নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতদিন লেখার ক্ষমতা থাকবে ততদিনই লিখব, একটুও বেশি না

বঙ্গতনয়

ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।

বঙ্গতনয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানিনা, পাবো কিনা

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

খেলায় মগ্ন কিশোরদলের পিছনে হাত দশেক দূরে এক কাঠাল গাছের নিচে দাড়ালাম, পায়ে কোনো আওয়াজ হয়নি বোধহয়। নীল প্যান্ট, গায়ে উলের সোয়েটার পরা ধবধবে ফর্সা এক কিশোর খেলায় মগ্ন কয়েকটি ছেলের পাশে দাড়িয়ে আছে.
ওর বয়স ছয় কি সাত হবে। মাথায় টুপি , দুহাতে আরবী কায়দা ও রেহালখানা আড়াআড়িভাবে বুকের সাথে বেধে একমনে খেলা দেখছে. আমার হঠাৎ কেন যেন মনে হলো ওই ছেলেটিকে কোথায় যেন দেখেছি। কাছে ডেকে মাথায় হাত বুলিয়ে জানতে ইচ্ছে করছে খোকা তোমার নাম কী?
নিজের অজান্তেই কিছুটা শব্দ করে হেসে উঠলাম, দূর গাঁধা! এই যুগে কেউ কোনো বাচ্চাকে খোকা বলে ডাকে? নিজেই নিজের জবাব দিলাম “তা ডাকেনা, তাহলে কী বলে ডাকে?” উত্তর এলো “ তাতো জানিনা। এবার কোনো মুরব্বিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে ভাবলাম।
হাসিটা বেশি জোরে হয়নি কিন্তু এতেই ছেলেগুলো খেলা বন্ধ করে আমার দিকে খেয়াল করলো। হঠাৎ মনে হল আমি অন্য গ্রহের কেউ। নিজেকে সামলে নিয়ে ধীর পায়ে সামনে এগিয়ে গেলাম. ছেলেগুলো আমাকে একটুও ভয়তো পেলোইনা অধিকন্তু অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে একনজরে আমাকে পরখ করতে লাগলো।
নীরবতা ভঙ্গ করলাম আমিই “ একটু শুনবে?” গাঁয়ের ছেলে আমার মুখে শুদ্ধ উচ্চারণে বাঙলা শুনে বুঝলো কি বুঝলোনা কিছুই আঁচ করতে পারলাম না। কারণ জবাব আসলো না।
আবার বললাম “ আমার কথা কি তোমরা বুঝতে পারছো?
টুপি পরা মক্তবফেরত সৌম্যকান্তি কিশোরটি এগিয়ে এসে বললো “জ্বী!”। আপনাকে চিনতে পারিনি তাই।
ওর মুখে শুদ্ধ উচ্চারণে বাঙলা শুনে বেশ প্রীত হলাম। ছেলেগুলো ইতোমধ্যে নিজেদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু করলো। বললাম “ তোমার নাম কী? –আবরার হাসান, “ বাহ! নামটা তো সুন্দর, নামের অর্থ জানো তো? জ্বী জানি।
কে রেখেছে এই নাম? তোমার বাবা?
চুপ হয়ে গেলো আবরার, পাশ থেকে আরেকজন বলে উঠলো ওর বাবা তো নেই, নেই মানে? হারিয়ে গেছে।
ও স্যরি! আমি বুঝতে পারিনি, এই বলে আমি ওর কাঁধে হাত রাখলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.