নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু সামনে পা বাড়াও – একে একে সবই জানতে পারবে ..

সুমন জেবা

প্রতিনিয়ত শিখেই যাচ্‌ছি

সুমন জেবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৫



আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস (আদি নাম আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস )।
প্রতি বছর ৮ মার্চ তারিখে পালিত হয়।সারা বিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ্য হিসেবে এই দিবস উদযাপন করে থাকেন। বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারীদিবস উদযাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদযাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্ব পায়।

এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস।
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুঁচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসে। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। আন্দোলন করার অপরাধে গ্রেফতার হন বহু নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই। তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় ‘নারী শ্রমিক ইউনিয়ন’।
১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন ডাকা হয়। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ; জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন।এই সম্মেলনেই অবশেষে আদায় করা হয় দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার।
এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা।
১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ থেকেই পালিত হতে লাগল "আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস"।
বাংলাদেশেও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ সালে খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তথ্যবহুল সুন্দর পোস্টে ভালো লাগা। +++++

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

সুমন জেবা বলেছেন: আমি শুধু নারী দিবসের সুচনা কিভাবে হলো তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র ।দেখলাম আমাদের নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই অনেক অনেক সুন্দর লিখেছেন ।
যা হোক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

কাবিল বলেছেন: "আন্তর্জাতিক নারী দিবস"
সফল হোক।

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

সুমন জেবা বলেছেন: সফল হোক।দূর হউক বৈষম্য..

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

সৃজন আহমদ বলেছেন: সকল নারীর জন্য শুভেচ্ছা । নারীদের কথা যেন দিবসে আটকে না থাকে ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

সুমন জেবা বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ভাই --
নারীদের কথা যেন দিবসে আটকে না থাকে ।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আর্ন্তজাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশসহ
পৃথিবীর সকল নারীদের প্রতি
আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও
ভালোবাসা।
বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সকল নারীদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

সুমন জেবা বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই
আপনি আমার চাইতে বিষদ ভাবে লিখেছেন ।

"ধন্যবাদ" আমার পেজ এ আসার জন্য ..

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

মারুফ মুনজির বলেছেন: আজ অফিসে এসে ১০ টার মতো পত্রিকা পড়লাম, আজ নারী দিবস হিসেবে নারীদের নিয়ে প্রচুর লেখা, গবেষনা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, সফল নারীদের গল্পও প্রকাশিত হয়েছে অনেক, তার মধ্যে বনিক বার্তার প্রধান নিউজটা আমার ভালো লেগেছে, বাংলাদেশের সফল ১০ নারীর জীবন নিয়ে রিপোর্ট, এই রিপোর্ট পড়ার পর কিছু প্রশ্ন মাথায় এসেছে যা আমি নিউজ পরে জানতে পারিনি, জানা থাকলে জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন
১.এই সফল নারীরা কি বিয়ে করেছেন, তাদের স্বামীদের পেশা কি, তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক কেমন ছিলো, এসব নারীরা কিভাবে এই সম্পর্ক ম্যানেজ করতেন, তাদের স্বামীদের কি ভুমিকা ছিলো, সেটা কতটা ইতিবাচক কতটা নেতিবাচক, নেতিবাচক হলে কিভাবে ম্যানেজ করেছেন। মোট কথা পারিবারিক জীবন কেমন ছিলো।
২. এসব নারীরা পরিবারে কিভাবে সময় ম্যানেজ করতেন, এদের কয়টা করে ছেলে মেয়ে রয়েছে, তাদের সন্তানরা কি কি করেন, তাদের সন্তানরা কি ভালোভাবে গড়ে উঠেছে নাকি স্পয়েল হয়েছে, যদি ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে সেটা ম্যানেজ করেছেন, এই সন্তান লালন পালনে তাদের স্বামীদের কি ভুমিকা ছিলো।
৩. এই সফল নারীদের অর্থনেতিক হিসেব কেমন ছিলো, তাদের সম্পত্তি কিভাবে খরচ করেছেন।
৪. পরিবারে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন কিভাবে, স্বামী ও তার পরিবার এই পারস্পারিক দুই পরিবারের সদস্যদের সাথে কিভাবে সম্পর্ক ম্যানেজ করতেন।
৫. এই সকল সফল নারীদের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ কেমন ছিলো, তাদের কলিগদের কি ধরনের ভুমিকা ছিলো, এই পর্যন্ত উঠে আসায় তাদের কি কি চ্যালেঞ্জ ছিলো।
৬. এরা যদি কেউ অবিবাহিত বা ডিভোর্সি হয়ে থাকেন তাহলে তাদের এ পর্যন্ত জীবন কিভাবে পরিচালনা করেছেন।
৭. এই সফলদের জীবনের এই বেলায় এসে জীবন সম্পর্ক ধারনা কি, তারা কি জীবনে ভুল করেছেন, নাকি সঠিক করেছেন।

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

সুমন জেবা বলেছেন: আমার মতে প্রতিটি নারীই স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল নারী ।এই ১০জন'কে iconic বলা যায় ।
ছোট্ট একটা উদাহরন টানি এ ক্ষেত্রে _

[যেমন:- আমি যে ক্ষণটিতে এই মর্তে ভুমিষ্ট হই , সেই মুহুর্তে আমার মা পৃথিবীর একজন সফল গৃহবধু,একাধারে সফল স্ত্রী ।
কেননা এই সমাজে এখনও অনেক নারীকে মাতৃত্ব জনিত সমস্যার জন্য নিদ্দিষ্ট ভাবে দায়ী করা হয় ।]

ধন্যবাদ" মারুফ মুনজির ভাই ।

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নারী দিবসের শুভেচ্ছা

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

সুমন জেবা বলেছেন: শুভেচ্ছা ..আপনাকেও ।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: সকল নারীকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা। দিবসটি শুধু একটি দিনে যেন আটকে না থাকে। নারীদের অধিকার নিশ্চিত হোক।

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

সুমন জেবা বলেছেন: আমাদেরও কথা..
দিবসটি শুধু একটি দিনে যেন আটকে না থাকে ।
"ধন্যবাদ"

৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিশ্বনারীদিবস সফল হোক ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.