নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াসি আহমেদ

ওয়াসি আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই লাইনের ভয় !

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১০

দুই লাইনের ভুতের গল্প - ইন্টারনেটের বদৌলতে সবারই কমবেশি এসম্পর্কে ধারণা আছে। বিশেষ করে, “পৃথিবীর শেষ মানুষটি তার ঘরের দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ শুনতে পেলেন” – এই বিখ্যাত এক লাইনের ভৌতিক গল্পটা শোনেননি এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম বলে আমার ধারণা। যাই হোক, এমনই আরও কিছু গল্প পড়েছিলাম কয়েকদিন আগে। খুব ভাল লাগায় অনুবাদ করে ফেললাম। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

১)“আজ রাত তোমার জীবনের শেষ রাত” – মোবাইলে এই মেসেজ টা পাওয়ার পর ও পাল্টা মেসেজ পাঠিয়ে জিগ্যেস করল, “কে আপনি?” ঠিক তখনই ওর ঘরের দরজার বাইরে Message alert বেজে উঠতে শোনা গেল।

২)সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইলে আমার একটি ঘুমন্ত ছবি দেখতে পেলাম। আমার বাসায় আমি ছাড়া আর কেউ থাকেনা !

৩)ছোট বোনটা পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার পাঁচ বছর পর, তাকে একদিন কাপড়ের আলমারির ভেতর দেখতে পেল তিম্মি। ওর দু’চোখ ভরা জল।

৪)অনবরত কাঁচে টোকা মারার শব্দ শুনে ঘুম ভাঙ্গল আমার। জানালার দিকে তাকানোর পর বুঝতে পারলাম শব্দটা আসছে আমার ঘরের আয়না থেকে।

৫)মুখ ধোয়ার সময় আমি কাকে যেন বলতে শুনলাম, “পেছনে তাকিয়ে দেখ”। অবাক হয়ে আয়নায় তাকাতেই দেখি আমার প্রতিবিম্ব আঙ্গুল তুলে আমার পেছনে কি যেন দেখতে বলছে।

৬)মা বাসায় ফিরতে দেরী করায় আজকে রাতের খাবারটা বাবাই রাঁধলেন। পেট ভরে মাংসের স্টু খাওয়ার পর বাবা মুচকি হেসে আমাদের বললেন, “তোমাদের মা কিন্তু তোমাদের ভেতরেই আছেন”।

৭)আমার ছোট বোন বলে, আম্মু নাকি ওকে খুন করেছিল । আম্মু বলে আমার কোন ছোট বোন নেই!

৮)মাঝরাতে ঘুম ভাঙার পর দেখতে পেলাম জানালার বাইরে থেকে কে যেন আমার দিকে অনেকক্ষন যাবত তাকিয়ে আছে। হঠাৎ মনে পড়ল আমি থাকি ১৪ তলার উপরে।

৯)ফুটফুটে গোলাপি জামা পরে নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে ও আমার চেয়ারে বসে ছিল। ওর দিকে তাকিয়ে নিজের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম, কেন যে আমি মৃত সন্তান প্রসাব করলাম !

১০)সারাদিন পরিশ্রমের পর ক্লান্ত আমি ঘরের তালা খুলে ভেতরে ঢুকলাম। অন্ধকার ঘরে বাতি জ্বালাতে গিয়ে সুইচবোরডে হাত রাখতেই কার হাতের ওপর যেন হাত পড়ল!

১১)“এক্ষুনি খেতে আয়”, নীচের রান্নাঘর থেকে মা’র ডাক শুনতে পেলাম। সিড়ি দিয়ে নামতে যাব, ঠিক তখনি ঘরের আলমারির ভেতর থেকে মার গলার আওয়াজ এল, “যাস না খোকা, আমিও শুনেছি ঐ ডাক”।

১২) বাসায় কেউ নেই, আমি ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম। কম্বলটা টেনে উপরে তুলতেই পা বেরিয়ে গেল, আর তখনই ঠান্ডা একজোড়া হাতের ছোয়া অনুভব করলাম আমার পায়ে!

১৩) রাত গভীর হলেই আমার মেয়েটা চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। আমি ওর কবরের কাছে গিয়ে দাঁড়াই, কিন্ত ওর কান্না থামেনা !

১৪)ছেলেকে ঘুম পাড়ানোর সময় ও বলে উঠল, “আব্বু, দেখ তো খাটের নীচে কেউ আছে কিনা,আমার খুব ভয় করছে”। খাটের নীচে উঁকি দিতেই দেখি আমার ছেলেটা হামাগুড়ি দিয়ে বসে আছে ওখানে, “আব্বু দেখ তো খাটের উপর কেউ আছে কিনা,আমার খুব ভয় করছে”।

১৫) বাচ্চাদের হাসির সাথে কোন কিছুরই তুলনা হয়না। বিশেষ করে, যখন মধ্যরাতে আপনি বাসায় একা!

১৬) “তুমি এত জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছ কেন?” , ও জিগ্যেস করল। কিন্তু আমি তো বহুদিন যাবত শ্বাস নেইনা!

১৭) মাঝরাতে স্ত্রীর চিৎকার শুনে আমার ঘুম ভাঙল, “ওগো শুনছ, ঘরে মনে হয় কেউ ঢুকেছে”। ঠিক তখনই আমার মনে পড়ল আমার স্ত্রী দু’বছর আগের এক রাতে ঘরের ভেতর আততায়ীর হাতে খুন হয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫

বনমহুয়া বলেছেন: এক এক লাইনের গল্প সত্যি ভয় ধরায় দিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.