নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

brotoweb.wordpress.com/

ব্রতশুদ্ধ

ব্রতশুদ্ধ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনলাইন সাহিত্য পত্রিকার প্রসার এবং কিছু কথা

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৭


সাহিত্যের উদ্দেশ্য কি?? কেন মানুষ কবিতা, গল্প, উপন্যাস লিখে?? সুনাম?? যশ? নিজের ভাবধারা সকলের কাছে পৌঁছে দেবার উদ্দেশ্যে? নাকি শুধুই মনের খোরাক। জানিনা। আমি বিজ্ঞ্ নই।
বইমেলা চলছে। পড়ুয়াদের জন্য এটি শুধু একটি মেলা নয়।। এই মেলা একটা উৎসব। লেখক পাঠকরা শুধু মুখিয়ে থাকে এই দিনটির অপেক্ষায়। নতুন বইয়ের গন্ধে ,মলাটে, শব্দে হারিয়ে যেতে চায় তারা। কিন্তু সত্যিই কি নতুন লেখকরা পাঠকদের মনের খোরাক মেটাতে সক্ষম হচ্ছে? নাকি নিজের নামের পেছনে শুধুই লেখক তকমা লাগানোর জন্য বই লিখে যাচ্ছে?? বলি কি আহার, তৃষ্ণা যেমন পেটের চাহিদা মেটায় তেমনি আত্মার চাহিদা মেটায় সৃষ্টিশীলতা।
তাই পাঠক মনের চাহিদা খোঁজার জন্য প্রকাশকদের আরো কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। একজন নতুন লেখকের অবশ্যই একজন প্রকাশকের দ্বার মাড়াতে হয়। নাহলে একজন প্রকাশকের সাধ্যই কি যে ঘরে বসে ডায়েরিতে কবিতা গল্প লিখা মানুষটিকে খুঁজে বের করার। তাই বলছি বাংলাদেশে অনলাইন সাহিত্য পত্রিকার প্রচলন আরো বেশি করে বাড়ানো হোক। তাতে ঘরে বসেও একজন লেখক নিজের সাহিত্য রচনার পারদর্শিকতা বা সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিতে পারে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশে এখনো অনেক ভালো নতুন লেখক আছেন যারা নানাবিধ জটিলতায় নিজেদের উৎসাহটাই হারিয়ে ফেলেন। এই সামুতেই যারা লিখেন তাদের অনেকেই খুব ভালো লিখেন আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকের বড় ভক্ত কিন্তু নানাবিধ জটিলতায় উৎসাহটাই যেন কোথায় হারিয়ে যায় ।
প্রকাশক, সম্পাদক এবং এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না যে নতুনদের মেধা মনন পরীক্ষার খাতা, ফেসবুক, টুইটার, ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান্স কিংবা কোন ট্রেন্ডিং ইউটিউব ভিডিওতে হারিয়ে যাক।
তরুণদের ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকার মত সাইটগুলোতে এক্সেসের মাত্রা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক এবং তা থেকেই সুযোগ করে দেয়া হোক আগামী প্রজন্মের মহীয়ান জাঁদরেল লেখকদের। সে দ্বায়িত্বটা অবশ্যই বাংলাদেশের গুণীজনদের উপরই বর্তায়।
বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ। আরো সমৃদ্ধ হোক। রবীন্দ্রনাথ নজরুল আর হবে না। সম্মান রেখেই বলছি গুরুদের প্রতি যে ইনাদের থেকেও ভালো কেউ হবে না তা ধরে নেয়া ঠিক নয়। বাংলা সাহিত্যের এই মহীরুহরা যদি বেঁচে থাকতেন তবে কি সাহিত্যের হাল এমন হতো?? আমি ব্যক্তিগত ভাবে খুব আশাবাদী আবার একাধারে হতাশও। সাহিত্যের জয় হোক। জয় হোক বাংলাভাষার। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের সাহিত্য এবং সেই সাহিত্য জানিয়ে দিক বিশ্বকে যে বাংলার কৃষ্টি ও কালচার কত্তো সমৃদ্ধ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: সহমত।
আমাদের দেশে এ নিয়ে তেমন কাজ হচ্ছে না।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪১

ব্রতশুদ্ধ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
একজন লিখলেই আঁতেল আর কারী কারী টাকা কামালেই স্মার্ট!! এ ধারণা বদলে দিতে হবে। সে দ্বায়িত্ব অবশ্যই সাহিত্য সমাজ সহ সুধী সমাজের সকলেরই। সাহিত্যই পারে মানুষের নৈতিকতার বিপর্যয়কে রোধ করতে। সাহিত্যের জয় হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.