নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু আলাইকুম\nআমি আপনাদের সান ড্যান্স aka স্যাম রহমান :)

সানড্যান্স

এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান

সানড্যান্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য রিটার্ন অফ আরব্য রজনী, 23/02/38 হিজরী

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৬

দুই তিন দিন আগের কথা, সকাল বেলার শিফটে কাজ করতেছি। বিকাল হয়ে গেছে, বিকাল বোধহয় অলমোস্ট চারটে বাজে, মানে আমার ছুটি হওয়ার সময়, এমন সময় তরুনী কণ্যা সহ এক মহিলা ঢুকলেন আমাদের ইমার্জেন্সী স্ক্রীণিং রুমে, এখন আপনারা আমার হেটার যারা তারা বলবেন বোরকা পড়া মহিলা তরুণী আর তার মা আপনি কি করে বুঝলেন!! ব্যাপার হল আপনি যখন আলাতুল বোরকা পড়া মহিলা দেখবেন, তখন আপনার বেশ ভাল আইডিয়া হয়ে যাবে বোরকার ভেতরের রমনীর বয়স কত! আর বোঝেন ই তো, হুজুরের অভিজ্ঞ চোখ! যাই হোক মূল প্রসংগে ফিরে আসি|

মহিলার মেয়ের বয়স হল ১৭, আসছে পেট ব্যথা নিয়ে, আন ম্যারিড মেয়ে, কিছুতেই কাপড় খুলবে না, এদিকে পেট তো একটু টিপে দেখা দরকার! বুঝেন ই তো! পরে এক দুই কথায় মহিলা দুজন বেশ ফ্রী হয়ে গেলেন। পরে আমি প্রসিডিউর শেষ করে ইঞ্জেকশন লিখতে লিখতে মহিলা জিজ্ঞেস করল আমি হিন্দী না বাঙ্গালী? হুজুরের গায়ের রঙ আবার কেরলার মানুষের মত, যদিও হুজুর বলে থাকেন উজ্জ্বল শ্যামলা, কিন্তু তাতেও তাকে হয় কেরলা মনে হয়, কেউ কেউ সুদানী ভেবেও ভুল করে, যাই হোক আমি বললাম বাঙ্গালী, মহিলাও আমার খোজ খবর নিলেন, শেষে যা বললেন আমি টোটালি অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম, আমাকে বললেন তার বাংলাদেশী খাদ্দামা লাগবে, আমি তাকে ম্যানেজ করে দিতে পারব নাকি? রাগে আমার কান দিয়ে ধোয়া বের হতে শুরু করল... ডাক্তারের কাছে বুয়া খুজতেছ? আমারে দেখে কি বুয়ার দালাল লাগে?

কোনরকমভাবে নিজেকে সামলে বুড়ি রে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া মামা, সৌদি বিনত মজুদ? আনা আবগা জাওয়াজ! (এই মহিলা, সৌদি মেয়ে আছে? আমি বিয়ে করব!

মহিলা আস্তে মাথা নীচু করে বেরিয়ে গেল! এরা এরকম ই, অসভ্য, বর্বর, নিম্ন মানসিকতার অশিক্ষিত বদু গ্রামবাসী!

খাদ্দামা প্রসংগে কিছু কথা বলি, কয়দিন আগে জনৈক বাংলাদেশী মহিলা কে গুরুতর অবস্থায় নিয়ে আসে, এক সৌদি পরিবার, বলে আত্মহত্যা করতে নিসে, পরবর্তীতে মহিলা মারা যায়, এবং দেড় মাস ফ্রীজে থাকার পর আমরা সেদিন লাশ পাঠাইছি, কি মর্মান্তিক !!

এখন কেন মহিলা আত্মহত্যা করবে? সে কি এখানে মরতে আসছে? যে মহিলা কাজ করতে আসে তাকে শারীরিক, মানসিক, যৌণ নির্যাতন করে এরা, যে মহিলা কে বাবা রেপ করে,সেই বাবার সন্তান রেপ করে, ভাইয়েরা রেপ করে, এবং সাডেনলি যখন প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়, কোন কোন উপায়ে তাদের হত্যা করা হয়, কারণ যখন এটা প্রকাশ পাবে, মহিলা এবং রেপিস্ট দুই জনেই কঠোর সৌদি আইনে ফেসেঁ যাবে! এখন আপনারা বলবেন, পোস্ট মর্টেম তো আপনারাই করেন, রিপোর্ট করতে পারেন না?

এখানকার আইন অনুযায়ী কোন আরব বাইঞ্চোদ আমার নামে কোন কেস করলে, আমি দোষী কিংবা নির্দোষ সেটা কোন ব্যাপার নয়, যতদিন মামলা চলবে আমি দেশে যেতে পারব না, আমার কি ঠেকা পড়সে? এই কেস গুলো শেষ হতে মিনিমাম তিন বছর লাগে, চাকুরী থাকুক কিংবা নাই থাকুক!

কেন খাদ্দামারা আসেন? আপনি জানেন কি? ইন্ডিয়া, পাকিস্তান সরকারী ভাবে খাদ্দামা পাঠানো নিষেধ করছে? এখন একমাত্র অনুন্নত আফ্রিকান কান্ট্রি, যেমন সোমালিয়া, ইথিওপিয়া এরা শুধু খাদ্দামা পাঠায়?

আরেকদিন, এক নেপালীয় মহিলা, মহিলার ডায়াবেটিস বেড়ে মরার মত অবস্থা, অথচ তার কফিল আমাকে ইন্সিস্ট করতেসিল এনিহাও তাকে কোনরকমভাবে সুস্থ করে দিতে, কারন তার অনেক গুলো বাচ্চা, তাদের কে নেপালি দেখে রাখে! মহিলা পরবর্তী তে কোমায় চলে যায়, আমরা তাকে নাজরান কিং খালেদে ট্রান্সফার করে দিই!

খাদ্দামারা সর্বোচ্চ কত বেতন পায়? সর্বোচ্চ 14000, আচ্ছা ধরলাম 20,000BDT (not possible) , আপনার সব ই ফ্রী, কিন্তু মাসে 200 SR আই মীন চার হাজার টাকা তো ফোন খরচ! এই নির্যাতন, এই বিদেশ তাদের কে কি দিচ্ছে?

একাধিক সোমালীয়, ইথিওপিয়ান খাদ্দামাকে আমি দেখেছি, 18-20 বয়সের আন ম্যারিড তরুণীর শারীরিক গঠন মধ্য বয়সী বিবাহিত মহিলাদের মত! আমি রোগী পেয়েছি কফিলের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত ঠোট!

আপনাদের প্রতি অনুরোধ, কেউ খাদ্দামার ভিসায় আসতে চাইলে তাকে নিরুতসাহিত করুন, ধন্যবাদ! মা'আস সালাম!

দ্য রিটার্ন অফ আরব্য রজনী, 23/02/38 হিজরী

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এর আগেও সৌদি আরবের এইসব ব্যাপার সম্পর্কে পড়েছি, পরিচিত জনের কাছে শুনেছি। আমাদের দেশের গ্রামের গরীব মানুষগুলোই তো সাধারণত সেখানে এই পেশায় যায়। তারা তো আর এসব জেনে যায় না। তারা কোথাও পড়েও না। কিন্তু তাদের জানানোর দায়িত্ব যাদের অর্থাৎ সরকারের তারা ভীষণ উদাসীন এ ব্যাপারে, যেমনটা বরাবরই গরীবদের ব্যাপারে থাকে। এ অবস্থায় কবে সম্পূর্ণভাবে এই পেশায় লোক পাঠানো নিষিদ্ধ হবে বলা মুশকিল। মাঝে তো সৌদি তে শ্রম রপ্তানি বন্ধ ছিলো। এখন আবার চালু হয়েছে। প্রশাসন নিষিদ্ধ না করলে আমার আপনার মত কিছু লোক মুখে বলে আর কতটুকুই বা করতে পারবে। আমাদের পক্ষে দ্রুত নিষিদ্ধ হওয়া কামনা ছাড়া কিছুই করার নেই আসলে।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাংলাদের মানুষ মনে করে সৌদি আরবের মানুষ মানেই ধুয়া তুলসিপাতা! এখন অবশ্য দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে; লোকজন বুঝতে পারছে ওই বর্বরেরা আসলে কাজের লোক নেয় না কামের লোক নেয় ।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: সম্প্রতি একটা সংবাদ সূত্রে জানা গেল, বাঙলাদেশী শ্রমিক কোনভাবেই চৌদি দ্যাশে যাইবার পারবো না যদি না আম্রার দেশ হেগো কামের বুয়া সাপ্লাই না করি। কি আবদার! তবে সরকার, গরীব মানুষদের কথা মাথায় রেখে, তাদের চৌদিস্তানে পাঠাবার ব্যবস্থা করবে, করছেও। তাই তো আমরা এখন মনে মনে বলি, বার বার দরকার, এমন তাঁবেদার সরকার!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.