নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কঠোর পরিশ্রম করতে ভালবাসি, নম্র থাকি নম্রতা পছন্দ করি, সুখ ছড়িয়ে দিতে ভাল লাগে, যা হবার তা হবেই হবে চেষ্টার ত্রুটি কেন রবে, BG: A+(ve)
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুদের মরাদেহ দাফন কিংবা সৎকারে এগিয়ে আসছেন না কেউ এমন খবরও চারপাশে ছড়িয়েছে। ঠিক তখন বরিশালের কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন মরাদেহ দাফন সৎকারের ব্যবস্থা করছে । নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তাদের এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়াচ্ছে সব মহলে।
সম্পত্তি বরিশালে নগরীর মহাশ্মশানে করোনা সন্দেহে এক ব্যক্তির মরাদেহ পড়েছিল ঘন্টার পর ঘন্টা। সৎকার দূরের কথা শ্মশান এর ভিতরে ঢুকতে দেননি কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার। যদিও পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সৎকার করা হয়। এমন অমানবিকতার ঘটনা কম নয় সজলের মরদেহ ফেলে চলে যাওয়া জানাজা পড়ানোর মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ।
বরিশালের কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর একদল
সদস্যরা ঝুঁকি নিয়ে মরদেহ সৎকারের কাজ করছেন। কোয়ান্টাম সৎকার কার্যক্রম এক সদস্য জানান, সৎকারের দায়িত্ব নিতে চায় না কেউ এমনকি জায়গা দিতে চায় না সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করেই আমাদের লাশ দাফন করতে হয়।
কোয়ান্টামের আরেকজন সদস্য বলেন, আমরা সমস্ত স্বেচ্ছাশ্রম নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সকল সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করায় সুস্থ আছেন সংগঠনের সবাই।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন-এর বরিশাল বিভাগীয় কোয়ার্ডিনেটর ফয়সাল মাহমুদ জানিয়েছেন,
মূল্যবোধের অবক্ষয়ের এই সময়ে। আসলে আমাদের মানবিকতা নাড়া দিয়েছে। যারকারনে আমরা গিয়ে অন্তত তাদের পাশে দাঁড়াই। প্রত্যেকটা মানুষের শেষ বিদায়ের যে সম্মান মমতার সাথে এই সম্মানটুকু দেওয়ার জন্য আমরা এগিয়ে এসেছি। তিনি আরও বলেন,বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুসরন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি দাফন ও সৎকার সম্পন্ন হচ্ছে। মৃতদের নিকটজনদের পালিয়ে যাবার মধ্যে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের টিম সার্বক্ষনিক লাশ দাফনের কাজ করছে। এছাড়া কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় যেকোন সহায়তায়ও প্রস্তুত রয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। যেকোন রোগীর রক্তের প্রয়োজনেও ফাউন্ডেশনের কর্মীরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফয়সাল মাহমুদ।
নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তাদের এই উদ্যোগ দৃষ্টান্ত
হয়ে উঠেছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এ এম অজিয়র রহমান বলেন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন যে সংগঠনটি রয়েছে সেই সংগঠনের যারা সদস্য তারা আমাদের সবসময় সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। শুরু থেকেই ধন্যবাদ জানাই যে তারা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের দুর্যোগের সময় যে তারা দাফন এবং সৎকারের কাজটা হাতে নিয়েছে সেটা আসলে মনুষ্যত্বের পরিচয়।
গেল তিন মাসের নতুন কোন রোগের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ৪৮ জনের মরদেহ দাফন বা সৎকার করেছে সংগঠনটি।
২| ২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: মানবতার জয় হোক।
৩| ২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো উদ্যোগ। আপনাদের কাজের জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪১
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এভাবেই মানবতা টিকে আছে, টিকে থাকবে।