নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখনো বলতে পারার মতো জানা হয়নি...

সেই অদ্ভুত ভালো লোকটা, তার অনেক কিছু দেখা চোখটা স্বপ্ন দেখে সে যদি কোন দিন তার স্বপ্ন সত্যি হয় সে কি কিছুটা তোমার সে কি কিছুটা আমার মতো নয়…

শেগুফতা শারমিন

এখানে মৃত্যু দড়িতে নাড়া শাড়ির মতো হালকা হাওয়ায় ওড়ে, এখানে মৃত্যু জানলার কাঁচে কুয়াশার মতো ঝরে

শেগুফতা শারমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুইজনে মিলে

৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০১

(পৃথিবীতে যত প্রকার লেখালেখির ধরন আছে, সম্ভবত: গল্প লেখা তার মধ্যে কঠিনতম। কিছু একটা কল্পণা করে সাজানো, তারপর পাঠকের মনের মতো করে ‍তুলে ধরা, অত্যন্ত জটিল কাজ। হয়তো লেখক লিখে গেলেন, ভাবলেন পৃথিবীর সেরা গল্পটা বুঝি তিনি লিখে ফেললেন, কিন্তু পাঠক সেটা পছন্দই করলো না। হতেই পারে এমন। সেইসব কিছু মাথায় রেখেই এই গল্পটা। দুইজনে মিলে একটা গল্প। দেখা যাক…কি হয়…)

এটাও একটা গল্প হতে পারতো…হতে পারতো কেন বলছি? তাইতো হতেই তো পারতো। না থাক দোতলায় কোন ল্যান্ডিং। না হোক মুখোমুখি ফ্লাট। একজন সিঁড়িতে আর একজন দরজায় নাই বা দাঁড়াক। তারপরওতো এটা একটা গল্প হতেই পারতো। অথবা শুভঙ্কর বা নন্দিনী না হোক তারপরও এটা একটা গল্প। গল্পটা প্রায় কাছাকাছি সময়ে বেড়ে ওঠা দু’জন মানুষের গল্প। মনে করি দু’জন মানুষ। হয়তো পরস্পরের চেনা বা অচেনা। যে কোনটাই হতে পারে। সে মানুষ দু’জন হঠাৎ কোথাও মিলে গেল একটা বিন্দুতে। হয়তো তারা একই ট্রেনে যাচ্ছিলো, মুখোমুখি সিটে। অথবা ধরে নেই তাদের দেখা হলো একটা চায়ের টংঘরে। এক বাসের যাত্রী দু’জন হঠাৎ মাঝরাস্তায় তেল ফুরোলো। বাস দাঁড়িয়ে গেল। তারপর দেখা হলো প্রথমের সঙ্গে দ্বিতীয়র। অথবা মনে করি মানুষ দু’জন এক। কোন এক ভোরে পারকির সৈকতে খালি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে নিজের সঙ্গে নিজের কথোপকথন।

প্রথম: ওয়াও!! কি সুন্দর ঝর্ণাটা…দেখেন দেখেন…
দ্বিতীয়: হ্যাঁ, দারুন সুন্দর!
প্রথম: ঝর্ণা আমার ভীষণ পছন্দের।
দ্বিতীয়: আমারো। আমার খুব ইচ্ছে ইগুয়াজু নামে একটা ঝর্ণা আছে ব্রাজিল-আর্জনটিনার সীমান্তে, সেটা দেখতে যাওয়ার।
প্রথম: বাহ! তাই? আমার মাঝে মাঝেই মনে হয় একটা পৃথিবীর কতটুকুই দেখা হয় এক জীবনে। অতদূরে নয়, বহুদিনের শখ তিব্বত যাওয়ার, হয়ে আর ওঠে না
দ্বিতীয়: তিব্বত তো কাছেই, যেতেই পারেন। অনেকেই যাচ্ছে এখন...
প্রথম: যায় অনেকেই, কিন্তু যোগ বিয়োগ করে আর যাওয়া হচ্ছে না
দ্বিতীয়: তবে আমি জানি আপনার যাওয়া হবে। পোটালা প্যালেস দেখে এসে লিখবেন অসাধারন ট্রাভেলগ
প্রথম: আরেহ বাবাহ, গেছেন নাকি ? অনেক আগে ২০০৭ এ সত্তোরোর্ধ এক আইরিশ কলিগের কাছে প্রথম শুনেছিলাম। ও আমাকে এঁকে দেখিয়ে দিয়েছিল রুটটা। সেই থেকে ম্যাপেই দেখে যাচ্ছি।

দ্বিতীয়: নাহ, আমিও যাইনি। তবে না যেয়েও গেছি অনেক। পোটালা প্যালেস আমার সবচেয়ে প্রিয় স্থাপনা। বহুদিন ওটার ছবি আমার পিসির ডেক্সটপের ওয়ালপেপার ছিলো।

প্রথম: গতবছর আমার এক বন্ধু গেল

দ্বিতীয়: আমার ভার্সিটির ছোটভাইরা গেলো কিছুদিন আগে। নেপাল হয়ে তিব্বত, তিব্বত হয়ে লাদাখ

প্রথম: লাদাখে যেতে ইচ্ছা হয় না, রুক্ষ. ন্যাড়ামাথা ভালো লাগেনা

দ্বিতীয়: হা, লাদাখ অনেক রুক্ষ, হাই অলটিচ্যুড ডেজার্ট। তবে তিব্বত কিন্তু সেই আগের অবস্থায় নেই। বেইজিং থেকে ট্রেন চালু হবার পর অনেক বেশি টুরিষ্ট আসে, পোটালা প্যালেসের সামনে অসংখ্য হোটেল

প্রথম: চালু হয়েছে ট্রেন?

দ্বিতীয়:পুরোপুরি লাসা পর্যন্ত আসে কিনা যানিনা, তবে চালু হয়েছে।

প্রথম: তিব্বত এখন অনেক অন্যরকম। অনেক বিলাসবহুল, রাস্তা শানশান, বিরাট উন্নত, চাইনিজ উন্নতি

দ্বিতীয়:: হা চাইনিজরা যে কি শুরু করছে না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল

প্রথম: আসলে জানেন, আমার একটা পঁচা অভ্যাস ঘুরেফিরে পুরান জায়গায় যাই। একবার যাওয়া জায়গা বারবার ডাকে। এইজন্যও কম জায়গায় ঘোরা হয়, সংখ্যায়। একবার ভালো লাগলে সেখানেই যাই বারবার
আমার পছন্দ খুব স্থির, বদল হয় কম।

দ্বিতীয়: হা অনেকের এই অভ্যাস আছে। আমি মাঝামাঝি, দুবার যাই। একবার নিজে, আরেকবার প্রিয় মানুষদের নিয়ে।

প্রথম: প্রথমে রেকি করে আসেন?

দ্বিতীয়: তবে কোলকাতা আমার বারবার যেতে ভালো লাগে

প্রথম: ক্কোলক্কাতা??? এটাতো জোশ!!!

দ্বিতীয়: কোলকাতার গল্প উপন্যাসের নায়ক নায়িকারা যেন সব সময় ঘুরতে থাকে আমার চারপাশে

প্রথম: আমার ঘোরে ফেলুদার রাস্তা গুলো। আমি কলকাতার মোটা মোটা সাহিত্য খুব কম পড়েছি
এজন্য চরিত্র কম আসে। সেই ফেলুদা তোপসে পর্যন্তই আমার দৌড়

দ্বিতীয়: কেন কালবেলা কালপুরুষ পড়েন নাই?

প্রথম: না। অবাক হলেন?

দ্বিতীয়: ফেলুদার অনেক উপন্যাসেই কোলকাতার বিভিন্ন জায়গার বর্ণনা আছে। তবে নিউমার্কেটের আশেপাশের জায়গাগুলো বেশি চিনি। গা কাটা দেয়

প্রথম: জ্বি ব্যোমকেশেও আছে

দ্বিতীয়: হা অবাকতো হলামই। আপনার সাথে এসব গল্প খুব যায়

প্রথম: তাই নাকি? আমার কোনদিন পড়ার ধৈর্য্য হয় নাই। তবে বুদ্ধদেবের কিছু লেখা পড়েছি। ওর বর্ণনা অসাধারণ।

দ্বিতীয়: মানে আপনার ভাবনার সঙ্গে সমরেশের গল্পের খুব মিল পাওয়া যায়। যদিও আমি সমরেশের ভক্ত না আমি সুনীলের মেগা উপন্যাসের ভক্ত

প্রথম: সুনীলের কিছু কিছু আমিও পড়েছি। সেই সময়, পূর্ব পশ্চিম, প্রথম আলো। প্রথম আলো পড়ে বিরক্ত লাগছিলো্। কারন আমি রবীন্দ্রনাথের ভক্ত। আর মজার ব্যাপার হলো আমি সমরেশের কোন বড় উপন্যাসই পড়ি নাই। আনন্দমেলায় ছাপা হওয়া কিশোর গোয়েন্দা উপন্যাস ছাড়া। তবে ছোটদের জন্য লেখা শীর্ষেন্দুর ছোট ছোট বইগুলো আমার খুব প্রিয়। এখনও পড়ি। আর পছন্দ করতাম সুনীলের কাকাবাবু সিরিজ।

দ্বিতীয়: সুনীল বাংলার পুরো ইতিহাসটাই তুলে এনেছে তার ট্রিলজিতে।শুরু হয়েছে সেই সময় দিয়ে। ১৮৬০/৬৫ থেকে।তারপর পূর্ব পশ্চিম ।তারপর প্রথম আলো।

প্রথম: ওই যে বললাম আমি পূর্ব পশ্চিম পড়েছি। সেই সময়, প্রথম আলোও। কলেজে প্রথম আলো, তার আগে বাকি দুটো। কিন্তু প্রথম আলোতে মনে হয়েছে সুনীল ইচ্ছা করে রবীন্দ্রনাথকে ছোট করতে চেয়েছে, আমার ভালো লাগে নাই এটা। আর কেন যেন আমার মনে হয় বাংলা সাহিত্যের একটা সময় গেছে ২০/২৫ বছর আগে, যখন অনেকটা ইচ্ছা করেই একটা জেনারেশন কলকাতার লেখকদের এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছে যে এতে আমাদের লেখকরা তার প্রাপ্যটা পায় নাই। পিছনে ফিরে যদি দেখি সে সময় আমাদের শওকত আলি বা আকতারুজ্জামান ইলিয়াস রা লিখতেন। কিন্তু জেনারেশন বুঁদ ছিল ওই বাংলায়। আরেকটা ব্যাপার হলো তখন অযথাই হুমায়ূন আহমেদের লেখার প্রতি একটা উন্নাসিকতা তৈরি করার চেষ্টা করা হতো। এদেশের কিছু শিক্ষিত মানুষ মনে করতেন বা মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন এভাবে যে, হুমায়ূন আহমেদ পড়া মানে হলো সস্তা কিছু পড়া আর ভারতীয় বাংলা সাহিত্য খুব মহার্ঘ কিছু। না পড়লে জাত থাকলো না টাইপ।ওদের সংগে তুলনা করে বলা হতো হুমায়ূন আহমেদ চালভাজা লেখে । অথচ হূমায়ুন আহমেদের লেখা, বর্ননার ধরন সুনীলদের চেয়ে অনেক সহজ, অনেক জীবন ঘনিষ্ট।

দ্বিতীয়: আমি প্যারালালি হুমায়ুন আহমেদ ও সুনীল পড়েছি
প্রথম: বুঝেছি। অনেকেই তাই করেছে। কিন্তু তারপরও বলবো সেসময় হুমায়ুনকে অনেক খাঁটো করে দেখার প্রবনতা ছিল। পাঠক হিসেবে বলবো, আমি আসলে অনেক কম পড়েছি। একটা মজার কথা জানেন? আমি মাসুদ রানা, তিন গোয়েন্দা কোনটাই পড়ি নাই । মানে পড়া হয়ে ওঠেনি আর কি।

দ্বিতীয়: কি বলেন? আমাদের সময় আমরা প্রথমে পরতাম রুপকথা তারপর দস্যু বনহুর, তারপর কুয়াশা, তারপর সেবার অন্যান্য বই, মাসুদ রানা, তারপর কোলকাতা, তারপর হুমায়ুন আহমেদ, তারপর আতেলেক্চুয়াল সব বই

প্রথম: হি হি, তাইলে তো বলতে হয় আমার পাঠাভ্যাস বহুত আজব! রুপকথা পড়তাম, এমনকি এখনও পড়ি। যখন কোন বড়দের বই পড়ে দেখি কোথাও না কোথাও মিলে গেল, নিজের সঙ্গে। কেমন যেন বিষন্ন লাগে। এই সেদিন ভোরবেলায় পড়লাম মালঞ্চ। পড়ার পর সারাদিন মুড অফ। এর চেয়ে ভালো রুপকথা পড়া। ‘অত:পর তাহারা সুখে শান্তিতে বাস করিতে লাগিলো’। আহা কি সুখ।

দ্বিতীয়: আপনার সিরিয়ালে গ্যাপ আছে।
প্রথম: হুমম জানিতো। স্বীকারও করছি। পূরণও হবে না আর কোনদিন। যে সময়ের পড়া সে সময় না পড়লে আর মনে ধরেনা। ওহ আরেকটা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, প্রচুর ভুতের গল্প পড়তাম।

দ্বিতীয়: আমাদের পড়ার স্টেপটায় সে সময় তিন গোয়েন্দা ছিলো না। পরে আমি ওয়েস্টার্ন, তিন গোয়েন্দা সবই পড়েছি।

প্রথম: আমার বললাম, কোন স্টেপ ফেস্টেপ নাই। ক্লাশ ফাইভে পড়েছি পথের পাঁচালি। জ্বি পথের পাঁচালি, আম আঁটির ভেঁপু নয়। ক্লাস সেভেনে দেবদাস। এ্যানা ফ্রাঙ্কের ডায়েরী। নাইনে খেলারাম খেলে যা।

দ্বিতীয়: আপনি দেখি পুরাই অন্য লাইনে ছিলেন। অনেক বেশি ম্যাচিওরড।
প্রথম: তবে সেবার কিছু অনুবাদ কিন্তু আমিও পড়ছি। ক্লাশ থ্রিতে দ্য প্রিন্স এন্ড দ্য পপার

দ্বিতীয়: মারসে
প্রথম: কোনটা?
দ্বিতীয়: থ্রিতে প্রিন্স এন্ড দ্য পপার !

প্রথম: হঠাৎ পেয়ে গেছিলাম। ভাল লাগছিলো পড়তে। তবে আমার সবচেয়ে প্রিয় ছিলো শাহরিয়ার কবির। বার্চবনে ঝড়, সীমান্তে সংঘাত, নুলিয়া ছড়ির সোনার পাহাড়

দ্বিতীয়: হেয়ার ইউ কাম টু দ্যা পয়েন্ট। শাহরিয়ার কবীর আমারও প্রিয় ছিলো। সীমান্ত সংঘাতের সেই সাসপেন্স আমি এখনও অনুভব করতে পারি। কি অসাধারন লেখা, আর পারিবারিক পরিমন্ডল। অসাধারন!

প্রথম: মূলত পাহাড়ের প্রেমে পড়েছি সীমান্তে সংঘাত থেকে
দ্বিতীয়: আমিও। আমার সবচেয়ে প্রিয় বই সীমান্ত সংঘাত
প্রথম: আমারো

প্রথম: একটা কিশোর উপন্যাস পড়েছিলাম রহস্য পত্রিকায়, ধারাবাহিক। নাম ছিলো পৌরুষ।

দ্বিতীয়: কার লেখা?

প্রথম: কার লেখা মনে নাই। রকিব হাসানের অনুবাদ

দ্বিতীয়: আপনি হুমায়ুন আজাদের ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা পড়েছেন?
প্রথম: পাগল করা বই

দ্বিতীয: আমি পড়েছি একদম ছোট বেলায়। ধান শালিকের দেশের নাম শুনেছেন?
প্রথম: ওইযে ছোটদের পত্রিকাতো? পড়েওছি।

দ্বিতীয়: আপনাদের সময়তো পাওয়ার কথা নয়। আমাদের সময় ৬ মাস পর পর বেরুতো

প্রথম: আমার বড়ভাই লিখতেন, পুরান সংখ্যা বাসায় ছিল। সেখান থেকেই পড়া।

দ্বিতীয়: তাই? বাহ! আমি ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা পড়েছি ধানশালিকের দেশে

প্রথম: হিংস্বা করলাম

দ্বিতীয়: তা করতে পারেন।

প্রথম: ধারাবাহিক?

দ্বিতীয়: সেই কতো পুরাতন সময়ের কথা এখনও মনে করতে পারি। থারাবাহিক না একটা সংখ্যাতেই পুরোটা ছিল মনে করতে পারিনা। তবে এটা মনে আছে একটা সংখ্যাতেই অনেকটা ছিলো।

প্রথম: আমাদের ছোটবেলায় আমরা উন্মাদ পড়তাম। টু তে থেকে মনে হয় প্রথম দেখেছিলাম। ’৮৭ সাল হবে। একবার একটা কাভার ছিল এক চর্মসার বৃদ্ধা হাতে একটা টিকেট নিয়ে বলছে ‘ওপি ওয়ান পাইছি, ফরেন যামু’ ।

দ্বিতীয়: আমরা কিন্তু রাশিয়ার বইয়ের দারুন ভক্ত ছিলাম। মালাকাইটের ঝাঁপি বোঝহয় বাংলাদেশের সব শিক্ষিত বাসায় ছিলো। হাহাহাঃ
প্রথম: জ্বি জ্বি প্রগতি প্রকাশনী। চমৎকার ছবি আর বাঁধাইয়ের সাদাকালো সব বই। কত রকম সাইজ একেকটা বইয়ের। ইশকুল ছিল ঢাউস এ ফোর সাইজ। ইস্পাত ছিলো এই মোটা। আর ভেরা পানোভার পিতা ও পুত্র ছিলো বাসায় একটা পকেট সাইজ বই।

দ্বিতীয়: ইশ কি অন্যরকম ছিল, আমাদের সময়গুলো।

প্রথম: সময় এখন যাদের, তাদেরও একসময় অন্য রকম হয়ে যাবে। আসলে বাংলাদেশটা খুব দ্রুত বদলায়। এক প্রজন্মের সঙ্গে আরেক প্রজন্মের ব্যবধানটা তাই বেড়েই যায়।

দ্বিতীয়: ঠিক বলেছেন। আগে ভেবে দেখিনি এভাবে।

প্রথম: মেঘ করেছে, বৃষ্টি নামবে। ঝুম বৃষ্টি।

দ্বিতীয় : হুম আমাদের আষাঢ়ে বৃষ্টি।

এরপর ধরে নেই যদি ট্রেন হয়, তাহলে ট্রেনটা এসে থেমে গেল একটা গন্তব্যে। নামার সময় হলো কোন একজনের। অথবা যদি বাস হয়, তাহলে তক্ষুন তক্ষুন আবার যাত্রা শুরু। অথবা পারকির সৈকতে অন্য বন্ধুরা এসে ভেঙ্গে দিলো মৌনতা। মোটকথা গল্পটার এখানেই শেষ হতে হলো। কেউ কারো নাম জানলোনা। জানলোনা কোথায় পাবার ঠিকানা। দু’জনের পথ গেল চলে যার যার গন্তব্যে। শুধু গল্পের মতো কয়েকটা মূহুর্ত জমা হয়ে রইলো একটা বইয়ের পৃষ্ঠায়। যার অনেকটাই আবার আষাঢ়ে গল্প।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:২১

সুমন কর বলেছেন: লেখাটি ভালো লাগল।

৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

শেগুফতা শারমিন বলেছেন: :)

২| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

ফয়েজুল হাসান বলেছেন: ভিন্ন আমেজের লেখা, ভালো লাগল।

৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

শেগুফতা শারমিন বলেছেন: মন্তব্য পেয়েও ভালো লাগলো। ধন্যবাদ :)

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

জুনায়েদ জুবেরী বলেছেন: ভালো লেখা।

৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

শেগুফতা শারমিন বলেছেন: ভালো লাগলো।

৪| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেগুফতা শারমিন ,



এরকমটাই হয় । শুধু গল্প কেন , কবিতার বেলাতেও তাই । মনে হয় নোবেল প্রাইজ এবার পেয়েই যাচ্ছি । পৃথিবীর সেরা এই ইচ্ছেটা নিয়েও একটা "গপ্পো" হতে পারতো । দেখবেন তা ও কেউ পড়ছেনা.. পড়ছেনা ....পড়ছেনা .. আবার হঠাৎ কেউ পড়েই ফেললো ।
এই যেমন এই গল্প হবার গল্পটা পড়েই ফেললুম । "প্রথম" কে "প্রথমা" ধরে নেয়া যেতেই পারতো ! নামখানাও লিখে দেয়া যেতে পারতো ! "শেগুফতা শারমিন" ও হতে পারতো নয়তো "তাগুফশে শামরিন" ও হতে পারতো । "দ্বিতীয়" কে "দ্বিতীয়"র জায়গায় রেখে দেয়া যেতেও পারতো । অথবা লিঙ্গান্তর করা যেতেও পারতো । শুধু ভ্রমন আর বই নিয়ে কথা না হলেও পারতো । কেবল ষ্টারপ্লাসের সিরিয়াল অথবা "গে-ম্যারেজ" নিয়ে তুমুল কথা হতে পারতো ।

নতুন একটা আঙিকে লিখেছেন বলে " সুন্দর" বলা যেতে পারতো । পারতো কেন ? বলেই ফেলা হলো ...

৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

শেগুফতা শারমিন বলেছেন: কিছূু জিনিস থাকতেও পারতো, অন্য কেউ তার মতো ভেবে নেবার অপেক্ষায়, পারতো কেন, পারলোই তো । গল্পটা যখন লেখা হলো তখনও গে ম্যারেজ আসে নাই। দুদিন পরে লিখলে হয়তো আসতেই পারতো। এরকম কত কিছুই তো হতেই পারতো, আবার একটুর জন্য কতকিছুই তো হলোনা। এই যেমন সুন্দর না বলতে বলতে তো বলেই ফেলা হলো...
(তবে বোঝা গেল শুধু গল্প নয়, মন্তব্যও সুন্দর হতে পারে। ) :)

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৫৩

অনঢ়পাথর বলেছেন: অদ্ভুত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.