নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারণ মানুষ ৷দশের সাথে চলতে চাই ৷

শাহিন-৯৯

সত্যের পরাজয় বলতে কিছু নেই, পরাজিত বলতে যা দেখি তা হল কুচক্রিদের সাময়কি সাফল্য, সত্যের জয় চিরন্তন

শাহিন-৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যম আয়ের দেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২১


ছবি, নেট থেকে নেওয়া।

সরকারের দাবি অনুসারে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পা রেখেছি, উন্নয়নের রোল মডেল, দেশটি এখন উন্নয়নের মহাসড়ক পথে চলমান, এ পথে আমরা গত পাঁচ বছর হয়েছে চলছি। সরকারের এই দাবি নিয়ে কেউ সরাসরি, কেউ সার্কাজম করে ব্যঙ্গ করে আবার কেউ তথ্য দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন সরকারের দাবি পুরোপুরি শুভঙ্করের ফাঁকি। এ দেশে অধিকাংশ মানুষ তথ্যনির্ভর নয় তাই বিরোধীতা করার জন্য একটি দুই লাইনের ব্যঙ্গ শব্দ দিয়েই নিজের দায়িত্ব শেষ করে।

মূল বক্তব্যে আসি, গত তিন দিন ধরে আমি বিভিন্ন প্রয়োজনে নিউমার্কেট এলাকা, নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া এলাকা এবং আজ নারায়ণগঞ্জের রুপসী এলাকা ঘুরলাম। উন্নয়নের ছোঁয়া ইনশাল্লাহ চলমান কিন্তু সবচেয়ে যেটা বেশি দৃষ্টিগোচর হয়েছে তা হল সাহায্যপ্রার্থী সংখ্যা (ভিক্ষুক)। বাসে উঠার সময়, নামার সময়, এমনকি বাসের ভিতরেও আপনি এদের সরব উপস্থিতি দেখতে পাবেন। কোন জনসমাগম স্থানে আপনি যদি স্থির দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকেন বা বসে থাকেন তাহলে কমপক্ষে দুইজন সাহায্যপ্রার্থী আপনার কাছে হাত বাড়াবে এটা কখনো একটি মধ্যম আয়ের দেশের চিত্র হতে পারে না। সামাজিক নিরাপত্তা ছাড়া কখনো দেশের উন্নয়নের মূল চিত্র অংকন করা যায় না।

আমার সল্প জ্ঞান বলে এ দেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও সবার জন্য খাদ্য এই স্লোগানের আওতায় অনেকগুলো সরকারি প্রকল্প আছে, যেমন বয়স্ক ভাতা, গ্রামমুখীকরণ প্রকল্পসহ ক্ষুদ্র, মাঝারী নানা ঋন প্রকল্প।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে দিনে দিনে কেন সাহায্যপ্রার্থীর না কমে গাণিতিকভাবে বাড়ছে? সমস্যা কোথায়?

এখানে শুধু অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর একটি ছোট অংশের কথা বললাম, তাছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষের বর্তমান দুর্দশা বর্ননা করলাম না। নিত্য বাজারের আগুন প্রতিদিন পুড়িয়ে দিচ্ছে একটি স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা।

আমরা এই সরকারের মধ্যম আয়ের দেশ শব্দটি নিয়ে যতই ট্রল করি আমরা কিন্তু সবাই মনের ভিতর একটি উন্নত দেশের স্বপ্ন লালন করি যার প্রথম ধাপ মধ্যম আয়ের দেশ।

একটি মধ্যম আয়ের দেশ আমাদের সবার কাম্য তবে তাতে যেন শুভঙ্করের ফাঁকি না থাকে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার লেখা বাস্তবতার নিরিখে লেখে, কিন্তু সমস্যা হয়েছে যারা আমাদের দেশে ভিক্ষার সাথে জড়িত তারা কোনো কাজ করতে আগ্রহী না, ভিক্ষা করে তারা মজা পান। এরা স্বর্গে গেলেও ভিক্ষা করবেন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



আপনার কথায় খুব বেশি দ্বিমত করছি না তবে আমার দেখা ভিক্ষুকের অধিকাংশ বৃদ্ধ অথবা অতিশয় বৃদ্ধ এরা কেউ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করার অবস্থায় নেই তাদের সাহায্য প্রার্থনা একমাত্র উপায় কিন্তু সরকার চাইলে এই পথ বন্ধ হতে পারে একজন মানুষের জীবন ধারনের মত অর্থ অবশ্যই দিতে পারে, যতদিন না পারবে ততদিন মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নত দেশ কাগজের হিসাবে থাকবে, বাস্তবে শুধুই শুভঙ্করের ফাঁকি।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভিক্ষুক পুনর্বাসনে এই সরকারের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। অথচ এটা হেন ভাতা তেন ভাতা চালুর চেয়েও জরুরী।
মিডিয়ায় লুটপাটের যে চিত্র দেখছি, একজন মধ্যম মানের ঘুশখোর বা নেতার অবইধ আয় জব্দ করলেই সারা দেশের ভিক্ষুক পুনর্বাসন করা সম্ভব।

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মধ্যম আয়ের দেশ হিসেব করতে অর্থনীতির কি কি সুচক ব্যবহৃত হয়?

আপনি ভিক্ষুকের সংখ্যা ব্যবহার করেছেন; সাথে কমপক্ষে ভিক্ষুকের দৈনিক আয়টা দেখান! একজন ভিক্ষকু কি বেকার মানুষ, নাকি কার্যরত মানুষ?

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ভিক্ষুকের আয় অনেক বেশি। ভিক্ষুক ব্যবসা বেশ জমজমাট সারা দেশে। এসব ভিক্ষুকের বেশির ভাগই মাসিক বেতনে ভিক্ষাবৃত্তি করে।সারাদিনের উপার্জিত টাকা এরা যার অধীনে কাজ করে তার কাছে দিয়ে আসে।বহু নেতার ভিক্ষুক ব্যবসা আছে। ইদের সময় খেয়াল করে দেখবেন এলাকায় ভিক্ষুক বেড়ে গেছে।

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সরকার চাইলে ভিক্ষুক ও ধোলাই খাল সহ সমগ্র বাংলাদেশে কল কারখানায় কাজ করা শিশু শ্রমিকের জীবন বদলে যেতে পারে। কিন্তু এই কাজ করার মতো সময় নেই কারো। সবাই নিজ নিজ কাজে! ব্যস্ত।

আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন আপনার পোস্টে যে একটি মাত্র লাইক সেটি আমার কারণ আমি বাস্তবতা জানি। আপনার কথায় সহমত পোষণ করছি।

৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমরা সিঙ্গাপুরের অধিবাসী । বিড়িতে সুখ টান দিই

৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২

আহা রুবন বলেছেন: আপনি মনে হয় বহু দিন শহরের বাইরে বের হননি। শহরে ভিক্ষুকের সংখ্যা সত্যি বেশি, যদিও এদের বেশিরভাগই পেশাদার এবং দৈনিক আয় কখনও কখনও আপনার আমার চেয়ে বেশি। মুন্সিগঞ্জের (ভিক্ষা করে সদর ঘাটে) এক ভিক্ষুককে দেখেছিলাম যার স' মিল আছে। বেশ ক'বছর ধরে তো আমার গ্রামে ভিক্ষা দেয়ার লোক পাইনা--সাহায্য দিতে হয়। গত পরসু একজনকে লেপ বানানোর টাকা দিলাম। যে খাবারের জন্য নয় জীবনকে একটু সুন্দর করার জন্য দান নিচ্ছে তাকে আর যাই হোক অন্তত ভিক্ষুক বলা যায় না।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: বাসা থেকে বের হলেই ভিক্ষুক। প্রচুর ভিক্ষুক।
সত্য কথা বলতে দেশের আহামরি উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে রাজনীতিবিদের, রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনদের আর সরকারী চাকরীজিবিদের।

তবে সরকার পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল করছে। বেশ কিছু রাস্তাও করেছে, করছে। উন্নয়ন বলতে এই টূকুই।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩৫

জিকোব্লগ বলেছেন: ভিক্ষুককে একটা ন্যায্য পারিশ্রমিকের কাজ দেন। দেখেন করে কি না ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.