নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠকের মুগ্ধতাই আমার লেখার প্রেরণা, সত্য প্রচার আমার লেখার উদ্দেশ্য আর মিথ্যাকে বিনাশ করে দিকেদিগন্তে সত্যের আলোকচ্ছটার বিচ্ছুরণই আমার লেখার চূড়ান্ত লক্ষ্য।

বিদ্রহীসূত

রাকীব আল হাসান, সহকারী সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক বজ্রশক্তি।

বিদ্রহীসূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম যুক্তিহীনভাবে পালন করবার ধর্ম নয়

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৫

একজন লোককে দেখলাম পকেটে এক আটি মেসওয়াক, মুখে দুর্গন্ধ। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম- ভাই আপনার পকেটে মেসওয়াক কেন? তিনি বললেন- রসুলাল্লাহ (সা.) মেসওয়াক রাখতে বলেছেন। তখন আমি বললাম- আপনার মুখে এমন দুর্গন্ধ কেন, মেসওয়াক করেননি? তিনি মুখ থেকে আরও কিছুটা গন্ধ বের করে বললেন- আমি রোজা আছি, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট অনেক প্রিয়। আপনি কি হাদিস-কোর’আন কিছু জানেন না?
.
এটাই হলো আকীদা না বুঝে আমল করার ফল। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই কিন্তু এভাবে আকীদা না বুঝে আমলা করে। অথচ সকল মুফতী ও আলেমগণ এ বিষয়ে একমত যে, আকীদা ভুল হলে ঈমানের কোনো দাম থাকে না আর ঈমান না থাকলে আমল অর্থহীন।
.
ইসলাম এতটা বাস্তবসম্মত যে প্রতিটা আমলের স্বাভাবিক ফল আপনি দুনিয়াতেই পাবেন, আর আখেরাতে আল্লাহ ঐ ফলটিই বহুগুণে বাড়িয়ে দিবেন, পুরষ্কৃত করবেন। ইসলামে এমন কোনো আমলই থাকতে পারে না যা কেবল আখেরাতের জন্য। প্রতিটা আমলের দুনিয়াবি কল্যাণ আছে আর বদ-আমলের বা গোনাহের কাজের দুনিয়াবি অকল্যাণ আছে। দুনিয়াতে যদি আপনি কোনো আমলের ফল না পান তবে বুঝতে হবে আখেরাতেও ফল পাবেন না অর্থাৎ আমলটি ভুলভাবে করা হচ্ছে।
.
যেমন- মেসওয়াক করবার ফল হলো মুুখ পরিষ্কার-দুর্গন্ধমুক্ত থাকবে ও অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। যদি মুখের দুর্গন্ধই না যায়, মুখ পরিষ্কারই না হয়, রোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতেই না পারেন তবে আখেরাতেও এর জন্য কোনো নেকি পাবেন না।
.
– সালাহ (নামাজ) এর ফল কী? সমাজ থেকে সকল অন্যায় ও অশ্লীল কাজ দূর হয়ে যাবে। (সুরা আনকাবুত- ৪৫)। ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে, ধনী-গরিব ভেদাভেদ দূর হবে, অহঙ্কার দূরীভূত হবে (জামায়াতে নামাজ পড়ার এটাই ফল)। শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তীতা প্রতিষ্ঠিত হবে (ওয়াক্ত মতো নামাজ পড়া এবং নামাজের মধ্যে একসাথে সবাই মিলে কিছু নিয়ম অনুসরণ করার এটাই ফল)। আনুগত্য প্রতিষ্ঠিত হবে (ইমামের কমান্ড সাথে সাথে অনুসরণের ফল)। এ ছাড়াও আরও অনেক ফল আছে, এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে বললাম।
.
সওম বা রোজার ফল কী? দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষের কষ্ট অনুধাবন করা ও তাদের প্রতি সহমর্মী হওয়া, এটা হলে সমাজের দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষ কষ্টে থাকবে না। আরেকটা শিক্ষা হলো- সত্যদীনের সংগ্রাম করতে গিয়ে যেন ক্ষুধা আর দারিদ্র তাকে হতাশ করতে না পারে, সহজে দুর্বল করতে না পারে সেই শারীরিক ও আত্মীক চরিদ্র সৃষ্টি।
.
যে আমলের দুনিয়াবি কোনো ফল নেই সেই আমলের আখেরাতেও কোনো ফল নেই। দুনিয়াবি ফলের জন্য দরকার আকীদা আর আখেরাতের ফলের জন্য দরকার ঈমান। ইসলামের কোনো আমল যদি কোনো নাস্তিকও করে তবে সে দুনিয়াবি ফল পাবে কিন্তু ঈমান না থাকার জন্য সে আখেরাতের ফল পাবে না। যেমন কেউ সত্যবাদী হলে দুনিয়াতে তাকে সকলে বিশ্বাস করবে, সে সম্মানীত হবে সত্যবাদী হিসাবে ইত্যাদি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: খুব ভালো লিখলেন

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

বিদ্রহীসূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৭

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: বেশ । চিন্তা ভাবনার জায়গাটা বেশ :)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

বিদ্রহীসূত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.