নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রায়আন৫৬৩

আবু রায়আন

ছাত্র

আবু রায়আন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইলিশ শুধুই বাংলাদেশের

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

ইলিশ বাংলাদেশের দ্বিতীয় GI পণ্য। এর আগে বাংলাদেশের প্রথম GI পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে ঢাকাই জামদানি শাড়ি। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের(BSCIC) ঢাকাই জামদানি শাড়িকে GI পণ্য হিসেবে অর্ন্তভুক্তির জন্য আবেদন করে। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ DPDT ঢাকাই জমদানি শাড়িকে GI পণ্য হিসেবে BSCIC'র কাছে নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করে।

GI - এর পূর্ণ অভিব্যাক্তি Geographical Indication; যার বাংলা 'ভৌগোলিক নির্দেশক'। GI হলো একটি নাম বা সাইন যেটা নির্দিষ্ট একটি পণ্যের জন্য ব্যাবহার করা হয়, যা কোনো একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার (শহর বা দেশ) পণ্যের পরিচিতি বহন করে। এতে পণ্যটি ঐ দেশের পণ্য হিসেবে খ্যাতি পায় এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়।


মেধাস্বত্ব-বিষায়ক বৈশ্বিক সংস্থা World Intellectual Property Organization(WIPO) সাধারণত ভৌগোলিক নির্দেশক নিবেন্ধন দেয়। তবে বাংলাদেশে WIPO'র হয়ে স্থানীয় কাজটি করে থাকে শিল্প মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর (DPDT)। বাংলাদেশে ৬ নভেম্বর ২০১৩ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন করে। আর ২ আগষ্ট ২০১৫ বিধিমালা জারি করা হয়।

আর্ন্তজাতিকভাবে ইলিশের একক মালিকানা পাবার লক্ষ্যে ১৪ নভেম্বর ২০১৪ মৎস অধিদপ্তর ইলিশকে বাংলাদেশের GI পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত করার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে আবেদন করে। আবেদনে বাংলাদেশে ইলিশের জন্ম ও বিস্তারসহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ শেষে ১ জুন ২০১৭ পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর(DPDT) নিজেস্ব জার্নালে ৪৯ পৃষ্ঠায় একটি নিবন্ধন প্রকাশ করে। আইন অনুসারে, নিবন্ধন প্রকাশিত হবার দুই মাসের মধ্যে দেশ বা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে হয়। কিন্ত কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে আপত্তি জনায়নি। সে অনুসারে ৬ আগষ্ট ২০১৭ DPDT জাতীয় মাছ ইলিশকে বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃতি অর্জনের কথা ঘোষণা করে।

বাংলাদেশের ইলিশের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। কবি বুদ্ধদেব সবু ইুলশকে আখ্যায়িত করেন 'জলের রুপালি শস্য' হিসেবে। সুস্বাদু মাছ হিসেবে ইলিশের পরিচিতি সর্বব্যাপী। দেশের আমিষের চাহিদা পূরণ এবং সামুদ্রিক মৎস আহরণের ক্ষেত্রে বিশাল এক অংশ জুড়ে আছে ইলিশ। লাখ লাখ জেলে ইলিশ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। ওয়ার্ল্ড ফিসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের ৬৫ ভাগই উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। ইলিশ পাওয়া যায় বিশ্বের এমন ১১টি দেশের মধ্যে ১০টিতেই উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমছে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিবছর উৎপাদন ৮-১০% হারে বাড়ছে। দেশে মোট মৎস উৎপাদনে একক ভাবে ইলিশের অবদান প্রায় ১৫%। আর মোট দেশজ উৎপাদেও (জিডিপি) এ খাতের অবদান ১.১৫%।

মৎস গবেষনা ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, আগে দেশের ২১টি উপজেলার নদ-নদীতে পাওয়া যেত ইলিশ। বর্তমানে ১২৫টি উপজেলার নদ-নদীতে সন্ধান মিলেছে ইলিশের। গত কয়েক বছর ধরেই দেশে ইলিশের উৎপাদন তিন থেকে চার লাখ টনের মধ্যে উঠানামা করছে। এর মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল চার লাখ টন। প্রচলিত বাজার মূল্যে প্রতি কেজির দাম ৬৫০ টাকা ধরা হলেও সংগৃহিত ইলিশের সার্বিক বাজার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা। ইলিশ রফতারি করে ৪০০ কোটি টাকার মতো বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। এছাড়া প্রায় পাঁচ লাখ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি জড়িত। পরোক্ষভাবে ২০-২৫ লাখ লোক পরিবহন, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রফতানি ইত্যাদি কাজে জড়িত।

(কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সেপ্টেম্বর ২০১৭, পৃঃ ২৫)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪২

শিখণ্ডী বলেছেন: বাজার ভর্তি ইলিশ দেখে মন ভরে যায়। আমাদের অতীতের ইলশে-বর্ষা হয়ত ফিরে আসছে্। আজ নারকেল-ইলিশ খেয়েছি। বাংলাদেশের ব্র্যান্ড পরিচয় ইলিশ হবার পেছনে শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টির অবদান আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.