নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াহিদ সাইম www.facebook.com/wahidsaaim1

ওয়াহিদ সাইম

আভ্যন্তরীণ আদিম পশুত্বের নিয়ন্ত্রনে সদা সচেষ্ট মানুষ আমিও আর সবার মত।

ওয়াহিদ সাইম › বিস্তারিত পোস্টঃ

যখন মানুষ ছিলাম না

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৬

আমিও ধর্ষক, আমিও পুরুষ
কোন মায়ের সন্তান ছিলাম,কারো ভাই ছিলাম, মুসলিম ছিলাম
তবে মানুষ ছিলাম না।
ধর্মান্ধ ছিলাম, বেহেস্ত-লোভী ছিলাম, দোজখের ভয়ে ভীত ছিলাম
যৌনকাতর ছিলাম,সত্তুর হুরের স্বপ্নাভিলাসে প্রজ্জ্বলিত ছিলাম
কিন্তু মানুষ ছিলাম না।
নিজের ভুলের দায় কাল্পনিক ইবলিসে চাপিয়ে
ভন্ডামির খোলস গায়ে চেপে পার পেয়ে যেতে চাইতাম।

মানুষ হয়ে উঠেছি
সে দাবী করার সাহস করি না।
তবে এখন সাহস আছে
কৃতকর্মের দায়িত্ব নেয়ার, ভুল স্বীকার করার,
স্বীয় পশুত্বকে নিয়ন্ত্রনের।
সৃষ্টির সেরা জীব নয়
সাহস আছে শুধু মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার
মানুষ হয়ে এখানে আবার জন্ম নেয়ার।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০৬

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ লেখা প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৩৮

ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: "জ্ঞানগর্ভ" শব্দটা আমার জন্য যথেস্ঠ হেভি মনে হচ্ছে। জ্ঞানগর্ভ লেখার জন্য মনে হয়না আমি যোগ্য বা প্রস্তুত। আমি আসলে আমার তাৎক্ষণিক অনুভূতি গুলোর কিছু কিছু মাঝেমধ্যে নিজের মধ্যে ধরে রাখতে না পেরে কবিতার লাইনের মতো করে প্রকাশ করে হালকা হই।
তবে আপনার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:০১

হাফিজ হুসাইন বলেছেন: সূরা আল মু’মিনূন:115 - তোমরা কি ধারণা কর যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার কাছে ফিরে আসবে না?

মুমিনরা বা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারীগন মূলত আল্লাহর সম্মুখে হাজির হওয়ার বিশ্বাস রাখে। আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতার ব্যাপারে নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে, তাই তারা যথাসম্ভব গোনাহ থেকে বিরত থাকে। কারণ নিজের অর্জিত গোনাহের সমানুপাতিক হারে শাস্তি ভোগ করতে হবে। এতে তো ভীতু হওয়ার মতো কোন কাপুরুষতা লুকিয়ে নেই। আর জাহান্নাম থেকে মুক্তিপেয়ে জান্নাতে যাওয়ার আশা পোষণ করে। এতে তো কোন লোভাতুর হওয়ার ব্যাপার নেই। আর জান্নাতে গেলে যে হুর লাভ হবে তাতেও কোন কাম ভাব লুকিয়ে নেই। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষই মনের মতো জীবনসঙ্গিনী চায়। পৃথিবীর সব মানুষ কি তার জীবনসঙ্গী নিয়ে সন্তুষ্ট??? আপনি আমি হয়তো সুস্থ তাই উন্নত জীবনসঙ্গী পাই কিন্তু যারা জীবনভর দুঃখে কষ্টে কিংবা শারীরিক মানসিক কষ্টে থাকি তারা কি মনের মত জীবনসঙ্গী পায়??? জান্নাতে তো এমন জীবনসঙ্গীই পাওয়া যাবে যারা সবদিক থেকেই মানুষের মনোমতো হবে। সুতরাং প্রত্যেক ঈমানদার ব্যক্তিই জান্নাতে মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার আশা করে। এতেও কোন কামাতুর ভাব লুকিয়ে নেই।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৩৪

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ হাফিজ ভাই, দুটো কথা আপনাকে বলতে চাই--সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি মানুশ যদি ক্ষুধার বা পিপাশার জন্য কাতর হয়ে পড়ে তবে তার এদুটো বিষয় পূরন করার জন্য অন্যদের মানবতা দেখানোর প্রয়জন বাংলার সমাজে প্রচলন আছে। কিন্তু কামাতুর ভাবও তো সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি,সেটাও তো ক্ষুধা ও পিপাশার মতই। কামাতুর ভাব তো মানুশের তৈরী কোন বস্তু বা ইন্জিন না যে সেটা মানুষ তার নিজ ইচ্ছায় বন্দ করতে পারে। পিপাশা,ক্ষুধা চেপে রাখলে যেমন মানুশের ক্ষতি বা সমস্যা হয়ে যায়-তেমনি কামাতুর বিষয়টা চেপে রাখলে মানুশের কি অবশ্যই ক্ষতি হতে পারেনা! এটা চেপে রেখে সেকি শারিরিক ও মানশিক দিক থেকে সুস্থ ও সাভাবিক জিবন যাপন করতে পারে! যুক্তিতে আসে? নাকি নিদিষ্ট একটা সময়ে প্রতিষ্টিত হয়ে বিয়ে করে কামকর্ম করাটা সঠিক? দশ বছর পর কাউকে খাদ্য খেতে দেওয়া সঠিক কিভাবে হতে পারে? কেউ যদি কল্পনার রাজ্যের কথা কাউকে বলে তবে সেটা যেমন ফেলে দেওয়া যায়না-তেমনি কেউ যদি যুক্তির কথা বলে তাহলে সেও মানুষ এ্ও মানুষ। ধর্ম কর্ম ও অনান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভূলবোঝাবুঝির সৃষ্টি করে সারা পৃথিবীর মানুষ যখন ধংশ ক্ষয়ে মেতে উঠেছে তখন কোন অদৃশ্য শক্তি মহাকাশে লাউড স্পীকারে যখন বলছেনা যে কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক-তাহলে আপনি কোন নীতির মানুশটার কথা স্মরন করবেন। (অথচ এদিকে মানুষ সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি হয়েও স্যাটেলাইটের মত শক্তির উদ্ভব ঘটাতে সক্ষম হল।) সবইতো সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি মানুশ। আবার তিনি কাকে কাকে মার্ক করে দিয়েছেন সেটাও তিনি কাউকে বলছেন না। শুধু যে যার মত বলছে যে তাকেই সেরা করা হয়েছে। নিরপেক্ষভাবে নিজশ্ব একটা যুক্তি মানুশের থাকতেই হয় এপৃথিবীতে- এবিষয়ে আপনার নিরপেক্ষ যুক্তি জানতে পারি কি? আপনার বাপ দাদারা যেটা গ্রহন করেছেন সেটা ঠিক নাকি অন্যের বাপ দাদারা যেটা গ্রহন করেছেন সেটা ঠিক? নাকি গোটা মানব জাতি একসাথে একনীতিতে মিলেমিসে থাকাটা সঠিক। নাকি ধর্ম নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেরা নিজেদের কপিকে ধংশ,ঘৃণা,বিভেদ সৃষ্টি করাটা ঠিক?(তাহলে আপনি কাঠে কাঠে ঘষে আগুন জ্বালাবেন নাকি দিয়াশলয় দিয়ে জ্বালাবেন। কোন নীতিটা গ্রহন করবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.