নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তায় মুক্ত - ভাষায় প্রকাশে ভীত , কল্পনার সীমানা মহাকাশ ছাড়িয়ে - বাস্তবতায় পা বাড়াই না সীমানার বাহিরে

শান্তনু চৌধুরী শান্তু

কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।

শান্তনু চৌধুরী শান্তু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপ্রিয় অজানায় সম্রাট শাহজাহান

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৬

ইতিহাস আমার খুব পছন্দের বিষয় হলেও গতানুগতিক সংখ্যা ও সালের ইতিহাসের প্রতি আমি চিরকালই অনাগ্রহী । ইতিহাসের অপ্রচলিত অংশগুলো নিয়েই আমি পড়তে ভালোবাসি । যেমন ধরেন কথিত ভালোবাসার নিদর্শন তাজমহলের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট শাহজাহান এর লাম্পট্য ও ধর্ষণের ঘটনাগুলো সর্ম্পকে কয়জনই বা জানে । আজকের লিখাটা কিছু অপ্রিয় অজানাকে নিয়ে । সম্রাট শাহজাহান ইতিহাসে প্রসিদ্ধ শুধুমাত্র তাজমহলের জন্য । এটা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই বিধায় কিছু বলছি না । তার একান্ত ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লেখালেখি খুব কমই হয়েছে । আমার মতে তার মত লম্পট সম্রাট ইতিহাসে খুব কমই আছে। আর উনি কিনা ভালোবাসার নিদর্শন বানিয়েছেন। লাম্পট্যে ইতিহাস সৃষ্টিকারী শাহজাহানের হারেমে বিভিন্ন দেশের ও জাতের দাসী- উপপত্নী থাকা সত্ত্বেও তার চিরকাল কুদৃষ্টি ছিল নিজ অমাত্য/রাজকর্মচারীদের স্ত্রী তথা পরস্ত্রীর প্রতি । তার জাফর খানে নামের এক কর্মচারী ছিল । জাফর খানের স্ত্রী শাহজাহানের কথিত ভালোবাসা মমতাজ মহলের ছোট বোন । পূর্ণ যৌবনে তাকে দেখে শাহাজাহান এতটাই অস্থির হয়ে পড়েছিল যে জাফর খানকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিতেও দ্বিধা বোধ করেননি । তবে নিজের স্বামীর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসে জাফর খানের স্ত্রী । শাহাজাহানের শয্যাসঙ্গীনি হবার বিনিময়ে তিনি জাফর খানে জীবন রক্ষা করেন । জাফর খানকে সুবেদার করে বহু দূরে পাটনায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ।
.
এই রকম আরো অনেকের স্ত্রীকে শাহজাহান তার ক্ষমতা জোরে নিজের করে নিয়েছিলেন । পরস্ত্রীর প্রতি তার দুর্বলতা নিয়ে দিল্লীর গলিতে গলিতে কানাঘুষা চলতো । বিষয়টা এতটাই অপেন সিক্রেট হয়ে পড়েছিল যে সেই পরস্ত্রীরা যখন নিজের সম্ভ্রম বিকিয়ে দিতে শাহজাহানের প্রসাদে যেত তখন রাস্তার ভিক্ষুকরা চেঁচিয়ে বলতো - ওগো শাহাজানের প্রাতঃরাশ/ মধ্যাহ্নভোজ , কিছু দান করে যাও আমাদের । এই মহিলারা এইসব শুনেও গায়ে কোন অপমান মাখতেন না । তাদের যথারীতি ভিক্ষা দিতে বলতেন কর্মচারীদের। ১ টাকায় ৭ মন চালের কিংবদন্তীর কারণে বাংলার মানুষ খুব স্বাভাবিকভাবে শায়েস্তা খানের নাম স্মরণে রেখেছে । শায়েস্তা খান ছিল মমতাজ মহলের ছোট ভাই । তাঁর স্ত্রীও শাহাজাহানের শ্যন দৃষ্টি থেকে রক্ষা পাননি । তবে অন্যান্য রাজকর্মচারীদের থেকে শায়েস্তা খানকে কাবু করা অপেক্ষাকৃত ঝামেলার ছিল বিধায় শাহাজাহান বিভিন্ন ছলাকলার আশ্রয় নিয়েও শায়েস্তা খানের স্ত্রীর মন জয় করতে ব্যর্থ হন । এই অবস্থায় শাহাজাহানের সাহায্যে এগিয়ে আসে নিজ কন্যা স্বয়ং জাহানারা । হ্যাঁ , সেই বিখ্যাত জাহানারা ওরফে বেগম সাহেব । যার ব্যক্তিগত ইতিহাসও তার পিতার মতই যথেষ্ট কলংকময় । অফ টপিক- শাহজাহান থেকে আমল থেকে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জটিলতা এড়াতে নিজ কন্যা সন্তানদের বিয়ে দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অর্ন্তপুরে হাবসী গোলামদের সাথে তাদের অসামাজিক কার্যকালাপে প্রসাদ কুলষিত হয়ে পড়ে। শাহজাদা দারা একবার জাহানারার বিয়ের উদ্যোগ নিয়েছেন । যার কারণে ভ্রাতৃ যুদ্ধে জাহানারা দারার পক্ষ নেন। যাইহোক। জাহানারা পিতা শাহাজাহানকে খুশি রাখতে সদা তৎপর ছিলেন । জাহানারা শায়েস্তা খানের স্ত্রীকে এক ভোজ সভায় আমন্ত্রণ জানালেন । এক নারী কর্তৃক আমন্ত্রিত হওয়ায় তিনি শংকামুক্ত ছিলেন এবং ফলে যথারীতি সেই ফাঁদে ধরা পড়লেন । তারপর সেই প্রাচীন রোম সম্রাটদের কায়দায় খুব নিষ্ঠুরতার সাথে শাহজাহান তাকে ধর্ষণ করেন । সেই দুঃসহ অপমান মেনে নিতে পারেননি শায়েস্তা খানের স্ত্রী । তিনি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেন। এমনকি ধর্ষণের সময়ের পরিধেয় বস্ত্রও তিনি বদলাননি । এইভাবেই তিনি মারা যান । পরবর্তীতে শায়েস্তা খান তার স্ত্রীর আত্মহত্যার প্রতিশোধ নিয়েছিলেন শাহজাহানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আওরঙ্গজেবের সহযোগী হয়ে । শাহজাহানের শেষ দিনগুলো সম্পর্ক কিছু কথা না বলে পারছি না । লম্পট শাহজাহানকে ক্ষমতাচ্যুত করেন আওরঙ্গজেব । শাহজাহানকে গৃহবন্দী/ প্রাসাদবন্দী করে রাখা হয় আরো ১৫ বছর । তবে শাহজাহান কষ্টে ছিলেন না । তার ভোগ বিলাসের সবকিছু তাকে নিয়মিত সরবরাহ করা হত । তার কাম বাসনা ছিল খুব উগ্র । ৬৫ বছর বয়সেও তিনি নানারকম যৌনবর্ধক ঔষধ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন । তার প্রধান দুই সুন্দরী দাসী ছিল আফতাব (সূর্য) ও মাহতাব (চন্দ্র) । একদিন আয়নার সামনে গোঁফে তা দিচ্ছিলেন শাহজাহান । শাহজাহান খেয়াল করলেন দুই দাসী একে অন্যকে দৃষ্টি বিনিময় করছে । শাহজাহান সেই দৃষ্টিতে তার প্রতি তাচ্ছিল্য দেখতে পান । শাহজাহানের আত্মসম্মানে ঘা লাগে । শাহজাহান ঠিক করলেন কয়েক ধরণের যৌনবর্ধক ঔষুধ সেবন করে দাসীদের সমুচিত শিক্ষা দিবেন । তাদের শিক্ষা কতটুকু দিতে পেরেছিলেন তা ইতিহাস বলে না । তবে অতিরিক্ত ঔষুধ সেবন করায় তার মুত্রনালী বন্ধ থাকে ৩দিন । যা তাকে মৃত্যুর দারগোড়ায় নিয়ে যায় । . একদিন শাহজাহান হাতে একটি আপেল নিলেন । সাথে সাথে এক পুরানো ভবিষৎবাণী মনে পড়ে গেলো । শাহজাহান তখন শাহাজাদা হিসেবে বিজাপুরে অবস্থান করছিলেন । জুন্নার এক ফকিরকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন - তিনি কখন বুঝবেন তার মৃত্যু আসন্ন ? ফকিরটি উত্তর দিয়েছিল - 'যেদিন থেকে আপনি হাতের আপেলের ঘ্রাণ পাবেন না' । শাহজাহান তার হাতের আপেলটির ঘ্রাণ পাচ্ছিলেন না । এর কিছুদিন পরই শাহজাহানের মৃত্যু হয় । এ যুগ আর ঐ যুগের মাঝের পার্থক্য কেবল সময়ের । এই অন্যায়গুলো আজো সমাজে চলছে । কেবল ভিন্ন রূপে ।
.
.
শান্তনু চৌধুরী শান্তু
তথ্যসুত্র- হারেমের কাহিনী সাযযাদ কাদির

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আপেলের ঘ্রান এর গল্পটা জানতাম না।

০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১২

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: এই রকম আরো কিছু মজার কাহিনী আছে । কোন সময় করে লিখব । ধন্যবাদ :)

২| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুলিখিত

০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১২

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৩| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শাহজাহান তার সমুচিত শিক্ষা পেয়েছিলেন। শায়েস্তা খানের স্ত্রী কি জাহানারার মামি ছিলেন না?

আগে এসব করতো রাজা-বাদশাহরা? এখন কারা করে?

চমৎকার পোস্ট।

০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: হুম ছিল ।

এখন করে সমাজের উচ্চ শ্রেনীর মানুষেরা । প্রমোশনের জন্য বা চাকুরী বাঁচাতে নিজের স্ত্রীকে বসের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনা কি শুনেনি ?

৪| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৩৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এখনকার একনায়কদের মত আগের দিনের রাজা বাদশাহরা গৃহপালিত লেখক কবি পুষতেন। তাদের কাজ ছিল রাজাদের গুণকীর্তন প্রচার করা।

০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: শাসন ক্ষমতার আশে পাশে চিরকালই পদলেহী সম্প্রদায় ছিলো ।

৫| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১১

শের শায়রী বলেছেন: সাযযাড কাদিরের হারেম বইটি আমার নজরে আসে খোজা দের নিয়ে আমি যখন লিখি তখন। এখান লিঙ্কটা দিয়ে গেলাম যে কেউ চাইলে পড়তে পারে যেন হারেমের কাহিনী জীবন ও যৌনতা , সুখ পাঠ্য নিসঃন্দেহে। কিন্তু ইতিহাস ভিত্তিক বই লেখার প্রথম যে কন্ডিশান সেটাই উনি পুরন করেন নি। ইতিহাস নিয়ে লিখতে গেলে রাএ রেফারেন্স আবশ্যক। আমি এই বইর আগে পিছে কোথাও রেফারেন্স পাইনি। এর মানে এই না যে এর সব ঘটনাই মুখ রোচক কাহিনী। তবে যেহেতু উনি কোন রেফারেন্স দেয় নি এই সব কাহিনীর সেক্ষেত্রে এগুলোর অথেনটিটি নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে। উনার রেফারেন্স দেয়া উচিত ছিল আর না হলে মোগলদের নিয়ে লেখা আলেক্স রাদারফোর্ডের বিশাল পাচখন্ডের ইতিহাস ভিত্তিক উপন্যাস হিসাবেই এসে আমি ধরে নিচ্ছি।

ধন্যবাদ আপনাকে ঘটনাগুলো জানানোর জন্য। এটাও ঠিক এই শাজাহানের অনেক কেলেঙ্কারী আছে ঐতিহাসিক ভাবেই।।

০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ । খোজাদের নিয়ে আপনার লিখাটি কোনভাবে দেওয়া গেলে কৃতার্থ থাকব ।

৬| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৩৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: এসব বলে কোনো লাভ নাই। নজরুল থেকে সব কবি-সাহিত্যিকই এইসব লম্পটদের মহান প্রেমিক বলে গান-কবিতা লিখেছেন।
এই লম্পট নাকি মমতাজের জন্য তাজমহল বানিয়েছিলো।!!!
সৎপথে আয় করে একটা কূড়ে ঘরও বানাতে পারতো না।
বানিয়েছে তো জনগণের রক্ত শোষণ করে নেয়া টাকায়।
আওরেঙ্গজেব ছাড়া সব মোগল সম্রাট ধর্মবিরোধী ব্যাভিচার। আওরেঙ্গজেব তিন ভাই হত্যাকারী ভয়ংকর খুনী।কিন্ত কেউ তাদের ভন্ড-মোনাফেক-বক-ধার্মিক বলে না।
কে আলী তার সব ইতহাস বইয়ে এদের বিরাট ধার্মিক বলে উল্রেখ করেছেন।
এমনই বিচিত্র এই জাতি !!!!

০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২০

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: সবই মুদ্রার এপিট ওপিট

৭| ০৬ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:০৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

রাজবাদশারা এই সব অন্যায়, অত্যাচার করতেন বলেই সমাজে বেশ কয়েকটি বিপ্লব হয়েছে, আমরা বর্তমান যুগে অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছি। এরপরেও অনেক দেশে সামন্তবাদ ও রাজতন্ত্রের প্রভাব রয়ে গেছে - নেতৃত্বে লাম্পট্য ও নিষ্ঠুরতাও রয়ে গেছে অনেক। বাংলাদেশেও আধুনিক শাহজাহান হোমো এরশাদের ইতিহাস আমরা জানি। স্বৈরাচারী ও লম্পট সেই ব্যক্তিটিকে বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে অনেকে সম্মানও করেন । কিন্তু ব্যক্তিজীবনে ওই লম্পট ও চরম অসাধু রাষ্ট্রনায়ক গোটা দেশকে কি পরিমান নৈতিক স্খলনের তলানিতে নিয়ে গিয়েছে তা থেকে অদ্যাবধি জাতি বের হয়ে আসতে পারে নাই।

০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২২

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: সহমত । ঐ বললাম - পার্থক্য কেবল সময়ের :(

৮| ০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫১

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: শাহজাহান সম্পর্কে ভাল কিছু জানতাম। এতো কিছু জানতাম না, এখন জানলাম। যার চরিত্র ঠিক থাকেনা সেই ব্যক্তি যেই হোক, সে ভাল মানুষের মাঝে পড়ে না।

০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২২

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ভালো বলেছেন । :)

৯| ০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চার পাঁচশো বছর আগের ইতিহাস কতটুকু সঠিক, আর কতটুকু সঠিক নয় তা' নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। এই মাত্র পঞ্চাশ বছর (প্রায়) আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে ছিলেন, সেই বিতর্ক এখনো চলছে। যাদের প্রভাব প্রতিপত্তি তুলনামুলকভাবে অন্যদের চেয়ে বেশি, ইতিহাস তাদের পক্ষেই কথা বলে।

০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ইবনে খালদুন বলেন একটি জাতির (দেশের) সঠিক ইতিহাস ঘটনার ১০০ বছর পরে সঠিকভাবে রচিত হয় । আরো ৫০ বছর অপেক্ষা করতে হবে :)

১০| ০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২১

বিবেকহীন জ্ঞানি বলেছেন: বেশ তো। সম্রাট শাহজাহান সম্পর্কে এসব তো আগে জানতাম না তবে তার চরিত্রে কিঞ্চিত দোষ ছিল সেটা জানতাম।

০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: কিঞ্চিৎ নয় স্থুল রকমের দোষ আছে

১১| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইতিহাসের গোপন অধ্যায় জানা হলো।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৫

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ :)

১২| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইন্টারেস্টিং তো! চমৎকার লেখা।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৬

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ :)

১৩| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম আরো মজার কিছু লিখুন। লিখতে থাকুন।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৭

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ । হাতে অনেক সময় । আরো লিখবো :)

১৪| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: হেরেম,বহুগামিতা তাও খারাপের ভালো।কিন্ত ধর্সণ তো ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।ক্রামগত নারী সংসর্গে যাওয়া লোকরা একসময় পাগল কুকরের মতো বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাদের কোনো হুশ-জ্ঞান থাকে না।
বাংলা চলচ্চিত্রের এক খল অভিনেতা নামধারী পেশাদার অপরাধী আর এক বিরাট সাহিত্যিক টিভি চ্যানেল মালিকের মধ্যে প্রতিষ্ঠঅনিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য থাকলেও লাম্পট্যের দিকে দিয়ে দুইজনই একরকম। তারা এখন ১২-১২ বছর বয়সী মেয়ে খোজে।
এক মেয়েকে নিয়ে নাটকে অভিনয় করতে এসে তার মা আমাদের কয়েকজনের কাছে এই অভিযোগ দিয়েছিলেন।
এরকম বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে অগণিত যাদের আছে নিয়ে লিখতে পারি কিন্ত নাম বললে ব্লগের সমস্যা হবে তাই লিখিনা।
এসব জানোয়ারদের উপর দুইটা বিরাট বই লিখে রেখেছি,যা সময়মতো প্রকাশ করা হবে।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৯

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: অথচ এই ব্লগের ভয়ে অন্যরা কাঁপত ।

বইটির জন্য অপেক্ষায় থাকলাম । ধন্যবাদ :)

১৫| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৪৩

এইচ তালুকদার বলেছেন: প্রথমেই লেখাটার জন্য ধন্যবাদ,তবে সাজ্জাদ কাদিরের বই রেফারেন্স হিসেবে গ্রহনযোগ্য নয়।উনি বস্তির গসিপ টাইপের আবর্জনা ইতিহাস হিসেবে বইয়ে ঊঠিয়ে এনেছেন।ইংরেজি বই পড়ার অভ্যাস থাকলে জে,এন সরকার।সতীশ চন্দ্র।প্রভাতাংশু মাইতি,ম্যাডিসন,এন্ড্রু গারযা সহ অনেক জ্ঞানী লেখকদের লেখা হার্ডকোর ইতিহাসের বই পড়তে পারেন এগুলো অনলাইনে এভ্যাইলেবল।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১০

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ :) বইগুলো সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করছি ।

১৬| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৪৩

সোহানী বলেছেন: সম্রাট শাহজাহান এত বেশী ভোগবিলাশে মত্ত ছিল বলেই পরবর্তীতে সিংহাসন নিয়ে এতোটা মারমুখী ছিল সব ছেলেরা। অথচ আমরা শাহজাহানকে জানি একজন প্রেমিক পুুরুষ হিসেবে।

চমৎকার লিখায় ভালোলাগা।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১১

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: তাজমহলকে বাজারজাত করার জন্য । এই কথিত প্রেমিক রূপটির মূলত বিজ্ঞাপনের কৌশল । :)

১৭| ০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট । অনেক কিছু জানা হলো । আপেলের ঘ্রাণ শেষ হয়ে তবেই শাহজাহানের মৃত্যু ।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১১

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: আসলে মৃত্যু নিকটে আসলেই মানুষ ঘ্রাণ শক্তি হারায় । এখানে অলৌকিকত্ব কিছু নাই ।

১৮| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১৩

শের শায়রী বলেছেন: খোজাঃ পুরুষদের অসহায় হাহাকারের ইতিহাস সর‍্যি গত কিছুদিন অনিয়মত হওয়ায় লিঙ্কটা দিতে দেরী হল। ভালো থাকুন।

১৯| ০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বৃটিশরা মোঘল সম্রাটদে চরিত্র এভাবে কলঙ্কিত করেছে । নবাব সিরাজ উদ্দৌলাও বাদ পড়েনি । আসলে তারা যথার্থ সম্রাট ছি লেন । দেশের প্রভুত উন্নয়ন সাধন করেছেন। সম্পদে সমৃদ্ধ করেছে। বৃটিশরা তা লুট করেছে ও তাদের দোসর ও কতিপয় চামচিকা হিন্দুদের দিয়ে এসব লেখিয়ে মোঘলদের চরিত্র হনন করেছে। উপমহাদেশ বিভাগে বঞ্চিত করেছে মুসলমানদের। কাশ্মির একটা স্বাধীন রাষ্ট্র্র হতে পারতো । এক হিন্দু রাজার কারণে দ্বিজাতিতত্ত্ব কোথায় ভেসে গেল । বৃটিশরা মুসলমানদের বিরোধিদল মনে করতো । আর হিন্দুদের জাতীয় পার্টি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.