নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাপযাপ শরীফ

কাপযাপ শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর জীবন কি সস্তা হয়ে গেছে আমাদের দেশে ?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫২

সাবাস বদরুলরা সাবাস ! দেশ তো তোমাদের দখলেই আরে না দেশ না শুধু মায়ের পেটের মধ্যে, পৃথিবী দেখার আগের শিশুরাও তো তোমাদের দখলে ।

ছাত্রলীগের ক্ষমতা আর চাপাতির ক্ষমতা একই।আর তাই খাদিজাদের বেঁচে থাক দরকার। খাদিজা বেঁচে থেকে জানা দরকার, পুকুরপাড়ের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই ‘বদরুল আমাদের কেউ নয়’ বলে দায় এড়িয়ে যাওয়া ছাত্রলীগদের।

খাদিজা বেঁচে থেকে দেখুক, ছাত্রলীগের চাপাতির সামনে মানুষের ভয়, আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচাতে না আসার সাহস।আজ এটাই প্রার্থনা,খাদিজারা বেঁচে থাক কারন খাদিজারা বেঁচে থাকলেই তো বদরুলরা হেরে যাবে, হেরে যাবে প্রেমের নামে রক্তবাসনা । কণিকা, রিসা, নিতুকে বাঁচানো যায়নি, খাদিজা বেঁচে যাক। ত্বকী, তনু, আফসানার হত্যাকারীদের মনে ভয় ধরাতে বদরুলের বিচার হওয়া প্রোয়জন।

বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। ছাত্রলীগ হওয়ার কারণেই দীর্ঘদিন ধরে খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করে আসতে পেরেছিলেন তিনি। আর তাইতো খাদিজা দস্যু , খুনি দৃষ্টি এড়াতে হিজাবে ঢেকেছিল নিজেকে, তবু কি রক্ষা হলো? রক্ষা কি পেয়েছিল তনু? আফসানা,তবু ,কণিকা, রিসা, নিতু ও খাদিজাদের সহপাঠী বোনেরা তো দেশময় ছড়িয়ে আছে তারা কি আজও রক্ষা পাবে বদরুদের চাপাতির হাত থেকে? আমরা কি পারব আমাদের বোনদের একটি নিরাপত সমাজ,নিরাপত দেশ দিতে?

উত্ত্যক্তকারী বদরুলকে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নেতৃত্বে না বসালে হয়তো চাপাতি বদরুলের জন্ম হতো না।ছাত্রলীগ হওয়ার জন্যই বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রী আফসানাকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা রবিন ও তাঁর বন্ধুদের এখনো কিছু হয়নি। নারায়ণগঞ্জ এর চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্রী সীমা বানু উত্ত্যক্ত করার কারণে ২০০১ সালের ২৩ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেন। ঘটনার ১৫ বছর পার হয়ে গেছে। মামলাটির এখনো চূড়ান্ত নিষ্পত্তিই হয়নি। তাহলে কি নারীর জীবন সস্তা হয়ে গেছে আমাদের দেশে?

‘বিচার চাই’ ‘বিচার চাই’ বলে চিৎকার করে, ছাত্রসংগঠন করে, মানবাধিকার সংগঠন করে, তনুর মায়েরা রাস্তায় রাস্তায় সভা করে বুকফাটা কান্না করে কি কিছু বদলেছে? হা কিছু কিছু ঘটনার বিচার হয় সত্য।যেমন বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের হয়েছে।আবার তাও সত্য যখন অপরাধী হয় ক্ষমতার সিঁড়ির নিচের দিকের লোক, তখন বিচারের আশা ধিকিধিকি করে জ্বলে।
বাই দ্য ওয়ে,এত পরিমান অবিচার হয়েছে যে, তাতে অনেক বদরুলরা আশকারা পেয়েছে, পয়দা হয়েছে অনেক বদরুল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.