নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু আলাইকুম\nআমি আপনাদের সান ড্যান্স aka স্যাম রহমান :)

সানড্যান্স

এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান

সানড্যান্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-৮ (পর্ণ স্টারের জবান বন্দী থেকে)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৩




পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-৭ (পর্ণ স্টারের জবান বন্দী থেকে)

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-৬

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-৫

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-৪

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-৩

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-২

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-১


শুরুতেই আপনাদের সবাইকে কস্ট করে আগের সব পর্ব গুলো পড়ার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আপনাদের উতসাহেই এই পর্নোগ্রাফী বিষয়ে লিখে যাচ্ছি, আপনাদের কাছে আজ একটা রিকুয়েস্ট করব, দয়া করে আপনারা লেখা গুলো শেয়ার করবেন, কারণ আমার আপনার মত এবং আমাদের বন্ধুরা অনেকেই পর্ণে আসক্ত, কিন্তু তারা কেউই লজ্জায় স্বীকার করেনা, আপনারা শেয়ার করলে তারা বিষয় গুলো জানবে, তারা উপকৃত হবে, আমার ঘরের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর মত এই কাজ তখন সাফল্য লাভ করবে। ধন্যবাদ সবাইকে।


আমরা গতকাল থেকে সাবেক পর্ণ স্টার ডক্টর শেলী লুবেন এর বেকার্স ফিল্ড ইউনিভার্সিটি দেয়া ভাষণ এবং তার এন্টি পর্ণ সংগঠন পিঙ্ক ক্রস ফাউন্ডেশন এর ব্যাপারে জানছিলাম, আজ আশাকরি বাকিটা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।


পর্ণ মুভিতে মেয়েদের কিভাবে উপস্থিতি আসে জানেন? পর্ণ ডিরেক্টর এবং প্রোডিউসারেরা বিভিন্ন উঠতি মডেল কে প্রলুদ্ধ করেন। তারা তাদের কে বলেন এটা একটা গ্ল্যামারাস, ফেমাস এবং প্রচুর পয়সা ওয়ালা একটা ইন্ডাস্ট্রি! যখন এসব মেয়েরা নিজেদের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চান, তখন তাদের কে লোভ দেখানো হয় শতভাগ নিরাপত্তার! এইসব লোকেরা কখনোই তাদের কর্ম ক্ষেত্রের কথা, কর্ম ক্ষেত্রের পরিবেশের কথা আগে ভাগে জানান না, তারা লোভ দেখান মোটা অঙ্কের টাকার, যা কিছুটা হলেও সত্য! তাই পর্ণ স্টারেরা কখনোই আইন অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য সুবিধার শতকরা ২০ ভাগ ও পান না!


ক্যালিফোর্ণিয়ার মত জায়গা, যেখানে কড়াকড়ি ভাবে কর্ম ক্ষেত্রের বিভিন্ন আইন মানা হয় সেখানেও ঠকেন এডালত মুভি স্টারেরা। ইউজুয়ালী এডাল্ট মুভির শ্যূটিং হয় বিভিন্ন প্রাইভেট লোকেশানে, এবং শতকরা আশি ভাগ ক্ষেত্রেই মুভি গুলোতে পুরুষ পর্ণ স্টারেরা অভিনেত্রিদের তুলনায় অনেক বেশী বয়ষ্ক হন। আর বিপদ জনক বিষয় হল, ধরুণ একজন পর্ণ অভিনেত্রী যদি ওরাল সেক্স বা ব্লো জবের মত কোন কিছুর ব্যাপারে আপত্তি করেন, তখন এসব প্রতারক পরিচালকেরা বলেন তারা তাদের কে উলটো চুক্তি ভঙ্গের ব্যাপারে আইনী সতর্ক করেন! কি নির্মম! একজন অভিনেত্রী যে পয়সার জন্য এই পেশায় আসেন, সে উন্নত বিশ্বে কিভাবে একজন আইনজীবী নিয়োগ দিবেন? যেখানে আইনজীবিরা হাজার হাজার ডলার নিবেন?

এইসব বদমায়েশ গুলো তাদের কে শারীরিক নির্যাতন এমন কি তাদের পরিবারের কাছে তাদের এই নগ্ন ভিডিও পৌছেঁ দেয়ার ভয় দেখান, তাই ভীতা হরিণির মত নিজের ইচ্ছার বাইরে কুরুচিপূর্ণ দৃশ্যে তাদের অভিনয় করতে হয় নিতান্তই বাধ্য হয়ে! লাইসেন্স পাওয়া কিংবা ছাড়া সবধররণের ফিজিশিয়ান, পরিচালক, প্রোডিউসার তাদের কে প্রতিদিন বাধ্য করে যাচ্ছেন এসব কাজে!

ক্যালিফোর্নিয়ার অকুপেশন হেলথ এন্ড সেফটির মতে প্রত্যেক কর্মচারীর কিছু ব্যাসিক অধিকার আছে তাদের কর্মক্ষেত্রে। এর অন্যতম একতি ধারা হল, কাজ করার সময় কোন ধরনের শারীরিক তরল যেমন-রক্ত, প্রসাব, থুতু কিংবা বীর্য অন্য কারু গায়ে লাগতে পারবে না, অথচ আমরা পর্ন গুলিতে সচরাচর দেখি ছেলেরা মেয়েদের মুখ (ফেসিয়াল পর্ণ), শরীর এবং যোণীতে (পর্ণের ভাষায় ক্রীম পাই) বীর্য পাত করেন, তারা মলদ্বারেও হামেশা এই কাজ করেন (পর্নের ভাষায় এনাল ক্রীম পাই), টোস্ট মাই সালাদ নামের পর্ণ গুলোতে দেখা যায় মলদ্বার চাটছেন!! এবং এই ঘটনা গুলো প্রতিদিন হচ্ছে!! এমন কি ক্যালিফোর্ণিয়াতেই হচ্ছে!


আরো মজার বিষয় হল, ঐ আইনের ধারাতে বলা হয়েছে কর্মক্ষেত্রে কারুর শরীর থেকে নির্গত কোন তরল অন্য কারু গায়ে লাগলে তাকে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে!! এবং এই নিয়মের ব্যত্যায় ও প্রতিদিন হচ্ছে! তাই আপনি যখন ই পর্ন দেখছেন, আপনার মনে রাখতে হবে এই আপনিও একজন এবিউজার, আপনার আমার দেখার চাহিদা থেকেই এগুলো নির্মান হচ্ছে!! তাই দায় এড়ানোর কোন সুযোগ ও আমাদের নেই!


আপনি জানেন কি? প্রতিবছর আমেরিকায় প্রায় ১১ হাজার পর্ন মুভি নির্মিত হয় যেখানে হলিউড এর মুভি সঙ্খ্যা মোটে চারশ এর মতন! এখন এত মেয়ের এই অন্ধকার জগতে আসার কারণ কি? গবেষণা বলে, এদের অন্ধকার শৈশবের কথা! এরা ছোটবেলা থেকেই যৌণ নির্যাতিত হয়েই আসে। প্রথমে এদের পিতা/মাতা শুরু করেন তাদের যৌণ নির্যাতন! (নাউজুবিল্লাহ)। কিছু প্ররণ অভিনেত্রী আসেন যেসব ফ্যামিলিতে বাবা-মারা সন্তানের যত্নের ব্যাপারে উদাসীন। আমেরিকার শতকরা সাত ভাগ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার! পর্ণ কখনোই কিংবা কোন ভাবেই আপনার যৌণ জীবন কিংবা বিবাহিত জীবনের কোন ধরণের উপকার করে না!!! পর্ণ আল্টিমেটলি আপনাকে ধ্বংসের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে!

শেলী লুবেন তার বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা বলার এক পর্যায়ে তুলে ধরেন এক ভয়াবহ গল্প! তিনি মাত্র নয় বছর বয়সেই যৌণ নির্যাতনের শিকার হন। তিনি বলেন, আমার ছোট বেলা তো এরকম হওয়ার কথা ছিল না, আমি চার্চে যেতাম, আমি ভালোবাসতাম বাইবেল পড়তে, তবুও আমি ঈশ্বর কে কোন দোষ দিইনি। শতকরা পঞ্চাশ ভাগ পর্ণ স্টার তাদের ক্রিশ্চিয়ানিটি ত্যাগ করলেও আমি কখনোও এরকম ভাবিনি, আমি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি বলেই হয়ত তার ডাক শুনে আজ ভাল পথে এসেছি, নতুন জীবন গড়তে পেরেছি, আমি তাই ঈশ্বরকেই ধন্যবাদ জানাই!






তিনি আর বলেন আপনি সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি আপনাকে কখনোই নিরাশ করবেন না, তার ভান্ডার অফুরন্ত। তিনি বলেন, আমি খুশি হতাম যদি কোন কিছু আমাকে বাইবেল সম্পর্কে আমাকে ভুলিয়ে দিত, কারণ বাইবেলে পরকালে শাস্তির কথাও উল্লেখ আছে, কিন্তু আমি আসলেই পারিনি অন্য কোন কিছুকে বাইবেলের উপর স্থান দিতে, কারণ আমাকে বাইবেল মুক্তি দিয়েছে!

আমার (শেলী লুবেন) বাবা অসম্ভব ব্যস্ত একজন মানুষ ছিলেন, তার কখনো আমাকে দেয়ার মত সময় ছিল না, আমি বঞ্চিত হয়েছি তার ভালোবাসা থেকে, অথচ তিনি কখনো ও ডেকে আমাকে ন্যুনতম প্রশংসা কিংবা উতসাহ দেন নি!! খুব সভবত আমি সেকারণেই পারিবারিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ি, এবং আমার ক্লাস মেট এর টিনেজ ভাই আমাকে এবং সেই ক্লাসমেট কে যৌণ নির্যাতন করতে সুযোগ পায় আমার শিশু বয়সেই! আমি মাত্র নয় বছর বয়সেই সমকাম এবং উভকাম দু বিষয়েই অভিজ্ঞতা লাভ করি!আমার এসব বলার মত কেউ ছিল না, আমার ছিল না নিরাপদ কোন স্থানে যাওয়ার সুযোগ যেখানে আমি আশ্রয় পাব, বাবা-মা ছিলেন ভয়ানক উদাসীন, আমার দুঃখের দিনের সাথি কেউ ছিলনা, তাই এক পর্যায়ে আমি একের পর এক খারাপ কাজ শুরু করি যা আমার উচ্ছৃঙ্খল যৌণ জীবনের শুরু!





নিজেকে আমার খুব নোঙ্গরা মনে হত, আপনি কল্পনা করেন একজন শিশু যখন এসব ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মাঝে দিয়ে যায় তখন তার মানসিক অবস্থা ক্যামন হয়? আমার সারাক্ষণ মনে হত, কেউ আমাকে কানে কানে বলছে, তুমি একতা খারাপ, নোঙ্গরা শিশু! নিজেকে খুব অপবিত্র মনে হত আমার! এবং এভাবেই আমার খারাপ জীবনের গোড়াপত্তন হয়! আমি কিংবা যে কোন পর্ন স্টার ই তার বাবা-মায়ের প্রতি অভিমানী, তাদের কাজ তারা ঠিক করে করলে হয়ত আমার কিংবা আমাদের জীবন টা এত তেতো হয়ে উঠত না!

আপনারা একটা মজার বিষয় জানেন? আমি যখন পরিপূর্ণ ১৮ বছরের যুবতী, তখন ম্যাডোনার সেই বিখ্যাত গান, লাইক আ ভার্জিন, টাচড ফর দ্য ভেরী ফার্স্ট টাইম! গান তি রিলিজ হয়, আমার তখন মনে হত, হয়ত আমার নয়, পৃথিবীর সবার জীওবন ই এমন! আর ছেলেরাও হয়ত এরকম ই! আমার (শেলী লুবেন) মনে হত, হয়ত পর্ন ই আমার জন্য সবচাইতে ভাল বিষয়, তাই আমি ভাবতাম আমাকেই এই ইন্ডাস্ট্রির সেরা হতে হবে! আমি হয়তো আমার হাইস্কুল গ্র্যাজুয়েশন কোন ভাবে শেষ করেছিলাম, কিন্তু আমার গ্রেড গুলো ছিল সি/ডি কিংবা এফ, আমাকে বলার মত কেউ ছিল না, এমন কি বাবা-মাও না, যে আমাকে বলবে তোমার এই অবস্থা কেন?


বড় একাকী, বড্ড নিঃস্ব সেই সময় গুলোতে মনে হত আমাকে কেয়ার করার মত, আমাকে ভালোবাসার মত কেউ বোধয় এই দুনিয়াতে নেই! প্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ার সাথে সাথে আমার বাবা আমাকে ঘর থেকে বের করে দেন, যখন আমার কাছে কোন টাকা ছিল না, আমি জানতাম না আমাকে কোথায় যেতে হবে, আমাকে কি করতে হবে! এমন কি আমার নিজের একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ছিল না! বাবা গাড়ীর মেকানিক হওয়াতে আমি খুব ছোট বেলা থেকে গাড়ী চালাতে পারতাম, এবং গাড়ী নিয়ে রেসিং করার অপরাধেই তা খোয়া যায়! আমার দস্যিপনা কিন্তু এই তোমাদের সমাজ ই আমাকে শিখিয়েছে!

এবং আমার এইসব অভিজ্ঞতাকে আমি একজন পর্ন স্টারের ক্ল্যাসিক ব্যাক গ্রাউন্ড বলছি কারণ, অধিকাংশ পর্ণ স্টারের জীবনের বাস্তবতা কম বেশী একি রকম! যাইহোক, আমি শেষ পর্যন্ত আশ্রয় পাই স্যান ফার্নান্ডো ভ্যালিতে, যাকে পর্ণ ইন্ডাস্ট্রির রাজধানী বলা হয়! এই স্যান ফার্নান্ডো ভ্যালিতেই নির্মান হয় পৃথিবীর শতকরা পচাশিঁ ভাগ পর্ণ! সেখানে আছে দুইশত কোম্পানী যারা একের পর এক পর্ণ মুভি নির্মাণ করেই যাচ্ছে! আর আপনারা প্রতিদিন বাসায় যেয়ে দেখছেন চাশো বিশ মিলিয়নের বেশী পর্ণ পেজ! আজকে আপনারা এই বিষয় গুলো হয়ত আগে ভাগে জানেন, কিন্তু আমি জেনেছি অনেক পরে!


আমাকে (শেলী লুবেন) যখন ১৮ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়, এবং আমি আশ্রয় নেই স্যান ফার্নান্ডো ভ্যালিতে তখন আমাকে এসব জানানোর মত কেউ ছিল না, এবং আমি বেশ কিছুদিনের অভুক্ত ছিলাম, কেউ আমাকে খেতে দেয়নি! আমাকে এক বেশ্যার দালাল প্রলুদ্ধ করে, এবং আমার প্রবেশ ঘটে পর্ণ ইন্ডাস্ট্রিতে! আমি হয়তো কখনোই পর্ণ মুভিতে অভিনয় করতাম না, যদিনা এইসব নোঙ্গরা মানুষেরা আমার ঐ অসহায়ত্বের সুযোগ নিত! আমার বাবা-মা, ঈশ্বর কিংবা সমাজ কই কেউতো আমাকে ন্যুনতম কেয়ার করছে না!! তাই জীবনে প্রথম বারের মত, মাত্র পঁয়ত্রিশ ডলারের বিনিময়ে নিজেকে বিক্রি করতে আমার মাঝে কোন বাধাঁ কাজ করেনি!!!

আমাকে পুরুষদের কাছ থেকে নিজের শরীর বাচিঁয়ে চলতে হত, তারা অদ্ভুত সব কামোত্তেজনায় ভুগত, সুযোগ পেলেই আমাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করত! অথচ আমার পতিতাবৃত্তির জীবনে আমি যেসব পুরুষের দেখা পেয়েছি তাদের ম্যাক্সিমামের হাতেই বিবাহিত স্বরুপ আংটি ছিল! তাই পুরুষ জাতিকে কোন দিন বিশ্বাস করার মত কিছু মনে হত না আমার!


ছবিতে আপনারা বর্তমান স্বামী সহ (গ্যারেট) শেলী লুবেন কে দেখতে পাচ্ছেন।


তাই স্বভাবতই পুরুষ জাতির প্রতি এক ধরণের ঘৃণা কাজ করা শুরু করে আমার (শেলী লুবেন এর) ভিতরে। আমি ঘৃণা করতাম আমার বাবাকে, আমাকে এই জীবনে ঠেলে দেয়ার জন্য, যাবতীয় পুরুষ কে ঘৃণা করতাম আমাকে এবিউজ করার জন্য! ঈশ্বরের প্রতি কাজ করত অভিমান!! মানুষ কে মনে হত যন্ত্র, আর কাজের পরিবেশ কে লাগত যান্ত্রিক! বেচেঁ থাকার জন্য, খাবারের জন্য নিজেকে হাজারোবার বিক্রি করতে হয়েছে আমাকে! পরবর্তীতে আমাকে জনৈক মহিলা শেখান, গ্ল্যামারাস প্রস্টিটিউশান কি জিনিস! ঐ মহিলা আমাকে শেখান কি করে একজন পুরুষের পকেট থেকে শেষ ডলারটি পর্যন্ত বের করে নিতে হবে!


মিথ্যার পর মিথ্যা বলতে হত! বলতে হত আমি তাদের কে কি পরিমান ভালোবাসি(!!), কি পরিমাণ আমি উপভোগ (!!) করি তাদের দেয়া শারীরিক যন্ত্রণা!! এসব পুরুষেরা কখনোই আমাদের ভালোবাসত না, তারা বরং আমাদের ঘৃণা করত, তারা আমাদের কাছে শরীর সুখ এবং টাকা ছাড়া আর কিছুই চাইত না! তাদের ভালোবাসা ছিল আমার শেষ টাকাটি নিজের করে নেয়ার জন্য! যুদ্ধক্ষেত্রের মত একে একে এভাবে আমি ছয় ছয়টি বছর পার করি পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে! একজন দেহপসারীনী হিসেবে একের পর এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় আমার, আমি দুইবার প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ি যে জীবনে আমি টাকার জন্য শরীর বিক্রি করতাম! প্রথমবার আমার সেই সন্তান মিসক্যারেজ এ মারা যায়, নিজেকে কোন দিন ক্ষমা করতে পারব না এই ভেবে দ্বিতীয় সন্তান কে আমি পৃথিবীতে নিয়ে আসি। ছোট বেলায় যখন রবিবার চার্চে যেতাম তখন হয়তো আমি শিখেছিলাম, জেনেছিলাম জীব হত্যা মহা পাপ!! কিন্তু একজন হোমলেস প্রস্টিটিউটের জীবনে একটি সন্তান কোন সুসংবাদ নয়!
(চলবে)

ভাইয়েরা আজকে থাকুক এই পর্যন্ত!! হাত ব্যথা করতেসে। আপনারা প্লীজ ফেসবুকে শেয়ার করবেন, মানুষ জানবে, বুঝবে! ধন্যবাদ!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

নীল_অপরাজিতা বলেছেন: "আপনি যখন ই পর্ন দেখছেন, আপনার মনে রাখতে হবে এই আপনিও একজন এবিউজার, আপনার আমার দেখার চাহিদা থেকেই এগুলো নির্মান হচ্ছে!! তাই দায় এড়ানোর কোন সুযোগ ও আমাদের নেই!" এটাই হচ্ছে মূল কথা। যারা এই অসভ্যতা,নোংরামী,চরম অশ্লিলতাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে তারা এর নির্মাতাদের চাইতেও অনেক বেশী অসভ্য,ইতর এবং নীচ মানসিকতা সম্পন্ন। কোনভাবেই পর্ণোগ্রাফি দেখাকে justify করা চলে না। সমাজকে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলাটা অত্যন্ত প্রোয়জনীয়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৫

সানড্যান্স বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৪

সৈয়দ জায়েদ আহমদ বলেছেন: "কিন্তু একজন হোমলেস প্রস্টিটিউটের জীবনে একটি সন্তান কোন সুসংবাদ নয়""

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.