নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিহঙ্গ...

তাশমিন নূর

পথ ছাড়া নাই কিছু অনন্ত পথের অন্তর্ধানে।

তাশমিন নূর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন অভিভাবকের অনুনয়...

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী আর জেএসসি পরীক্ষা নাকি বাচ্চাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে। বুঝলাম, মানুষ শিশু থেকে বুড়ো হয়, বুড়ো হয়ে শিশুদেরও বুড়ো বানিয়ে দিতে চায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আবার প্রমাণ করে দিলেন, জনগণের সঙ্গে আপনাদের রাজনীতিবিদদের কোনো কানেকশন নাই। কত জন শিশুর সঙ্গে কথা বলে আপনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন?

আপনি বলেছেন, শিশুরা সার্টিফিকেট পাচ্ছে, এতে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হচ্ছে। আমি একজন শিক্ষক ছিলাম। আমি জানি, শিশুদের সার্টিফিকেট পাওয়ার কোনো আকাঙ্ক্ষাই নেই। তারা চায় পাখির মতো উড়তে, নদীর মতো কলকলাতে, ফুলের মতো সুবাস ছড়াতে। তাদের খেলার সময় দিন। তাদের চার পাশের জগত দেখে বিস্মিত আর মুগ্ধ হবার অবকাশ দিন। তাদের মেরুদন্ড সুদৃঢ় হতে দিন।

আপনি হয়ত জানেন না, তাদের এখন এ প্লাস নিয়ে ভাবতে হয়। তাদের মুখস্থ করতে হয়, লাল আর নীলে মিলে বেগুনী রঙ হয়। কিন্তু তারা জানে না, হলুদাভ লাল আর নীলে মিলে হাজার মাথা কুটলেও সঠিক বেগুনী রঙ পাওয়া যায় না। তাদের রঙ নিয়ে খেলার সময় দিন। বৈচিত্র্য খুঁজে নিতে দিন।

শিশুদের বাঁচতে দিন। ভুল করেছেন, কিন্তু ভুল শুধরে নেয়ার মধ্যে কোনো অগৌরব নাই। বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা করা বন্ধ করুন। শিশুদের মনস্তত্ব বোঝার চেষ্টা করুন। ফিনল্যান্ডের দিকে তাকান। তাদের অনেক আগে থেকেই এমন কোনো পরীক্ষা নেই। সিঙ্গাপুরও সম্প্রতি তুলে দিল। এমনকি ক্লাসে পর্যন্ত শিশুদের র‍্যাংকিং করবে না তারা। তাদের নম্বরপত্রে উল্লেখ থাকবে না, কে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। শিশুদের ফেলকে তারা লাল কালিতে দেখাবে না আর। দুনিয়াজুড়ে অনেক কিছুই ভাবছে মানুষ। আপনারাও ভাবুন, প্লিজ। একজন শিশুর অভিভাবক হিসেবে এ আমার কাতর অনুনয়। 'কেন এ প্লাস পেতে হবে?', 'পরীক্ষা না থাকলে কী এমন ক্ষতি হত?'.........এমন সব প্রশ্নের সম্মুখীন আর হতে চাই না।



মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আজও উন্নত হয়নি।
রবীন্দ্রনাথ বলে গেছেন কিভাবে শিক্ষা দিতে হবে শিশুদের- রবীন্দ্রনাথের দেখানো পথে আমাদের যাওয়া উচিত।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

তাশমিন নূর বলেছেন: কিন্তু আমাদের আচরণ তোতা-কাহিনী গল্পের সেই নির্বোধ রাজার মতোই।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: হাস্যকর পোস্ট।
আপনার এই বাজে যুক্তি অনেক ভাবে খণ্ডন করা যায়। কিন্তু ইচ্ছা করছে না কিছু বলতে ।
যে কোন কিছুতে প্রধানমন্ত্রীকে প্যাচানো একটা অভ্যাস হয়ে গেছে ।
আপনাদের ইচ্ছা হলো অষ্টম পাস খালেদা জিয়ার হাতে দেশ চলুক ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

তাশমিন নূর বলেছেন: হাসতে থাকুন। কে দেশ চালাবে, কে চালাবে না, এই নিয়ে এখানে কেউ কিছুই বলেনি। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের সাপেক্ষেই পোস্ট। তাই তাকে প্যাঁচানোরই কথা। আপনার অনেক যুক্তি আছে, অথচ যুক্তি দিতে কোনো ইচ্ছেই হলো না। কিন্তু প্যাঁচাতে পারলেন ঠিকই। হাস্যকর!

'আপনাদের রাজনীতিবিদদের' বলতে আমি এই শ্রেণিটাকেই বুঝিয়েছি। এবং জনগণের সঙ্গে তাদের কানেকশন নাই, সেকথা জনগণের একজন হয়ে আমি নিজেই জানি। কোর থিং বুঝতে না পারলে মন্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন। আর বিরোধী যুক্তি বা মতকে নিতে পারলে আখেরে আপনাদেরই মঙ্গল, আপনারা যারা যে কোনো ইস্যুতে অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শিক্ষা ব্যবস্থা সেই মান্ধাতারই রয়ে গেছে....

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

তাশমিন নূর বলেছেন: তা তো বটেই।

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২২

চোরাবালি- বলেছেন: আমি বুঝলাম না প্রধানমন্ত্রী কি কারো সম্পত্তি নাকি যে তাকে নিয়ে কেও কিছু বললেই খালেদার প্রসঙ্গ বা অন্য কোন প্রসঙ্গ টেনে আক্রমনাত্মক শব্দ ব্যবহার করে? আমি লেখার কোথাও বিরুদ্ধাচরণ পেলাম না, শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য লেখক কিছু উদাহরণ দিল মাত্র। সেখানেও খালেদার প্রসঙ্গ। আজিব আমরা

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

তাশমিন নূর বলেছেন: উনি যুক্তি দিতে চান না। সহমত জানানোর জন্য ব্লগিং করেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেই বলা হচ্ছিল আগামী বছর থেকে পিএসসি পরীক্ষা বাতিল হতে পারে। সেক্ষেত্রে হঠাত করে উনার এমন মন্তব্য হতাশাজনক! সারা দুনিয়া শিক্ষা-পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটাতে মরিয়া।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: তাশমিন নূর,




অসম্ভব ঋদ্ধ একটি লেখা।

আপনি বলেছেন, শিশুরা সার্টিফিকেট পাচ্ছে, এতে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হচ্ছে। আমি একজন শিক্ষক ছিলাম। আমি জানি, শিশুদের সার্টিফিকেট পাওয়ার কোনো আকাঙ্ক্ষাই নেই। তারা চায় পাখির মতো উড়তে, নদীর মতো কলকলাতে, ফুলের মতো সুবাস ছড়াতে। তাদের খেলার সময় দিন। তাদের চার পাশের জগত দেখে বিস্মিত আর মুগ্ধ হবার অবকাশ দিন। তাদের মেরুদন্ড সুদৃঢ় হতে দিন।
এটুকু তুলে দেয়ার লোভ সামলাতে পারলুম না। যে মনের চোখ আকাশের বিশালতা দেখেনা কোনদিন, সে মন উদার হতে শেখেনা কখনও। মনখানা তার সবকিছুতেই অন্ধকার দেখে, দেখে রূদ্ধ দ্বার।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

তাশমিন নূর বলেছেন: ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস ভাইয়া।

আপনি ঠিকই বলেছেন। "যে মনের চোখ আকাশের বিশালতা দেখে না কোনদিন, সে মন উদার হতে শেখে না কখনো। "

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত, দুর্বল কিন্তু গোয়াড় রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে সবল শিক্ষাব্যবস্থা আশা করাই বাতুলতা! এরা কারো ভালো কথায় কান দেয় না, আর নিজের ভালো ছাড়া অন্যকিছু বোঝে না।

আপনার এটা অরন্যে রোদন হয়ে যাচ্ছে, কেউ শুনবে না! তবে শুনলে নিঃসন্দেহে ভালো হতো।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

তাশমিন নূর বলেছেন: আমার মতো আরও অনেকেই বলছেন তো। নিজেদের গোঁড়ামি থেকে আশা করি বেরিয়ে আসবেন তারা।

৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সমর্থন,
আমি নিজে পিএসসি এবং জেএসসি দিয়েছি ,সামনে বিষয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা আছে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

তাশমিন নূর বলেছেন: ধন্যবাদ, ব্লগার প্রান্ত।

আমি সেই লেখাটির অপেক্ষায় থাকলাম।

৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

ফেনা বলেছেন: এ শিক্ষা ব্যবস্থা হল মেরুদন্ড ভেংগে ফেলার জন্য। কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

তাশমিন নূর বলেছেন: বাচ্চারা অপরিসীম চাপের মধ্যে আছে। :(

৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: তাশমিন নূরের লেখা অনেক দিন পর পেলাম। ধন্যবাদ

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

তাশমিন নূর বলেছেন: মাঝখানে একটা গল্পও দিয়েছিলাম। সেটা বোধ হয় পড়েননি। :)

১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৮

কালীদাস বলেছেন: আপনার লেখার প্রথম প্যারাটা খুবই সেনসেটিভ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। লেখায় ঐ প্যারাটি নেই ধরে বাকি কমেন্টটুকু করছি। এবং কমেন্ট করছি যেটুকু একমত না সে টপিকে।

গ্রেডিং চালু হবার পর প্রথম তিন বছর স্কোরিং ছিল আগের ডিভিশন সিসটেমে যে কারণে গ্রেড তেমন উঠত না। এরপর স্কোরিং সিসটেম পরিমার্জন শুরু হয় এবং এপ্লাসের সুনামীর শুরু হয়। বেশ কিছু রিউমার অনেক বছর ধরে শোনা গেছে যে এক্সামিনারদের হুমকি দেয়া হয়েছে বাজে(!) গ্রেড দেয়ার জন্য। এই এপ্লাস সোনামনিদের সমগ্র মেধা বের হয়ে যায় ইউনিগুলোতে ভর্তিপরীক্ষা দিতে আসলে। অনেক দলকানাকে এমনকি ইউনিগুলোর ভর্তি পরীক্ষা উঠিয়ে দেবার কথা বলতেও দেখা গেছে। মানের অধঃপতনের দিকে কেউ নজর দেয়নি।

ঐ পুরান ভুলটা না শুধরেই সেটাকে চাপা দেবার নতুন বুদ্ধি হল এই নিচের লেভেলের পরীক্ষাগুলো। বাইদ্যাওয়ে, এটাকে সম্পূর্ণ নতুন বলার উপায় নেই, কারণ ক্লাস ফাইভে আর এইটে বৃত্তি পরীক্ষা আগেও ছিল এবং বৃত্তি পাওয়াটাকে একটা আলাদা সোশ্যাল স্ট্যাটাস হিসাবে দেখা হত আজীবন।

এবার আসা যাক, পরীক্ষার র‌্যাংকিং থাকা উচিত কিনা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমি বলব অবশ্যই থাকা উচিত। কারণ হিসাবে এই এক গ্রেডিং সিসটেমের এক্সাম্পলই যথেষ্ট। আমাদের কাছে ভর্তি পরীক্ষা দিতে যখন সোনালি যোগ পাওয়া এই সোনামনিরা আসে, কাউকে আলাদা করার উপায় নেই এমনিতেই; সবার র‌্যাংকিং সমান। ক্লাস নিতে গেলে টের পাই কি মাল একেকজন (এই রেশিও বাড়ছে বছরকে বছর)। আগে যখন ক্লাস/ডিভিসন ছিল, নাম্বারের কারণে কিছুটা হলেও সবার অবস্হান পরিষ্কার বোঝা যেত।

আপনি নর্দার্ণ ইউরোপের যে উদাহরণটা দিচ্ছেন, আমি তার সাথে দ্বিমত করছি না। কিন্তু সোশ্যাল স্ট্যটাসটা একবার কম্পেয়ার করে দেখুন ওদের সাথে বাংলাদেশে। আনএমপ্লয়মেন্টের হার সর্বনিম্ন এবং বাংলাদেশের মত এরকম শতভাগ মাস্টার্স পর্যন্ত পড়ে না ওখানে, ওদের র‌্যাংকিং না করলেও কোন সমস্যা নেই, কারণ পিরামিডের মত নিজেরাই একসময় নিজেদের পছন্দের প্রফেশনে ঢুকে যায় প্রাইমারি শেষ করার পর। বাংলাদেশে এই ধরণের মেন্টালিটি খুব শিঘ্রি গ্রো করার কোন সম্ভবনা দেখছি না এখনও।

বাদবাকি আমার ভাল লেগেছে পোস্টের :)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫১

তাশমিন নূর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য। আমি কিন্তু বলছি না যে, আমাদের একেবারেই র‍্যাংকিং করার প্রয়োজন নেই। আমি হবহু অনকরণের পক্ষপাতী নই। আমি বলেছি, দুনিয়াজুড়ে মানুষ অনেক কিছুই ভাবছে, তাই আমাদেরও কিছু কিছু জিনিস ভাবতে হবে। কিন্তু এ কথা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই যে, পরীক্ষা শিশুদের ওপর তুমুল চাপ সৃষ্টি করে। সেখানে পিএসসি আর জেএসসির মতো পরীক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। সেটার তাৎপর্য এবং সেই প্রয়োজনের তীব্রতা বোঝাতেই উদাহরণগুলো টানা।

আপনি বৃত্তি পরীক্ষার কথা বলেছেন। হ্যাঁ, তা ছিল। কিন্তু বৃত্তি পরীক্ষায় আমরা হৈ-চৈ করতে করতে অংশ নিয়েছি। কারণ- সেটা বাধ্যতামূলক কিছু ছিল না। আবার, বৃত্তি পেতেই হবে, এমন চাপও ছিল না। জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় আমার মনে আছে, আমাদের রোল নম্বর এক থেকে দশের মধ্যের ছাত্র-ছাত্রীরাও সবাই অংশ নেয়নি। তাই মনে হয়, স্ট্যান্ডার্ডাইজড এক্সামের সঙ্গে এর তুলনা চলবে না।

আর আপনার শেষ বক্তব্যের সাপেক্ষে বলতে চাই, যে কোনো কিছুরই শুরু থাকে। কোনো কিছুই শীঘ্রি গ্রো করে না। তাই পরিবর্তনের দিকেও ধাপে ধাপে এগুতে হয়। কিন্তু শুরুটা থাকতে হয়। ইওরোপের মানুষও যে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে খুব সন্তুষ্ট তাও না। ফিনল্যান্ড তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটা গবেষনার জিনিসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তাদের এডুকেশনাল রিফর্মেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ৪৭-৪৮ বছর আগে। সেটার ফল তারা এখন পাচ্ছে। আমরা যে হুবহু অনুকরণ করব, তা না। আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হলো, ইম্প্রোভাইজেশন। ডক্টর ইউনুসের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প সুইডেনে কাজ করেনি, সম্প্রতি খবরে প্রকাশ হলো। :) কিন্তু সোশ্যাল স্ট্যাটাস বা আর্থ-সামাজিক অবস্থা যাই হোক না কেন, শিশুদের বৈশিষ্ট্য এবং প্রকৃতি হলো তারা চাপমুক্ত থাকতে চায়। ইওরোপ কি এশিয়া, সব মহাদেশের শিশুদের ক্ষেত্রেই তা সত্য। কিছুদিন আগেও আমি ভাবছিলাম, সিঙ্গাপুর তাদের তুমুল প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শীঘ্রই বের হয়ে আসবে। খুব বেশি অপেক্ষা করতে হলো না, সেটাই হলো। এক কথায়, বাচ্চাদের কমফোর্টের দিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫

তাশমিন নূর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ফিনল্যান্ডের ফেমিনিন এডুকেশন সিস্টেম না, আমরা যাচ্ছি কোরিয়া-জাপানের ম্যাসকুলিন সিস্টেমে। আরো শক্ত হোক সবকিছু। শিশুদের পেকে যাক, চামড়া কুচকে যাক, তারা বিষণ্ণ হয়ে উঠুক।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫

তাশমিন নূর বলেছেন: হাসান ভাই, অনেক সময় তাদেরকে ইচ্ছে করেই চাপ নিতে হয়। যেমন ধরুন- চীনের কথা। তাদের মনের ভাষা প্রকাশ করার জন্য আছে প্রায় তিন হাজার ক্যারেক্টার! একটা শিশু চাইলেও সেখানে চাপমুক্ত থাকতে পারে না। ছয় বছর বয়স থেকে তারা যদি তাদের শিখন শুরু করে, তৈরি হতে হতে অনেক সময় লেগে যাবে। সেখানে তাই অনেক ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা শুরু হয়। সিঙ্গাপুরে শিশুদের আত্মহত্যা রেট ভালো পরিমাণেই আছে। তাই তারাও চিন্তা করছে, শিশুর জন্য মোটামুটি নিরাপদ পরিবেশ কিভাবে সৃষ্টি করা যায়। অন্যদিকে ফিনল্যান্ড বলছে, স্বতস্ফুর্তভাবে শেখ। শেখাটাই হলো আসল। আমরা আছি উল্টোমুখী হয়ে। আমার ছোট বোন প্রায়ই জিজ্ঞেস করে, 'রোল নম্বর এক না হলে কি কোনো সমস্যা আছে?' কতটা পেইনফুল অবস্থার মধ্যে তারা আছে, চিন্তা করলেই খারাপ লাগে। :(

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



শিক্ষা ব্যবস্থাটাই ঘুনে ধরা

আমাদের সিস্টেম তো সেই চলে আসছে

প্রতিভা বিকাশ আর শিশুদের মানসিক দিক নিয়ে কোন চিন্তা কেউ করে না ।

যে করেই হোক এ প্লাস চাই ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

তাশমিন নূর বলেছেন: হ্যাঁ, এভাবেই চলে আসছে। গতকাল ইউটিউবে আকিয়ানা নামে এক মেয়ের ওপর বানানো ডকুমেন্টারি দেখছিলাম। আকিয়ানা নয় বছর বয়সেই একজন পেইন্টিং প্রডিজি হিসেবে পরিচিত হয়েছে। সে তার স্টুডিওতে ১৪-১৫ ঘন্টা কাজ করে। আমি ভাবছিলাম, বাংলাদেশে হলে এই আকিয়ানা কদ্দুর যেতে পারত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.