নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি পারতাম দুঃখগুলো নিলামে বিক্রি করে দিতাম

শাহজাহান সাঈফ

একাকিত্ব হলো জীবনের সাধনা লাভের উত্কৃষ্ট উপায়। উর্দু বা হিন্দুতে একাকিত্বকে বলা হয় তানহা। একাকিত্ব মানুষের জীবনে পূর্ণতা দেয়। পৃথিবীর তাবত্ বিখ্যাত ও মহান ব্যক্তি তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ একাকিত্বে কাটিয়েছেন। কখনো ইচ্ছা করে আবার কখনো বা বাধ্য হয়ে। তারা কেউবা গেছেন নির্জন পাহাড়ের কোনো গুহায়, অথবা গভীর জঙ্গলে।

শাহজাহান সাঈফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূলি নাই, ভূলতে পারি না

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৩


মনে আছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই সেক্টর কমান্ডার ফোরাম সম্মেলনের কথা। আজকের নব্য চেতনাবাজরা তখন কয়জন উপস্থিত ছিলেন সেখানে। সম্মেলন চলাকালিন সময়ে যখন হাত তুলে শপথ করেছিলাম, যে করেই হউক মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তা না হলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পরবে।তখন, বিশেষ করে তরুন প্রজন্ম, এক সাথে হাত তুলে শপথ করেছিলাম, বুকের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সম্মান বজায় রাখব। পরবর্তীটা শুধুই ইতিহাস। খাদের কিনারায় চলে যাওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল হিসেবে নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় চিনিয়ে আনে। বিশেষ করে সেই সময় তরুণ প্রজন্মের ভোটেই আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ায়। আমরা আশায় বুক বেধেছিলাম, ভেবেছিলাম, সত্য, সুন্দর একটি নিরাপদ বাংলাদেশ তৈরি করতে পারব। অপার বিশ্বাস ছিল চেতনার উপর। কিন্তু কি হল - চেতনা হয়ে গেল একটি বানিজ্যিক প্রোডাক্ট। এই চেতনা কেবল নিজের স্বার্থে, দলের স্বার্থে ব্যবহৃত হয়। জনগণের স্বার্থ এখানে সব সময় উপেক্ষিত।
আজ আবার এই চেতনার বিরুদ্ধেই আমাদের মাঠে নামতে হয় অধিকার আদায়ের জন্য, নিরাপদ জীবনের জন্য। একটু নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে বাঁচতে চাই বলে, চেতনা তার ক্ষমতাবলে আমাদের এখন দৌড়ায় গুজববাজ বলে। আমরা পালিয়ে বেড়াই, আতংকে থাকি, আমার জন্য আতংকে থাকে আমার পরিবার। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ভাইটি আজ ক্ষমতার প্রিজন ভ্যানে বন্দি, অসহায় মায়ের করুণ আর্তনাত। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির কাছে এই বাংলাদেশ কি আমরা আশা করেছিলাম?

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশে, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিটা জাতির স্বপ্নে লাথি মেরে জাতিকে কক্ষচ্যুত করেছে; জাতি অশিক্ষিত হওয়ায় যেটা টের পায়নি; আওয়ামী লীগ যুদ্ধের সময় নির্বাচিত দল হিসেবে ছিলো; ফলে, তারা সেটা থেকে লাভবান হতে চেয়েছে; এখনো লাভবান হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা দেশ চালাচ্ছে কলোনীর মতো; তবে, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিটাকে চাপের মাঝে রেখেছে, এটুকুই

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩৬

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: তাদের কথাবার্তায় মাঝে মাঝে মনে হয় তারা ক্ষমতায় বসে দরবেশ বনে গেছে।

২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩০

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

শুধু প্রশ্ন জাগতে পারে। কিন্তু সুন্দর মনোরম দেশটা খুজে পাবে না।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩৬

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: আপসোস টা এখানেই।

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: কখনও ভোলা সম্ভব না।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩৬

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: কখনও ভোলা সম্ভব না।

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: মনে রেখেই বা লাভ কি?

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: আসলেই কোনো লাভ নেই। বেশি মনে রাখলে সার্ফ এক্সেল দিয়ে ঢলা দিব পরিস্কার করার জন্য।

৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

প্রািন্ত বলেছেন: ক্ষমতায় এসে জনগণের সাথে তামাশা করা আওয়ামীলীগের পুরনো অভ্যাস। গণতন্ত্র, নীতি ও আদর্শের কথা সবই ভন্ডামী।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: বুঝলাম রাজনীতিতে নীতি আদর্শের কোনো বেইল নাই।

৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

কেতন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি বিবৃতির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভউমত্বকে মেনে নিয়েছে, দেশের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। নির্বাচন করে দেশের নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোটে সংসদে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে, সরকারে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে, বিপক্ষ দলের আক্রোশের শিকার হয়ে যুদ্ধাপরাধী খেতাব পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো গণজোয়ার (শাহবাগ) হয়েছে। একতরফা বিচারে শীর্ষ নেতৃত্বের সবাই ফাঁসির দড়িতে লোকায়ত হয়েছে। তাদের সহায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্য ও দলের কর্মীদের প্রতিনিয়ত হেনস্তা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন বাতিল করেছে।

বলুন তো, তাদের আর কি পরিণতি বাকি আছে, যা দেখলে তত্থাকথিত 'স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি'র অন্তরের জ্বালা জুড়াবে?

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: কোথাকার জল কোথায় গড়াবে কে জানে?

৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

কেতন বলেছেন: আমি বলছি কোথায় গড়াবে। এদেশের জনগণ ভোট দিয়ে কখনোই জামায়াতকে ক্ষমতায় আনবেনা। জামায়াতও ক্ষমতা চায়না। তারা ভালো করেই জানে ক্ষমতায় গেলে তাদের পরিণতি মুরসীর চেয়েও খারাপ হবে। তারা চায় কেবল এদেশে সৎ নেতৃত্ব গড়ে উঠুক, যারা দেশকে ভালোবাসবে এবং দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবে। এটা নিয়ে বিস্তর হাসাহাসি হতে পারে, কিন্তু জামায়াত শিবিরের কোন প্রোগ্রামে স্বশরীরে উপস্থিত হলেই আপনি বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারবেন। এই প্রোগ্রামে বিপক্ষ দলের পিন্ডি চটকানো হয়না, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়না, কাদা ছোঁড়াছুড়ি হয়না। দশটি কথা বলা হলে তার নয়টিই কাজে লাগার মত কথা হয়।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: গবেষণার বিষয় বটে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.