নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেবুলা মোর্শেদ

মেঘ মুক্ত রাতের আকাশ দেখতে ভালবাসি,আর ভালবাসি ছবি তুলতে।

নেবুলা মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আই সি- ১১০১।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫



রাতের মেঘমুক্ত অন্ধকার চঁন্দ্রবিহীন আকাশে খালি চোখে তাকালে আমরা ৬,০০০ থেকে ৬,৫০০ নক্ষত্র দেখতে পাই।দূরবীন দিয়ে দেখলে এই সংখ্যা আরো অনেক বেড়ে যাবে।আমরা আকাশে যে নক্ষত্র দেখতে পাই তা হলো সব আমাদের ছায়াপথের ( Milky Way Galaxy) নক্ষত্র।এই ছায়াপথ গুলো কতবড়? দেখা যাক আমাদের ছায়াপথটি কত বড়।আমাদের ছায়াপথটি হলো দন্ডকার পেচানো বাহুযুক্ত ছায়াপথ।এর ব্যাস ১০০,০০০ থেকে ১২০,০০০ আলোকবর্ষ,এই ছায়াপথ ধারন করে ১০০ থেকে ৪০০ বিলিয়ন নক্ষত্র।আমাদের সৌরজগত আছে এর কেন্দ্র থেকে ২৭,০০০ আলোকবর্ষ দূরে।এই ছায়াপথের ভিতরে যে সব নক্ষত্র আছে তার একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব অকল্পনীয়।



আমাদের ছায়াপথ আবার একা নয় এর আবার ১২ জন সাথী ছায়াপথ আছে,এদেরকে এক সাথে বলা হয় লোকাল গ্রুপ।এই ১২ টি ছায়াপথ আবার কন্যা রাশিতে অবস্থিত ১২,০০ ছায়াপথের সাথী।তাহলে বুঝতেই পারছেন এক একটি ছায়াপথ কতটা বড়। এর মধ্যে বিঞ্জানীরা খুঁজে পেয়েছেন এই মহাবিশ্বের সব থেকে বড় ছায়াপথ।এটি হলো এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত একক বৃহত্তম ছায়াপথ।এর নাম, IC- 1101।



এটি পৃথিবী থেকে ১ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দুরে অবস্থিত। ছায়াপথটি ১৭৯০ সালের ১৯ শে জুন ফেড্ররিখ উইলিয়াম হার্শেল আবিস্কার করেন,তার আবিষ্কারের, এটি একটি আবছায়া বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।এবং পরবর্তীতে এডুইন হাবল একে একটি স্বাধীন ছায়াপথ হিসাবে উল্লেখ্য করেন। এবং ১৮৯৫ সালে একে তালিকা ভুক্ত করা হয়।এই ছায়াপথটি আসলে কতটা বড়? শুনলে অবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই,এর ব্যাস ৬ মিলিয়ন আলোকবর্ষ এর ভর ১০০ ট্রিলিয়ন নক্ষত্র একসাথে করলে যতটা ঠিক ততটা।আর আমাদের ছায়াপথের চেয়ে এটি ৫০ গুন বড়,আর ভর আমাদের ছায়াপথের চেয়ে ২,০০০ গুন বেশী।


যদি আমাদের ছায়াথের এই অতিকায় দৈত্যটির জায়গা নিতে হয় তাহলে এর আকার ধারন করতেই ছায়াপথগুলির বিলিয়ন বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাবে।এই ছায়াপথটি একটি দৈত্যকার উপবৃত্তাকার ছায়াপথ।এই ছায়াপথের ভিতরে ধাতু সমৃদ্ধ নক্ষত্র আছে,এর মধ্যে কিছু নক্ষত্রের বয়স আমাদের সূর্যের চেয়ে ৭ বিলিয়ন বছর বেশী,ছায়াপথটির রং সোনালী হলুদ।দূরবীনের পর্বেক্ষনে এই ছায়াপথটির নক্ষত্র সর্ম্পকে একটি কৌতুহলী তথ্য পাওয়া গিয়েছে।সাধারনত নীল রংয়ের একটু আভা ছায়াপথটির সক্রিয় নক্ষত্র গঠনের সংকেত দেয়।আর হলুদ –লাল রংগুলোর সূচনা একটি নতুন নক্ষত্র জম্নের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। IC-1101 খুব অল্প সংখ্যক নতুন নক্ষত্রের জম্ন দিচ্ছে।



যদি না এটি অন্য নতুন কোন ছায়াপথের সাথে যোগ না দেয়,তবে IC-1101 ম্লান হয়ে দূরে সরে যাবে।নতুন পাওয়া এই ছায়াপথের কাঠামোটি পূর্বের রাখা রেকর্ডের চেয়েও ডাবল সাইজের যা ৭৩ নামের একটি কোয়েসার গুচ্ছের থেকেও বড় এই গুচ্ছটি ৪ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দুরে,এই গুচ্ছের থেকেও এই ছায়াপথটি ৬ গুন বড়।এই ছায়াপথটি পর্যবেক্ষন করে দেখা গেছে যে এর ভিতর থেকে জোরালো গামা রশ্নির বিস্ফোরন হচ্ছে।


বিঞ্জানীদের ধারনা এই ছায়াপথের কেন্দ্রে বিশাল ভর সম্পন্ন একটি কালো গহব্বর (Black Hole) আছে।বিঞ্জানীরা একে নিয়ে আরো গবেষনার কাজে ব্যাস্ত আছেন আরো জানতে আমাদের কিছদিন অপেক্ষা করতে হবে।এই ছায়াপথের অবস্থান কন্যা মন্ডলে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ভালো থাকুন সর্বদা।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ..

কি সুবিশা জগত সমূহ!

মানুষ নিজের দিকে তাকায় না বলেই কি সব অধরা রয়ে যায়!?

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: মানুষ নিজের দিকে তাকায় না বলেই কি সব অধরা রয়ে যায়!?

ঠিক বলেছেন।


৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: IC-1101 সম্পর্কে জানা ছিল না! ধন্যবাদ ভ্রাতা। এর এক প্রান্ত থেকে শুধু আর এক প্রান্তই ৬ মিলিয়ন লাইট ইয়ার! !!!!!!!!!!!!!!!!!!


ভালো থাকবেন সবসময় :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: "এর এক প্রান্ত থেকে শুধু আর এক প্রান্তই ৬ মিলিয়ন লাইট ইয়ার"

বিঞ্জানীরা তো তাই বলছেন!!!!!!!!!!!!!!

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৫

আলম দীপ্র বলেছেন: আপনার চমৎকার পোস্টগুলো চলতে থাকুক !

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: আপনারা যতক্ষন পর্যন্ত পড়বেন আমি ও লিখতে থাকবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.