নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূমিকম্প নিয়ে মিথ্যা মিথ তৈরি করবেন না।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

আজ আবার একবার ভূমিকম্প নাড়া দিয়ে গেলো গোটা দেশকে।
আমার একটি বদ অভ্যাস হল পা-নাড়ানো সুতরাং আমি
তেমনভাবে আজকের কম্পনটি অনুভব করতে পারিনাই।
দুঃখজনক হলেও সত্য অনেকে এই ভূমিকম্প কে আল্লাহের অভিশাপ বলছে।
কেউ কেউ বলছে যে পাপ কাজ বেড়ে যাওয়ায় ভূমিকম্প হচ্ছে।
কথিত অত্তাধিক ধার্মিক ব্যক্তিরা এজন্য আল্লাহ্‌র কাছে সকলের
জন্য মাফও চাচ্ছে।
কিন্তু আমি কাহিনি বুঝি না, যেখানে হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহ্‌র
কাছে দোয়া করে গেছেন তাঁর উম্মতরা অপরাধ করলেও তাদের
গজব দিয়ে ধ্বংস না করতে সেখানে, এদের কথার যুক্তি কি থাকতে পারে?
আর নিঃসন্দেহে সৌদি রাজপরিবার, ইহুদী, ইন্ডিয়া, অ্যামেরিকার থেকে
আমাদের দেশে পাপকাজ অনেক কম। এমনকি কয়েক বছর পূর্বে ইরানে
ভূমিকম্পে প্রায় ২০,০০০ এর মতন মানুষ মারা গিয়েছিল।
তাহলে এটাই বা কেন হল?
আপনি মানুষকে ভাল উপদেশ দেন ভাল কথা তাই বলে
মিথ্যা মিথ ছড়াবেন না। কিছু হলেই ধর্মের দোহাই দিবেন না।
নেপাল কি এমন আলেমদের অত্যাচার বা নির্যাতন করেছে যে
তাদের ২০০০+ লোক মারা গেলো। গত ২ বছর পূর্বে আমাদের দেশে কোন
ধরনের ভূমিকম্প ছাড়াই ১১০০+ মানুষ মারা গিয়েছিল। কই তাদের মধ্যে
তো কোন গডফাদার, সন্ত্রাসী বা নাস্তিক দালাল ছিল না তাহলে কেন এটা হল?
হায়াত মউতের মালিক আল্লাহ্‌, সুতরাং মিথ্যা মিথ তৈরি করে অন্যদের বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করবেন না।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আপনি জীবনে কোন অন্যায় করেননি!!
মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে সে জন্য নিজেকে সুধরানো,
মাুনষ অন্যায় না করলে তো ফেরেসতা হয়ে গেল।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: জনাব আমি কখনোই বলিনাই যে আমি ১০০% সাধু ।
কিন্তু বলছি আমার থেকে অনেক খারাপ মানুষ আমাদের থেকে অনেক খারাপ জাতি রয়েছে যারা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। হায়াত মউতের মালিক আল্লাহ্‌। মৃত্যুর সময় না হলে কেউ মরবে না।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

বরফের গরম বলেছেন: রাখে আল্লাহ মারে কে। আল্লাহ কখন কাকে কিভাবে কাকে মারবে তা আমরা কেউই জানি না। লঞ্চডুবি, বিল্ডিংয়ে আগুন, ভূমিকম্প, এইডস, কর্কট, ট্রাকের তলায় পিষে যাওয়া ....।

হা হা হা ....। এমনকি একটি ক্ষুদ্র প্রাণী মশার কামড়েও মরন।

সুতরাং আল্লাহকে স্মরণ করুন (আল্লাহ যেভাবে স্মরণ করতে বলেছে সেভাবে) (ঐ পীর বাবা দরবেশ খাজা বাবার সিস্টেম মত না)। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কারো কিছুই করার নেই।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

সাবু ছেেল বলেছেন: ২ বৎসর পূর্বে পুলিশের আক্রমনে হেফাজত-ই-জামাতে ইসলামির প্রায় ২,০০,০০০ লোক মারা গিয়েছিলো।কই,তখন তো ভূমিকম্প হয়নি!!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ২,০০,০০০ মানুষ কি আপনি গুনেছিলেন?

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

oparajita বলেছেন: ‘‘২,০০,০০০ লোক মারা গিয়েছিল’’---কোন পাগলের শুমারি? মানুষ এত বানোয়াট কথাও বলতে-লিখতে পারে!! এতবড় মিথ্যা কথার জন্য কোন ঐশ্বরিক গজব আপনার জন্য প্রযোজ্য বলে মনে করেন জনাব সাবু ছেেল?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: মনে হয় উনি স্বপ্নে দেখেছিলেন।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, এবং শান্তি বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের, তাঁর পরিবারের উপর, তাঁর সাহাবাদের উপর এবং তাদের উপর যারা তাদের অনুসরণ করেন।
মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাহদেরকে সতর্ক করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের নিদর্শন সৃষ্টি করেন এবং বান্দাহর উপর প্রেরণ করেন যাতে করে তারা মহান আল্লাহ কর্তৃক তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন ও ভীত হয়।

নিঃসন্দেহে বর্তমানে যেসকল ভূমিকম্পগুলো ঘটছে তা মহান আল্লাহর প্রেরিত সতর্ককারী নিদর্শনগুলোর একটি যা দিয়ে তিনি তাঁর বান্দাহদের ভয় দেখিয়ে থাকেন। এই ভূমিকম্প এবং অন্যান্য সকল দূর্যোগগুলো সংগঠিত হওয়ার ফলে অনেক ক্ষতি হচ্ছে, অনেকে মারা যাচ্ছে এবং আহত হচ্ছে; এই দূর্যোগগুলো আসার কারণ হচ্ছে, শিরকী কার্যকলাপ(ইবাদতের ক্ষেত্রে অন্য কাউকে মহান আল্লাহর অংশীদার বানানো) এবং মানুষের পাপ (মহান আল্লাহ যে কাজগুলো করতে নিষেধ করেছেন সে কাজগুলো করার কারণে)।
এক্ষেত্রে মহান আল্লাহ বলেন:
“(হে মানুষ) যে বিপদ আপদই তোমাদের উপর আসুক না কেন, তা হচ্ছে তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই, এবং (তা সত্ত্বেও) আল্লাহ তাআলা তোমাদের অনেক (অপরাধ এমনিই) ক্ষমা করে দেন।” (সূরা আশ শূরা : ৩০)

“যে কল্যাণই তুমি লাভ কর (না কেন, মনে রেখো), তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, আর যেটুকু অকল্যাণ তোমার উপর আসে তা আসে তোমার নিজের থেকে”। (সূরা আন নিসা : ৭৯)

বিশ্বনবী মহানবী (সাঃ) তার বাণীতে বলে গেছেন, যখন কিয়ামত খুবই কাছে এসে যাবে, এজন্য তিনি কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার কতগুলো আলামত জানিয়ে দিয়ে গেছেন। আলামত গুলো হলঃ

১. মানুষ ব্যাপকহারে ধর্মবিমুখ হবে।
২. বিভিন্ন রকমের পার্থিব আনন্দ এবং রং তামাশায় মেতে থাকবে।
৩. নাচ-গানে মানুষ মগ্ন থাকবে।
৪. মসজিদে বসে দুনিয়াদারীর আলাপ-আলোচনায় লিপ্ত হবে।
৫. সমাজে ও রাষ্ট্রে অযোগ্য লোক এবং মহিলা নেতৃত্ব শুরু হবে।
৬. মানুষের মধ্যে ভক্তি, শ্রদ্ধা, স্নেহ ভালবাসা কমে যাবে।
৭. ঘন ঘন ভূমিকম্প হতে থাকবে।
৮. সব দেশের আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিবে।
৯. অত্যাধিক শিলা-বৃষ্টি হবে।
১০. বৃষ্টির সাথে বড় বড় পাথর বর্ষিত হবে।
১১. মানুষের রূপ পরিবর্তিত হয়ে পুরুষ স্ত্রীলোকের ন্যায় এবং স্ত্রীলোক পুরুষের রূপ ধারন করবে।

কিয়ামতের সময় যখন আরও নিকটবর্তী হবে তখন ইমাম মাহদীর আগমন, দাজ্জালের আর্বিভাব, হযরত ঈসা (আঃ) এর আকাশ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ, ইয়াজুজ-মাজুজের উৎপাত, পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদয়, কুরআনের অক্ষর বিলোপ, তাওবার দরজা বন্ধ, দুনিয়া হতে ইমানদারের বিলুপ্তি ইত্যাদি দেখা দেবে।

মাহান আল্লাহ আমাদের সহি বুঝ বুঝবার তৌফিক দান করুন। আমিন-

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: জনাব নুরু ভাই কোরআন শরীফের আয়াত অস্বীকার করার স্পর্ধা আমার নেই।
তবে আপনি যে ১১ টি পয়েন্ট দিয়েছেন সেগুলো শবগুলই বর্তমানে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কিন্তু আমি কাহিনি বুঝি না, যেখানে হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহ্‌র
কাছে দোয়া করে গেছেন তাঁর উম্মতরা অপরাধ করলেও তাদের
গজব দিয়ে ধ্বংস না করতে সেখানে, এদের কথার যুক্তি কি থাকতে পারে?

এইটা আমারও কথা। সহমত।

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৯

তিথীডোর বলেছেন: WE are not out of danger yet!..Most of the high rises & old buildings in Dhaka need to be tested/examined to verify if is there any crack or possible sattlement ( caused by seismic force) on the foundations happened or not! ..please be aware of this, our BUET former Architecture dept. dean prof. Mobashsher Ali had pointed out some explanations on his face book, please convay his message!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: জনাব বিষয়টি আসলে রাজউক আর আমাদের সচেতনতার বিষয় যদি ভবন তৈরি করার সময় আমরা সচেতন থাকি আর রাজউক যদি সঠিক পদক্ষেপ নিত তবে আমাদের দুশ্চিন্তা অনেক কমে যেত। রাজউক নিয়ে কিছুদিন পূর্বে একটি ব্লগ লিখেছিলাম। তাঁর সারমর্ম হল এমন রাজউকের অধিকাংশ কর্মকর্তারই প্রয়োজনীয় শিক্ষা পর্যন্ত নেই ভবন নির্মাণ ও তাঁর নিরাপত্তা বিষয়ক। সেখানে তাদের কছে কি বা কাম্য হতে পারে। আর ঢাকার অধিকাংশ ভবন নির্মাণ করে হাউজিং কোম্পানিগুলো সুতরাং তাদের কাজে যে ত্রুটি থাকবে না কিভাবে বিশ্বাস করা যায়। ব্যাবসায়িরা তাদের লাভের বাহিরে কিছু চিন্তা করতে পারে কি না সন্দেহ!!!!

৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @লেখক আপনি কোরআনের সরাসরি আয়াতকে মিথ বলছেন?????



আপনি কি মুসলিম?

বেশ কয়েকটা পোষ্ট দেখেছি- তারা সরাসরি কোরআনের আয়াত দিয়ে মানুষককে সতর্ক হবার খোদায়ী আহবানটাকেই তুলে ধরেছে। এসব কি মিথ!!

আর অন্য কোন আজগুবি মিথের পোষ্ট থাকলে তা লিংক হিসাবে যুক্ত করুন। আমরাও জানি জ্ঞান অর্জন করি!

@ লেখকএবং শতদ্রু একটি নদী ভাই..নবীজির যে দোয়ার ভরসা কিছূই ঘটবে ধরে বসে আচৈন- তা হল এক চোখ বন্ধ করে দুনিয়া আর্ধেক দেখার মতো!
আল্লাহর পূর্বতন গজবে পুরা জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। নবীজির দোয়ায় তা রদ হয়েছে পুরা নিশ্চিহ্ন করবে না .. কিন্তু মিনিমাম বা মাঝারি সাইজ করতে পারবে না তা কি বলা আছে ;)

সো আল্লাহর আযাব থেকে সাবধান।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সতর্কতা এক দিন বা একটি ঘটনার জন্য নয়। বরং সারা জীবনের জন্য কিন্তু আপনারা এভাবে মিথ চড়াচ্ছেন এটা ঠিক নয়। বরং এর ফলে ধর্মকে আপনারা হাসি-তামাশার বিষয় বস্তুতে পরিনত করছেন।
আপনার আগামী কালকের দিনটি কেমন যাবে আপনি কি বলতে পারেন?
কাল আপনি বাঁচবেন না মারা যাবেন আপনি কি জানেন? ভূমিকম্প ছাড়া কি মৃত্যুর আর কোন রাস্তা নাই?
( কুল্লু নাফসিন যা ইকাতুল মাউত) প্রত্যেক প্রানীকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করিতে হইবে। -আল কোরআন এই আয়াতটি দিনে কতবার ভাবেন?
সুতরাং শুধুমাত্র ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পাবার জন্য নয় বরং ইহকাল ও পরকালে ভাল কিছু লাভের আসায় ভাল কাজ করুন অন্যদের অনুপ্রানিত করুন কিন্তু অহেতুক ভীতি ছড়িয়ে লাভ কি?

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

নীল রাত্রি বলেছেন: এই পোস্টটা ভালো।
কিন্তু এইসব ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চাগুলা কোথা থেকে আইসা বাংলাদেশের ২লক্ষ মানুষ মেরে ফেলছে?
অপপ্রচার যে কী খারাপ জিনিস, তা অনলাইনের বদৌলতে জানতে পারছি।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত । স্বপ্নে দেখেছিল কোথাও ২ লক্ষ লেখা আছে তাই ২ লক্ষ বলছে।
অথচ এরা জানেইনা প্রকৃত পক্ষে ওখানে সর্বমোট কত লোক ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.