নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতদিন লেখার ক্ষমতা থাকবে ততদিনই লিখব, একটুও বেশি না

বঙ্গতনয়

ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।

বঙ্গতনয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

উচচশিক্ষাই কুশিক্ষা

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬



১৪-১৫ বছর বয়সে কোনো প্রেমের উপন্যাস পড়তে গেলে বড়দের আড়ালে লুকিয়ে-চুরিয়ে পড়তে হত। কোনভাবে ভুলেও সামনে পড়তাম না। হয়তো তেমন কিছু হতনা, বকাঝকা খেয়ে লজ্জা পেতাম।

আমার বাবা-মা নামকাওয়াস্তে শিক্ষিত, কোনোমতে পড়তে লিখতে পারেন আর বেগম রোকেয়ার অর্ধাঙ্গী প্রবন্ধের বর্ণনার মত- দু'চারটে বাংলা বই-পুস্তক পড়েন।

তাদের কাছে নীতি-নৈতিকতার যে সংজ্ঞা শিখেছি, যে শিক্ষা পেয়েছি তা যথেষ্ট না বিধায়ই তারা আমাকে উচচশিক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন।

অথচ এখন দেখছি নৈতিকতার সংজ্ঞাই
বদলে ফেলেছেন এঁরা। অপরাজনীতির কালো কোট গায়ে চড়িয়ে আর ব্যক্তিস্বার্থের কালো চশমা দু'কানে ঝুলিয়ে ভালমন্দের নিজস্ব তালিকা তৈরি করে নিয়েছেন এরা ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাত ২টার পর কোন চ্যানেলে নজর রাখে সেটা তাদের দেখার বিষয় নয়। কে কাকে নিয়ে কোন আঁধারে বসে শরীরি প্রেমে মত্ত আছে সেখবর রাখার মত সময় তাদের কোথায়? ছেলেরা দলবেধে অশ্লীল চলচ্চিত্র, নীলছবি দেখে সেটা নৈতিকতার মানদণ্ডে আটকে যায়না। এসব দেখে লাভ কি? এতে তো আপনার পেশায় তরক্কী হবেনা, নেতার কাছে আপনার প্রমোশনের সুপারিশ যাবেনা, দুপয়সা উপরি ইনকামের ব্যবস্থা হবেনা যাতে গুলশানের আলিশান এলাকায় দু পেগ রাশিয়ান ভদকা বেশি পাবেন।

যারা তাদের রক্ত পানি করে আমাদেরকে পিতৃ-মাতৃতুল্য শিক্ষকদের হাতে তুলে দিয়েছেন মানুষের মত মানুষ করতে, তাদের কাছে আপনাদের হয়ত কৈফিয়ত দিতে হয়না কিন্তু আপনাদের বিবেক কি মরে গেছে হে শিক্ষকসমাজ! হে মাতৃসম শিক্ষয়ত্রীগণ! আপনার পাঠদানের চেয়ে ছাত্রদের মন থাকে আপনার শরীরের উপর, এবং তারা আপনাকে নিয়ে আলোচনা করে বেশ দুদণ্ড বিনোদিত হয়ে থাকে।

আর যারাই তাদের পিতৃ-মাতৃ হতে গৃহীত শিক্ষাকে আপনাদের কুশিক্ষায় না হারিয়ে নিজ কৃষ্টি-কালচার, তাহজীব-তামদ্দুন নিয়ে বেঁচে থাকতে চায় তারা সকল স্বার্থবাদী মানুষের পাশাপাশি আপনাদেরও চোখের কাঁটা হয়ে যায়।

একজন রুমে মদ খেয়ে হিন্দি গানের তালে উদ্দাম নৃত্য করছে সে সঠিক, আরেকজন নিচের তলায় কেন এছলাম ধর্মের বই-পুস্তক পড়ে, রুমে রাখে এই ব্যাটাকে ধরতে হবে। সে নিশ্চয়ই ঐ দলের লোক। ব্যাটা পরিবেশ নষ্ট করছে তাকে আচ্ছা করে পেদিয়ে পুলিশে দিতে হবে। হায়রে নির্বোধের দল!
কে যেন বলেছিল " যে এলাকায় সবাই লেংটা সেখানে তুমিও পোষাকছাড়া যেও, কারণ ওরা বন্য ওদের সংস্কৃতি ওটাই" কথাটা ঠিক।

আর ক'দিন পরে এই ছেলেরাই আপনার স্ত্রীর আঁচল ধরে টান দিবে, আপনার পাঠদানের মধ্যেই আপনাকে উত্যক্ত করবে। আপনার সামনেই আপনার মেয়েকে টেনে নিয়ে যাবে তখনো ওরা সঠিকই থাকবে। ভুল বললাম নাকি?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:

ধুর

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

বঙ্গতনয় বলেছেন: ধুর কেন গাজী সাহেব?

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

সপ্ন মায়া বলেছেন: কথা একেবারে সত্যি। সমাজে যারা নুংরামি করতে পারে তারাই আজ আধুনিক এটাই সমাজের অবস্থা

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এতোটা নিচে নামিনি আমরা এখনও

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

বঙ্গতনয় বলেছেন: জাফর ইকবাল স্যারের স্ত্রীর সাথে কি ব্যবহার করা হয়েছে দেখেননি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.