নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সপ্ন

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী

কিছুই না

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যান্ড দেন ইট হ্যাপেন্ড

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮



অনেস্টলি স্পিকিং, ডেট করেছে কথাটা শোনার পরে, মনের ভেতর একটাই প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, ‘বাতিল'। রিয়া সুন্দরী, বাট, আমিও তো বাঙ্গালী। তথ্যটা জানা না থাকলে অসুবিধা ছিল না, কিন্তু একজন যখন জানি, যত সুন্দরীই হোক, আমার উত্তর ‘না'। ব্যাপারটাকে রক্ষণশীলতা বলতে পারেন আবার বাঙ্গালী মানসিকতাও বলতে পারেন। আই হ্যাভ টেকেন মাই ডিসিসান। যেহেতু অলরেডি… ইউ নো… এমন মেয়ের সাথে আর যাই হোক, প্রেম করা যায় না। আর বিয়ে তো আরোই না।
আমাকে অহংকারী মনে হচ্ছে, বাট ব্যাপারটা ঠিক তা না। আমি এমন কোন রাজপুত্র না, আর আমি এটাও বলছি না যে আমি অফার করলেই রিয়া রাজী হয়ে যেত। আসলে বলতে চাইছি, এই কিছুক্ষণ আগেও প্রেমে পড়ব পড়ব ভাবছিলাম, এখন আর টা ভাবছি না। অর্থাৎ ট্রাই ই করব না। সো? স্টোরি ওভার?
ধীরে বন্ধু ধীরে। বাঙ্গালী চরিত্রের আরও একটা ব্যাপার আমার মধ্যে আছে। আর তা হচ্ছে ভণ্ডামি। মুখে বলছি ঠিকই, এমন মেয়ের সঙ্গে প্রেম করা চলে না, তারপরও ওর সাথে গল্প করতে মন চাইছে। নিজেকে বোঝাচ্ছি, এটা প্রেম বয়া প্রেমের ইচ্ছে না। জাস্ট টাইম পাস। কিন্তু আসলেই কি তাই? সত্যিই কি স্টোরি ওভার? মনের কোনে একটা সন্দেহ কাজ করছে।
আসলে কিছু একটা ব্যাপার বোধহয় থাকে, যা যুক্তি দিয়ে ঠিক এক্সপ্লেইন করা যায় না। তেমনই কিছু একটা চলছিল আমার ভেতরে। রিয়ার সাথে গল্প করতে যে ভাল লাগছিল, তার কারণ কি? মেয়ে বলে? হয়তো। কিংবা হতে পারে দারুণ সাবলীল ভাবে কথা বলছে। সুন্দরী হওয়ার কারণে একটা আলাদা আকর্ষণ বোধ তো করছিই। আবার হতে পারে…।
ইয়েস, সেটাকেই আমি ভণ্ডামি বলছি। এই মুহূর্তে ঠিক প্রেম করার ইচ্ছের চেয়ে বেশি ইচ্ছে জাগছে…। আই নো, আমাকে বাজে টাইপের একটা ছেলে ভাবছেন, বাট অনেস্টলি বলছি, আমার অবস্থায় পড়লে, নব্বই জন বাঙ্গালী যুবকের মনে একই ইচ্ছে জাগত। আমার ক্যারেক্টার নিয়ে সন্দেহ করতে পারেন, নিজেকে ডিফেন্ড করব না, বরং বলব, আমি আসলে তা ই। শুধু এটাই বলতে চাইছি, এমন একজন মেয়ে সম্পর্কে বেশিরভাগ বাঙ্গালী যুবক একই কথা ভাববে।
না, আর ব্যাখ্যা দিব না। অনেস্ট কনফেশান করছি। এমন একটা মেয়ে, যে বেশ সহজেই, আই মিন, কিছুদিনের প্রেমেই ডেট করে, তাকে নিয়ে এই মুহূর্তে আমার মাথায় একটাই চিন্তা কাজ করছে। কিভাবে…ইউ নো…। ইচ্ছেটা হয়তো এতো সহজে জাগতো না, জাগল ঐ বইগুলোর জন্য। এনিওয়ে, তাঁর সাথে আলাপ করার পেছনে এখন আমার একটাই উদ্দেশ্য কাজ করছে। হলফ করে বলছি না, তবে আই থিংক একজন সাধারণ বাঙ্গালীর মনেও একই ইচ্ছা জাগবে বলেই আমার ধারণা।
সো, দ্যা মোরাল অফ দ্যা স্টোরি ইজ, ও মেয়ে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে ওসব করে ফেলেছে শুনে আমার প্রথম রিয়াকশান হয়েছিল, আই শ্যুড অলসো ট্রাই আন্দ টেক অ্যা চান্স। মাথার ভেতরে এখন সেটাই ঘুরছে। পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের ভেতর যাদের কাহিনী জানি, তাঁদের অভিজ্ঞতা ভরসা। এসব ব্যাপারে, আই মিন একজন মেয়ের ক্ষেত্রে রক্ষণশীল হলেও নিজের ব্যাপারে খুব রক্ষণশীল আমি না।
যাই হোক, দ্যা প্ল্যান ইজ, তাড়াহুড়ো করা যাবে না। সম্ভাবনা আছে, তবে ধীরে এগোতে হবে। প্রথমে জানা দরকার, ওর জীবনে এই মুহূর্তে কেউ আছে কি না। এই মুহূর্তে আমার কোন প্রেমও চলছে না। মেডিকেল কলেজ লাইফে একটা ছিল, ওটা ভেঙ্গে গেছে। মেয়েটার বিয়েও হয়ে গেছে। সো, নো এথিক্যাল ব্যারিয়ার। তাই…ওসবের সুযোগ নেয়াই যায়।
আপাতত ভূমিকা শেষ। মোদ্দা কথা হচ্ছে, মাথার ভেতর এখন ঐ ধরনের পত্রিকার একটা প্লট ঘুরছে। আবার এটাও বাস্তবতা যে এখানে, ফেরিতে, সেটা সম্ভব না। যদি ট্রাই করতেই হয়, সেটা করতে হবে রাজশাহীতে গিয়ে। তবে তারও আগে জানা দরকার, ইজ শী এলোন নাও? অর্থাৎ বাংলাদেশে ইতিমধ্যে প্রেম করে ফেলেছে কি না। তাই গল্প আগে বাড়ালাম। জানতে চাইলাম
— এরপরে? বাসায় জেনে যাওয়া?
— ইয়েস। এক বাঙ্গালী বান্ধবীর কল্যাণে বাসায় জানাজানি হল। এরপরে কিছুদিন চলল বোঝানো পর্ব, ফিরে আসো অ্যান্ড অল দ্যাট। আমি ততদিনে পুরদস্তুর আমেরিক্যান হয়ে গেছি। ব্যক্তি স্বাধীনতা বনাম বাবা মার নীতিজ্ঞান এই দুইয়ের মধ্যে আমি ততদিনে ব্যক্তি স্বাধীনতাকে চুজ করে ফেলেছি।
— আর তাই কাজে দিল না
— ইয়া। উনাদের উপদেশে কাজ হল না দেখে প্রেম ব্যাপারটা আলাউ করল, বাট সেখানেও শর্ত। বাঙ্গালী কাউকে পছন্দ কর… ব্লা ব্লা ব্লা। অ্যান্ড দেন, বাংলাদেশে বেড়াতে আসা আর এখানে দাদার বাসায় রেখে, উনাদের আমেরিকা পালিয়ে যাওয়া।
— অর বাঙ্গালী হওয়ার ট্রেনিং নিতে বাংলাদেশে রেখে যাওয়া।
স্মিত হাসি দেখা দিল রিয়ার ঠোঁটে। কিছুটা ম্লানও মনে হল।
— হ্যাঁ। গত দুবছর ধরে এখানে, দাদার বাসায় আছি।
— আঙ্কেল আন্টি ওখানে?
— উইথ মাই টু ব্রাদার।
— ওরা কতো বড়?
— একজন আমার বড়। ও ম্যারিড। আলাদা থাকে। আরেকজন আমার তিন বছরের ছোট।
গল্পটা যদিও বেশ হাসিমুখে বলল, তারপরও একটা কষ্ট সেখানে মিশে ছিল। গল্পের অনেক অংশই অসম্পূর্ণ। সেসব সম্পর্কে আরও জানতে ইচ্ছে করছে, বাট, সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। এই অল্প পরিচয়ে, এতো ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা যায় কি না।
— আপনার খবর?
— বলার মত তেমন কিছু নেই। পেশায় ডাক্তার। একটা প্রাইভেট হাসপাতালে জব করছি। সাথে চলছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশান। সরকারী চাকরী হওয়ার যে পরীক্ষা সেটার রেজাল্ট এখনও হয়নি।
— বিয়ে?
— না। পাইপলাইনে আছি। এদেশে আসলে একজন ছেলের বিয়ের ব্যাপারটার সাথে সবচেয়ে বেশি জড়িত হচ্ছে চাকরী। যত ভাল চাকরী, বিয়ের বাজারে তত দাম। আর এই মুহূর্তে আমার দাম মাঝামাঝি। সো, ওয়েটিং ফর দ্যা রেজাল্ট অফ বিসিএস। সরকারী চাকরী হলে, পাত্র হিসেবে দাম একটু বাড়বে।
— দাম বাড়া মানে কি?
কথাটায় বোধহয় কিছুটা শ্লেষ ছিল। নারীবাদী টাইপ মনে হচ্ছে। নারী পুরুষ ঘটিত আলোচনায় যাওয়া যাবে না। সো সারেন্ডার করলাম। বললাম
— মানে হচ্ছে, তখন পাত্রী পক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো যায়। আর উনারাও একটু আগ্রহ দেখায়।
রিয়া স্মিত হাসি দিল। বলল
— না। আই থিংক তখন সুন্দরী এবং শিক্ষিত মেয়েদের বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর যোগ্যতা অর্জিত হয়।
তবে এগ্রি করলাম। মেয়েটাকে যতটা আমেরিকান ভেবেছিলাম, তা না। এই দুই বছর বাংলাদেশে থেকে বেশ ভালোই বাঙ্গালী হয়ে উঠেছে। তবে কোথায় যেন একটা বিদ্রোহ লুকিয়ে আছে। পত্রিকা কেনা কি তারই অংশ? কিংবা আমাকে নিজের বায়োডাটা দেয়া? ভাবনায় ছেদ পড়ল। রিয়া আবার বলতে শুরু করেছে
— এদেশে যা বুঝলাম, একজন মেয়ের প্রথম যোগ্যতা হচ্ছে, সুন্দরী হওয়া। আর দ্বিতীয় যোগ্যতা হচ্ছে, ভার্জিনিটি। সরাসরি জিজ্ঞেস করে না, পাড়া প্রতিবেশীর কাছে খোঁজ খবর নেয়। সঙ্গে ফ্যামিলি দেখে। উইথ দ্যা হোপ দ্যাট, ভাল ফ্যামিলির মেয়ে মানে, ক্যারেক্টার ঠিকঠাক আছে। আর ক্যারেক্টার বলতেও বাঙ্গালী ঐ একই জিনিসই বোঝে। এরপরের ধাপে হচ্ছে শিক্ষা দীক্ষা, টাকা পয়সা অ্যান্ড অল দ্যাট। ইন ফ্যাক্ট শিক্ষা দীক্ষা এখানে একটা ড্র ব্যাক।
কিছুটা চমকালাম। এসব টপিক টানছে কেন? কিছু কি বোঝাতে চাইছে? ওর নিজের পার্সোনাল লাইফের যে অংশটা আমাকে জানাল, তা কি ইচ্ছে করে? পত্রিকা কেনাটাও কি কোন ক্লু? নিজের সম্পর্কে বুঝিয়ে দেয়া? নাকি স্রেফ ওভারস্মার্ট টাইপ মেয়ে?
এনিওয়ে, এদেশের বিয়েতে নারী পুরুষের অবস্থান টাইপ নারীবাদী আলাপ করতে এখন ইচ্ছে করছে না। এসব ওসব আলাপ টক শো আর ব্লগে ভাল লাগে। বাট, এমন রোমান্টিক পরিবেশের জন্য এই টপিক না। ভাল হোক, খারাপ হোক, এটাই বাঙ্গালীর মানসিকতা। আর সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং টাইপ আন্দোলনের শখ আমার নেই। আমি বরং ইন্টেরেস্টেড অন্য ব্যাপার জানবার জন্য।
মনে হচ্ছে এবার রিয়ার সঙ্গে আলাপ দ্বিতীয় লেভেলে নেয়া যায়। জানতে চাইলাম
— একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি?
— বলুন।
— বাংলাদেশে এসে কি… আই মিন…
— এতো হেজিটেট করছেন কেন? এই মুহূর্তে আমি 'ইন অ্যা রিলেশান' কি না? এই তো?
চলবে

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ইন্তেজার তো কেয়ামত বনগাঁয়ী। পরবর্তী পর্ব দিয়ে ধন্য করলেন জনাব। :D

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: শুভ ভাইয়ের মতো আমার ও প্রাণ যায় যায় অবস্থ্যা বাচা গেল গল্পের এই পর্ব পেয়ে। আবার অপেক্ষা আগামী পর্বের। লেখক ভাল থাকুন।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

রুহুল আমিন খান বলেছেন: রাইটার্স ব্লকে ভুগছেন নাকি? এত দেরীতে লেখা আসে যে

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: লেখাটা দুর্দান্ত, কিন্তু লেখকটা ফাউল। অলটাইম দেরিতে লেখা আসে।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চরম :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.