নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেঁচে থাকাটা দারুণ ব্যাপার ....

সুলতানা শিরীন সাজি

shazi১৯এট জিমেইল ডট কম আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ।খেলে যায় রৌদ্র ছায়া,বর্ষা আসে বসন্ত।কারা এই সমুখ দিয়ে আসে যায় খবর নিয়ে,খুশী রই আপন মনে-বাতাস বহে সুমন্দ।সারাদিন আঁখি মেলে দুয়ারে রব একা,শুভক্ষণ হঠাৎ এলে তখনি পাব দেখা।ততক্ষন ক্ষণে ক্ষণে হাসি গাই আপন-মনে,ততক্ষন রহি রহি ভেসে আসে সুগন্ধ

সুলতানা শিরীন সাজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

(স্বপ্নের জীবন যখন যেমন )

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫১




শোন,আমি চলে যাচ্ছি ।
আমি থাকতে এসেছিলাম
পথহারা পথিকের মত একদিন, তোমার আঙিনায় !

একগোছা চাবির মধ্যে থেকে, একটা সোনালী চাবি হাতে দিয়ে বলেছিলে, ‘এই ঘর, এই জানালা, জানালার বাইরের আদিগন্ত আকাশ,ছাদ জুড়ে ফুল বাগান আর সেই সিঁড়িঘরটা, সব তোমার!’
আমি প্রিয় গল্পের ললিতা হয়ে আঁচলে সেই মস্ত চাবি ঝুলিয়ে কত রাতদিন সেখানেই।
কবে কোনো এক সাজি তার কবিতায় বলেছিল,’তুমি দিনমান কবিতা লিখবে আর আমি মেঘের ভেলায় সাজাবো আমার স্বপ্নলোকের ডিঙা!’
আমি আমার ঘর সাজিয়েছিলাম সেই কবির ক্যালিগ্র্যাফী কবিতায়!

আমি একজীবনে একটা হলদে ঝুটি পাখি ছিলাম। আমার মানুষ জন্মে আমার প্রত্যাশা জুড়ে তাই শুধু পাখিদের কোলাহল!
বৃষ্টি নামলে ছাদ বাগানের সেই টিনের ঘরটায় বসে বৃষ্টি শুনতে শুনতে আমি তোমাকে ডাকতাম। তুমি দূরের কোন বনভূম থেকে ভিজতে ভিজতে আসতে!
তোমার পুরো গায়ে সবুজ পাতার গন্ধ। মানুষ কখনো এমন অবুঝ সবুজ হতে পারে, আগে জানিনি!
তোমার চুল বেয়ে পড়া পানি পড়ে আমার চোখের কাজল ধুয়ে যেতো!তুমি আমার কান্না সহ্য করতে পারতেনা আমি তাই বৃষ্টির কান্নায় মিশে যেতাম!
আমাদের দেখা হওয়ায় মাঝেমাঝে নদী জুড়ে যেতো। সেই নদীর নাম তুমি দিয়েছিলে,নীল।মিশরের নীল নদের কথা মনে করেই কি! একটা কাঠের ডিঙিতে ভেসে বেড়াতাম আমরা। তুমি তোমার প্রিয় কবির কবিতা শোনাতে। রাতভর আমরা সেই নদীতে কবিতার মূর্ছনায় ভাসতাম! মনে হতো একশো বছর শুধু এখানেই কেটে গেলো!

শোন,আমি চলে যাচ্ছি আজ।
কবিতার ঘর বাহির ছেড়ে দূরে কোন বিষণ্ন আকাশে!
আমার দু’হাতে এত সবুজ কেনো? তুমি মিশে আছো?

মানুষের জীবনে খুব বেশি কিছু লাগেনা। কেউ স্বপ্ন দেখে নদীর ধারে, ছোট্ট এক দোতলা বাড়ি। ছাদ জুড়ে চিলেকোঠার বিশাল ঘরটার দেয়াল জুড়ে কবিতা!
হাতলওয়ালা কাঠের চেয়ারে দুলতে দুলতে কত অজস্র স্বপ্নের ভিতর ঢুকে যায় তারা!

শোন,আজ আমি চলে যাচ্ছি।
কথাটা শেষ হয়না। অদেখা একটা মানুষের হাতের দখলে আমি ছোট্ট পাখি হয়ে যাই! একটা মানুষের চোখ এত সবুজ হয়? একটা মানুষ এত সুন্দর করে ময়ূর বলতে জানে!

যদি অপেক্ষার নাম হয় আকাশ । যদি দেখা হওয়ার নাম হয় নদী! যদি কাছে আসার নাম যদি হয় আগুন!
তাহলে চোখের সাথে চোখের কাঁপনের নাম হোক ময়ূর!

আর হ্যা,শোন আমি আজ যাচ্ছিনা।
আমি রাতভর বৃষ্টি হয়ে থাকছি, তোমার স্বপ্নের বাড়িতে!
শুনছো,আমি আর কোনদিন যাচ্ছিনা।
কি আশ্চর্য!
আমার চোখের ছলছল জল আজ তোমার চোখে!
শোন,আমি চলে যাচ্ছি ।
আমি থাকতে এসেছিলাম
পথহারা পথিকের মত একদিন, তোমার আঙিনায় !

একগোছা চাবির মধ্যে থেকে, একটা সোনালী চাবি হাতে দিয়ে বলেছিলে, ‘এই ঘর, এই জানালা, জানালার বাইরের আদিগন্ত আকাশ,ছাদ জুড়ে ফুল বাগান আর সেই সিঁড়িঘরটা, সব তোমার!’
আমি প্রিয় গল্পের ললিতা হয়ে আঁচলে সেই মস্ত চাবি ঝুলিয়ে কত রাতদিন সেখানেই।
কবে কোনো এক সাজি তার কবিতায় বলেছিল,’তুমি দিনমান কবিতা লিখবে আর আমি মেঘের ভেলায় সাজাবো আমার স্বপ্নলোকের ডিঙা!’
আমি আমার ঘর সাজিয়েছিলাম সেই কবির ক্যালিগ্র্যাফী কবিতায়!

আমি একজীবনে একটা হলদে ঝুটি পাখি ছিলাম। আমার মানুষ জন্মে আমার প্রত্যাশা জুড়ে তাই শুধু পাখিদের কোলাহল!
বৃষ্টি নামলে ছাদ বাগানের সেই টিনের ঘরটায় বসে বৃষ্টি শুনতে শুনতে আমি তোমাকে ডাকতাম। তুমি দূরের কোন বনভূম থেকে ভিজতে ভিজতে আসতে!
তোমার পুরো গায়ে সবুজ পাতার গন্ধ। মানুষ কখনো এমন অবুঝ সবুজ হতে পারে, আগে জানিনি!
তোমার চুল বেয়ে পড়া পানি পড়ে আমার চোখের কাজল ধুয়ে যেতো!তুমি আমার কান্না সহ্য করতে পারতেনা আমি তাই বৃষ্টির কান্নায় মিশে যেতাম!
আমাদের দেখা হওয়ায় মাঝেমাঝে নদী জুড়ে যেতো। সেই নদীর নাম তুমি দিয়েছিলে,নীল।মিশরের নীল নদের কথা মনে করেই কি! একটা কাঠের ডিঙিতে ভেসে বেড়াতাম আমরা। তুমি তোমার প্রিয় কবির কবিতা শোনাতে। রাতভর আমরা সেই নদীতে কবিতার মূর্ছনায় ভাসতাম! মনে হতো একশো বছর শুধু এখানেই কেটে গেলো!

শোন,আমি চলে যাচ্ছি আজ।
কবিতার ঘর বাহির ছেড়ে দূরে কোন বিষণ্ন আকাশে!
আমার দু’হাতে এত সবুজ কেনো? তুমি মিশে আছো?

মানুষের জীবনে খুব বেশি কিছু লাগেনা। কেউ স্বপ্ন দেখে নদীর ধারে, ছোট্ট এক দোতলা বাড়ি। ছাদ জুড়ে চিলেকোঠার বিশাল ঘরটার দেয়াল জুড়ে কবিতা!
হাতলওয়ালা কাঠের চেয়ারে দুলতে দুলতে কত অজস্র স্বপ্নের ভিতর ঢুকে যায় তারা!

শোন,আজ আমি চলে যাচ্ছি।
কথাটা শেষ হয়না। অদেখা একটা মানুষের হাতের দখলে আমি ছোট্ট পাখি হয়ে যাই! একটা মানুষের চোখ এত সবুজ হয়? একটা মানুষ এত সুন্দর করে ময়ূর বলতে জানে!

যদি অপেক্ষার নাম হয় আকাশ । যদি দেখা হওয়ার নাম হয় নদী! যদি কাছে আসার নাম যদি হয় আগুন!
তাহলে চোখের সাথে চোখের কাঁপনের নাম হোক ময়ূর!

আর হ্যা,শোন আমি আজ যাচ্ছিনা।
আমি রাতভর বৃষ্টি হয়ে থাকছি, তোমার স্বপ্নের বাড়িতে!
শুনছো,আমি আর কোনদিন যাচ্ছিনা।
কি আশ্চর্য!
আমার চোখের ছলছল জল আজ তোমার চোখে!

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:২১

নজসু বলেছেন:


কতদিন পর আপনার লেখা পাঠ করলাম।
আপা, আপনার কবিতার প্রতিটি শব্দ আমাকে অন্য জগতে নিয়ে যায়। এখন না, সেই অনেক আগে থেকেই।
প্রতিটা লাইনে আমি হারিয়ে যাই অন্তঃনীল নীলে।
ধন্যবাদ আপা। দীর্ঘায়ু কামনা করি আপনার।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০০

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: হ্যা অনেকদিন পর আসছি।
এত সুন্দর মন্তব্য্। মন ভালো হয়ে গেলো।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:২২

নজসু বলেছেন:


প্রিয়তে নিয়েছি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

ইসিয়াক বলেছেন:




এমন করে কিভাবে লেখেন আপু?

শুধুই মুগ্ধতা।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: মুগ্ধতা ছুঁয়ে যায়।
অনেক ধন্যবাদ।
পাঠে ভালোলাগা

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সারমর্ম বুঝতে পারি নি। স্যরি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: এটা আবৃত্তির ভাবনা থেকে কথোপকথন এর মত লেখা।
একজন তার ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে দূরে চলে যেতে চাইছে,কিন্তু শেষমেষ যেতে পারছে না।
শুভেচ্ছা

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০০

ইসিয়াক বলেছেন: আমি একজীবনে একটা হলদে ঝুটি পাখি ছিলাম। আমার মানুষ জন্মে আমার প্রত্যাশা জুড়ে তাই শুধু পাখিদের কোলাহল!
বৃষ্টি নামলে ছাদ বাগানের সেই টিনের ঘরটায় বসে বৃষ্টি শুনতে শুনতে আমি তোমাকে ডাকতাম। তুমি দূরের কোন বনভূম থেকে ভিজতে ভিজতে আসতে!
তোমার পুরো গায়ে সবুজ পাতার গন্ধ। মানুষ কখনো এমন অবুঝ সবুজ হতে পারে, আগে জানিনি!
তোমার চুল বেয়ে পড়া পানি পড়ে আমার চোখের কাজল ধুয়ে যেতো!তুমি আমার কান্না সহ্য করতে পারতেনা আমি তাই বৃষ্টির কান্নায় মিশে যেতাম!

আবারও পড়লাম আপু,
পুরো লেখা জুড়ে কি অপরূপ মায়া!!
কোথায় যেন ডুবে যায় মন।
কোথায়?....

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১২

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: থ্যাংকস রে।
অনেক শুভকামনা রইলো

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:১৫

সোহানী বলেছেন: তোমার লিখা পড়েল মনটা উদাস হয়ে যায়। তোমার ভালোবাসার কথা পড়লে অবাক হতে হয়।

তোমাকে দেখে ভালো লাগছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: আমারো আবার পুরনো বাড়িতে আসতে ভালো লাগছে। পাঠে ভালোলাগা।
ভালোবাসা সোহানী।

৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৭

মেহবুবা বলেছেন: কবিতার মত শোনালো পুরোটা!
সাজি ভরা কাব্য, কিছুটা পেয়ে যাই কখনো কখনো!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: কি সুন্দর করে বলো যে!
ভালোবাসা মেহবুবা

৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মায়া আর মায়া! মায়ায় ভরা কবিতা। লাইনে লাইনে মায়া আর ভালবাসা ছড়িয়ে গেছে।
বোধকরি ভুলক্রমে পুরো লেখাটি একাধিকবার এসেছে। হয়তো সম্পাদনার প্রয়োজন আছে। আর শিরোনামেই বা ব্রাকেট কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.