নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন চাকুরীজীবির ডায়েরীতে লিখা হাজারও বায়না, সীমাবদ্ধতায় তা আর কখনই পূরন করা হয়নি । আমি সে ডায়েরীর খোঁজে ।

সাগর সাখাওয়াত

পাগল, শিউলী তলয়া কুঁড়িয়ে পাওয়া পুতুলের জন্য গারদের বাসিন্দা ।

সাগর সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুনিয়ার ঈশ্বর

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮



দৃষ্টি নন্দন ট্যুর দেলাফেল দেখি,
রোমান স্থাপত্য, ল্যুভর মিউজিয়াম,
রেমসিস এর পিরামিড,মাদাম ত্যুসো,
টিউলিপের বাগান, ভ্যাটিকান, অফিশিয়াল লন্ডন আই , বার্লিন দূর্গ সহ আরও অনেক এগুলো মুলত অবজেক্ট, সময় হয়েছে সাবজেক্ট খোঁজার তাই তো সব বাদ দিয়ে আমার শুধু মা কে দেখতে ইচ্ছে করে সম্প্রতি সময়ে, ইচ্ছে করে ফিরে যাই সেই শিশুকালে যখন মুখের লালা ছাড়িয়ে মায়ের সাথে খেলা করতাম ধূলামাখা গায় আর বোকা হাসি দিয়ে তাকায়ে থাকতাম মায়ের দিকে । বয়সের সাথে যৌবনের জোয়ারে সব তরঙ্গে তরঙ্গে ভেসে গেছে ।

কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলতে পারেন মা , স্মৃতি শক্তি কিংবা তালুতে ভর দেওয়ার শক্তি হারায়ে ফেলতে পারেন । হতে পারে বয়সের ভারে কুঁজো কিন্তু মোটেও বদলায় না এতটুকুও । পারলে তার মানিকগুলোরে আসমানের তাঁরা ছিড়ে এনে বালিশ বানিয়ে তার উপোর ঘুমোতে দিবেন শেষ বয়সেও । আপনি শেষ শ্বাসটুকু ছেড়ে মাটিতে শোবার আগ পর্যন্তই মায়ের কাছে ছোট্ট খুকী-খোকাই রয়ে যাবেন এক সুঁতোও বেড়ে উঠার সম্ভবনা নেই । আবার মায়ের হাত যখন আসমান উঠে খুলে যায় আসমানের দরজা, সরে যায় সকল অদৃশ্যমান পর্দা । বিধাতাও শোনেন যেন মন খুলে । কেউ বড় পীর, কেউ মহামনীষী, কেউ কিংবদন্তী,কেউ আবার কাল জয়ী ঔপন্যাসিক হয়ে এ দরায় ভেসে থাকেন যুগ যুগান্ত ধরে ।

বিসর্জন দেখে কেউ কেউ তো মাকে দুনিয়ার ঈশ্বর ডাকেন । অনেকে হয়ত আবার বাবা এবং মায়ের মধ্যকার পার্থক্য খুঁজেন । আমি তো মনে করি একজন মা সমান কয়েকজন শক্তিমান বাবা । বাবা হয়ত বাজার থেকে কিছু সব্জি নিয়ে আসেন তা দিয়ে মজাদার কারী তৈরী করেন মা সবার জন্য । বাবা কিছু খুচরো পয়সা দিলে একটি সময় খুচরো পয়সায় পুরো একটি জমানো ব্যাংক বাবার হাতে তুলে দেন বছর শেষে মা । বাবা একটি হাসির পলক মুখে তুললে তাতে মা তার হৃদয় বাবার হাতে তুলে দিতে দেরী করবেন না । আপনি একটি বাড়ি দিবেন এইটিকে সুখের নীড় করে উপহার দিতে কেবল মাএ একজন মা’ই পারেন । একটু অফিসের চাপ আসলেই বাবা মানিব্যাগ আর মোজা কোথায় রাখেন তার সাহায্যও কিন্তু মাকেই করতে হয় তার ভুল হওয়া যাবে না ।

মা হবার আগেও যখন তিনি একজন মেয়ে থাকেন মনে হয় সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে তখনও মা করেই পাঠান । চারজন শক্তিমান মানুষ হয়ে এরা ছেলেদের জীবনে আসেন । একজন মা যার কোলে ছেলেদের ভূমিষ্ট চিৎকার, অভয় আরন্য । আরেকজন থাকেন মায়ের মতনই যাদের আদরের ভাই হয়ে কোলে কোলে বেড়ে উঠা হয় আমাদের ছেলেদের । আবার আরেক মেয়ে পরিপূর্ণ বয়সে আপনার অর্ধাঙ্গিনী যার জন্য দুনিয়া সাজান । আর শেষে সেই দুনিয়ায় ভাগ্য নিয়ে আসেন বাবাদের জন্য সেও মেয়ে ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়ার ঈশ্বর মা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.