নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কঠোর পরিশ্রম করতে ভালবাসি, নম্র থাকি নম্রতা পছন্দ করি, সুখ ছড়িয়ে দিতে ভাল লাগে, যা হবার তা হবেই হবে চেষ্টার ত্রুটি কেন রবে, BG: A+(ve)
সম্প্রতি সারাদেশে মব ট্রায়াল তথা ক্ষুব্ধ জনতা কর্তৃক মানুষকে হেনস্তা বা সাজাদানের ঘটনার বিস্তার ঘটেছে। মব ট্রায়াল কোনো ট্রায়াল (বিচার) নয়; এটি সমাজের কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই ট্রায়ালের মাধ্যমে এমনকি ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডও ঘটেছে। কিছু মানুষ একত্র হয়ে এসব ঘটাচ্ছে।
মব ট্রায়াল করে বঙ্গবন্ধু, সাত বীরশ্রেষ্ঠসহ মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে। মাজার ভাঙা হচ্ছে। এমনকি হাজারো শ্রমজীবী মানুষের কর্মক্ষেত্র গাজী টায়ার্স, প্রাণ-আরএফএলের দুটি প্লান্টসহ অগণিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে; লুটপাট করা হয়েছে। এগুলো এখনও থামেনি। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, তেমনি দেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।
গত শনিবার রাজশাহীতে ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৪ সালে শিবিরের হামলায় তাঁর ডান পায়ের নিচের অংশ গোড়ালি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। তাঁর হাতের রগ কেটে দিয়েছিল। তাঁকেও মব ট্রায়াল করে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন, ছাত্রলীগের ওই কর্মী তো অচল ছিল। তবু তাঁকে কেন হত্যা করা হলো? সরকার এদের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে? এসব ঘটনা দেশব্যাপী একটি নৈরাশ্য ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা। বিগত সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসনের কারণে মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ চাপা পড়ে ছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সেই সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে মানুষ সেসব ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে প্রকাশ করতে শুরু করে। এর মধ্যেও আবার অনেক দুষ্কৃতকারী সুযোগ নিয়েছে, এখনও নিচ্ছে। তবে সে যা-ই হোক, আইনের বাইরে কোনো কিছু ঘটতে দেওয়া যাবে না। কারও অপরাধ থাকলে মব ট্রায়াল নয়, তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার যদি মব ট্রায়ালের এসব ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত ও দমন করতে না পারে, তাহলে ছাত্র অভ্যুত্থান হোক আর রাষ্ট্র সংস্কার– তারা যেভাবেই বলুক, সেটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। জনগণের যে আশা-উদ্দীপনা ছিল, সেটি যদি বিপর্যস্ত হয়, তা হবে জাতির জন্য এক বিশাল হতাশার অধ্যায়।
বিচারাঙ্গনেও মব ট্রায়াল হয়েছে। আমরা দেখেছি, বিগত সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের আদালতে নাজেহাল করা হচ্ছে। শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে। যদিও গত কয়েক দিনে সেটি কমেছে। বিগত সরকারের সমর্থক আইনজীবীরা আদালতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভীতির মধ্যে রয়েছেন। অতীতের সরকার যে ভুল বা অন্যায় করেছে, তারই যদি পুনরাবৃত্তি চলতে থাকে বা চলতে দেওয়া হয়, সেটা কিন্তু পরিবর্তনের লক্ষণ নয়।
আমরা দেখছি, গণহারে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে মামলায় জড়ানো হচ্ছে। সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছেন না। আইনজীবীদের বিরুদ্ধে গণহারে মামলা হচ্ছে। এসব মামলা জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। এভাবে চলতে থাকলে বর্তমানে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে এ সরকারকেই দায়ভার বহন করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। কিন্তু হেনস্তার জন্য কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে যেন মামলা দেওয়া না হয়। আশা করছি, যাদের হেনস্তার উদ্দেশ্যে মামলা হয়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়ার ব্যাপারে সরকার অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আমরা চাই, রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকুক। আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত হোক। একই সঙ্গে মব ট্রায়ালের যে ধারা চলছে, সেটার অবসান হোক। নাগরিকদেরও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।
লেখক : জেড আই খান পান্না
আমার প্রশ্ন, ১৭ জুলাই ২০২৪ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ নিহত হোন। মি. সাঈদকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে বেশ আলোচনা হতে দেখা যায়, যার মূলে রয়েছে ঘটনার সময় ধারণ করা কিছু ভিডিও।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওইসব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, পুলিশের তাক করা অস্ত্রের বিপরীতে মি. সাঈদ বুক পেতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তখন যদি সেই পুলিশ কে আটক করা হতো তবে ততকালীন সরকারের আজ এই পরিনতি হতনা।
তেমনি ৭ সেপ্টেম্বর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদের ওপর হামলা হয়। পরে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
মি. মাসুদকে আহত অবস্থায় বোয়ালিয়া থানায় আনার পর তাঁর কথাবার্তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বোয়ালিয়া থানা হাজতে শুয়ে থাকা অবস্থায় মি. মাসুদকে বলতে দেখা যায়, ‘আমি বিনোদপুরে ওষুধ নিতে এসেছিলাম ভাই। আমি ছাত্রলীগ করতাম ওই জন্য ধরেছে। কিন্তু আমার পা ২০১৪ সালে কেটেছে ভাই। রগ-টগ সব কাটা ভাই। আমি তো অনেক দিন আগে থেকেই ছাত্রলীগ করা বাদ দিয়েছি ভাই।’
তাই এখনো সময় আছে মব ট্রায়াল হতাশা ছড়ানো মুক্তি পেতে ,আবদুল্লাহ আল মাসুদ হত্যাকাণ্ড জড়িত অন্তত কাউকে আটক করুন।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪
সোহেল ওয়াদুদ বলেছেন: জানমালের নিরাপত্তার অধিকার???
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: পরিকল্পনা করে থানাগুলি পুড়িয়ে দিয়ে পুলিশকে হত্যাকরে একটা গুষ্ঠি এই কাজ করেছে যাতে পুলিশ নিস্কৃয় হয়ে যায়।কোমলমতিরা এই কলকাঠি নাড়ছে।পুলিশ সক্রিয় না হওয়া পর্যন্ত এমন চলতেই থাকবে।
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪
সোহেল ওয়াদুদ বলেছেন: জানমালের নিরাপত্তার অধিকার
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০৬
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
পাপের শাস্তি আম্লিগকে পেতেই হত।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫
সোহেল ওয়াদুদ বলেছেন: এই জন্য পঙ্গু একটা মানুষকে মেরে ফেলতে হবে?
৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যাত্রাবাড়িতে ও দুই মাদাসা ছাত্রকে থানায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে তথাকথিত সমন্বয়করা । এরা সন্ত্রাসী । কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোথাও কোন প্রকার জোড় খাটালে আটকে রেখে পুলিশ দিন । জনগন মিলে ধোলাই দিয়ে ছেড়ে দিন ।
৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: আগে আওয়ামীলীগ মারত শিবির/জামাত/ জঙ্গী বলে আর এখন অন্য দল মারে ছাত্রলীগ/যুবলীগ বলে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী দেওয়ানী মামলা হয় ওয়ারিশের সম্পত্তি ভাগ নিয়ে- যেটা মূলত হয় ভাই ভাই কিংবা ভাই বোনের মধ্যে
বাপের রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে।
যে দেশে আপন ভাই--ভাই, ভাই বোনের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মামলা মোকাদ্দমা হয় তুচ্ছ সম্পত্তি নিয়ে,। সেই দেশে মানুষকে মানুষ
করা ভীষন দুরূহ!
৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬
ধুলো মেঘ বলেছেন: কে আটক করবে? পুলিশ? পুলিশের সেই মেরুদন্ড আছে নাকি?
৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৭
নতুন বলেছেন: সকল সন্ত্রাসীদেরই আটক করতে হবে। নতুবা এরা সব কিছুর দখল নিয়ে নিচ্ছে।
হিরো আলম কে আদালতে মারধর করা হলো, দেশে এইগুলি বন্ধ না করতে পারলে এই আন্দোলন করে কি লাভ হলো?
না হলে আন্দোলনে আয়ামীলীগ বিদায় করে বিএনপি শিবিরকে পুর্নবাসন করা হবে।
৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২২
অগ্নিবেশ বলেছেন: @নতুনদা, আপনাকে লজিক্যাল মনে হয়, কিন্তু খাল কেটে কুমির এনে ফেলেছেন। মৌলবাদীদের আর ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না।
১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪
নতুন বলেছেন: অগ্নিবেশ বলেছেন: @নতুনদা, আপনাকে লজিক্যাল মনে হয়, কিন্তু খাল কেটে কুমির এনে ফেলেছেন। মৌলবাদীদের আর ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না।
ভাই সমাজে এমন কিছু ছুপা সন্ত্রাসী থাকে। বর্তমানের পুলিশ সক্রিয় না থাকার সুযোগ নিচ্ছে অনেকেই।
কিন্তু সরকার যদি এই অন্ধ উগ্র কট্টর সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রন না করে তবে সামনে কঠিন সময় আসবে।
পন্ডিতে বোঝে আকারে ইঙ্গিতে মূর্খে বোঝে গুতায়। যারা নাস্তিক হত্যা করতে চায়, মাজার ভাঙ্গতে চায়, এরা ধর্মান্ধ মাত্র। কারুর গায়ে হাত দেওয়া যে অপরাধ সেই প্রাথমিক জিনিসটা জানেনা।
১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬
এম ডি মুসা বলেছেন: বাঙালি খুনের রাজপথ লাল হয়
সে বাঙালি বাঙালিকে!
কিসের দাপট কিসের অস্থিরতা অহংকার?
পৃথিবী মাত্র কয়েক দিনের
১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক আছে।
১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: এই জন্য পঙ্গু একটা মানুষকে মেরে ফেলতে হবে?
এর চেয়ে কত অসহায় মানুষকে খুন করেছে সন্ত্রাসী জঙ্গি আম্লিগ সদস্যরা, তখন আপনি কোথায় ছিলেন?
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৯
প্রহররাজা বলেছেন: কিছুই হবে না, নোবেল ইউনুস শুধু মেধাবীরা সন্তুষ্ট হয় এমন কাজগুলাই করছে। ৫ অগাষ্টের পরের কোন ঘটনা নিয়েই উনি উদ্বেগ প্রকাশ করে নাই। গত ১ মাসে যে কত পুলিশ আর জনতা মারা গেছে তার কোন হিসাব নাই, মিডিয়াও একদম চুপ সেনা আর ছাত্রদের ভয়ে। লোভী ইউনুস আছে ক্ষমতা ধরে রাখার ধান্দায়।