নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রায়আন৫৬৩

আবু রায়আন

ছাত্র

আবু রায়আন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একুশের গল্প

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১২

তপুকে আবার ফিরে পাবো, একথা ভুলেও ভাবি নি কোনদিন। তবুও সে আবার ফিরে এসেছে আমাদের মাঝে। ভাবতে অবাক লাগে, চার বছর আগে যাকে হাইকোর্ডের মোড়ে শেষবারের মতো দেখেছিলাম, যাকে জীবনে আর দেখবো বলে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি- সেই তপু ফিরে এসছে। ও ফিরে আসার পর তেকে আমারা সবাই যেন একটু উুদ্বগ্ন হয়ে পড়েছি। রাতে ভালো ঘুম হয় না। যদিও একটু আধটু তন্দ্রা আছে, তবু অন্ধকারে হঠাৎ ওর দিকে চোখ পড়লে গা তা পা শিউরে ওঠে। ভয়ে জড়সড় হয়ে যাই। লেপের নিচে দেহটা ঠক্ঠক্ করে কাঁপে।

দিনের বেলা ওকে ঘিরে আমারা ছোটখাট জটলা পাকাই। খবর পেয়ে অনেই দেখতে আসে ওকে। অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে ওরা। আমরা যে অবাক হই তা নয়। আমাদের চোখেও বিস্ময় জাগে। দু'বছর ও আমাদের সাথে ছিল। ওর শ্বাসপ্রশ্বাসের খবরও আমারা রাখতাম। সত্যি কি অবাক কান্ড দেখ তো, কে বলবে যে তপু। ওকে চেনাই যাচ্ছে না। ওর মাকে ডাকো, আমি হলপ করে বলতে পারি, ওর মা-ও চিনতে পারবে না ওকে।

চিনবে কী করে? জটলার একপাশ থেকে রাহাত নিজের মত বলে চেনার কোনো উপায় থাকলে তো চিনবো। এ অবস্থায় কেউ কাউকে চিনতে পারে না। বলে একটু দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।

আমারাও কেমন যেন আনমান হয়ে পড়ি ক্ষণিকে জন্য। অনেক কষ্টে ঠিকানা জোগাড় করে কাল সাকালে রাহাতকে পাঠিয়েছিলাম, তপুর মা আর বউকে খবর দেবার জন্য।

সারাদিন এখানে সেখানে পইপই করে ঘুরে বিকালে যখন রাহাত ফিরে এসে খবর দিলো, ওদের কউকে পাওয়া যায় নি। তখন রীতিমতো ভাবনায় পড়লাম আমারা। এখন কি করা যায় বল তো, ওদরে এক জনকেও পাওয়া গের না? আমি চোখ তুলে তাকালাম রাহাতের দিকে।

বিছানায় ধপাস করে বসে পড়ে রাহাত বললো, ওর মা মারা গেছে।

মারা গেছে? আহা সেবার এখানে বিছায় গড়াগড়ি দিয়ে কী কান্নাটাই না তপুর জন্য কেঁদেছিলেন তিনি। ওঁর কান্না দেখে আমার নিজের চোখের পানি এসে গিয়েছিল।

বউটার খবর?

ওর কথা বলো না আর। রাহাত মুখ বাঁকালো। অন্য আরেক জায়গায় বিয়ে করেছে। সেকি! এর মধ্যে বিয়ে করে ফেললো মেয়েটা? তপু ওকে কত ভালোবাসতো। নাজিম বিড়বিড় করে বলে উঠল চাপা স্বরে। সানু বললো, বিয়ে করবে না তো কি সারা জীবন বিধবা হয়ে থাকবে নাকি মেয়েটা। বলে তপুর দিকে তাকালো সানু।

আমারাও দৃষ্টি ফিরিনয়ে আনলাম ওর ওপর।

সত্যি, কে বলবে এ চার বছর আগেরকার সেই তপু, যার মুখে এক ঝলক হাসি আঠার মতো লেগে থাকতো সব সময়, তার দিকে তাকাতে ভয়ে আমার রক্ত হিম হয়ে আসে কেন?

দু'বছর সে আমাদের সাথে ছিলো ।
আমার ছিলাম তিন জন।
আমি, তপু আর রাহাত।

তপু ছিলো আমাদের মাঝে সবার চাইতে বয়সে ছোট। কিন্তু বয়সে ছোট হলে কী হবে, ও-ই ছিলো এক মাত্র বিবাহিত।

কলেজে ভর্তি হবার বছর খানেক পরে রেনণুকে বিয়ে করে তপু। সম্পর্কে মেয়েটা আত্মীয়া হতো ওর। দোহারা গড়ন, ছিপছিপে কটি, আপেল রঙের মেয়েটা প্রায়াই ওর সাথে দেখা করতে আসতো এখানে। ও আসলে আমরা চাঁদা তুলে চা মিষ্টি এনে খেতাম। আর গল্পগুজবে মেতে ওঠতাম রীতিমতো। তপু ছিল গল্পের রাজা। যেমন হাসতে পারতো ছেলেটা, তেমনি গল্প করার ব্যাপারেও ছিল ওস্তাদ।

যখন গল্প শুরু করতো, তখন কাউকে কথা বলার সুযোগ দিতো না। সেই যে লোকটার কথা তোমাদের বলেছিলাম না সেদিন। সেই হোঁৎকা মোটা লোকটা, ক্যাপিট্যালে যার সাথে আলোচনা হয়েছিল, ওই যে, লোকটা বলেছিল সে বানার্ড শ হবে, পরশু রাতে মারা গেছে একটা ছ্যাকড়া গাড়ির তলায় পড়ে। ... আর সেই মেয়েটা, যে ওকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছিলো...ও মারা যাবার পরের দিন এক বিলেতি সাহেবে সাথে পালিয়ে গেছে...রুণী মেয়েটার খবর জানত! সে কী, রুণীকে চিনতে পারছো না? শহরের সেরা নাচিয়ে ছিলো, আজকাল অবশ্য রাজনীতি করছে। সেদিন দেখা হল রাস্তায়। আগে তো পাটকাঠি ছিলো। এখন বেশ মোটাসোটা হয়েছে। দেখা হতেই রেস্তোরায় নিয়ে খাওয়ালো। বিয়ে করেছি শুনে জিজ্ঞাস করলো, বউ দেখতে কেমন।

হয়েছে, এবার তুমি এসো। উঃ কথা বলতে শুরু করলে সে আর ফুরাতে চায় না; রাহাত থামিয়ে দিতে চেষ্টা করতো ওকে।

রেণু বলতো, আর বলবে না, এতা বকতে পারে-।
বলে বিরক্তিতে লজ্জায় লাল হঠতো সে।

তবু থমতো না তপু। এক গাল হাসি ছড়িয়ে আবার পরম্পরাহীন কথার তুবুড় ছোটাত সে, থাকগে অন্যের কথা যখন তোমার শুনতে চাও না তখন নিজের কথাই বলি। ভাবছি, ডাক্তারিটা পাশ করতে পারলে এ শহরে আর থাকবো না, গাঁয়ে চলে যাবো। একটা ছোট্ট ঘর বাঁধবো সেখানে। আর, তেমারা দেখো, আমার ঢঘরে কোনো জাঁকজমক থাকবে না। একেবারে সাধারন, হাঁ, একটা ছোট্ট ডিসপেনসারি আর কিছু না। মাঝে মাঝে এমনি স্বপ্ন দেখায় অভ্যস্ত ছিল তপু।

এককালে মিলিটারিতে যাবার শখ ছিল ওর।

কিন্ত বরাত মন্দ। ছিলো জন্মখোঁড়া। ডান পা থেকে বাঁ পাটা ইঞ্চি দুয়েক ছোট ছিল। ওর। তবে বাঁ জুতোর হিলটা একটু উঁচু করে তৈরি করায় দূর থেকে ওর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলাটা চোখে পড়তো না সবার। আমাদের জীবনটা ছিল যান্ত্রিক।

কাক-ডাকা ভোরে বিছানা ছেড়ে উঠতাম আমরা। তপু উঠতো সবার আগে। ও জাগাতো আমাদের দুজনকে, ওঠো, ভোর হয়েগেছে দেখছো না? অমন মোষের মতো ঘুমোচ্ছ কেন, ওঠো। গায়েল উপর থেকে লেপটা টেনে ফেলে দিয়ে জোর করে আমাদের ঘুম ভাঙ্গাত তপু। মাথার কাছে জানালাটা খুলে দিয়ে বলতো, দেখ বাইরে কেমন মিষ্টি রোদ উঠেছে। আর ঘুমিও না ওঠো।

আমাদের ঘুম ভাঙ্গিয়ে, নিজ হাতে চা তৈরি করতো তপু। চায়েল পেয়ালাম শেষ চুমুক দিয়ে আমরা বই খুলে বসতাম। তারপর দশটা রাগাদ স্নাহার সেরে ক্লাসে যেতাম আমরা।

বিকালটা কাটতো বেশ আমোদ-ফুর্তিতে। কোনদিন ইস্কাটনে বেড়াতে যেতাম আমরা। কোনদিন বুড়িগঙ্গার ওপারে। আর যে দিন রেণু আমাদের সাথে থাকতো, সেদিন আমিজপুরের পাশদিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দূর গাঁয়ের ভেতর হারিয়ে যেতাম আমরা।

রেণু মাঝে মাঝে আমাদের জন্য ডালমুট ভেজে আনতো বাসা থেকে। গেঁয়ো পথে হাঁটতে হাঁটতে মুড়মুড় করে ডালমুট চিবোতাম আমরা। তপু বলতো, দেখো, রাহাত, আমার মাঝে মাঝে কি মনে হয় জান?
কী?

এই আঁকাবাঁকা লালমাটির পথ, এ পথের যদি মেষ না হতো কোনদিন। অনন্তকাল ধরে এমনি চলতে পারতাম আমারা।
একি, তুমি আবার কবি হলে কবে থেকে? ভ্রূ জোড়া কুঁচকে হঠাৎ প্রশ্ন করতো রাহাত।
না, না, কবি হতে যাব কেন। ইতস্তত করে বলতো তপু। তবু কেন যেন মনে হয়...।

স্বপ্নালু চোখে স্বপ্ন নাবতো তার।

আমার ছিলাম তিন জন।
আমি, তপু আর রাহাত।

দিনগুলো বেশ কাটছিল আমাদের। কিন্তু অকস্মাৎ ছেদ পড়লো। হোস্টেলের বাইরে, সবুজ ছড়ানো মাঠটাতে অগুণিত লোকের ভিড় জমেছিলো সেদিন। ভোর হতে ক্রব্ধ ছেলেবুড়োরা এসে জমতাযয়েত হয়েছিলো সেখানে। কারো হাতে প্লাকার্ড, কারো হাতে স্লোগান দেবার চুঙ্গো, আবার কারো হাতে লম্বা লাঠিটায় ঝোলানো কয়েকটা রক্তাক্ত জামা। তর্জনী দিয়ে ওরা জামাগুলো দেখাচ্ছিলো, আর শুকনো, ঠোঁট নেড়ে এলোমেলো কি যেন বলছিল নিজদের মধ্যে। তপু হাত ধরে টান দিল আমায়, এসো।

কোথায়?
কেন,ওদের সাথে।
চেয়ে দেখি, সমুদ্রগভীর জনতা ধীরে ধরী চলতে শুরু করেছে।
এসো।
চলো।
আমরা মিছিলে পা বাড়ালাম।

একটু পরে পেছনে ফিরে দেখি, রেণু হাঁপাতে হাঁপাতে আমাদের দিকে ছুটে আসছে। যা ভেবেছিলাম, দৌড়ে এসে তপুর হাত চেপে ধরলো রেণু। কোথায় যাচ্ছ তুমি। বাড়ি চলে। পাগল নাকি, তপু হাতটা ছাড়িয়ে নিলো। তারপর বললো, তুমিও চলো না আমাদের সাথে। না, আমি যাবো না, বাড়ি চলো। রেণু আবার হাত ধরলো ওর। কী বাজে বকছেন। রাহাত রেগে ওঠল এবার। বাড়ি যেতে হয় আপনি যান। ও যাবে না।

মুখটা ঘুরিয়ে রাহাতের দিকে ক্রদ্ধ দৃষ্টিতে এক পলক তাকালো রেণু। তারপর কাঁদো কাঁদো গলায় বললো, দোহাই তোমার বাড়ি চলো। মা কাঁদছেন।

বললাম তো যেতে পারবো না, যাও। হাতটা আকার ছাড়িয়ে নিল তপু।

রেণুর করুন মুখের দিকে তাকিয়ে মায়া হলো। বললাম, কী ব্যাপার আপিনি এমন করছেন কেন, ভয়ের কিছু নেই আপানি বাড়ি যান।

কিছুক্ষণ ইতস্তত করে টলটলে চোখ নিয়ে ফিরে গেলো রেণু। মিছিলটা তখন মেডিকেলের গেইট পেরিয়ে কার্জন হলের কাছাকাছি এসে গেছে।

তিনজন আমারা পাশাপাশি হাটছিলাম।
রাহাত স্লোগান দিচ্ছিলো।

আর তপুর হাতে ছিলো একটি মস্ত প্লাকার্ড। তার ওপর লাল কালিতে লেখা ছিলো, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। মিছিলটা হাইকোর্ডের মোড়ে পৌছাতেই অকস্মৎ আমাদের সামনের লোকগুলি চিৎকার করে পালাতে লাগলো চারপাশে। ব্যাপারটা কী বুঝবার আগেই চেয়ে দেখি, প্লাকার্ডসহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে তপু। কপালের ঠিক মাঝখানটায় গোল একটা গর্ত। আর সে গর্ত দিয়ে নির্ঝরের মতো রক্ত ঝরছে তার।

তপু! রাহাত অর্তনাদ করে উঠলো।

আমি তখন বিমূঢ়ের মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম।

দুজন মিলিটারি ছুটে এসে তপুর মৃতদেহটা তুলে নিয়ে গেলো আমাদের সামনে থেকে। আমারা একটু্র নড়লাম না, বাধা দিতে পারলাম না। দেহটা যেন বরফের মতো জমে গিয়েছিল, তারপর আমিও ফিরে আসতে আসতে চিৎকার করে উঠলাম, রাহাত পালাও।

কোথায়? হতবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো রাহাত।

তারপর উভয়ে উর্ধ্বশ্বাসে দৌড় দিলাম আমারা ইউনির্ভাসিটির দিকে। সে রাতে তপুরমা এসে গড়াগড়ি দিয়ে কেঁদেছিলেন এখানে। রেণুও এসেছিলো, পলকহীন চোখজোড়া দিয়ে অশ্রুর ফোয়ারা নেমেছিল তার। কিন্তু আমাদের দিকে একবারও তাকায় নি সে। একটা কথাও আমাদের সাথে বলে নি রেণু। রাহাত শুধু আমার কানে ফিসফিস করে বললো, তপু না মরে আমি মরলেই ভালো হত।কী অবাক কান্ড দেখ তো, পাশপাশি ছিলাম আমরা। আথচ আমাদের কিছু হলো না, গুলি লাগলো কি না তপুর কপালে, কী অবাক কান্ড দেখ তো।

তারপর চারটে বছর কেটে গেছে। চার বছর পর তপুকে ফিরে পাবো, এ কথা ভুলেও ভাবিনি কোনদিন। তপু মারা যাবার পর রেণু এসে একদিন মালপত্রগুলো সব নিয়ে গেল ওর। দুটো সু্টকেস, একটা বইয়ের ট্রাঙ্ক, আর একটা বেডিং। সেদিনও মুখ ভার করে ছিলো রেণু।

কথা বলেনি আমাদের সাথে। শুধু রাহাতের দিকে একপলক তাকিয়ে জিজ্ঞাস করেছিলো, ওর একটা গরম কোট ছিলো না, কোটটা কোথায়? ও, ওটা আমার স্যাটকেসে। ধীরে কোটটা বের করে দিয়েছিল রাহাত। এর পর দিন কয়েক তপুর সিটটা খালি পড়ে ছিলো। মাঝে মাঝে রাত শেষ হয়ে এলে আমাদের মনে হতো, কে যেন গায়ে হাত দিয়ে ডাকছে আমাদের।

ওঠো, আর ঘুমিও না, ওঠো।

চোখ মেলে কাউকে দেখতে পেতাম না, শুধু ওর শূন্য বিচার দিকে তাকিয়ে মনটা ব্যাথায় ভরে উঠতো।

তারপর একদিন তপুর সিটে নতুন ছেলে এলো একটা। সে ছেলেটা বছর তিনেক ছিলো।

তারপর এলো আর একজন। আমাদের নতুন রুমমেট। বেশ হাসিখুশি ভরা মুখ।

সেদিন সকালে বিছানায় বসে, 'এনাটমি'র পাতা উল্টাচ্ছিল সে। তার চৌকির নিচে একটা ঝুড়িতে রাখা 'স্কেলিটনের' স্কাল'টা বের করে দেখছিলো আর বইয়ের পাতার সাথে মিলিয়ে পড়ছিলো সে। তারপর একসময় হঠাৎ রাহাতের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাস করলো, রাহাত সাহেব, একটু দেখুন তো, আমার স্কালের কপালের মাঝখানটায় একটা গর্ত কেন? কী বললে? চমকে উঠে উভয়েই তাকালাম ওর দিকে।

রাহাত উঠে গিয়ে স্কালটা তুলে নিল হাতে। ঝুঁকে পড়ে সে দেখতে লাগলো অবাক হয়ে। হাঁ, কপালের মাঝখানটায় গোল একটা ফুটো, রাহাত তাকাল আমার দিক, ওর চোখের ভাষা বুঝতে ভুল হলো না আমার। বিড়বিড় করে বললাম, বাঁ পায়ের হাড়টা দু'ইঞ্চি ছোট ছিলো ওর।

কথাটা শেষ না হতেই ঝুড়ি থেকে হাড়গুলো তুলে নিলো রাহাত। হাতঝোড়া ঠক্ঠক্ করে কাঁপছিলো ওর। একটু পরে উত্তেজিত গলায় চিৎকার করে বললো, বাঁ পায়ের টিবিয়া ফেবুলাটা দু'ইঞ্চি ছোট।
দেখো, দেখো।

উত্তেজনায় আমিও কাঁপছিলা।

ক্ষণকাল পরে স্কালটা দুহাতে তুলে ধরে রাহাত বললো, তপু।

বলতে গিয়ে গলাটা ধরে এলো ওর।

…………………………………………………………………………………………………………………………….........................................................................................................................................................................
লেখক পরিচিতিঃ
জীবনমুখী সমাজসচেতন কথাসাহিত্যিক জহির রায়হান ছিলেন একাধারে সাহিত্যশিল্পী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্মী ও চলচ্চিত্রকার। তাঁর আসল নাম মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।

পরবর্তী জীবনে চলচ্চিত্রকারের অসামান্য খ্যাতি অর্জন করলেও তাঁর খ্যাতির সূচনা গল্পকার ও উপনৗাসিক হিসেবে। সমাজ জীবনে নান বৈষম্য অন্যা-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেছিলেন শিল্পীর দায়িত্ববোধ থেকে। জহির রায়হানের জনপ্রিয় উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ 'হাজার বছর ধরে', 'আরেক ফাল্গুন', 'বরফগলা নদী', 'আর কতদিন'। তার লেখা সংকলিত হয়েছে 'জহির রায়হানের গল্প সংগ্রহ' গ্রন্থে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে তিনি স্মরনীয় হয়ে আছেন তাঁর 'জীবন থেকে নেয়া', 'স্টপ জেনোসাইড', 'লেট দেয়ার বি লাইট' ইত্যাদি চলচ্চিত্রের জন্য।

জহির রায়হানে জন্ম ১৯৩৩ খ্রিল্টাব্দে ফেনী জেলান মজুপুর গ্রামে। মুক্তিযোদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় লাভের অব্যবহিত পরে ১৯৭২ খ্রিষ্টাবব্দের ৩০শে জানুয়ারি তিনি নিখোঁজ হন। তারঁর আর কোনো সন্ধান মেলেনি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গল্প পড়তে আামর খুব ভালো লাগে।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০৭

এম আর তালুকদার বলেছেন: লেখার ভিতর বানানে প৾চুর ভুল।নিজের নতুন লেখা পোষ্ট করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.