নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে আলাদা ভাবে কিছুই বলার নেই। খুব সাধারন মানুষ। অন্য আট, দশজনের মতোই।

রাসেলহাসান

লেখালিখি করতে ভালো লাগে তাই লিখি। নতুন কিছু ক্রিয়েট করতে সব সময় ভালো লাগে। ফেসবুক লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/rasel.hasan.7

রাসেলহাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অরণ্যের ক্লান্ত দুপুর" (ছোট গল্প)

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪২



বিষণ্ণ মন! অলস দুপুর, সাড়া শব্দহীন এক শান্ত নগরী।

পাখিদের কিচির মিচির মুক্ত নির্জনতার ভিড়ে চারিদিকে কোলাহল মুক্ত এক নিস্তব্দ পরিবেশে মন্টুর টং এর দোকানে বসে চায়ের পেয়ালা হাতে নিশ্চুপ মনে নির্বাক দুটি চোখে চেয়ে আছে "অরণ্য" চেনা পথটার পানে। অনেকবারই "রিতুর" কোমল হাতটি ধরে এ পথ দিয়ে আসা যাওয়া হয়েছে অরণ্যের। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে দুজনের প্রেম চলছে বেশ ভালোই।

গত দু'দিন আগে গ্রামের বাড়িতে গেছে রিতু। গ্রামে বোধহয় নেটওয়ার্কের সমস্যা আছে! এজন্য ফোনটা দুদিন যাবত বন্ধ পাচ্ছে অরণ্য।

মনে সংশয়, হারানোর ভয়! ভঙ্গা পালঙ্কে ঘুমিয়ে আলিশান বাংলোয় রাত কাটানোর স্বপ্ন দেখা আদৌ উচিৎ নয়! চা শেষ হতে হতে একটা সিগারেট জালিয়ে নিলো অরণ্য। জ্বলন্ত সিগারেট ঠোঁটের সাথে চাপিয়ে ভাবনার অতল সমুদ্রে নাও ভাসালো।

ভাবছে,

দিন মুজুর করে খেটে খাওয়া খুবই সাধারন একজন মানুষের ছেলে হয়ে,

সোনায় মোড়ানো দামী গাড়িতে চড়া, রাজকীয় প্রাসাদে বসবাস করা

"স্বপ্ন কন্যার" সাথে প্রেম করা মোটেও মানানসই না আমার।



স্কুল জীবনের খুবই ঘনিষ্ঠ স্যার "রতন লাল" যিনি সব থেকে বেশী ভালোবাসতো অরণ্যকে!

তাঁরই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী এই রিতু। গত সাত মাস আগে ওর প্রাইভেট টিউটরের দায়িত্বটা অরণ্যের হাতে তুলে দেন রতন স্যার।



সামনে রিতুর এস, এস, সি পরিক্ষা! আর এই মুহূর্তে মেয়েটা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে।



জ্বলন্ত সিগারেট ঠোঁটে ঝুলছে অরণ্যর। হাতের চা অর্ধেকটা অনেক আগেই ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। সিগারেটের ঘোলাটে ধোঁয়ায় অতীতের কিছু প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে চোখের সামনে। রিতুকে পড়ানোর প্রথম দিন থেকেই মনের মধ্যে সন্দেহের আচ লেগে ছিলো অরণ্যর।

যা আস্তে আস্তে স্পষ্ট হতে থাকলো। মেয়েটা পড়া ফাঁকি দেয়াতে শুধু খ্যান্ত ছিলোনা! আড় চোখে চেয়ে থাকা, অংকের বদলে রাফ খাতায় বড় বড় আঁকারে ভালোবাসার প্রতিবিম্ব আঁকানো! আর তাতে অরণ্যর নাম লেখায় যেন ব্যাস্ত' থাকতো সবসময়। ভাবগতি খারাপ দেখে কয়েকবার কেটে পড়তে চেয়েছিলো অরণ্য।

কিন্ত কাজ হলো কোই? বাঘীনি মেয়েটা তো পিছু ছাড়লোই না কখনো অরণ্যর। তিন/চারবার করে বাসা থেকে একেবারে ধরেই আনলো! বলতে গেলে। অরণ্য জানেনা এই নিছক ভালোবাসার শেষ কোথায়?? সিগারেট টা প্রায় হাতেই পুড়ে গেলো।

বিল মিটিয়ে অরণ্য উঠে পড়লো। সেই চেনা পথটা ধরেই এগোচ্ছে। সামনে রিতুদের বাসা। আজো মনের ভুলে পড়ানোর উদ্দেশ্য চলে এসেছিলো অরণ্য। মেয়েটা খুব জেদি! হাতের মোবাইলটা ওর দেওয়া। "টাইম টু টাইম" ফোন না দিলে আবার বাড়ী গিয়ে বসে থাকে। সামনে কড়ুই গাছটা মাথা নুইয়ে বসে আছে। ঠিক যেনো অরণ্যর মতন। অরণ্যর বাবার শরীর টা ভালো না। মাস শেষে কিছু টাকা পাচ্ছে এটাও বা কম কিসের!? রৌদ্রের তেজটা আজ একটু বেশীই! মেঘেরা দল বেঁধেছে। বাতাসেও কেমন উদাসীন ভাব! অরণ্য পথ চলেছে...

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২৩

উদাস কিশোর বলেছেন: মূলভাবটা বুঝতে পারিনি :|
আবেগী লেখা

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

রাসেলহাসান বলেছেন: একটা বড় লোকের মেয়ের সাথে অনেকটা জোর পূর্বক প্রেম করা।এরকমই মূলভাবটা। আমার লেখা "বড় একটা গল্পের" থেকে নেওয়া ছোট একটা অংশ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: দশম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে প্রেম করা ভালু না । 'নাবালিকা' হরণ কেসে পড়ে যাবেন ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

রাসেলহাসান বলেছেন: :D :P

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

উজবুক ইশতি বলেছেন: সুন্দর
রিতুর মত কোন মেয়ে আমাকে ভালবাসেনা
আফসুস |-) |-) |-)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২১

রাসেলহাসান বলেছেন: দেখেন অরণ্যর মত কোন টিউশনি পান কিন! তাইলে জুটতে পারে। :)

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: চেষ্টাটা ভালো। আরও ভালো লেখা আপনার কাছ থেকে চাই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০১

রাসেলহাসান বলেছেন: পরবর্তীতে আরো ভালো কিছু দেয়ার চেষ্টা থাকবে।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন "ইসহাক" ভাই।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

বেলা শেষে বলেছেন: Good Story , love... i like it , write please more & more. If you like - please write on creativität...explain littlebit on Picture. I will read again....
Up to next time...

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

রাসেলহাসান বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন। শুভ কামনা নিরন্তন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.