নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উননুর

সামাইশি

সময় বয়ে যায়, ক্ষয়ে যায় জীবন, মন, সৃষ্টি, ক্লেদের গ্লানি জমা হোল যত যথাপি ঝরে যায় বৃষ্টি।

সামাইশি › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখার মৌলিকত্ব

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫১



লেখার মৌলিকত্ব
নিজের কল্পনাপ্রসূত চিন্তা ধারা, ভাবনা, কল্পনা, ব্যাখ্যা সম্বলিত বিশ্লেসন বর্ণনা আকারে প্রতিস্থাপনর রূপই হচ্ছে যে কোন মৌলিক লেখার অবয়ব। কোন একটি লেখার মৌলিকত্ব প্রকার বিশেষে বিভিন্নতা হতে পারে। যেমন কবিতা, গল্প, উপন্যাস এর ক্ষেত্রে লেখার মৌলিকত্ব আশা করা কোন অংশেই বাতুলতা নয়। কিন্তু গবেষণামূলক প্রবন্ধ, আলোচনা, বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনার ক্ষেত্রে প্রকৃত পক্ষে মৌলিকত্ব অনাকটাই ক্ষুন্ন হয়। গবেষণামূলক প্রবন্ধে অনেকগুলো উপাদান সন্নিবেশ করতে হয়। যেমন যুক্তি তর্ক, কারণ ও ফল, তুলনা, সংজ্ঞা, আলোচনা, উদাহরণ, উল্লেখ (রেফারেন্স )সাইটেসন ও কোটেসন ইত্যাদি। প্রথমেই আমি বলবো উল্লেখ বা রেফারেন্সের কথা। (রেফারেন্সের বাংলা উল্লেখ ছাড়া অন্য কিছু আমার জানা নেই) সঠিক ভাবে রেফারেন্সের ব্যবহার একটি Accademic লেখার ভিত্তি সবল করে। পাশাপাশি তা সংশ্লিষ্ট লেখকদের কৃতিত্ব প্রধান করে ও মূল লেখকের বিষয়বস্তুর প্রতি বোধগম্যতা প্রকাশ করে। এই রেফেরেন্সের কারণে অনেক পাঠকের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। একটি গবেষণা মূলক প্রবন্ধে প্রথমেই যে মুখবন্ধ থাকে তাতে অধিকাংশ জায়গা জুড়েই অতীব প্রয়োজনীয় রেফারেন্সের উল্লেখ থাকে। (রেফারেন্স আর উল্লেখ মিলে তালগোল পাকিয়ে গেল নয়কি!). এবং লেখাটির শেষে সকল রেফারেন্স সমূহ সন্নিবেশ করে দেয়া হয়। এখন দেখতে হবে মূল লেখকের বিষয়বস্তুটির প্রতি বোধগম্যতা ও নিজস্ব আলোকে আলোকপাত করা হচ্ছে কিনা। তা করতে গিয়ে কিছু প্রতিষ্ঠিত তথ্য ও মতবাদের নিরিখে মূল কাঠামোটি (Body ) বিনির্মান করতে হয়। আর তখনি অনেক সময় বহু পাঠকের চোখে বিপত্তি ঘটে। যা অনেকটা Accidental Plagiarism এ প্রতিভাত হয়। কিছু উন্নাসিক পাঠক হয়ত লেখাটির মৌলিকত্ব নিয়ে মুচকি হাসি হাসেন। অথচ মূল লেখক চেষ্টা করে বোজাচ্ছেন যে তিনি কত গভীরভাবে বিষয়বস্তুটি বিভিন সূত্র থেকে অনুধাবন করেছেন এবং অধ্যয়ন করেছেন ও নিজস্ব যুক্তি তর্কর অবতারণা করে তা মূল লেখার রচনা অংশে বর্ণনা করছেন। এর পরে বলা যেতে পারে পারে সাইটেসন ও কোটেসনের কথা। বলাই বাহুল্য পত্র পত্রিকায় বা অন্তর্জালে কোন লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে নানান সীমাবদ্ধতার জন্য সাইটেসন প্রায়শই অনুল্লেখ থাকে। কিন্তু এর মধ্যেই অন্যান্য লেখক সমূহের বর্ণনার Paraphrasing, তাদের ধারণা ও কাজ এবং আলোচনা ও বিস্লেসন মূল লেখক করে থাকেন। শেষে লেখার মধ্যে অনেক সময় কোটেসন ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু তাতেই হয়তোবা দেশীয় নাক উচু আঁতেল শ্রেনীর সমালোচক এক নজর দেখেই পাকি ভাষায় মধুর বয়ানে লেখার মুন্ডুপাত করে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। কিন্তু দেখতে হবে কিভাবে আলোচ্য বিষয়বস্তুর আলোকে লেখকের যুক্তি তর্ক উপস্থাপিত হয়েছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৯

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: ঠিক।।
ধন্যবাদ লেখার জন্য।।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

সামাইশি বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নি কল্লোল আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.