নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল রুদ্র

Rasel Rudro is a shadow of truth.(সত্যর প্রতিচ্ছবিই রাসেল রুদ্র)

রাসেল রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখন আমাকে গলাধাক্কা দেওয়া হলো!

১১ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:১৩


“পরিবারের জন্য আমি এক কেজি চালও দিয়ে যেতে পারছি না.....।” এখন আমাকে গলাধাক্কা দেওয়া হলো।”এটি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আইয়ুব খানের আত্নহত্যা পৃর্বক লিখে যাওয়া চিরকুটের একটি অংশ। তার ছেলের ভাষ্যমতে, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানকে মন্ত্রণালয় থেকে গলাধাক্কা দেন! এতে প্রচন্ড দুঃখ আর অভিমানে তিনি আত্নহনণের পথ বেছে নেন।

হে মহাবীর! আপনি চলে গেলেন। নিজের শান্তি খুজে নিলেন। আপনার বড় মেয়ে রোখসানার ছেলেটা, আর তরুণ প্রজন্ম, তাদের কাদের কাছে রেখে গেলেন? আপনার এ চলে যাওয়া আমাদের অপরাধী করে দিলো। আজ এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এ সরকার সবসময় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যাবসা করেছে। তা নাহলে ঐ সচিব এতক্ষণে জেলখানাতে থাকবে, তার বিরুদ্ধে সরকার কি অভিযোগ খুঁজে? তার বাজে আচরণের জন্য একজন মুক্তিযোদ্ধা আত্নহত্যা করেছে! এর থেকে বড় অভিযোগ সাবধীন বাংলায় আর কি হতে পারে? কিসের তদন্ত, কিসের খতিয়ে দেখা? হে সূর্যসন্তান! আপনাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে বড় ইচ্ছা জাগছে, আচ্ছা! আপনি মুক্তিযুদ্ধে যেতে কতবার ভেবেছিলেন, আর কি কি সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছিলেন? আপনার মা আপনার কবরের কাছে আছড়ে কাঁদছেন আর বলছেন,“আমার ছেলে যুদ্ধে গিয়েছিলো আমাকে না জানিয়ে। হায়! আজ আপনার হাতে স্বাধীন হওয়া দেশের সরকার বলে কিনা তদন্ত করে দেখছে।

হাজারটা ঘটে যাওয়া ঘটনার মাঝে আমরা একজন মুক্তিযোদ্ধার আত্নহত্যার ঘটনাটিও ভুলে যাবো। সবাই আনন্দে ঈদ করবে। ঐ সচিব হয়তো সাময়িক বরখাস্ত হয়ে বউ,ছেলে-মেয়ে,নাতি-না­­তনী নিয়ে সিঙ্গাপুর বা থাইল্যান্ডে কিছুদিন অবকাশ যাপন করবেন। তারপর সে আবার আগের চেয়ারে। আর যদি তার চেয়ারটা এ বয়েসে চলেও যায়। তবে মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানের মত তাকে অন্তত বলতে শোনা যাবে না তার কিছু নেই। এতদিনে ঢাকাতে নামে বেনামে কয়েকটি ফ্লাট-প্লট তো কিনেছেনই,আর কতগুলো যে ব্যাংক একাউন্ট আছে তার হিসেব রাখা ভার। অথচ আজকের কোন কিছুই পেতেন না ঐ এম এ হান্নান। যদি গ্রামগঞ্জ থেকে যুদ্ধ করতে লক্ষ আইয়ুব খান একাত্তরের রণাঙ্গণে সব পিছুটান ভুলে না নামতেন। আজ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি না। আওয়ামীলীগ যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে নিজেদের জাহির করে তাই এই সচিবের এমন শাস্তির ব্যাবস্থা করুক যাতে আর কোনদিন দেশের কোন দলদাস আমলারা কোন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার মত দুঃসাহস না দেখায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.