নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতদিন লেখার ক্ষমতা থাকবে ততদিনই লিখব, একটুও বেশি না

বঙ্গতনয়

ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।

বঙ্গতনয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্লো- পয়জনিং: প্রসংগ "মায়ের বিয়ে", "নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প" সিনেমা

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৫৩


কিছুদিন আগে এসব ওয়াসওয়াসা দানকারী মুভির ট্রেইলার দেখি। ছি: ছি: বলিনি, পা থেকে পয়জারযুগল কেন যেন হাতে উঠে আসতে চাইছিল। এগুলো নাকি শিক্ষা নেয়ার জন্য বানানো হয়েছে বলে আমাকে বুঝ দিলেন জনৈক পণ্ডিত।
আসলেই কি তাই?

সিনেমায় খোলামেলা অভিনয় বাস্তব চিত্রকে দেখায়না, আমরা দর্শকেরা পুলিশ নই যে, ধর্ষণ প্রমাণিত করতে মেডিকেল চেকাপের কপি দেখতে চাইব, বিচারের ভার, শাস্তি দেয়ার দায়িত্ব সেটাও আমাদের কাঁধে চাপেনা।

আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি- সিনেমায় ধর্ষণ, খুন, চাঁদাবাজি, মাস্তানি, ঘুষ ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে যে গতানুগতিক বাংলা সিনেমাগুলি বানানো হয় তা দেখে কি দেশে এসব অনৈতিক কর্ম বন্ধ হয়েছে?

বরং ছোটবেলায় আমরা সিনেমা দেখে কাঠের বন্দুক নিয়ে ফাইট করতে নেমে যেতাম।
মাস্তানি করাটা ফ্যাশন মনে করতাম, সেভেন আপের কাচের বোতলে পানি ভরে মদপানের অভিনয় করতাম।
আবার দেশপ্রেমের সিনেমা দেখে মনের মধ্যে লাল- সবুজের আঁচড়ে ৫৬ হাজার বর্গমাইলকে এঁকে নিয়ে বাড়ি ফিরতাম, দেশের শত্রুদের অভিশাপ দিয়ে আর আচ্ছা করে মনে মনে প্যাদানি দিতে দিতে।


আজকাল তো সমাজে বাবার হাতে কন্যা ধর্ষিতা হচ্ছে, সেটাও কি অভিনয় করে ধর্ষণের স্তরগুলি দেখাতে হবে? বোমা বানানো খারাপ, তাই দেখাতে গিয়ে কি সুন্দরভাবে বোমা বানানো সরঞ্জাম দিয়ে কিভাবে বানাতে হয় পই পই করে দেখাবেন সিনেমায়?
সমাজের নেতিবাচক দিকগুলি বারবার না দেখিয়ে ইতিবাচক চিন্তা গুলি অভিনয়ের মাধ্যমে যত বেশি দেখানো যাবে তত ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এই আপনারাই বাজে সিনেমা দেখে মাথাগরম করেন, আবার ভালো দৃশ্য দেখে দেশপ্রেমে জানটা বাজি ধরতে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন। কোনোটা দেখে রোমান্টিক হয়ে যান, আবার কোনোটা দেখে অন্ধকার টিভিকক্ষে চোখটা চুলকানোর ভান করে পানি মোছেন।
ভেবে দেখুন কোনটা ভালো
বি দ্রঃ আমি জানি আমার এই পোস্ট দেখে অনেকেই ইউটিউব এ চলে যাবেন, আপাতত তার দায়ভার আমি নিতে পারছিনা

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সিনেমায় খোলামেলা অভিনয় বাস্তব চিত্রকে দেখায়না, আমরা দর্শকেরা পুলিশ নই যে, ধর্ষণ প্রমাণিত করতে মেডিকেল চেকাপের কপি দেখতে চাইব, বিচারের ভার, শাস্তি দেয়ার দায়িত্ব সেটাও আমাদের কাঁধে চাপেনা।
মোক্ষম বলেছেন,
শয়তানী বন্ধ হোক

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

বঙ্গতনয় বলেছেন: শয়তানগুলো চিহ্নিত হোক, তারপর বর্জন করা হোক এদের সকল প্রোডাকশন। তারপর শয়তানী আলবৎ বন্ধ হবে

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "সমাজের নেতিবাচক দিকগুলি বারবার না দেখিয়ে ইতিবাচক চিন্তা গুলি অভিনয়ের মাধ্যমে যত বেশি দেখানো যাবে তত ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।" যথার্থই । নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি মানুষের অাকর্ষণ তীব্র । ওগুলো করতে বারণ করলেও যে করার সে করবেই । চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

বঙ্গতনয় বলেছেন: চোরাই না শোনে ধর্মের কাহিনি। আসলেই ঠিক কথা। মাদক সেবন যে ক্ষতিকর এটা তো মদ না খেয়েও শেখা যায় তাইনা?

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

অন্ধকারের আলোর দিশারী বলেছেন: এটা শুধু চলচ্চিত্রে না সমাজ, রাজনিতী, ধর্ম প্রত্যেক টা ক্ষেত্রেই নেগেটিভ দিকগুলো দাড় করিয়ে উদাহরন টানা হয় । মনে হয় যেন পজেটিভিটির বড়ই অভাব এদেশে ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

বঙ্গতনয় বলেছেন: এটা একশ্রেণির মানুষের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বাজার সৃষ্টির পায়তারা।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবসময় আমার কাছে হাস্যকর লাগে তারকাদের একটা কথা। 'চরিত্রের প্রয়োজনে যে কোন দৃশ্যে অভিনয়ে রাজি'। এখানে কী ধরনের প্রয়োজন দেখা দেয় তা সেই কিশোর বেলা থেকে আজ অবদি আমার মাথায় ঢোকেনি। জামাই বউ তো রুমে অনেক কিছু করে। কই সেসব তো দৃশ্যায়ন করা হয় না? সেটা করলে হবে অশ্লীল আর খামাখা উত্তেজিত করা হয় চরিত্রের প্রয়োজন! সবাই জানে সব কিছু। তবু তারা উত্তেজক দৃশ্য দেখিয়ে বলবে শৈল্পিকতা!

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

বিপরীত বাক বলেছেন: যখন আমির খান কে দেখে পুরুষ হওয়া জেনেছেন,,
যখন শাহরুখ খান কে দেখে প্রেম করা শিখেছেন,,,
যখন মাধুরী কে দেখে প্রেমিকা কাকে বলে জেনেছেন,,,,
যখন মমতা কূলকার্ণি কে দেখে সেক্স শিখেছেন,,,
যখন জ্যাকিশ্রফ কে দেখে মাস্তানি শিখেছেন,,,
যখন কারিশমা কাপুরকে দেখে নাচ শিখেছেন,,,,
যখন ঐশ্বরিয়া কে দেখে প্রেম ভালবাসা শিখেছেন,,
যখন সুস্মিতা সেন কে দেখে জাত্যাভিমানে ভুগেছেন।।।।।।।।।।।।।

তখন থেকেই এসব স্লো পয়জনিং টা শেখা দরকার ছিল
প্রয়োজন ছিল।।। জানা উচিৎ ছিল।।।

এখন কি গোড়া কেটে আগায় পানি ঢেলে পূনর্জীবন চাইছেন???
নাকি -------????

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৫০

বঙ্গতনয় বলেছেন: স্লো পয়জনিং যার উপর ক্রিয়া করে সে খুব একটা ধরতে পারেনা। বাইরের মানুষের চোখে তার এই অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে। তাই যারা নতুন প্রজন্ম এখনো বিষের আওতায় আসেনি তাদের জন্য এন্টি পয়জনিং এর ব্যবস্থা করতে দোষ কি?

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:০৪

প্রান্তিক জন বলেছেন: সব ধান্দাবাজি।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সমাজের নেতিবাচক দিকগুলি বারবার না দেখিয়ে ইতিবাচক চিন্তা গুলি অভিনয়ের মাধ্যমে যত বেশি দেখানো যাবে তত ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সত্যিই বলেছেন। আশা করি সংশ্লিষ্ট মহল আপনার-আমার এ দাবীর প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রগণ করবে ।

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

বিপরীত বাক বলেছেন: লেখক বলেছেন:
স্লো পয়জনিং যার উপর ক্রিয়া................................... যারা
নতুন প্রজন্ম এখনো বিষের আওতায়
আসেনি তাদের জন্য এন্টি পয়জনিং এর
ব্যবস্থা করতে দোষ কি?

নতুন প্রজন্ম তো জন্ম থেকেই বিষাক্ত।।। কেননা নতুন প্রজন্মের বাপ মা রা দিল, আশিকি, সজন,, দেখে দেখে পালিয়ে বিয়ে করেছিল।। সবাই না।।। তবে যেগুলো সোজা লাইনে ছিল সেগুলোও বাসর ঘরে ঘোমটা তুলে বা দরজা খোলার আওয়াজের পরে মাধুরী-ঐশ্বরিয়া বা শাহরুখ - সালমান দেখবে বা আসবে বলে কামনা করতো।।। তা ৯০-৯৫ এর সেইসব উন্মাতাল প্রজন্মের প্রোডাক্ট ই হলো বর্তমান প্রজন্ম।।।।

এই প্রজন্ম কে বিষাক্ত করার দরকার নেই।।। বরং এখন দরকার কনভার্ট হয়ে যাওয়া।।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৩

বঙ্গতনয় বলেছেন: আমরা আশাবাদী। হতাশ হওয়াটা কোনো সমাধান নয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.