নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মি: রিজভী, সিঙ্গাপুর ক্যারিফোর দোকান থেকে একটি বেল্ট ক্রয় করেন। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্যমান তিন হাজার টাকা মাত্র।
ঢাকায় এসে আবিষ্কার করলেন বেল্ট নিশ্ছিদ্র। অগত্যা অফিস শেষে মুচির নিকট গমন।
মুচি বেচারা রিজভী সাহেবের অফিস গুলশান টাওয়ারের নিচেই বসে। মূল আয় তার বিল্ডিং এ আগত চাকুরী ইন্টারভিউগামী ছোকরাদের জুতা পালিশ করেই। চাকুরী ইন্টারভিউগামীদের দেখলেই সে কিভাবে যেন বুঝে যায় এবং ফিলিপ কটলার সাহেবের বাধ্য ছাত্রের মত পুশ মার্কেটিং করে।
যাই হোক, বষর্াকাল। ব্যবসায় খারাপ। ছোকরাদের জুতা বৃষ্টিতে অটো পরিষ্কার থাকে। ফাজিলগুলা প্যান্টের পিছনদিকে জুতা কিঞ্চিত ঘসেই লিফটের সামনে লাইন দেয়।
"কত নিবা? ছিদ্র করতে?"
সারাদিনের আয় আজকে ৬০ টাকা। আশান্বিত হয় মুচি। পাশে বসা মেঝ ছেলে চোখ তুলে তাকায়। সারাদিনে ২ বার ঝালমুড়ি জুটেছে। ১২০ টাকা আয় না থাকলে বাড়িতে চারজন অভুক্ত থাকবে।
"বিশ টাকা স্যার"
তিনটা বারি দিবা হাতুড়ী দিয়ে... বিশ টাকা?
আহারে বেচারা মুচি, মনে চায় কি যেন বলতে। পারে না। কটলার সাহেব হলে বলতেন 'ওভারহেড কস্ট', 'অপারচুনিটি কস্ট'...।
"পাঁচ টাকা দিব, করবা?"
"পনের টাকার কম হবে না স্যার,"
রিজভী সাহেবের প্রস্থান।
মুচি মেঝ ছেলেকে ইশারা দেয়, স্যারের দিকে চোখ রাখার জন্য। ট্রেনিং দেয়া আছে আট কদম পার হলেই দৌড় দিয়ে কাস্টমার ধরে আনতে।
আট কদম শেষ। মেঝ ছেলে দৌড় দিল। স্যারকে সাথে নিয়ে আসল।
৩ মিনিটে বেল্ট কোমরে।
জয়ী হলো মি: রিজভীর নেগোসিয়েশন প্রসেস এবং স্কিল।
টোটাল ডাইরেক্ট কস্ট অফ বেল্ট ইজ তিন হাজার পাঁচ টাকা।
২| ২১ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:৪৭
বিডি আইডল বলেছেন: এইটা ক্যামনে হাসির গল্প যে উপরে একজন হাইসা গেল??
৩| ২১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:১৭
আদম_ বলেছেন: লেখার হাত আছে আপনার। আপনাকে দিয়ে হবে। সুন্দর, অতি সুন্দর হয়েছে গল্পটা। অসাধারণ। আজকেই সময় করে আপনার সব লেখা পড়ে ফেলতে হবে।
৪| ২১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:২২
এহসান সাবির বলেছেন: বেশ!
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ২:১০
মনে নাই বলেছেন: হাহাহাাহাহা...।