নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি পারতাম দুঃখগুলো নিলামে বিক্রি করে দিতাম

শাহজাহান সাঈফ

একাকিত্ব হলো জীবনের সাধনা লাভের উত্কৃষ্ট উপায়। উর্দু বা হিন্দুতে একাকিত্বকে বলা হয় তানহা। একাকিত্ব মানুষের জীবনে পূর্ণতা দেয়। পৃথিবীর তাবত্ বিখ্যাত ও মহান ব্যক্তি তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ একাকিত্বে কাটিয়েছেন। কখনো ইচ্ছা করে আবার কখনো বা বাধ্য হয়ে। তারা কেউবা গেছেন নির্জন পাহাড়ের কোনো গুহায়, অথবা গভীর জঙ্গলে।

শাহজাহান সাঈফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বৈরাচারী শাসন চেকলিস্ট এবং আমার রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে পার্থক্য খোঁজা

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৩

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব সোহেল তাজ সাহেব তাঁর ফেইসবুক ফেইজে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার একটা চেকলিষ্ট তুলে ধরেছেন। কি কি লক্ষণ থাকলে ঐ শাসন ব্যবস্থাকে স্বৈরাচারী শাসন বলা যাবে, বা কি কি লক্ষণ থাকলে একজন শাসককে স্বৈরশাসক হিসাবে চিহ্নিত করা যাবে তাঁর কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জনাব হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেবের কল্যাণে স্বৈরশাসক শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত (জনাব হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেব স্বৈরশাসক ছিলেন কিংবা তাঁর শাসন ব্যবস্থা স্বৈরতান্ত্রিক ছিল এটা কিন্তু আমার আবিস্কার না, এটা আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা বক্তৃতা বিবৃতিতে প্রায় সময়ই বলে থাকেন, এখনও অনেকেই বলে)। কিন্তু কি কারণে জনাব হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেবকে স্বৈরশাসক বলা হয় তা কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না এবং আমিও আজও জানি না। জনাব সোহেল তাজ সাহেবের চেকলিষ্ট দেখে অনুমান করতে পারছি হয়তো জনাব হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেবের মধ্যে চেকলিষ্টের পয়েন্টগুলো বিদ্যমান ছিল কিংবা উনার শাসন ব্যবস্থায় পয়েন্টগুলো বিদ্যমান ছিল, সেজন্য হয়তো তখনকার সময় উনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা জনাব হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেবকে স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অথচ মুরুব্বীদের কাছ থেকে শুনেছি জনাব হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেব এর শাসনামল ছিল শায়েস্তা খাঁর পরে বাংলার স্বর্ণ যুগ। দেশের যত উন্নয়ন হয়েছে সবই নাকি এরশাদ সাহেবের শাসনামলে হয়েছে। বর্তমানেও নাকি অনেক উন্নয়নে এরশাদ সাহেবের অবদান আছে। যাই হউক উন্নয়নের ফিরিস্তি গাওয়া আমার মূল উদ্দেশ্য নয়।
শত্রু মিত্রসহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা যতই এরশাদ সাহেবকে স্বৈরশাসক হিসাবে আখ্যায়িত করুক, গালি দেয় না কেন, জনাব এরশাদ সাহেব কিন্তু কখনো বলেন না তিনি স্বৈরশাসক ছিলেন!! অর্থাৎ তিনি (এরশাদ সাহেব) মনে করেন তাঁর শাসন ব্যবস্থা স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ছিল না। সুতরাং যে যাই বলুক তাতে এরশাদ সাহেবের কিছুই যায় আসে না।
কিন্তু দু:খের বিষয় হল - জনাব সোহেল তাজ সাহেব এর স্বৈরাচারী শাসন এর চেকলিস্ট দেখে অনেকেরই মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। পক্ষে বিপক্ষে সোস্যাল মিডিয়া অনেক স্ট্যাটাস ভাইরাল হচ্ছে। অনেকেই আবার জনাব সোহেল তাজ সাহেবকে একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড় করাতে যাচ্ছে। আবার অনেক গুণীজন এই চেকলিষ্টকে জনাব সোহেল তাজ সাহেব এর ব্যক্তিগত মতামত হিসাবে উল্লেখ্ করেছেন।
কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে জনাব সোহেল তাজ সাহেব এর "স্বৈরাচারী শাসন চেকলিস্ট" পোষ্টটি একটি শিক্ষনীয় পোষ্ট। কারণ আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে "স্বৈরাচারী শাসন" বা "স্বৈরশাসক" কাকে বলে বা তার সংজ্ঞা কি তা নিজেই জানতাম না। জনাব সোহেল তাজ সাহেব এর পোষ্টটি পড়ে সহজেই জেনে নিতে পারলাম, কি কি লক্ষণ থাকলে একটি শাসন ব্যবস্থাকে স্বৈরাচারী শাসন বলা যাবে, কি কি লক্ষণ থাকলে একজন শাসককে স্বৈরশাসক বলা যাবে। আরেকটি উপকার হবে, স্কুল কলেজে পড়া শিক্ষার্থীদের। ভবিষ্যতে যদি কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে প্রশ্ন আসে -
-- স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কাকে বলে? স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার লক্ষণগুলো কি কি? কিংবা
-- স্বৈরশাসক কাকে বলে? স্বৈরশাসকের লক্ষণগুলো কি কি?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখার জন্য আর নোট বই ঘাটতে হবে না। জনাব সোহেল তাজ সাহেব এর উল্লেখিত ৮টি পয়েন্ট লিখে দিলেই একজন শিক্ষার্থী পাস মার্ক পেয়ে যাবে নিশ্চিত।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
জনাব সোহেল তাজ সাহেব এর স্বৈরাচারী শাসন চেকলিস্ট
১. যখন সাধারণ মানুষ তার মুক্ত চিন্তা ব্যাক্ত করতে ভয় পায় ।
২. যখন দল, সরকার এবং রাষ্ট্র একাকার হয়ে যায় আর সরকারকে সমালোচনা করলে সেটাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে আখ্যায়িত করা হয়।
৩. যখন দেশের প্রচলিত নানা আইন এবং নতুন নতুন আইন সৃষ্টি/তৈরি করে তার অপব্যবহার করে রিমান্ডে নেয়া এবং নির্যাতন করা হয়
৪. বিনা বিচারে হত্যা ও গুম করে ফেলা হয় ।
৫. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়।
৬. আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পুলিশ সহ অন্যন্য সংস্থাকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৭. যখন সাধারণ নাগরিক সহ সকলের কথা বার্তা, ফোন আলাপ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মনিটর ও রেকর্ড করা হয়।
৮. যখন এই সমস্ত বিষয় রিপোর্ট না করার জন্য সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিকদের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে হুমকি দেয়া হয়।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

[২]
ইদানিং কালে দেখা যাচ্ছে, কেউ যদি সরকারের সমালোচনা করে, আর সেটা যদি সরকারের পক্ষে না যায়, তাহলে সেটা হয়ে যায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। সরকারের সমালোচনা আর রাষ্ট্রদ্রোহিতা কি করে এক হয়ে যায় তা আমার মাথাতে কিছুতেই আসে না। আমি আইনের ছাত্র না, আইনের এত মারপ্যাচ বুঝি না, আইন মেনে চলার চেষ্টা করি, কিন্তু খুব বিপদে না পড়লে আইনের ধারে কাছে যেতে চাই না। কিন্তু এটা এখন মনে পড়ছে, স্কুল কলেজে পড়াকালিন সময়ে কোন এক ক্লাসে "রাষ্ট্র ও সরকার কি? রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে পার্থক্য কি?" এই অধ্যায়টি পড়েছি। যতটুকু মনে পড়ে এবং গুগল মামার সাহায্য নিয়ে এও জেনেছি রাষ্ট্র ও সরকার সম্পূর্ণ আলাদা কিন্তু একে অপরের পরিপূরক। রাষ্ট্র মোটামুটি স্থায়ী কিন্তু সরকার অস্থায়ী বা ক্ষণস্থায়ী। একটি রাষ্ট্রের আপামর জনগণ চাইলে যেকোনো সময় যেকোনো সরকার পরিবর্তন করতে পারে। বা ভোটের মাধ্যমে তার পছন্দের রাজনৈতিক দলকে সরকারী ক্ষমতায় আসীন করতে পারে।
যেকোনো সরকারকে মনে রাখতে হবে - গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

রাজনীতি কাহাকে বলে, সোহেল তাজের কোন ধারণা আছে?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৫৬

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: স্যার, উনার হয়তো রাজনীতি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারনা নাও থাকতে পারে। আমারও নাই। যদি কিছু মনে না করেন আর হাতে যদি ফ্রি সময় থাকে তাহলে রাজনীতির একটু সংজ্ঞা দিতে পারবেন?

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৫৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: অথচ মুরুব্বীদের কাছ থেকে শুনেছি জনাব হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেব এর শাসনামল ছিল শায়েস্তা খাঁর পরে বাংলার স্বর্ণ যুগ।[/sbএশাদের মতই লম্পট,মাতাল,ক্ষমতালোভী,খুনী অার দুর্নীতবাজরা এই কথা বলে।
এরশাদ আমল নিজে চোখে না দেখে থাকলে Google খুজে জানা যাবে।
তবে সত্য কথা হচ্ছে যে পরবর্তী কেউই এরশাদের চেয়ে ভালো না।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:০২

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: এরশাদ সাহেবের শাসনামল দেখার বা বুঝার সুযোগ ছিল না। তখন গ্যাদা ছিলাম। যেহেতু সবর্জন বলে, বুঝতে পারছি ৮টি পয়েন্ট বিদ্যমান ছিল কোনো না কোনো ক্ষেত্রে।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:১৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: অঅমরা দেখেছি ঢাবি ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলি,ট্রাক তুলে দেয়া,সেলিম,জাফর,জয়নাল,দীপালী সাহা,নুর হোসেন সহ হাজার গণ-তন্ত্রিক অঅন্দোলন কারীদের প্রকাশ্য রাস্তায় গলি-করে হত্যা করা।তার চুরি,দুর্নীতি,লাম্পট্যের সাক্ষী অামরা।
কোনকিছু জানতে হলে সেই সময় জন্ম নিতে হয়না,পড়াশোনা করলেই জানা যায়।
অামিও মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি,কিন্ত এ সম্পর্কে জানি।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:২০

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: ভাই লোকটা তো এখনো বহাল তবিয়তে আছে এবং কি সুন্দর পজিশন নিয়ে আছে। আপনাদের ভাষায়, এত খারাপ একটা লোক কি করে রাষ্ট্রের এত বড় গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকে তাও আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দূত???? কিছুই তো বুঝতে পারি না। এটাও কি লেখা পড়া করে শিখতে হবে???

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ষড়যন্ত্র চলছিল। মোহম্মদপুরে একটি বাসায় কে কোন পদ পাবে ভাগাভাগিও শুরু হয়ে গেছিলো।
সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েগেলে হারিকেন হাতে একদিন ভাবার পর স্ট্যাটাস এডিট। হা হা হা হা...

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:২৫

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: স্ট্যাটাস এডিট হউক আর যাইক, পয়েন্টগুলো কিন্তু শিক্ষনীয়।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:২৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: উনি পরোক্ষভাবে বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচারী সরকার বলেছেন। কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের নেতাকর্মীরা উনাকে অনলাইনে ইচ্ছেমত ধুলাই দিচ্ছে। যাচ্ছেতাই বলছে!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষ ভাবে নিবেন, যখন আপনার আচরণ আমার কথার সাথে মিলে যাবে। যদি পক্ষে যায় মারহাবা, বিপক্ষে গেলেই সর্বনাশ।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৩২

অনল চৌধুরী বলেছেন: ভাই লোকটা তো এখনো বহাল তবিয়তে আছে এবং কি সুন্দর পজিশন নিয়ে আছে। আপনাদের ভাষায়, এত খারাপ একটা লোক কি করে রাষ্ট্রের এত বড় গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকে তাও আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দূত???? কিছুই তো বুঝতে পারি না। এটাও কি লেখা পড়া করে শিখতে হবে??? -এটাই তো এদেশের নষ্ট রাজনীতির নমুনা।
সে দুইজনকেই গুলি-হামলা করে একাধিকবার নির্মূল করতে চেয়েছিলো।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: অথচ ভোটের রাজনীতিতে জনাবকে কত বেশি প্রয়োজন।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনার জন্য রাজনীতির ক্ষুদ্রতম ডেফিনেশন:

দেশ ও সরকার পরিচালনার জন্য কমপ্লেক্স জ্ঞান, কার্যক্রম ও আইডিয়া; ইহা অনেক বিজ্ঞানের সন্মিলিত জ্ঞান।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: অতীব উচ্চমার্গীয় শব্দ চয়ন। আমার মত নাদানের পক্ষে বুঝা প্রায় অসম্ভব। তাক, রাজনীতির সংজ্ঞা জানা লাগব না।

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৫০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ১৯৮৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এরশাদ জান্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর যে চরম নিপীড়ন চালিয়েছিল আমিও ছিলাম তার এক ভুক্তভোগী | আমাদের ধরে শাহবাগ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের প্রাঙ্গনে নিয়ে সারা রাত যে অত্যাচার চালিয়েছিল পোষা পুলিশবাহিনীর সদস্য তা ছিল অবর্ণনীয় | এমনকি ছাত্ররা মূত্রত্যাগের সময়ে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পিছনে লাথি মারার মতো বর্বর কাজও করেছিল পুলিশ বাহিনীর ওই সকল সদস্যরা | সারা রাত এক ফোটা পানিও পান করতে দেয় নি জানোয়ারগুলো | এমনকি আমাদের কয়েকজনের চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছিল কয়েকটি জানোয়ার, পড়ে অন্য সদস্যদের হস্তক্ষেপে তা থেকে বিরত থাকে তারা | সারা রাত বিভিন্ন হল থেকে ঘুম থেকে তুলে ধরে নিয়ে আনা হয় ছাত্রদের |

পরের দিন আমাদের বিআরটিসি বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় কুর্মিটোলা আর্মি ট্রানসিট ক্যাম্পে | বাস থেকে নামার সাথে সাথে আমাদের দৌড় দিয়ে বিল্ডিং এ ঢুকতে বলা হয় | এসময় দুপাশ থেকে সেনা সদস্যরা মোটা মোটা লাঠী দিয়ে আমাদের বেদম প্রহার করতে থাকে নির্বিচারে | ক্ষুধায়, তৃষ্ণায় সম্পূর্ণ কাহিল হয়ে আমরা পানির জন্য তাদেরকে অনুরোধ করলে তারা আমাদের খুব সামান্য পরিমানে পানি পান করতে দেয় |

এই হচ্ছে স্বৈরাচারী, লম্পট, খুনি এরশাদের আসল রূপ | বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের অনুগত কিছু সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য দেশের ছাত্র/জনতাকে সেই একইভাবে নির্যাতন করছে তার প্রভূদের খুশি করার জন্য | এই বাহিনীগুলোর কিছু সংখ্যক সদস্য বিএনপি/আওয়ামীলীগ/জাপা/জামাত যে দলের সরকারই ক্ষমতায় যায় তার খাস বান্দা হয়ে জনগণকে চরম অত্যাচার করে | এদের চরিত্র কখনোই পরিবর্তন হয় না, শুধুই দল পরিবর্তন হয় মাত্র |

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: পৃথিবীতে এরশাদ সাহেবই মনে হয় একমাত্র বিরল রাজনীতিবিদ, যিনি স্বৈরশাসক উপাধি পেলেন, ক্ষমতা হারালেন, যারা গর্ব করে বলে আমরা আন্দোলন করে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়েছি। এরশাদ সাহেব তাদের সাথেই জোট বেধে আবার সরকারী ক্ষমতায় বসতে পেরেছেন। রাজনীতিরে রাজনীতি তুই বড় অপরাধী।

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: চাঁদ গাজী সাহেব নিজেই লিখলেন দেশ ও সরকার। মানে দুইটা আলাদা জিনিস।
আওয়ামিলীগের বিপক্ষে কিছু গেলে ওনার ভাল লাগে না

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: ভাই লাগালাগির বিষয় টেনে আনবেন না। কারো ভালো লাগতে পারে, আবার কারো নাও লাগতে পারে। আজকে যিনি দরবেশ, আগামীকাল তিনি ভন্ড হবেন না তার নিশ্চয়তা কি?

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে কি তাজ সাহেব ফেসবুকে লিখেছেন? না কোনবো দুষ্টলোকের কাজ?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: হয়তো তাজ সাহেবের হয়ে মার্ক জুর্কাবার্গ লিখে দিয়েছে।

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বলেছেন, "সাবেক রাষ্ট্রপতি জনাব হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেবের কল্যাণে স্বৈরশাসক শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত।"

এরশাদকে স্বৈরশাসক বলার আগে জিয়ার কথা বলেন না কেন? জিয়া তো তার আগের। তিনি কি ভোট করে ক্ষমতায় এসেছিলেন? ভাসুরের নাম নেয়া যায় না মুখে?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১০

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: ভাই জিয়া সাব তো দুনিয়াতে নাই। এরশাদ সাহেব এখন আমাদের সাথে হাসি খুশিতে আছেন। উনার জোট, বিরোধী জোট সবাই বুক ফুলিয়ে বলে এরশাদ সাহেব স্বৈরশাসক!!! আমরা বলতে না চাইলেও, ভূলতে চাইলেও, আপনারাই বার বার আমাদের স্বরণ করিয়ে দেন, আন্দোলন করে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়েছি!! আর এই কথাটা সবচেয়ে বেশি শুনি আওয়ামীলীগ বিএনপি'র রাজনীতিবিদের মুখ থেকেই।
যাই হোক, স্বৈরশাসক হলেও (দেখি নাই, শুনেছি) জনাব হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেবকে কিন্তু আমি মোটামুটি পছন্দ করি, কারণ উনার সহজ সরল কথা বার্তা, চাপের কাছে নতি স্বীকার করা ইত্যাদি ইত্যাদি।

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:২৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: পৃথিবীতে এরশাদ সাহেবই মনে হয় একমাত্র বিরল রাজনীতিবিদ, যিনি স্বৈরশাসক উপাধি পেলেন, ক্ষমতা হারালেন, যারা গর্ব করে বলে আমরা আন্দোলন করে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়েছি। এরশাদ সাহেব তাদের সাথেই জোট বেধে আবার সরকারী ক্ষমতায় বসতে পেরেছেন। রাজনীতিরে রাজনীতি তুই বড় অপরাধী। -পৃথিবীর কোন দেশে গণ-অান্দালনে ক্ষমতা হারনো ব্যাক্তি অার কখনো ক্ষমতার কাছে যেতে পারেনি।ষোড়শ লুই,জার নিকোলাস,হিটলার,মুসোলিনী,ফ্র্যান্কো,অাইয়ুব,ইয়াহিয়া,রেজাশাহ,মার্কোস,মবুতু,পিনোচেট-কেউ না।
প্রত্যেকেই হয় প্রান হারিয়েছে জনতার হাতে বা কারাগারে অথবা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
একমাত্র ব্যাতিক্রম এই এরশাদ।
কারণ তার জন্ম পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট অার ধিকৃতদের একটা দেশে,যেদেশের বেশীরভাগ মানুষের মধ্যে নীতি-অাদর্শ,দেশপ্রেম বলে কিছু নাই।
আছে শুধু যেকোন উপায়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের ধান্ধা।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: ভাই চেতনার কথা শুনে, একবার ঝাপিয়ে পড়েছিলাম, ভেবেছিলাম, সত্য, সুন্দর একটি নিরাপদ বাংলাদেশ তৈরি করতে পারব। অপার বিশ্বাস ছিল চেতনার উপর। কিন্তু কি হল - চেতনা হয়ে গেল একটি বানিজ্যিক প্রোডাক্ট। এই চেতনা কেবল নিজের স্বার্থে, দলের স্বার্থে ব্যবহৃত হয়। জনগণের স্বার্থ এখানে সব সময় উপেক্ষিত।

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:১৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: এরা কোনদিন নিজেদের নিকৃষ্ট স্বভাব পরিবর্তন করতে পারেবে না।
তাই এই দেশেরও কোনদিন কোন পরিবর্তন হবেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.