![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“বাক স্বাধীনতা মানে অপরের অনুভূতি আহত করা নয়” এটিকে ইদানিং ভুলভাবে ব্যখ্যা করা হচ্ছে কেন ? আপনি বাক স্বাধীনতার নামে একজনের অনুভুতিকে ধর্ম ছাড়াও আর ও অনেক ভাবে আঘাত করতে পারেন, কারো মা, বাবা, ভাই বোনকে গালি দিতে পারেন, এটাও আপনার বাকস্বাধীনতার মধ্যে পড়ে, কিন্তু বাক শালীনতার মধ্যে পড়েনা। আর এরকমটি আপনার সাথে ঘটলে আপনি কি করবেন। উদারতা দেখিয়ে গালি আর ও দিতে বলবেন? আপনি কোন ধর্ম বা কোন মতবাদ /বিশ্বাস মানতে বা বিশ্বাস করতে বাধ্য নন। কিন্তু যারা সেটা মানেন, পালন করেন তাদের প্রতি আপনার কোন বিদ্বেষ থাকবে কেন। আপনি নাস্তিক হতেই পারেন তাতে কারো কিছুই যায় আসেনা, ধর্মের কোন অনুভতি নেই, অনুভুতি আছে অনুসারীদের।আপনি একটি ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করলে সেটা সেই ধর্মের অনুসারীদের মনকে আহত করবেই, এটাই স্বাভাবিক । যেহেতু আপনি কোন ধর্ম বা মতবাদ বিশ্বাস করেন না সেহেতু সেটা নিয়ে আপনার আর কোন আগ্রহই থাকার কথা না, কারন মানুষ সাধারনত অনাগ্রহের বিষয়ে মাথা ঘামায়না। কিন্তু আগ বাড়িয়ে একটি বিশ্বাস মতের প্রতি বিদ্বেষমুলক কোন কিছু করারই বা কি যুক্তি থাকতে পারে? আবার প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রতিক্রিয়া গুলু কেমন অদ্ভুত,পরকালে বিশ্বাস করেন অথচ নাস্তিকের বিচার পরকালে হবে এটা মনে হয় বিশ্বাস করেন না, না হলে বিচারের দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নিতেন না। আল্লাহ কি চাইলে এক নিমিষেই তার প্রতি সন্দেহ/ অবিশ্বাস পোষণকারীকে ধ্বংস করে দিতে পারেন না, তার দুনিয়ায় তিনি আস্তিক নাস্তিক সবাইকেই লালন পালন করেন, তিনি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সবাইকেই ছাড় দিয়ে রেখেছেন, এবং এরপর সবাইকেই তার কৃতকর্মের জবাবদিহি করতে হবে, এটাইতো ধর্মের কথা। তো ভিন্নমতের প্রতি ক্ষোভ এভাবে প্রকাশ করতে হবে কেন। প্রতিবাদের ভাষা শান্তিপূর্ণ হতে দোষ কোথায়? সবশেষে ধর্মহীনদের বলবো আপনারা ধর্ম বিশ্বাস না করেন সেটা আপনার ব্যপার কিন্তু কোন ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ মূলক কিছু করে সমাজে অস্থিরতা বাড়াবেন না।
©somewhere in net ltd.