নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খ্যাপাটে , দেশকে নিয়ে স্বপ্নবাজ , উচ্চতা ভীতি এবং নারী ভীতি রয়েছে ।

জাবের তুহিন

নামেই আমার পরিচয়

জাবের তুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হালুম [গল্প]

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৬

ক্লাস শেষ করেই সবাই ছুটতে থাকে , একে ফোন করে ওকে ফোন করে । জিজ্ঞেস করে , এখন কোথায় আছিস ? আমি কোথায় আসবো ?
আমার এসবের বালাই নাই , লিফটের লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর অভ্যাসও নেই । ক্লাস শেষ হলে হেলে দুলে , সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকি । হাতের ঘড়িতে সময় দেখে নিই শুধু সুযোগ পেলে ।
মানুষের অট্টহাসি , আড্ডার শব্দ কানে এসে লেগে ফের চলে যায় । কিছুই আর ছুতে পারছে না । অনুভূতিটা একেবারে খারাপ না , দারুনও বলা যায় । কারো মন ভাঙ্গার অপবাদ মিলবে না , কাউকে এই অপবাদও দিতে পারবো না ।
সূর্য উঠবে , অস্ত যাবে , ২৪ ঘন্টা পেরুবে । আর কি-ই বা প্রয়োজন জীবনে ।
গেট দিয়ে বেরুলাম , পাশের এক দোকানের চায়ের গন্ধটা এসে মাথায় লাগলো বেশ জোরে সোরে । তবুও এই দোকানে চা না খেয়ে গেলাম , সবচেয়ে কম মানুষ যে দোকানটাতে থাকে ।
এই এলাকায় কুকুরের সংখ্যা ইদানিং বেড়েছে , বিভিন্ন জন বিস্কুট খেতে দেয় । কুকুররাও বুঝে গেছে , কোন মার্কেট কখন কিভাবে ধরতে হয় ।
চা খেতে খেতে কুকুরদের দেখছিলাম , প্রত্যেকেরই স্বাস্থ্য আগের চেয়ে ভালো হয়েছে । আচ্ছা , কুকুর না মাংস পছন্দ করে ? তাহলে এতোগুলো জ্বল জ্যান্ত মানুষ দেখতে পাচ্ছে , না কামড়িয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়া বিস্কুট খাচ্ছে কেন ?
আমার ডান পায়ে এসে কালো একটা কুকুর কামড় বসালো , অনেক জোরে । মাংস এফোড় অফোড় করে ফেলেছে । রক্ত ঝড়িয়ে পড়ছে , রক্তের ঘ্রাণ পেয়ে সব কুকুর আমার উপর ঝাপিয়ে পড়লো । আমার চিৎকার করার কথা ছিল , ব্যাথায় , সাহায্য প্রার্থণায় ।আমি কিছুই করলাম না । হাসতে লাগলাম । এ ব্যাথার চেয়ে কঠিন ব্যাথা পেয়ে পেয়ে বেড়ে উঠছি কি না ।
রানের একটা মাংসের টুকরা রোগা একটা কুকুর টেনে ছিড়তে পারছিল না , আমি টেনে সেটি তাকে দিয়ে দিলাম ।মাংস পেয়েই সে দৌড় দিলো , কেউ যেন ছিনিয়ে নিতে না পারে ।
পা , খাওয়া শেষ হলে পেটের অংশে কামড় বসাতে লাগলো ।
ছোট ছোট তিনটি কুকুরের বাচ্চা আসলো , পেটের নরম মাংসগুলি খুব যত্ন করে চিবোচ্ছে ।
এর মধ্যে বৃষ্টি নামলো , রক্তে পুরো রাস্তা রঙ্গিন হয়ে গেলো । ভার্সিটির একটা বিল্ডিং থেকে কেউ একজন খালি পেয়ে নেমেছিল , বৃষ্টিতে ভিজবে বলে । চোখটা পুরো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে , তার পায়ের চিকন আঙ্গুল দেখেই বুঝলাম সে কে , এই আজব শখ হওয়ার মানুষ ভার্সিটিতে খুবই কম আছে ।
জীবনের শেষ মুহূর্তেও কারো পা দুটো আলতা রঙে রাঙ্গিয়ে দিতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ । পা দুটো , পরে পানি দিয়ে ধুঁয়ে নিয়ো কেমন ?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩২

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: গল্পের লেখনী চমৎকার লেগেছে।তবে একটু খাপছাড়া মনে হয়েছে জেনো।
দেখুন,আমি গল্পটি বুঝি নি।তবে,গল্পটি বুঝতে পারিনি বলেই হয়ত ভালো লেগেছে।
এমন গল্পগুলো আগামীতেও কাম্য।
:)

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


জঘন্য বিদঘুটে ভাবনা, কিছু একটা লিখতে হবে, তাই লেখা হচ্ছে?

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

জাবের তুহিন বলেছেন: অবশ্যই বিদঘুটে ।
কিছু একটা লিখতেই হবে এমন চিন্তা ভাবনা আমার নেই । চিন্তা এসেছে তাই লিখতে বসেছি । সেলফ ডিস্ট্রাকটিভ চিন্তা ভাবনা আর কি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.