নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোষ্ঠকাঠিন্য নেশা

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

অদ্ভুত নেশায় পড়েছি আমি। বেরোবার কোন পথ দেখতে পাচ্ছিনা। পথ আসলে আছে কিন্তু মনের নিয়ন্ত্রনই করতে পারছিনা। তিন বছর আগে একবার এরকম নেশায় পেয়েছিলো ফেসবুকে। সময় নেই গময় নেই, দিন-রাত যখন তখন ফেবু নিয়ে পরে থাকা। সেই নেশা কাটতে দুবছরের মত লেগেছে। এখন অনায়াসে দিনের পর দিন না ঢুকলে কিছু মনে হয় না। সামান্য তাড়না বোধ করলেও খুব একটা লাগেনা মনে। কিন্তু মাস খানেক হোল এখন ব্লগে আমার সেই নেশা পেয়ে বসেছে। আইডি পাঁচ মাসের বেশি হলেও লিখছি এবং পড়ছি মাসখানেক ধরে। বারবার মনে হচ্ছে আরও আগে কেন এলাম না। তাহলে কত ভালো ভালো লেখা মিস হয়ে যেতো না। এখন প্রতিদিন ব্লগে ঢুকছি আর নতুন নতুন অনেক লেখকের, লেখার ধরণের, বিচিত্র বিষয়বস্তুর দেখা পাচ্ছি। কোনটা ছেড়ে কোনটা পড়ি। আবার একজনের একটা লেখা ভালো লাগলো তো তাঁর ব্লগে ঢুকি আরও লেখা পড়ার জন্য। কারও কারও তেমন কিছু থাকেনা, কারও কারও দেখি আরও এত্ত ভালো লেখা আছে যে পড়তে বহুত দিন সময় লেগে যাবে। শুধু কি তাই, একটা লেখার চেয়ে মন্তব্যগুলো পড়তে দশগুণ বেশি সময় লাগে। আবার মন্তব্য না পড়ে থাকাও যায় না। এদিকে প্রথম পাতায় ঢুকলে বামপাশে কত অদ্ভুত অদ্ভুত নাম যে দেখি! নাম দেখেই ব্লগে ঢুকে যাই অনেকের। ফেবুতে আমি অনেক মজার মজার নাম দেখে খুব হাসতাম। একবার যে নাম পড়ে হাসি থামাতেই পারছিলাম না, সেটা হোল “ ফলক উন্মোচন”। আর এখন ব্লগে যে নামের ছড়াছড়ি, আমি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি। অদ্ভুত চিত্তাকর্ষক হাসির খনি নামগুলো নিয়ে একটা লেখার ইচ্ছা আছে সামনে। যাইহোক,বিচিত্র নামের সাথে বিচিত্র মানসিকতার দেখা পাচ্ছি ব্লগে। আমি আসলে স্লো রিডার। একেকটা লেখা পড়ে শেষ করতে অনেক সময় লাগে। এজন্য নয় যে পড়ি ধীরে। এইজন্য যে, একটা লেখা পড়ার সময় কিছু লাইন পড়তে পড়তে বা পড়ার পর ওই লেখা সংক্রান্ত কোন ভাবনায় হারিয়ে যাই। একান্ত নিজের মত করে ভাবতে বসে যাই বা গবেষণায় লিপ্ত হয়ে যাই। সে কারণে অনেক সময় লাগে আমার যেকোন লেখা হোক কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ বা তথ্যবহুল রচনা সেটা শেষ করতে। দুটি দিক আছে এই বিষয়টার। নিজের ভাবনা আসার ফলে বা গবেষণার ফলে অনেক চিন্তা ডালাপালা মেলে এবং নিজেরও নতুন লেখা এসে যায়। সমস্যা হোল দ্বিতীয়টি। এই স্বভাবের জন্য অনেক ভালো লেখাই বাদ পরে যায় পড়া থেকে। কারণ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন লেখা জমতে থাকে। একসাথে অনেক জমে যায়। ব্লগে তো ভালো লেখক চিনতে একটু সময় লাগবে, কিন্তু কয়েকটা লেখা না পড়লে বিচার করা যায় না। তাছাড়া কারও কয়েকটা লেখা ভালো না হলেও পরের লেখাটিই ভালো হয়ে যেতে পারে।আর এখানে মন্তব্যে ধন্যবাদ, শুভকামনা জানাতে জানাতে আমার অস্থির লাগছে। এটা বাচনের সৌন্দর্যতা বা আচরণের ভদ্রতা সেটা মানি। কিন্তু কৃত্রিম কথায় বা অফিসিয়াল আচরণে আমি স্বস্তিবোধ করতে পারিনা বেশীক্ষণ। ক্যাজুয়াল বা আন্তরিক কথাবার্তাই ভালো লাগে। কিন্তু অনুভব করছি ব্লগে কৃত্রিমতা ধারণ না করলে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ ঘটে। যাইহোক,সামনে আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। সমস্যা হোল কিছুতেই ব্লগের নেশা কাটাতে পারছিনা। হুট করে বাসায় নেট সংযোগও বন্ধ করে দিতে পারবো না। ভাই বোনেরা আছে। কি করি উপায়, কি করি আমি কি করি আমি, কি কি কি করি ?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি ফেইসবুক ছেড়েছি দেড় মাসের মত হলো। ব্লগে সময় কাটে বেশি এখন। যাইহোক পরিক্ষাকে প্রাধান্য দেন বেশি। পরিক্ষা শেষে ফিরে আসুন নতুন উদ্দীপনায়।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এখনকার উদ্দীপনা কাটানোটাই মুশকিল হচ্ছে।।এই যে, এই আলোচনার কোন মানে নাই, তবুও .......হয়তো বয়সের দোষ, সেটাও বুঝি তবু....

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: অনেকের অনেক নেশায় থাকে; তা থাকায় স্বাভাবিক কারণ মানুষ এক অাজিব প্রাণী। কিন্তু যখন এই ''কোষ্ঠকাঠিন্য নেশা'' দেখলাম, ঝাৎ করে মাথার উপর দিয়ে কী যেন চলে গেল। এ কোন ধরণের নেশা?? নিশ্চয় বড়িয়া নেশা। কারণ জানা মতে এ নেশায় পেয়ে বসলে স্বপ্নবাড়িতে (ছোটঘর) নিজের জন্য দিনের কিয়দাংশ বরাদ্দ রাখতে হয়। অার বাসায় স্বপ্নবাড়ি একটা থাকলে তো কথায় নেই, অন্য সদস্যের চক্ষূশুলে পরিণত হয় এ নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিরা।

তাই পোষ্ট দেখিবামাত্র জলহস্তীর (একবার ডুলাহাজরা সাফারী পার্কে এই কদাকার প্রাণিটির লাফিয়ে নর্দমার মত পানিতে পড়া দেখেছিলুম) ন্যায় এক লাফে প্রবেশ করলুম তবে কোষ্টের কোন কাঠিন্য পেলুম না। বড্ড হতাশ হলুম। অাবার এই ভেবে খুশিও হলুম যে যাক মহান কাঠিন্যে বাস্তবে আপনি পড়েন নাই। ভার্চুয়াল লাইফে যেহেতু পড়েছেন সেহেতু সময়ের সাথে সাথে কঠিন এমনি এমনি তরল থেকে বায়বীয়তে পরিণত হবে, অন্য সবার মতো। তাই চিন্তার কোন কারণ দেখি না। তবে সামনে যেহেতু পরীক্ষা তাই স্বপ্নবাড়ি থেকে বেরিয়ে থাকায় উত্তম। যাহোক লেখা পড়ে মজা পেলুম।


১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শিরোনামার্য নেশার সাথে মিল আছে বলেই লেখা ভাই। ওই প্রাকৃতিক বদ রোগটা কারো হলে মানুষ ছাড়তে পারেনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে আজীবন বা দীর্ঘদিন বয়ে বেড়াতে হয়। অনর্থনীতিক ব্লগিং বা অর্থ আয়ের সাথে সম্পর্কহীন কাজগুলো এইরকম নেশার মতই। লেখা যেমনই হোক ছাড়া যায়না বা ছাড়তে খুব কষ্ট হয়। ওই রোগে বাড়িতে অন্যদের চক্ষুশূলের মত এই নেশাতেও বাড়িতে মুরুব্বিদের চোখে চক্ষুশূল।

অফটপিক, পোস্টে লেখা বিচিত্র নামের মত আপনার নাম পড়েও আমার বড়ই বিচিত্র লেগেছিলো। অতঃপর আপনার ব্লগে ঢুকিয়া সব লেখা পড়েছিলুম। একটা কথা মাথায় এসছিলো বলা হয় নাই, সুযোগ পেয়ে এখন বলি অবশ্য যদি আপনি পুনরায় দেখেন। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটা পোস্টে আপনি অনেক কথার পর শেষে নতুন প্রজন্মকে এদেশের সংস্কৃতি লালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি আপনার অনুরাগ এবং প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছিলেন। বিষয়টা ভালো লেগেছিলো আমার। খটকা যেটা লেগেছিলো সেটা হোল, আপনি নিজে কেন প্রোফাইলে ভিনদেশী নাম এবং ভিন্ন সংস্কৃতির মুখোশ পড়ে আছেন। আপনার ভাবনার সাথে আমার কথাটা প্রাসঙ্গিক হতে পারে নাও হতে পারে, আমার শুধু জানার ইচ্ছা। পরিশেষে এই অর্থহীন একটা পোস্টেও মজা পেয়েছেন এবং সেটা জানিয়েছেন বলে ধন্যবাদ জানাই, আখেনাটেন।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৭

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: অামার মনের অব্যক্ত কথাগুলোই ব্যক্ত হয়েছে অাপনার লেখায়।বন্ধুরা চাকরির প্রস্তুতিতে জান প্রান উজার করে দিয়েছে।অার ব্লগের নেশা অামি মাথা থেকে এক সেকেন্ডের জন্য নামাতে পারছি না।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মনোবল বাড়ানোর জোর চেষ্টা করছি, এদিকে না কমলে অন্য আরও অনেক দিক কমিয়ে দিবো। দেখা যাক কতদূর পারি।

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



নিদ্দিস্ট সময় অবধি থাকবেন; সময় মতো বাহির থেকে হেঁটে আসবেন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: প্রয়োজনীয় পড়াশুনায় মনোযোগ দেয়াটাই বেশি কঠিন ঠেকছে।

৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১০

আখেনাটেন বলেছেন: ''খটকা যেটা লেগেছিলো সেটা হোল, আপনি নিজে কেন প্রোফাইলে ভিনদেশী নাম এবং ভিন্ন সংস্কৃতির মুখোশ পড়ে আছেন।''-----জেনে ভালো লাগল যে অাপনি অামার লেখাগুলো পড়েছেন, অাবার পড়ে চিন্তাও করেছেন। যে জায়গাটাতে অামাদের বাঙালির দিনকে দিন অাগ্রহ কমে যাচ্ছে। এক সময় এই বাঙালিরাই এই উপমহাদেশে সেরা চিন্তাশীল ও জ্ঞানীর উপাধি পেত।

যাহোক অাসল কথায় আসা যাক। প্রথমত, ঐটা মুখোশ না। ওটা অাখেনাটেনরই চিত্রিত প্রতিরূপ। নামের সাথে মিল রেখে ঐ প্রোফাইল পিকচারটা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, দেশি সংস্কৃতিকে ভালবাসা মানে বিদেশী সংস্কৃতিকে ঘৃণা করার কথা ওখানে বলা হয় নি। বরং বিদেশী সংস্কৃতিকে ভালবাসতে গিয়ে আপনি দেশী জিনিসকে পায়ে দলছেন কি না তা বলা হয়েছে। উন্নত সাহিত্যে, শিল্পের জন্য বিদেশী জিনিস কারো ভাল লাগতেই পারে। কিন্তু সেটা নিজস্বতাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। যেমনটা অামি বা অাপনি কীবোর্ড টিপে এই লেখা লিখছি। এই কীবোর্ডটাও কিন্তু বিদেশী কালচারেরই একটা অংশ যেহেতু এটা ওনারাই অাবিষ্কার করেছে। এটার উপকারের কথা চিন্তা করে সকল জাতিই একে নিজের করে নিয়েছে। অাবার আমরা প্যান্ট-শার্ট পরি যা বিদেশী কালচারের অংশ এবং এখন আমাদের কালচারের অবিচ্ছেদ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে কিন্তু অামরা এতে পায়জাম-পাঞ্জাবি বা লুঙ্গি পরা ছেড়ে দেয় নি।

যা কিছু ভালো তা যদি নিজের সংস্কৃতির মধ্যে একাকার হয়ে যায় তাতে দোষের কিছু নেই আর এইটা একদিনে ঘটেও না। কিন্তু সেটা জোর করে টেনে এনে বাপকে ড্যাডি ডাকতে বাধ্য করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সম্ভাবনাই বেশি থাকে। যা আমরা দেখছি এই তথাকথিত ইংলিশ মিডিয়ামের বেশির ভাগ হাউকাউ পোলাপানের মধ্যে। সেটাই সেখানে তুলে ধরা হয়েছে।

অার 'অাখেনাটেন' একটা মানুষের নাম মাত্র। যার চিন্তাধারা পৃথিবীর প্রাচীন ইতিহাসে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল। আর 'অাখেনাটেনের চিন্তাধারা গোটা পৃথিবীর মানুষের জন্যই ছিল, কোন সীমাবদ্ধ জায়গার মধ্যে গন্ডিবদ্ধ অবস্থায় ছিল না।


১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: দ্বিতীয়বার এসে দেখে যাওয়াতে এবং লিখে যাওয়াতে আমি যারপর নাই খুশী হলাম, আখেনটাটেন। দুঃখিত আখেনাটেন। কেন জানি প্রথম থেকেই আমার এই নামটা উচ্চারণে আখেনটাটেন এসেছে এবং শুরুতেই মনে হয়েছিলো, আখরোট কঠিন নাম।মুখোশ তো একটা প্রতীক হিসেবে বলেছি, নেতিবাচকভাবে নয়। আমার শুধু জানার ইচ্ছা ছিলো রহস্যটা। আমি বুঝতে পারছিলাম ইনি মিশরীয় কেউ একজন। ভেবেছিলাম কোন মিশরীয় দেবতা অথবা কোন ফারাও রাজা। এখন জানলাম উনি একজন অত্যন্ত সম্মানীয় চিন্তাবিদ ছিলেন। আমি নিজেই বাঙালি সংস্কৃতি খুব ভালোবাসি। যথাসম্ভব চেষ্টা করি লালন এবং ধারণ করার। দেশীয় সংস্কৃতি ভালবাসতে গিয়ে বিদেশি সংস্কৃতি ঘৃণা করা নয়, খুব ভালো বলেছেন। কিন্তু পরের কথাটা মানে বিদেশী সংস্কৃতি ভালবাসতে গিয়ে দেশী সংস্কৃতি পায়ে দলছি কিনা এই জায়গাতেই একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এতো অসংখ্য উপাদান সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত যে বিষয়টা মোটা দাগে বা স্থূলভাবে নির্ণয় করা যায়না। যেমন আমার কথাই বলি, কেউ যদি এখন লেডি গাগা কে ভালোবেসে তার মত ফ্যাশন ধারণ করে তাকে মোটেই আমি সহজভাবে নিতে পারিনা। কিন্তু কেউ যদি গিটার বা ভায়োলিন ভালোবেসে সেটা বাজানো শেখে যদিও সে দেশী যন্ত্র বাজাতে পারেনা তাকে কিন্তু আমি খুব ভালোভাবেই নিতে পারি। আমি আমাদের এদেশীয় বিভিন্ন ধরণের নাচ খুব ভালোবাসি, পাশাপাশি ব্যালে, সালসা, কনটেম্পোরারি এসবও পছন্দ করি। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভিন্ন সংস্কৃতির গান, নাচ মোটেই পছন্দ করতে পারিনা। কীবোর্ড বিদেশী হলেও প্রয়োজনীয় কারণ বিকল্প নেই। আর এখন যা বললাম এগুলো কিন্তু প্রয়োজনীয় নয় বরং উপভোগের সাথে সংশ্লিষ্ট। আমিতো জোর করে ভালো লাগা দমন করতে পারি না। এই যে বললেন, আখেনাটেনকে সম্মান করে তাঁর মত চিন্তাবিদ না হলেও(ভবিষ্যতে হতেও পারেন) আদর্শিক অনুসরণে নিজের প্রোফাইলে তাঁকে ধারণ করেছেন, এটাও কিন্তু সহজভাবেই নিলাম। অথচ মাইকেল জ্যাকসনকে বা বব মারলেকে খুব পছন্দ করলেও এদেশে কেউ তাঁদের মত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটা মোটেই নিতে পারি না। বিষয়গুলো আমার নিজের কাছে নিজেরই জটিল মনে হয়, কোথায় যে মেনে নেয়া আর না নেয়ার সীমারেখা?! বলেছি মাত্র সামান্য কিছু কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সংস্কৃতির কথা বলতে গেলে শেষ হওয়ার নয়। এটা পোস্ট সংশ্লিষ্ট নয় তাই আরেকটা পোস্টে এই বিষয় নিয়ে আলাপ করার ইচ্ছা রাখলাম। তবে আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি; ভালবাসবো, বুঝবো, জানবো বিভিন্ন সংস্কৃতি কিন্তু ধারণ করবো নিজের সংস্কৃতি আর প্রয়োজন হলে বা উত্তম বোধে আত্তীকরণ করতেও আপত্তি নেই। তবে এটি একটি মধ্যবর্তী অবস্থায় থাকা আর সেজন্যই বিভ্রান্তি ঘটে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.