো তৌহিদকে। রাত্রে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়লো, তৌহিদ ও এসব চিন্তা করতে করতে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলো। রাত আনুমানিক ২ টা কি আড়ায়টার দিকে হঠাৎ কেউ একজন রুমের দরজায় নক করলো। কারোরই ঘুম ভাঙলোনা কিন্ত দরজায় নক করার শব্দে তৌহিদের ঘুম ভেঙ্গে গেলো। পরপর দুইবার নক করার পর তৌহিদ জিজ্ঞেস করলো,

কে? কে ওখানে?

আরে আমি? আমি তোর বাবা? দরজা খোল।।

তৌহিদের বাবার গলায় মনে হলো ওর কাছে। তৌহিদ #জিজ্ঞেস করলো,

এতো রাতে আব্বু, তুমি এখানে?

আরে দরজা খোল সব খুলে বলছি।

তৌহিদ চোখ ডোলতে ডোলতে দরজা খুলল। দরজা খুলে সে কাউকে দেখতে পেলোনা। বাইরের দিকে গেলো দেখতে। একটু আগে ওর আব্বুর গলার আওয়াজ

শুনলো অথচ, এখন সেখানে কেঁউই নেই? বাইরে এদিক, সেদিক দেখার পড়ে যখন কাউকেই দেখলোনা, তখন আবার রুমের ভেতরে ঢোকার জন্য সামনে এগোতে লাগলো তৌহিদ। যখনই ভেতরে ঢুকবে ঠিক সেই মুহূর্তেই একটা বাতাস এসে তৌহিদকে কেমন যেন উড়িয়েই নিয়ে গেলো! কিছুক্ষন দরজা ওভাবে খুলে থাকার পর

বাতাসের বাড়িতে দরজা বাড়ি খেতে লাগলো। তখন আরেকটা ছাত্রের ঘুম ভাঙলো। সে দরজা লাগাতে যাবে যখন, তখন দেখলো তৌহিদের সিট খালি। সে ভাবলো তৌহিদ হয়তো বাথ্রুমে গেছে। এভাবে কিছুক্ষন অপেক্ষা করলো। যখন দেখলো তৌহিদ আর ফিরছেনা, তখন আরো দুই তিনজন ছাত্রকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল।

তারাও যখন তৌহিদকে খুজে পেলোনা, তখন আস্তে আস্তে সবাই ঘুম থেকে উঠে তৌহিদকে খোঁজা শুরু করলো। আমরা #সবাই খুজলাম কিন্ত তৌহিদকে পাচ্ছিলামনা।

তৌহিদকে পাওয়া গেলো, ফজরের নামাজের পরে যখন আলো ফুটলো তখন।

মসজিদের পেছনে একটা কলা বাগান ছিলো অজুখানা থেকে কলাবাগান স্পষ্টই দেখা যায়। একটা ছাত্র অজু করতে গিয়েছিলো। অজু করতে করতে তার হঠাৎ নজর

পড়লো কলাবাগানের দিকে। তাকিয়েই সে চিৎকার দিয়ে উঠলো!

তার চিৎকার শুনে সবাই দৌড়ে গেলো কি হয়েছে দেখার জন্য । আমরা দেখতে পেলাম তৌহিদ দুইতা কলাগাছের ঠিক মাঝখানে, কেমন যেন পুতে রেখেছে কেউ ওকে গাছের ভেতরে এমনটাই দেখে মনে হচ্ছিলো। সবাই তৌহিদকে সেখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসলো। তৌহিদ অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। সূরা, কালাম পড়ে মুখে পানি ছিটানোর পড়ে তৌহিদের হুস আসলো। পরবর্তীতে এসব জিজ্ঞাসা করা হলে ও বলেছিলো, আব্বুর গলা শুনে দরজা খুলি এরপর আমার আর কিছুই খেয়াল নেই। কি হয়েছে বা কেন হয়েছে... কোন কিছুই ওর মনে নেই।।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪২

বটের ফল বলেছেন: কিছুই যদি মনে না থাকবে , তাহলে আপনি জানলেন কি করে যে বাতাসে তাকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে??? রাতে ছাগল রূপি কিছু একটা তার পিছু নিয়ে নিয়েছে?? ক্লিয়ার করলে ভালো লাগবে।

কবরস্থান নিয়ে আমাদের এই ধারনাটা সম্পূর্ন ভুল। বলা হয়েছে কবরস্থান হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা।

ভালো থাকবেন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

রাসেলহাসান বলেছেন: সে সাথে সাথে না বললেও, পরবর্তীতে সব কিছুই খুলে বলেছিল, তার কাছ থেকেই জানা। যাই হোক, আর কবর সব থেকে নিরাপদ স্থান কে বলেছে? হ্যাঁ, নিরাপদ যারা ভালো মানুষ বা ভাল কাজ করে গিয়েছে তাদের কবর নিরাপদ, কিন্ত যারা খারাপ মানুষ ছিল তাদের কবরে সব সময় আজাব চলে। খারাপ আত্মারা সেই কবরের পাশে সব সময় রয়ে যায়। আর কবর স্থানে যেমন ভালো মানুষের কবর আছে তেমনি অনেক খারাপ মানুষের কবরও আছে। এই জন্য এটা বিশেষ করে রাত্রি বেলা ভয়ংকার একটা স্থানের মধ্য এ পড়ে।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

নতুন বলেছেন: এটা ঐ মাদ্রাসার অন্য ছাত্রদেরই কাজ...

মানুষ উড়তে পারে না এবং একা একা মাটিতে পুতে ফেলতে পারেনা...

ফিজিক্সের ল এর ব্যতিক্রম কখনো হয়না.... শুধুই এই রকমের গল্পেই শোনা যায়... কখনো আপনি/আমাদের চোখের সামনে হয়নাই... হবেও না...

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

রাসেলহাসান বলেছেন: কিছু মনে করবেন না ভাই, একটা কথা জিজ্ঞেস করি? আপনি কি মুসলমান? যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জীন সম্পর্কে অবশ্যই ধারনা থাকা উচিৎ। আর অন্য ধর্ম হলে সরি। আপনি বিশ্বাস নাও করতে পারেন। কুরআনের ভাসায় স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, জীন জাতি পৃথিবীতে বিদ্যমান। বিজ্ঞান কি বলল না বলল, সেটায় কিছু যায় আসেনা। আমি মুসলমান। তাই এই ঘটনা গুলো বিশ্বাস করাটা আমার জন্য খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয় সমুহের একটি।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এটা কি ফেসবুক নাকি ভাই? জায়গায় জায়গায় # ট্যাগ মারসেন ক্যান? :-<

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

রাসেলহাসান বলেছেন: আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে কপি করে বসিয়েছি তো তাই, ওটা থেকে গেছে। :)

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: মাদ্রাসার ছাত্রতো, এসব দেখার প্রয়োজন আছে। ওরা থাকেইতো গায়েবি জিনিসের চিন্তায়।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

রাসেলহাসান বলেছেন: যারা কুরআন পড়ে, তাদের পেছনে খারাপ জীনেরা থাকে। সবসময় তাদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে। আপনি যদি নাস্তিক হয়ে থাকেন তবে এগুলো বুঝবেন না। আর বুঝলেও বিশ্বাস করবেন না। যারা পরিপূর্ণ ইসলামের মধ্যে আছে কেবল তারাই জানে যে পৃথিবীতে মানুষ যেমন বাস করে তেমনি জীন জাতিও বাস করে। এটা কুরআনেও উল্লেখ আছে। আর এর উপর বিশ্বাস রাখায় লাগবে। ইমানের একটা অঙ্গ এটা। যারা বিশ্বাস করেনা, তারা মুসল্মান নয়। এটা হাদিসে উল্লেখ আছে। তাই বিশ্বাস না করলে তর্কে আসবেন না। আপনাদের বিলিভ করাইতেও পারবোনা।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: তৌহিদের জন্য ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। আপনার বর্ণনা দেওয়ার ভঙ্গিটি চমৎকার লাগলো। মনে হলো নিজের চোখেই ঘটনাটি ঘটতে দেখছি।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

রাসেলহাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ওর মুখ থেকেই সব শোনা ছিল। আর সেভাবেই গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি আরকি।

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কিছু মনে করবেন না ভাই, একটা কথা জিজ্ঞেস করি? আপনি কি মুসলমান? যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জীন সম্পর্কে অবশ্যই ধারনা থাকা উচিৎ।

আপনি প্রমান ছাড়াই বিশ্বাস করে বসে আছেন যে এটা জীনের কাজ..... তাহলে এটাকে ভৌতিক অভিঙ্গতা বলছেন কেন? বলুন যে জীনের কাজ....

বিশ্বাস করা ভাল... কিন্তু অন্ধবিশ্বাস করা কি ঠিক?

ওর লজিং ছিল ওই এলাকার একজন ভালো পয়সা অলা বড়লোকের বাড়িতে।
খুব ভালো রান্না বান্না হতো সেই বাড়িতে। তৌহিদ প্রতিদিন খেয়ে এসে সবার সামনে গল্প করতো, আজ এই রান্না করেছে কাল ওই রান্না করেছে এমন।



তৌহিদ সবাইকে ভাল ভাল খাবারের গল্প করে লোভ দেখাতো.... সেই জেলাসি থেকে ওর সহপাঠীরা তৌহিদকে শিক্ষা দেবার জন্য কোন একটা পরিকল্পনা করতেই পারে.... তৌহিদ তার বিশ্বাসের কথা বলেছে.... এই রকমের ঘটনা ওর শত্রুরা করে থাকতে পারে... এবং কাউকে শিক্ষা দেবার ঘটনা অনেক ঘটে থাকে...

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১০

রাসেলহাসান বলেছেন: আপনার উত্তরটা যুক্তি সম্মত। তবে এরকম ঘটনা গুলো কোন মানুষ ঘটাতে পারে কিনা জানা নেই। তৌহিদ তো কাউকেই দেখেনি, পরবর্তীতে ওর মুখে শুনেছিলাম কোন একটা বাতাসের মত কিছু একটা এসে ওকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো। মনে হচ্ছিলো কেউ ওকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তবে ও কোন মানুষকে দেখেনি। একেবারে শুন্নের ওপর উঠিয়ে নিয়ে ছিল। এটা অবশ্য আমি ওপরে ভালো করে বর্ণনা দিতে পারিনি, এজন্য আপনার একটু বুঝতে সমস্যা হয়েছে।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আদম_ বলেছেন: বিজ্ঞ পুস্ট

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৩

রাসেলহাসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপানকে।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার উত্তরটা যুক্তি সম্মত। তবে এরকম ঘটনা গুলো কোন মানুষ ঘটাতে পারে কিনা জানা নেই।

রুল নং ১- দুনিয়াতে অলৌকিক কিছু হয় না....শুধু গল্পই শুনবেন কিন্তু কখনো প্রমান পাবেন না.... কিছু হয়তো মনে হবে যে ব্যক্ষ্যা নাই কিন্তু আজ না হলেও ভবিষ্যতে সম্ভব...

তাই একটু লৌকিক চিন্তা করলেই ব্যখ্যা পাবেন... ধণ্যবাদ

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৫

রাসেলহাসান বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত হতে পারছিনা বলে দুঃখিত। সবার চিন্তা বা ধরনা এক নয়। এটাই স্বাভাবিক। আপনি যদি জীনে বিশ্বাস করতেন তবে, হয়ত বিশ্বাস করতেন। কারন এ ধরনের ঘটনা অনেক রয়েছে। আমার নিজের সাথেও ২/১ বার ঘটেছে। আমি বিশ্বাস করি। কারন পৃথিবীতে মানুষ যেমন রয়েছে, তেমনি জীনেরাও রয়েছে। আর এটাই সত্যি। আপনার মন্তব্য প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪১

নতুন বলেছেন: বিশ্বাস শুধুই বিশ্বাস.. এতে যুক্তি চলে না.... ধন্যবাদ... ভাল থাকবেন.. :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.