নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বোবা কাব্য।কৃষ্ণপক্ষের অতৃপ্ত কায়া।কলঙ্কতিলক আঁকা বিতর্কিত।

সালমান মালিক

জীবনের বড্ড চাহিদা, সকাল দুপুর অথবা ক্লান্ত বিকেল সেই চাহিদার অন্বেষণে।নিস্তব্ধতাটা নিজস্ব।গভীর রাত, ঘুমন্ত শহরের এক অকৃত্রিম চাদের কোয়েক ফোটা জোছনা আর নিশাহত আমি হেটে বেড়াতে থাকি রহস্যময়তার বাসস্টপ থেকে বাসস্টপে।সে উদাসীনতায় কেটে গেছে বহু সন্ধিকাল। জীবন্ত এই দেহে মৃত্যুর আনাগোনা, রক্তিম হৃদয়ে অন্ধকার। বিস্রস্ত রোমকূপে শুষে নেই ভালবাসার উষ্ণতা।রক্তের আবেগে পাই ভালবাসার আস্বাদ।দর্শকহীন রূপসীর মতো মধ্যরাতে উজ্জ্বল আলোকে রূপকথার মৃতনগরীর মতো সার সার বাড়ির মিছিল,গলি,ম্যানশন,কালভার্ট ছেড়ে গেছি।উঁচু উঁচু দালানের অস্থিময় বিশালতা হাড়ের ভিতর শুষে নিয়েছি।বিজ্ঞাপনের নগ্ন নায়িকার উচ্ছল যৌবন নিংড়ে হেটে গেছি মাইল মাইল।এগিয়ে যাচ্ছি অনিদির্ষ্ট কালের অপেক্ষায়। যার নাম মৃত্যু, পুনরুত্থান,The Hour of Judgment...

সালমান মালিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেনো পথ হারাই?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫২

তোমরা কি দেখেছো?
নিস্তব্ধ খররৌদ্রের দুপুর,অপরাহ্ণের ছায়া নেই,রাত্রির জোছনালোক নেই,মাথার উপর কি ঘন নীল আকাশ,টুকরো টুকরো মেঘ,ফেটে চৌচির খাঁখাঁ মাঠ,তৃষ্ণাকাতর কাক।
রৌদ্রদগ্ধ নিষ্পত্র গুল্মরাজি,বনকুসুমের মৃদুমধুর গন্ধ,রক্তপলাশের শোভা কি অদ্ভুত নীরবতা আমি সাহারা দেখি নাই,গোবি দেখি নাই ,হেডিনের টাকলামাকান মরু দেখি নাই কিন্তু অতীতের কোনদিনে এ নীরবতার মাঝে তারা ছাচ রাখিয়া গিয়াছে ঠিক এ জ্যৈষ্ঠ মাসের দুপুরে।
শ্রাবণের ঘোর বর্ষা,দিনরাত অবিশ্রান্ত বৃষ্টি ঘন কাজল কালো মেঘপুঞ্জ।দিগন্তরেখা বৃষ্টির ধোয়ায় ঝাপসা বনঝাউয়ের ডালে সঙ্গীহারা ঘুঘুর আঝোরে ভিজা পালক….
সে কী মুক্তি! কী উদ্দাম জীবননান্দ,কী অপরূপ সবুজের সমুদ্র।অস্পষ্ট নীল সীমারেখা বিস্তৃত থৈ থৈ জল।
তোমরা দেখেছো রূপ রাত্রির জোছনা?
নির্জন বালুচরে বনঝাউয়ের জঙ্গলে উন্মুক্ত আকাশ তলে ছায়াহীন উদাস গভীর জোছনাভরা রাত্রি।
নীরব নিশীররাত্রে জোছনালোকে অমন মুক্ত আকাশ,নিস্তব্ধতা,নির্জনতা অমন দিগদিগন্ত বনানী ঈশ্বরের সৃষ্টির এক অপূর্ব রূপ।
আমি সেই ঈশ্বর প্রেমী তার অলিক হস্তে আকা জীবন্ত ছবির প্রেমী।
আমি প্রেমিক,
দিগন্তব্যাপী সবুজ বনরেখার,সূর্যাস্তের আভায়রাঙা পূব-আকাশের,সন্ধ্যার অপূর্ব রক্তমেঘের,আকাশ ভরা তারার,জোছনাবরণী দোল-পূর্ণিমার।
নিস্তব্ধ দুপুর ও রাত্রির রহস্যময়তার।
বন-বননীর নির্জনতা এর নীরব রহস্য কী অদ্ভুত !!
কী রূপলোকে আকা দুপুর বৈকাল ও জোছনারাত্রি। কী উদাস চিন্তার ধারা।
কতকাল এ বন,পাহাড়,ভূমি ঐ নীল আকাশ একরকমই আছে।
সুদূর অতীতে ধরণীর শ্রেষ্ঠ মানব যে রাত্রিতে মাতৃভূমি ত্যাগ করেন সেই অতীত রাত্রিতে এই গিরিচূড়া গভীর রাত্রির চন্দ্রালোকে আজকালের মতোই হাসিত,দোল-পূর্ণিমা উদ্ভাসিত হইতো,রক্তমেঘস্তুপের ছায়া পড়িয়া আসিতো,আশ্রমমৃগ আশ্রমে ফিরিত,পশ্চিম দিগন্তের শেষ রাঙা আলোয় ধরণী ঠিক এমনি অনুরঞ্জিত হইতো।
যেদিন গ্রিকরাজ হেলিও ডোরাস গরুড়ধ্বজ স্তম্ভ নির্মাণ করেন,যে রাত্রিতে রাজকন্যা মারিথাস প্রেমিকার হাতে নিহত হইয়াছিল,রাজপুত দারা যে রাত্রে আগ্রা হইতে দিল্লি পালাইলেন,যে দিনটিতে পলাশীর যুদ্ধে বিশ্ব দেখিয়াছিল বিশ্বাসঘাতকতার ধূপছায়া সেই দিন ও রাত্রিতে এই বনানী ঠিক এমনি ছিল।উত্তপ্ত হয়েছিল নগরী ও নাগরীক।
আকর্ষণ করে তোমায় সেই নিস্তব্ধ নির্জনতা সেই রহস্যের টান?
চেয়ে দেখো তুমি যেথায় দাঁড়িয়ে সেই অতীতে ক্যাম্বিয়ান যুগের এই বালুময় তীরে অতীতের কোনদিনে এখানেই ছিল মহাসমুদ্র।
বৈকালের রোদ রাঙা হইয়াছে পাহাড়ের চূড়ে,শেফালিবনের গন্ধভরা বাতাসে হেমন্তের হিমের ঈষৎ আমেজ সম্মুখে কৃষ্ণা একাদশীয় অন্ধকার রাত্রি।
হারিয়ে যাও সেই অন্ধকার রাত্রে শুভ্রজোছনার আড়ালে রহস্যের মায়াজালে সবুজের প্রেমে।
বিভূতিভূষণের বাণীতে”একটুও বাড়াইয়া বলিতেছিনা-আমার মনে হয় দুর্বলচিত্ত মানুষের পক্ষে সে রূপ না দেখাই ভাল,সর্বনাশী রূপ সে,সকলের পক্ষে তার টাল সামলানো বড় কঠিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.