নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীপ ছিলো, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে...

শায়মা

দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...

শায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্ষা গেলো চলে ....... বর্ষামঙ্গলে

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৬


গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত বসন্ত,
ছয়টি পাখি ছয়টি রূপে এসে বাংলাদেশে ছয়টি সূরে করে ডাকাডাকি .....

আমাদের ছোটবেলায় বিটিভির পর্দায় ফেরদৌসী খালামনির কন্ঠে এই গান মনে হয় আমাদের মতন যারা শুনেছে সবারই জানা। কারণ আমরা সবাই তখন একই গান গাইতাম, একই নাচ শিখতাম, একই জামা পরতাম, একই নাটক দেখতাম সারা দেশ এক সাথে। সেই ছোটবেলা হারিয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে আমাদের সেই একই সাথে গান শেখা, নাটক দেখার দিনগুলো।

আজকের এই আলো ঝলমলে রঙ্গিন দুনিয়ায় সে সব স্মৃতি তারপরেও যেন বড় জ্বলজ্বলে মধুর। দিন বদলের সাথে সাথে প্রকৃতিতেও এসেছে রং বদলের খেলা। তবুও আজও গ্রীস্ম আসে, বর্ষা ফুরোয় প্রকৃতিতে জাগে সাদায় নীলে শরতের আভা, হেমন্তিকার দ্বীপগুলি জ্বলে মিটিমিটি সন্ধ্যাকাশে, শীতও তার রুপের ডালি নিয়ে হাজির হয়ে যায় আজও আমাদের বাংলাদেশে। আর ফাগুনের কথা কি বলবো! সে তো সবার দ্বারেই পৌছে দেয় ফাল্গুনী হাওয়া, ফুলের মৌ মৌ সুবাস!

এই সেদিন আমাদের ছাদবাগানে নেমেছিলো বর্ষা। আর সেই বর্ষার রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজেছিলো আমাদের হৃদয়!!! আমরা ক'জন দুঃখভোলা এবং জীবনের প্রান্ত থেকে শুষে নেওয়া মানুষগুলো উচ্ছাসে মেতেছিলাম সেদিন। প্রায় দু সপ্তাহের বেশি প্লান ছিলো আমাদের এই বর্ষার আয়োজন নিয়ে। কি হবে বর্ষার খানাখাদ্য, গান বাজনা, হাসি আনন্দ। কি হবে আমাদের পোশাক আশাক, চুলের ফুল, খোপার মালা সে সবই ছিলো আমাদের পরিকল্পনায়। তবে যদি সেদিন বৃষ্টি না নামে!! তবে ভিজবো কিভাবে! বলতেই আমার চাইতেও মিশন ইম্পসিবল আমার উনি(রিমো রোবোট :P করুণাধারা আপুনির জন্য)লেগে পড়লেন কাজে। ওয়ারটার জেডফোর্স অর্ডার দিয়ে, বেশ কয়েকটা শাওয়ার লাগিয়ে ঠিক সিনেমায় যেমন উপর থেকে কৃত্রিম বৃষ্টি পড়ে ঠিক অমনই করে বানিয়ে ফেললেন বৃষ্টির শ্যুটিং স্পট!! হা হা আর যায় কোথা !

ওহ আমাদের এই বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠানের নাম ছিলো - এসো নীপবনে ছায়াবিথী তলে এসো করো স্নান নবধারা জলে ....... কাজেই বৃষ্টি তো নামাতেই হবে সে আকাশ ডাকুক বা না ডাকুক মেঘ কাঁদুক বা না কাঁদুক!! :) আরেকটা কথা বলে রাখি বর্ষামঙ্গল উৎসবটার নামই মনে হয় এসেছে বর্ষায় যেন বানের পানিতে বা অন্য কোনো অসুখ বিসুখে ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে কারণে প্রার্থনা টাইপ কিছু থেকে। বর্ষামঙ্গলের কারণ ও ইতিহাস থেকে জানা যায় যে বাংলার ছয় ঋতুর মধ্যে বর্ষা সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও রোমান্টিক ঋতু। আষাঢ়ের কালো মেঘ, ঝুম বৃষ্টি, নদীর ঢেউ আর কদমফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতি হয়ে ওঠে মনোমুগ্ধকর। বাঙালি সংস্কৃতিতে এই বর্ষাকে বরণ করার জন্য আয়োজিত হয় বর্ষামঙ্গল উৎসব।

বর্ষামঙ্গলে পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, লোকগান, নৃত্য, কবিতা ও আবৃত্তি। সাজসজ্জা, আলপনা, ফুল আর রঙিন পোশাকে প্রাণ পায় এ অনুষ্ঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুরুতে বর্ষামঙ্গল আয়োজন করে। এ উৎসব আমাদের মনে করিয়ে দেয়,বর্ষা শুধু সৌন্দর্যের উৎস নয়, কৃষিজীবনের প্রাণশক্তিও বটে। বর্ষামঙ্গল তাই প্রকৃতি, প্রেম আর সৃষ্টিশীলতার এক অনন্য উদ্‌যাপন।

আমাদের উৎসবে আমি বসে বসে বানালাম বর্ষার সকল খানাপিনার আয়োজননামা! ঝালমুড়ি, চটপটি, ফুচকা, বর্ষার খিঁচুড়ি, গরুর মাংস, মাছ ভাঁজা বেগুন ভাঁজাসহ, নানারকম মিষ্টি দই ও বর্ষার ফলমূল!!! আমার তো সকল কাজে একটু বৈচিত্র লাগবেই আর তাই সেসব কি করে সাজাবো ভাবতেই মাথায় আসলো আইডিয়া। বানিয়ে ফেললাম ঝালমুড়ি, চটপটি, চা ও ফলমূলের স্টল আর বর্ষার খানাপিনার হোটেল। সেসবের নামও দিলাম আবার একেক জনের নামে।

চটপটি স্টল

ঠিক যেভাবে সত্যিকারের চটপটিওয়ালা তার বিশাল বড় সসপ্যানে টগবগে গরম ডাবলীগুলো ঢেলে রাখে, ঠিক যেভাবে সেখানে থাকে ডিমকুচি, পেয়াজ, মরিচ, ধনেপাতা, টমেটো শশা কুচি?

ঠিক যেভাবে থাকে এক কড়াই তেঁতুলের টক গোলা। ঠিক ঠিক যেভাবেই সাজিয়ে দিলাম আমি মিথ্যেকারের চটপটিওয়ালা হয়ে........

তবে সত্যিকারের চটপটির চাইতেও মজাদার স্বাদে। :) ফুচকাগুলোও এক্কেবারে পাক্কা চটপটিওয়াদের মতন করেই পলিথিনে আটকে রেখেছিলাম! :)

খেলা খেলা ঝালমুড়ি স্টল

খেলা খেলা ঝালমুড়ি স্টলটাও দারুন করে বানালাম। সত্যিকারের মুড়িওয়ালা যেমন পলিথিনে মুড়ি রাখে, তেমনই করেই রাখলাম আমিও। আমার খানদানী কাঁচের বয়ামে ঢেলে দিলাম চানাচুর গরম গরম, ছোট ছোট খেলনা বাটি টাইপ কড়াই এ দিলাম পেঁয়াজকুচি, মরিচ কুচি, ধনেপাতা আর সরিষার তেলের বোতলটা ডাইরেক্ট একশান করে রেখে দিলাম ওদের মতনই। এখন ঐ যে যেই কৌটায় সব দিয়ে ঝাঁকি দিয়ে ঝালমুড়ি বানায় ঝালমুড়িওয়ালারা কোথায় পাবো তারে!!! শামীমকে পাঠালাম কেড়ে নিয়ে যায়!!! হা হা হা মানে আমাদের শামীমের সবাই দোস্ত ইয়ার আশেপাশের বাড়িগুলোর দারোয়ান ড্রাইভার থেকে শুরু করে মুদিদোকান তরকারীওয়ালা ঝালমুড়িওয়ালারাও। তো তাদের কাছে পাঠালাম ওটাই লাগবে আমার। সে নিয়ে এলো তেলচিটে একটা কনডেন্সমিল্কের টিন!!! ইয়াক থু এই থেকে বানানো ঝালমুড়ি খাই আমরা!!!!!! ছি ছি!!!!!!!! :(
মুড়িওয়ালার থেকে কেড়ে নিয়ে আসা কৌটা ফেলে আমার পলিমার ক্লের ছোট্ট পরিষ্কার কৌটাটাকেই বানিয়ে ফেললাম ঝালমুড়ি ঝকাঝক!!! :)

বর্ষার খিঁচুড়ি হোটেল

খিঁচুড়িটা এনেছিলো আমন্ত্রিতা আত্মীয়া। আর গরুর মাংস ভূনা, মাছ ভাঁজা, দই মিষ্টি, পিঠা আচারও একেকজন একেকটা। আমাদের ছাদ বাগানের সব্জী বেগুনভাজা ছিলো সাথে আর ছিলো আমার স্পেশাল আচারী পেঁয়াজ!!!

বর্ষার ফলমূল

আমড়া, আমলকী, পেয়ারা, করমচা, বাড়ির ছাদের ড্রাগনফল আনারস আরও কত কি ছিলো নিজেরই মনে নাই আর। তবে হ্যাঁ আমড়ার জন্য বিট লবন আর মরিচগুড়া তো ছিলোই আর আমড়াগুলো ফুলের মত কেঁটে কাঁঠিতে আটকাতে ভুলিনি কিন্তু!!!!!!!!!!

বর্ষার চা গরম

আদা চা, লেবু চা, দুধ চা, মালাই চা, গুড়ের চা , মসলা চা, সবুজ চা সব চায়েরই আয়োজন ছিলো রুপা আর মাটির তৈজসে।

বর্ষার সাজ

কদম ফুল এবং বেলোয়াড়ী রেশমী চুড়ি একদম এক নাম্বার কোয়ালিটি, এক নাম্বার গামছা সব কিছুর আয়োজন ছিলো সবার জন্যই। সিলেট থেকে আনিয়ে নিলাম শীতলপাটি কুল কুল!! সে যাই হোক সকল আয়োজন শেষে মেতে উঠলাম আমরা বৃষ্টি বিলাসে।


আমরা ভুলেই গেলাম আমাদেরকে। আমাদের বয়স পেশা দায়িত্ব সবই যেন কৈশোর আর তারুন্যে ফিরে গেলো।

মন মোর মেঘেরও সঙ্গী, উড়ে চলে দিগ দিগন্তেরও পানে.....নিঃসীম শূন্যে শ্রাবণবর্ষণসঙ্গীতে, রিমিঝিম রিমিঝিম রিমিঝিম....

আকাশে বাতাসে চল সাথী উড়ে যাই চল ছাতা মেলে রে .......


বৃষ্টিতে ভেজাভেজির পর শুরু হলো গান ও কবিতার আসর!!! এত গান, নাচ, কবিতা! তবুও প্রান ভরেনা। যেন ফিরে যেতে মনই চায় না সত্যিকারের পৃথিবীতে। সেদিন ছিলো পূর্নিমা। ভেজা আকাশে মেঘ সরে গিয়ে জেগে উঠেছিলো পূর্ণ চাদ!!!
আমরা সবাই মেতে উঠেছিলাম এক এক করে টেলিস্কোপে........ ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন বাঁজছিলো মান্না দের হায়রে হায়রে চাঁদ দেখতে গিয়ে আমি তোমায় দেখে ফেলেছি....... হা হা এটাই বাঁজা উচিৎ ছিলো বটে ...... তাইনা???


সবার জন্য বর্ষার কদমফুলের শুভেচ্ছা......

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: আপু দাওয়াত দিবা না?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

শায়মা বলেছেন: আমি তো সব সময়ই বলেছি সদা ও সর্বদা দাওয়াৎ তোমাদের সবারই আমার পরীর দেশে!!!!!

তোমরাই তো আসো না...... একবার বলেই দেখো না আমি সাথে সাথে পাখা অর্ডার দিয়ে দেবো!!!!!!! :)

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




দারুণ! ছবিগুলো দারুণ হয়েছে!


আমার পোষ্ট করেই দেখি তোমার পোস্ট এসে গিয়েছে!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শায়মা বলেছেন: আমিও তো আমার পোস্ট চেক করেই দেখি তোমার পোস্ট !!!

দাঁড়াও যাচ্ছি দেখতে কি ঝগড়াঝাটি পোস্ট লিখেছো!!!

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: ছবিগুলো খুবই সুন্দর সাথে লেখা বেশ ভালো লাগলো

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০০

শায়মা বলেছেন: আর প্লানিংটা কেমন হলো???

চানাচুর স্টল, চটপটি স্টল!!! এসব ???

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আলামিন১০৪ বলেছেন: আরে, দাওয়াতও দিলে না.. পাশে ছাতা মাথায় কে সে? জাতি জানতে চায়।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০১

শায়মা বলেছেন: ছাতা মাথায় কে আবার ?? আমি আমি আমি আর পাশে?????



ভূত ভূত ভূউ উ উ উ উ উ ত!!!!!!!!! :P

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: এই ধরনের কালারফুল ছবির, সৃষ্টিশীল পোষ্ট দেখলে মনটা আনন্দে ভরে উঠে; মনে হয় ব্লগটা‌ এখনো বেঁচে আছে। তা না হয় আর আসি কি করতে! শায়মা আপু মানে একদম ভিন্নধর্মী কিছু সৃজনশীল কিছু।‌ যাক বাসায় বানানো ফুচকা আর চটপটি আমার জীবনে ও ভালো লাগে নাই। দোকানের স্বাদের নারে কাছে ও যাইতে পারে না। আমার ধারনা দোকানের চটপটি স্বাদের অন্যতম একটি কারন তাঁদের ঘাম আর আনহাইজেনিক কিছু পদ্ধতি :-P ছবি গুলো সুন্দর। মেয়ের হালাল পার্টি; আমার ভাবী তার সখীদের নিয়ে এইসব করে। আমি থাকলে ছবি তুলে দিতে বলে। পোষ্টের খুশিতে লাড্ডু।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৭

শায়মা বলেছেন: হা হা তোমার কাছে বাসার চটপটি ফুচকা যতই মন্দ হৌক!! আমাদের এই ডাবলী মটর চটপটি স্পেশাল ছিলো সোনায় সোহাগা!! মানে এমন চটপটি আমিও খাইনি জিন্দেগীতে, তুমিও না কেউই না........এক সসপ্যান চটপটি এক নিমিষে হাপুস হুপুস গাপুস গুপুস!!!!!!!

লাড্ডু আমার অনেক প্রিয়!!! আর তুমি নিশ্চয় নেক্সট শরতের আয়োজনে থাকবে। মানে ছবি তোলার জন্য!! প্লান ফাইনাল এন্ড কনফার্ম করো। আমার পরীর দেশে আসতে হলে তো পাখা অর্ডার করতে হবে আমার আগে ....... :D

৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আয়োজনটা চমৎকার ছিল।
ফুচকা ওয়ালী,ঝালমুড়ি ওয়ালী দুটাই রূপবতী।
জমজ নাকি?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২

শায়মা বলেছেন: হা হা জমজ তো......
একজন জানোনা ..... এইখানেও জমজ দুইটা লিখে তো!!!!!!


ভাইয়া আয়োজন বানিয়ে আমি সত্যিই মজা পেয়েছি অনেক অনেক ......

খাস চটপটিওয়ালা স্টাইল করতে চেয়েছি, খাস ঝালমুড়িওয়ালা, আবার বৃষ্টি যদি সেদিন না ঝরে তাই কৃত্রিম বৃষটিও বানিয়েছিলাম।

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

আরোগ্য বলেছেন: বাংলা একাডেমি কী গ্রীষ্ম বানান পরিবর্তন করলো? আমি দ্বিধায় পড়ে গেলাম। আর পোস্টের নাম দেখেও দ্বিধায় পড়েছি। তড়িঘড়ি ক্যালেন্ডার চেক করতে গেলাম, বর্ষা তো ঠিকই আরো আগেই বিদায়। এ তো শরৎচন্দ্রের পূর্ণিমা গেল। সে যাই হোক বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু তবে ভিজতে তেমন পছন্দ না বরং বৃষ্টির সৌন্দর্য দর্শনে উপভোগ করি।
বুঝতে পেরেছি শায়মা আপা নজর লাগার ভয়ে খাওয়া ভালোমত হজমের পর পোস্ট করেন। বাহ্ কি বুদ্ধি! ;)

প্রথম ছবিটা দারুণ। কঙ্কাবতী রাজকন্যা পাশে তার রাজকুমার তবে কার্যকলাপ পুরোই রাজাদের মত লাগলো। বেশ ভালো জোড়া সহি সালামাতে থাকুক। :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া

কমেন্ট পড়ে আগে দৌড়ালাম বানান ঠিক করতে!!!

তারপর এলাম জবাব দিতে!!!!!!! না না বাংলা একাডেমী বানান পরিবর্তন করেনি। করেছিলাম শায়মা একাডেমী.......


যাইহোক ঠিক করে দিয়েছি। শায়মা একাডেমী তো তোমার পছন্দ হলো না তাই বাংলা একাডেমীরটাই দিয়ে দিলাম!!! :)

আর এখন শরৎ তবে বর্ষা গেছে চলে..... এবং সেই বর্ষাদিনের বর্ষামঙ্গলের গল্প লিখেছি শরতে এসে.......


শরতেরটাও লিখবো হেমন্তে গিয়ে। কি আর করা চিড়া মুড়ি মুড়কী মোয়া ফুরোবার পরেই তো লিখবো। তুমি তো এটা বুঝেই ফেলেছো হা হা হা হা .......

থ্যাংক ইউ বাংলা একাডেমীকে মনে করায় দেবার জন্য...... নইলে শায়মা একাডেমিয়া হয়ে বসে থাকতো!!!!! :)

৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার মেয়ের চটপটি ও ফুচ্‌কা খুব প্রিয়, বাকিদের কাছেও কম প্রিয় না। তো, শায়মা চটপটি ঘর থেকে কি অনলাইনে অর্ডার দেয়া যাবে? আমার জন্য ৫ প্লেট পাঠাবেন প্লিজ :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া কেউ অর্ডার দিলে চলবে না মানে কারো অর্ডার নেওয়া হবে না তবে তুমি দিলে তোমার জন্য ৫০০ প্লেটও যেতে পারে...... :)

৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আহহারে প্রিয় সব খাবার । তাও আবার ছাদ বাগানের সবজি , ফল সহকারে। দুইরে বইসা এইসব ছবি দেখলে কেমনডা লাগে :(
বর্ননাতো আরো মারাত্মক। তয় বেদনার রঙ জানতাম নীল, বর্ষার রঙ ও কি নীল ?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১২

শায়মা বলেছেন: এতদিনে জানলে বর্ষার রঙ নীল!!!!!!!!!
হায় হায় হায় কই ছিলে এত দিন???

দাঁড়াও কয়েকটা কবিতা গান নিয়ে আসছি তোমার জন্য!!!



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.