নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদি পুস্তক সম্পর্কে জানুন ( পাট-২ )

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২১


আদি পুস্তক সম্পর্কে জানুন ! ( পাট-১ )
ইব্রাহিমএবং সারাহ ভাই-বোন হওয়ার ভান করে ফিলিস্তিনী শহর গেরারে যান। গেরারের রাজা সারাহকে তার স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন। কিন্তু ঈশ্বর তাকে সতর্ক করে সারাহকে ফেরত পাঠাতে বলেন এবং সে তা মেনেও নেন। ঈশ্বর সারাহকে ইসহাক নামের একটি পুত্র সন্তান দান করেন যার মাধ্যমে অঙ্গীকারনামা প্রতিষ্ঠিত হবে। সারাহর জেদে ইসমাইল এবং তার মা হাজেরাকে মরুভূমিতে নির্বাসিত করা হয় কিন্তু ঈশ্বর তাদের রক্ষা করেন এবং ইসমাইল থেকে এক মহান জাতি তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন।ঈশ্বর ইসহাকের বিসর্জন দিতে হবে বলে দাবি করে ইব্রাহিমকে পরীক্ষা করেন। যখন ইব্রাহিম ছুরিটি পুত্রের উপর প্রায় প্রয়োগ করতে যাবেন,ঈশ্বর তাকে সংযত করলেন প্রতিশ্রুতি দিলেন অগণিত বংশধরদের। সারাহের মৃত্যুতে ইব্রাহিম মাখপেলায় যা বর্তমান হেব্রোন বলে অনুমান করা হয়, পারিবারিক সমাধিস্থল ক্রয় করেন এবং কর্মচারীকে মেসোপটেমিয়ায় তার আত্মীয়দের মধ্য থেকে ইসহাকের জন্য পাত্রী খুঁজতে পাঠান এবং পরে রেবেকাকে বাছাই করা হয়। ইব্রাহিমের অন্যান্য সন্তানেরা অপর স্ত্রী কাতুরাহর মধ্য দিয়ে জন্ম গ্রহণ করে যাদের বংশধরদের মধ্যে রয়েছে মিদিয়ানীয়রা এবং অবশেষে বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয় এবং হেব্রোনের সমাধিস্থলে তাকে দাফন করা হয়।

ইসহাকের স্ত্রী একজোড়া জমজ সন্তানের জন্ম দেন এসৌ, এদোমীয়দের পিতা এবং ইয়াকুব। প্রতারণার মাধ্যমে এসৌয়ের পরিবর্তে ইয়াকুব উত্তরাধিকারী হন এবং পিতার আশীর্বাদ লাভ করেন। সে মামার কেছে পলায়ন করে যেখানে সে উন্নতি লাভ করে দুইজন স্ত্রী লাভ করেন যাদের নাম রাখেল ও লিয়া। ইয়াকুবের নাম পরিবর্তিত হয়ে ইসমাঈল হয় এবং স্ত্রী ও দাসীদের মাধ্যমে তার পুত্রসংখ্যা হয় ১২জন।যারা ছিলেন ইসরাইলীয় সন্তানদের ১২টি গোত্রের পূর্বপুরুষ এবং একটি কন্যা, দীনা।ইউসুফ যিনি ছিলেন ইয়াকুবের প্রিয় পুত্র। তার ঈর্ষাপরায়ণ ভাইয়েরা তাকে মিশরে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু ঈশ্বরের সহায়তায় আর অনেক কষ্টের পর ফারাওয়ের আসন্ন দুর্ভিক্ষের স্বপ্ন ব্যাখ্যার মাধ্যমে উন্নতি লাভ করেন। অতঃপর তিনি পিতা এবং ভাইয়েদের সাথে পুনরায় মিলিত হন।যারা তাকে চিনতে ব্যর্থ হয়েছিল এবং খাদ্যের জন্য ওজর পেশ করে। অনেক কৌশলের পর তিনি নিজের পরিচয় দেন এবং তাদেরকে তাদের গৃহস্থালি সহ মিশরে প্রবেশ করান যেখানে ফারাও তাদের জন্যে গোশেনের ভূমি নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। ইয়াকুব পুত্রদেরকে শয্যাপাশে ডেকে পাঠান এবং মৃত্যুর পূর্বে তাদের ভবিষ্যত ব্যক্ত করেন। ইউসুফ বার্ধক্য পর্যন্ত জীবিত থাকেন এবং ভাইদের কাছে মিনতি জানান যে ঈশ্বর যদি তাদেরকে এদেশ থেকে বের করেন তাহলে তারা যেন তার হাড়গুলো সাথে করে নিয়ে যায়।
আদি পুস্তকের হিব্রু শিরোনাম, প্রথম বাক্যের প্রথম শব্দ, Bereshit,থেকে নেয়া হয়েছে,যার অর্থ সূচনায়,আদিতে ইহুদি বাইবেলের গ্রিক সংস্করণে septuagint বা সত্তরের কর্ম এর নামকরণ করা হয়ঃ জেনেসিস, যা এসেছিল দ্যা জেনারেশন্স অব হেভেন অ্যান্ড আর্থ বাক্যাংশ থেকে। পুস্তকটির প্রধান চারটি লিখিত দলিল হলোঃ
(১) মেসোরিটিক পাঠ।
(২)সামেরীয় পঞ্চপুস্তক ।
(৩)ইহুদি বাইবেলের গ্রিক অনুবাদের পাণ্ডুলিপি septuagint manuscripts।
এবং

(৪) কুমরানে পশ্চিম তীরে অবস্থিত প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা পাওয়া আদি পুস্তকের খণ্ডগুলো।
কুমরানের খণ্ডগুলোই সবচেয়ে প্রাচীন পাণ্ডুলিপি কিন্তু আদি পুস্তকের একটি ক্ষুদ্র অংশই কেবল তাতে পাওয়া যায়। সাধারণভাবে মেসোরিটিক পাঠটাই উত্তমভাবে সংরক্ষিত এবং নির্ভরযোগ্য তবে এতে অনেকগুলো পৃথক পৃথক ঘটনা রয়েছে যেগুলো অন্যান্য সংস্করণে অধিকতর ভাল পাঠে সংরক্ষিত আছে।তবে অধিকাংশ পণ্ডিত একমত হন যে মূলত বিশ শতকে পঞ্চপুস্তকের পাঁচটা বই-আদি পুস্তক, যাত্রা পুস্তক, লেবীয় পুস্তক, গণনা পুস্তক এবং দ্বিতীয় পুস্তক-চারটা সূত্র থেকে এসেছে। সেগুলো হলো জাওহিস্ট বা ইয়াহ্‌য়িস্ট, এলোহিস্ট, দ্বিতীয় বিবরণপন্থী বা ডেটেরনমিস্ট এবং রাব্বানিক বা যাজকীয় উৎস, যাদের প্রতিটি একই মৌলিক ইতিহাসের কথা বলে এবং বিভিন্ন সম্পাদনকারীদের দ্বারা একত্রে যুক্ত করা হয়েছে। ১৯৭০সাল থেকে পণ্ডিতজগতে এক বিপ্লব ঘটে চলেছে বর্তমানে এলোহিস্ট উৎসকে বৃহৎ পরিসরে কেবল জাওহিস্ট উৎসেরই একটা প্রকরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।যখন যাজকীয় উৎসকে ক্রমাগতভাবে দলিল হিসেবে না দেখে জাওহিস্ট উপাদানগুলোর পরিমার্জিত এবং সম্প্রসারিত রূপ হিসেবে দেখা হয়।আদি পুস্তকে দ্বিতীয় বিবরণপন্থী উৎসের কোনো অস্তিত্ব নেই।

তথসূত্রঃ ইন্টারনেট,ও উইকিপিডিয়া।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩২

অস্বাধীন নাগরিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৫

নষ্টজীবন® বলেছেন: ভালো লাগলো কাহিনী পড়ে

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়াকুব আর ইউসুফ গুলিয়ে গেছে।
পোষ্ট বুঝতে বেগ পেতে হচ্ছে।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৩

বলেছেন: Nice article

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:১০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: দারুন লিখেছেন।

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ততকালীন মানুষ লেখার মাঝে রূপকথা মিশায়ে দিতেন।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

চাঁনমিয়া বলেছেন: ইতিহাস জেনে ভালো লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.