![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবেগী,মনভোলা আমার লেখার কোন অংশ কপি/কাট/পেস্ট করে কোন ব্লগ বা অন্য কোন মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেননা।ধন্যবাদ।। আমাকে মেইল করতে পারেন[email protected]
২০০৫ এর ১৮ জুলাই থেকে আমার হোস্টেল জীবন শুরু হয়েছিল..বিকালবেলা হোস্টেলে এসেছিলাম তাই রাতে ডাইনিং এ যাই..প্রথমদিন তেমন কষ্ট বুঝিনি কারন বাসা থেকে দেয়া তরকারী ছিল সাথে..এরপর আস্তে আস্তে বুঝলাম কার মাঝে এসেছি..ভাত হলো পাথরের টুকরায় ভর্তি..তরকারীতে হলুদের গন্ধ..সপ্তাহে দুইদিন মাংস দেয়ার কথা দুপুরে এক টুকরা মাংস আর একটা হাড্ডি তুলে দিত। আমি বুঝতাম না যে মাংস দিয়েছে ঠিক আছে কিনতু সবসময় একটা হাড্ডি ফ্রি দেয় কেনো? ডিম ভাজি করত ঠিক যেনো টিসু পেপারের মত..এমন অদ্ভুত শিল্পকলা আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি..
ইউনিভারসিটিতে ভর্তির পর মুলত খাবার অত্যাচারেই হলের গনরুমে চলে আসি ।ভাবি থাকতে কষ্ট হলেও বিশ্রী ভাত, আর পচা তরকারী আর খাব না আমি..
আমি চা, নুডুলস, আর ভাত ছাড়া একসময় কোন রান্না জানতামনা..সবজি মনে করতাম সব মসলা আর পানি দিয়ে সিদ্ধ করে খায়..কি করে যেন ধীরে ধীরে সব রান্না শিখে ফেলি।
আমার প্রিয় বান্ধবী বিথী আর আমি গনরুমে থাকতাম..ঔ হারামী একটা কাজ করতে চাইতো না..কিনতু প্রিয় বিথীরে না দিয়ে কি আমি আর খেতে পারি? আমি রান্না করতে ভালোবাসতাম..ফাকিবাজটাকে দিয়ে বাসন মাজাতাম..আর খেতে বসে ও খাবনা খাবনা করলে জোর করে খাওয়াতাম..ও একমাস পর বাড়ি গেল..ওর মা নাকি বলছিল হায় হায় ! বিথী এতো ফুলছিস ক্যান?? !!! বলে যে মার আর বলনা এর জন্য দায়ী সনি
একদিন আমি বিথী,নিশাত মিলে এক মহা রান্নার আয়োজন করছি..রান্না একসাথে ৩ মেয়ে মিলে করতে গিয়ে বুঝছি জায়ে জায়ে, ননদে ভাবীতে রান্নাঘরে ঢুকলে ঝগড়া হয় কেমন!!!
নওগাঁ,বগুড়া আর গাইবান্ধায় কোন তরকারি কেমনে রান্না করে সেই নিয়ে আমাদের মধ্যে রীতিমত ঝগড়া শুরু হয়ে গেলো..
পরে রুমে উঠার পর রুমমেটরা মিলে প্রায় অনেক রান্না করেছি..ঐদিনগুলো মনে পড়লে কান্না আসে
আমার রুমমেট টুম্পা প্রায়ই বয়ফ্রেন্ড কে রান্না করে খাওয়াত..তবে একদিন রেসিপি ভিন্ন.. টুম্পা আমাকে অনুরোধ করে বললো আপু আপনিতো অনেক রান্না জানেন,আমি রোস্ট করতে পারিনা,প্লিজ আপু আসেন আমরা এইদিন একসাথে খাই আপনি রান্না করবেন..ওর অনুরোধে ওদিন রোস্ট,রেজালা,কাবাব,পোলাও করে দেই।
রুমে ফিরে বলে আপু রান্না এ্যাতো ভালো হয়েছে যে কি বলবো?!!! :!> :#>
দিপূ তো আপনার পুরা ভক্ত হয়ে গেছে..আমার এখন কি হবেবেবরেরে!!!!
পরেনদিন পাজিটা (টুম্পা) এসে বলে আপু ডিমের কোরমা করবো সব মসলা দেখি্যে দিনতো!!
আমি বলি এই হারামী তুই কি ডিমের কোরমাও রান্না জানিসনা?
বলে না আপু আপনিতো হেড বাবুর্চি আপনারে এখন থেকে না দেখায়া কিছু রান্না করা যাবেনা..
আজ ৮/৯ মাস হলো আমার প্রানপ্রিয় ইউনিভারসিটিকে ছেড়ে এসেছি..বিশেষ করে হল ছাড়তে বুকটা যেন ছিঁড়ে গেছিলো
ইউনিভারসিটি হল আমাকে হেড বাবুর্চি বানিয়ে ছেড়ছে..আপনাদের অভিঙ্গতা কেমন? শেয়ার করবেন প্লিজ
০৮ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৩০
শামীম আরা সনি বলেছেন: আরে ভাই পাবলিক ইউনির্ভাসিটির স্টুডেন্টরা ৯৯ জন গোনা টাকাতেই চলে..আমরাও সেম..বড়োলোকি তো সব মাসের প্রথমদিকে করতাম। কি কন?
২| ০৮ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৪০
লিংকন১১৫ বলেছেন: আপনি দেখি পড়া শোনার পাসাপাসি রান্না বান্নাও শিখে ফেলেছেন !
হুম .................. আমি অবশ্য ডিম ভাজি আর আলু সিদ্দু ছাড়া কিছুই পারিনা ।
আমি হোস্টেলে ছিলাম প্রায় দু বছর , অনেক মজার ছিল সে সময় গুল যদিও অনেক খাটুনি করা লাগতো ।
০৮ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৪৯
শামীম আরা সনি বলেছেন: হল লাইফ ইজ মাই বেস্ট লাইফ..চেষ্টা করলেই পারবেন রান্না করতে
৩| ০৮ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৫০
দুঃখ বিলাসি বলেছেন: সেই কথা মনে হলে......
০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৩
শামীম আরা সনি বলেছেন: সে কথা মনে হলে কি?
৪| ০৮ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৫০
েমা আশরাফুল আলম বলেছেন: এইটা সব পোলা মাইয়ারই শেখা দরকার, আর যারা বিদেশে পড়তে আসতে চায়, তাদের জন্যতো ফরজে আইন। এমনও দেখছি রান্না পারে না, তো না খেয়ে আছে, বাসায় এনে খাওনোর পরে মনে হয় প্রাণ পাইছে। আমার মনে হয় ছেলেদের মাঝে মাঝে বউরে ডিনার বা লান্স বানায়া খাওয়ানো উচিত.
আপনেতো দেখি ভালোই রান্না শিখছেন।
০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৭
শামীম আরা সনি বলেছেন: দেশের বাইরে তো শুধু রান্না না সব কাজই নিজ হাতে করতে হয়..তবে থালাবাসন ধুতে আমার কখনও ভালো লাগেনা
কোন ছেলে যদি বউকে স্পেশাল ডিনার বা লান্চ নিজ হাতে করে খাওয়ায় পৃথিবীর যেকোন মেয়ে খুশী হবে
জি এ্যাইতো আপনাদের দোয়ায় রান্নার কাজটা পারি :#> এন্ড নতুন নতুন রেসিপি শেখারও আগ্রহ আছে
৫| ০৮ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৫৫
মোস্তাফিজ রানা বলেছেন: হুম আমিও ঠিক একই সময় ঢাকাতে আসি প্লাস ভার্সিটিতে ক্লাস শুরু করি। থাকতাম মিরপুরের একটা মেসে। সবাই আমার সমবয়সী কিন্তু ভিন্ন ভার্সিটি।
ক্লাস শেষে এসে একেকদিন দেখা যেত হয় ভাত শেষ অথবা তরকারী নেই। আবার মাঝে মাঝে ডাল শেষ করে পানি মিশিয়ে রাখা হত।
এখন নিজেই নিজের রান্না করে খাই যদিও খুব ভাল রান্না করতে পারিনা। তবে বোয়াদের রান্না থেকে হাজারগুন তৃপ্তি সহকারে খেতে পারি।
০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯
শামীম আরা সনি বলেছেন: বুয়াদের রান্না খাওয়া যায়না..একদম ঠিক কথা..রান্না করতে পারাটা কিন্তু আসলে নিজের জন্যই প্রয়োজন।
৬| ০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৫
রাহিক বলেছেন: হলে বেশিদিন থাকি নাই,এই ধরেন ২৫ দিন ছিলাম ।এই ২৫ দিন ডাইনিংয়েই খাইছি,অথবা মামার দোকান ।
পরে এই খাওয়া দাওয়া সংক্রান্ত ঝামেলার কারণেই মেসে ওঠা ।
০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯
শামীম আরা সনি বলেছেন: আহারে
৭| ০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৫
ইয়ার শরীফ বলেছেন: আমি কখনও হোস্টেল এ থাকি নি । পুরাই domestic animal।
তবে হল এ থাকা দোস্তদের খুব কাছ থেকে দেখেছি। মানে এখনও দেখে চলেছি.বেশির ভাগই কষ্টে আছে খাউন দাওউন লইয়া ,
আপনার পোস্ট ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন
০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০
শামীম আরা সনি বলেছেন: ভাই হোস্টেলে হাজার কষ্ট থাকলেও আছে স্বাধীনতা...সো নো কষ্ট ডু ফুরতি
ধন্যবাদ।
আপনিও ভালো থাকবেন।
৮| ০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৮
নীল ভ্রমর বলেছেন: একটাই পারি -- খিচুড়ি
রোযার মাসে হলের ডাইনিং বন্ধ থাকে। একবার রোযার মাসে ২৯ দিন হলে ছিলাম -- প্রতিদিন ভোরে আর রাতে খিচুড়ি
০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩১
শামীম আরা সনি বলেছেন: খিচুড়ী হলো বিপদের বন্ধু
৯| ০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৫
দৌড়ের উপর বলেছেন: জি আপু......সবার টুকটাক রান্না বান্না পারা উচিৎ। দেশে থাকতে কখন বুঝি নাই মা রান্না কইরা বাইরা দিত শুধু মোচ তারাইয়া খাইতাম। কিন্তু বাইরে আইসা পরছি ফাঁপরে......কিছু করার নাই নিজে রাইন্ধা না খাইলে কপালে খাওন জুটব না। তাই বাইচা থাকার তাগিদে কিছু চেষ্টা করি আর কি। অন্য দিকে মুখে আবার বেপক রুচি স্বাদ না হইলে খাইতে পারি না। আপনার জন্য শুভকামনা রইল......
০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৮
শামীম আরা সনি বলেছেন: আমার কাছে স্যান্ডুইচ মেকার ছাড়া হাতে বানানো স্যান্ডুইচের সহজ রেসিপি আছে। নিবেন? অনেক বিজি থাকলে কাজে আসবে..
১০| ০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩২
আল ইফরান বলেছেন: আমি বাসার বাইরে 2004 থেকে, তবে ভার্সিটিতে উঠার আগ পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া নিয়া কোন সমস্যা ছিল না কারন থাকতাম সাবলেট ।
প্রথম দিন হলে উঠে দুপুরে খাইতে গিয়া খাওয়া অর্ধেক রাইখা উইঠা গেছিলাম, সেইটা অগাস্ট 2008 এর কথা তখন আমি দ্বিতীয় বর্ষে ।
একটু ভালো খাওয়ার আশায় জগন্নাথ হলে খাওয়া শুরু করলাম, দুপুরে ক্লাশ শেষে খেয়ে ফিরতাম আর রাতের বেলা রিক্সায় করে গিয়ে খেয়ে আসতাম ।
আস্তে আস্তে ক্যান্টিনের খাবার পেটে সয়ে গেল ।
আর বাসা ক্যাম্পাস থেকে কাছাকাছি দুরত্বে হওয়ার কারনে প্রতি সপ্তাহে বাসায় গিয়ে রূচি পরিবর্তনের কাজটা ভালোই চলে ।
যাই হোক, ক্যাম্পাসের পানি/খাবারের আক্রমনে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ বর্ষে এসে জন্ডিসে আক্রান্ত ।
The last bite of my campus life
০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪০
শামীম আরা সনি বলেছেন:
১১| ০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫০
দুঃখ বিলাসি বলেছেন: সেই কথা মনে হলে কান্না আসে।
রান্না করতে পারতাম না। কিন্তু খেতে তো হবেই।
দুই মাস শুধু ডিম খেয়ে ছিলাম।
০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শামীম আরা সনি বলেছেন: হায় হায়!!! তাহলেতো আপনার পুডিং হয়ে যাওয়ার কথা..নাকি ডিমের হালুয়া?
১২| ০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৮
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে বলেছেন:
আমি সত্যিই এখনো ভালো ভাবে রান্না করতে পারিনা । যে টুকু শিখেছি আমার হাসব্যান্ডের থেকেই । কোন রকম তেল , পেয়া্জ, মরিচ , হলুদ , টম্যাটো এইসব মিশিয়ে কিছু একটা রেঁধে ফেলি ।
০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০১
শামীম আরা সনি বলেছেন: ভাইয়াকে কিচেন দিয়ে দেন পারমানেন্টলি
১৩| ০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭
আমি মানুষ বলেছেন: সেই যে হোস্টেলে থাকতে রান্না শুরু করেছি, এখনো করতেই আছি। কারন এখন থাকি দেশের বাইরে।
০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:২১
শামীম আরা সনি বলেছেন: আমিও তো করি এখনও..
কোথায় থাকেন?
১৪| ০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৫২
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমি যখন ভার্সিটির হলে থাকতাম তখন খাবার বেশ ভাল ছিল, মাসে ৪০-৪৫ টাকা সাথে একটা ফিস্ট! ১৯৬৭ সাল! রান্না এখনো করি, মাঝে মাঝে সখে।
০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৮
শামীম আরা সনি বলেছেন: ১৯৬৭ মানে আমার আব্বুই তো ৮২ সালে পাস করছে
১৯৬৭
কোন হলে থাকতেন?
১৫| ০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:০১
ঢাকাবাসী বলেছেন: তখনকার 'কায়েদে আযম হল' পরবর্তিতে 'তীতুমীর হল'।
০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:০৫
শামীম আরা সনি বলেছেন: এত সিনিয়র কেউ ব্লগিং করে সত্যি কখনো ভাবিনি..তবে খুব ভালো লাগছে আর নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে..আমার ব্লগে সবসময় আপনার নিমন্ত্রণ রইলো।
১৬| ০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১১:৪৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
০৯ ই জুন, ২০১২ রাত ২:২৮
শামীম আরা সনি বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন। আমাকে এরপর তুমি করে বলবেন
১৭| ০৯ ই জুন, ২০১২ রাত ২:৩৭
মুরুববী বলেছেন: কোন একটা ছেলেকে জন্মের পর থেকেই যদি হলের ডাইনিং এ খাওয়ানো হয়, তাইলে বড় হলে তাকে একটা মাছ আকতে দিলে সে মাথা একে তার পরেই লেজ একে ফেলবে। বডি বলতে যে মাছের একটা কিছু থাকে সেটা তার মাথাতে আসবেই না।
- মেলা দিন আগে নিজের অভিগ্গতা থেকে বলা। আফসোস।
০৯ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৩৬
শামীম আরা সনি বলেছেন: ডাইনিং এর খাবার এ একটা বিশ্রী গন্ধ থাকে। ভালো করে ক্লিন করেনা এবং মাছের অবস্হা সবচেয়ে খারাপ,কারন মাছ ভাজি করে প্রায়ই ফেলে রাখে এবং দুইদিন ধরে সেটা তরকারী করে চালায়..বিপদে না পড়লে কখনও ডাইনিং এ ভাত খাইনি । তবে আমাদের হলের ক্যান্টিনে বিকালের নাসতা ভালো হত বলা যায়।
১৮| ০৯ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৪৩
আশফাকুল তাপস বলেছেন: আমি লাইফে একবারই হলে ভাত খেয়েছিলাম।মাংস আর ডাল।
সিলেটের শাহ পরান হলের কাহিনি এটা।
ভাল লাগে নাই।
আপনার কাহিনি কোন হলের?
০৯ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:০৩
শামীম আরা সনি বলেছেন: বেগম খালেদা জিয়া হল
১৯| ০৯ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৫৯
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: ranna sekhar sokh agei chilo.kintu maer bokunite sekha hoy ni.but desher baire jokhon aslam aste aste nijei shikhe felechi.shomossa hole apu k call ditam.akhon allahor rohmote sob rannai korte pari.abar deshe berate gie ranna korechilam.abbu to dhortei pareni k ami ranna korechi na ammu.ranna ta akhon akta sokher moto hoye gese.
০৯ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:০২
শামীম আরা সনি বলেছেন: কি কি শিখেছেন? শেয়ার করেন আমরাও শিখি..পারলে ছবি শেয়ার করেন। আমার ক্যামেরা নষ্ট তাই ছবি দিতারিনা
২০| ০৯ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:০০
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: baire porte eshe ai akta jinis e shikha hoise .
০৯ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:০৩
শামীম আরা সনি বলেছেন: কোন দেশে আছেন?
২১| ১০ ই জুন, ২০১২ রাত ১:১৫
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: সব ই পারি মোটামোটি।ছবি দিবো একদিন পোস্ট সহ।সাইপ্রাসে আছি।এম বি এ করছি।
১০ ই জুন, ২০১২ রাত ১:৩৭
শামীম আরা সনি বলেছেন: খুব ভালো...প্রবাসজীবন অভিঙ্গতা শেয়ার করেন..আমি আছি দুবাই যাওয়ার ধান্দায়
২২| ১০ ই জুন, ২০১২ রাত ১:৪০
ভাবের পোলা বলেছেন: mui sudu kecure pari
১০ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৫২
শামীম আরা সনি বলেছেন: খুব কামের তো আপনে দেখতাছি !!
২৩| ১০ ই জুন, ২০১২ রাত ১:৫৬
কলম.বিডি বলেছেন: আমার এদিক দিয়ে কপাল ভালো।আমাদের হলে রান্না তো দুরের কথা, রুমে হিটার চালানোও নিষেধ ছিল। আর ডাইনিং এর খাবার আমার কাছে অভিযোগ করার মত মনে হয় নাই কখনো। আপনি কি ঢাবির শামসুন্নাহার হলে থাকতেন নাকি?
২৪| ১০ ই জুন, ২০১২ রাত ৩:২২
শামীম আরা সনি বলেছেন: @ kolom.bd/ na. RU er Begum Khaleda Zia Hall
২৫| ১০ ই জুন, ২০১২ রাত ৩:২৮
কলম.বিডি বলেছেন: হি হি ফোন থেকে ব্লগায়!!
গণরুম শুনে মনে হয়েছিল। এইটা তাহলে সব হলে থাকে?
১০ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৫৪
শামীম আরা সনি বলেছেন: জি সব হলে থাকে তবে শুধুমাত্র মেয়েদের হলে
ছেলেরা কখনোই এত কষ্ট করেনা
২৬| ১০ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৫:২৬
চোরকাঁটা বলেছেন: হল এ থাকাকালিন প্রথম যখন ম্যানেজার হইলাম; জানতে পারলাম ৩০০ জন স্টুডেন্ট এর জন্য এক বেলায় ডালের বরাদ্দ ৩ কেজি!
ঐটা ৫ কেজিতে উন্নিত করায় সর্বত্র আমার নামে ধন্য ধন্য পড়িয়া গেল
১০ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৫৩
শামীম আরা সনি বলেছেন: ওলে বাবা..তাই?
২৭| ১১ ই জুন, ২০১২ রাত ১২:৪৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এত কষ্ট করে হলে থেকে যারা পড়াশুনা করেছেন তাদের জন্য আমার অনেক শ্রদ্ধা। লেখাপড়া করে বড় হবার একরাশ স্বপ্ন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যপীঠে আসেন আমাদের দেশের অনেক ছাত্রছাত্রী। অনেকই আছেন জীবনে হয়ত প্রথম বাবা মা থেকে দূরে এসে থাকছেন, হলের এই অভিজ্ঞতা তাদের স্বপ্ন পূরনের পথে অনেকটা 'বিয়ের প্রথম রাতে বিড়াল মারার' মত হয়ে দাঁড়ায়।
আমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়িনি। যদিও আমি প্রথমেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়েই ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু সেই সময়ের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারনে যে সেশনজটের সম্ভবনা দেখা দিয়েছিল, তার কারনে অনেকটা বাধ্য হয়ে আমাকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়েছিল। তাছাড়া পরিবারের বড় ছেলে আমি, তাড়াতাড়ি পাশ করে চাকুরীতে ঢুকতে হবে, বাবার সাথে সাথে পরিবারের কিছুটা হলেও দ্বায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে ইত্যাদি কারনও ছিল আমার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার অন্যতম কারন।
তখন হাতে গোনা যে কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছিল আমার বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল তার মধ্যে অন্যতম। মোটামুটি ভালো রেজাল্ট ছিল আমার। সেই সুবাধে বেশ ভালো স্কলারশিপ পেয়েছিলাম আমি। তাই খরচ মোটামুটি হাতের নাগালেই ছিল।
ক্লাস শুরু কিছুদিনের মধ্যে মহাখালী ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হল। আমার বাসা যে এলাকাতে ছিল সেখান থেকে ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি যাওয়া আসা বেশ কষ্টকর ছিল। তাছাড়া, পড়াশুনার যথেষ্ট চাপও ছিল। তাই এক সময় নিয়মিত আসা যাওয়া একটা যন্ত্রনা হয়ে দাঁড়াল। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে, কয়েকজন মিলে ইউনিভার্সিটির একদম পাশে একটা বাসা ভাড়া করি। শুরু হয় আমাদের মেস বা হোস্টল জীবন। রান্নার জন্য যথারীতি বুয়া রাখা হ্য়। রান্না খারাপ ছিল না। তবে দুঃখজনক ভাবে বুয়ার চুরির অভ্যাস ছিল। তাকে বাজার করতে টাকা দিয়ে দিতাম। তেমন খেয়াল করতাম না কি আনতো না আনতো। কিছুদিনের মধ্যে বুয়ার এই ব্যাপারটি আমাদের চোখে ধরা পড়ে। ফলাফল উনার বিদায়।
আমরা পড়াশুনা শেষ করে রান্না করতে বসতাম। রান্না নিয়ে আমার ছাড়া তেমন কারো অভিজ্ঞতা ছিল না। আমার অভিজ্ঞতা বলতে ছোট বেলাতে আমি আম্মার কাছে রান্না ঘরে বসে বসে পড়তাম। আম্মা রান্না করত, আমি দেখতাম আর পড়তাম। কিন্তু এই দেখাটা প্রয়োগ করার সৌভাগ্য কখনো হয়নি। ছোট এই অভিজ্ঞতা নিয়েই আমি ব্যাপক উৎসাহে রান্না করতে লেগে গেলাম। মাছ রান্না করার চেষ্টা করছিলাম। আমি তখন জানতাম না কিভাবে কি করতে হয়। আমি বিজ্ঞের মতন, সব মসলা (আদা, পেয়াজ, হলুদ, মরিচ, জিরা, রসুন, তেজপাতা, এলাচি দারচিনি ইত্যাদি) দিয়ে চরম ভাবে নাড়ছি। কিছুক্ষন পর মাছ দিয়ে পানি দিয়ে ঢেকে দিলাম। এই ভাবে ২০-২৫ যাবার পর আমি মাছ নামালাম। কিন্তু একটা সমস্যা দেখা দিল, মাছ থেকে কেমন যেন একটা মাংস এর গন্ধ বের হচ্চিল। আমি কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে গেলাম। রান্না করলাম মাছ, এর গন্ধ বের হচ্ছে মাংসের। যাই হোক খেতে কেমন হয়েছে সেটা না হয় নাই বলি।
আরো অনেক মজার, বিব্রতকর, কখনো কখনো কষ্টের কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের সেই মেস জীবনে। এখন আমি ভালো রান্না করি। শুক্রবারে আম্মুকে রান্না থেকে ছুটি দিয়েছি। আমি রান্না করি।
আপনার পোষ্টটি দেখে পুরানো দিনের অনেক কথাই মনে পড়ে গেল।
১১ ই জুন, ২০১২ রাত ১:২৭
শামীম আরা সনি বলেছেন: ধন্যবাদ..
আমার এক আংকেলের মেয়ে ৭ বছর আমেরিকা ছিল,দেশের বাইরে গিয়ে তো সব কাজ নিজে হাতে করতে হয়.কিনতু ও শেখে নাই,মা ই সবসময় করছে.এখন বিয়ের পর ও গেছে লন্ডন. লোক দাওয়াত করে পড়েছে এক মহাবিপদে মাকে ফোন করে বলে মা পোলাও রানদে কেমনে?
আরেক আন্টি এনসিসি ব্যাংকে জব করে। অস্ট্রেলিয়া গেছেন ছেলের কাছে বেড়াতে..ছেলের সব বন্ধুরা এসে ধরেছে যে রান্না করে খাওয়াতে হবে উনি পড়ছেন বিপদে কারন উনি রান্না পারেন না। ছেলেকে নাকি বকাবকি করেছে আর বলেছে হারাম** আমি আসছি অস্ট্রেলিয়া বেড়াতে। আমি কি রান্না করতে আসছি নাকি?
২৮| ১১ ই জুন, ২০১২ রাত ১:৩৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। আমার এখন রান্না করতে ভালোই লাগে। ছেলে হিসাবে রান্না করছি এই কথা শুনলে অনেকে চোখ কপালে তোলে। আমার হাসি পায়।
কেন যেন রান্না শিখার পর থেকেই আমার নিজেকে অনেক স্বাবলম্বী বলে মনে হয়।
১১ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:১৪
শামীম আরা সনি বলেছেন: বিশ্বের বিখ্যাত সব কুক,শেফ ছেলেরাই
২৯| ১১ ই জুন, ২০১২ দুপুর ২:২৯
sushama বলেছেন: পোস্ট পড়ে তো পুরাই নস্টালজিক
আমাদের হল এ নিজে রান্না করার কোন সিস্টেম ছিল না। চুলা,গ্যাস লাইন কিছুই না, ডাইনিং এ খেতেই হত হল এ থাকলে।আমাদের থিসিসের সময় হল এ অন্যান্য ব্যাচের পরীক্ষা শেশ,শুধু আমাদের ব্যাচ হলে ছিল।সপ্তাহখানেক যেতে না যেতেই ডাইনিং এর বুয়ারা ছুটিতে চলে গেল একে একে।তখন আমরা রাইস কুকারে ভাত তো বটেই,সব ধরনের সবজি, ডাল, এমনকি কয়েকবার মাছ মাংস ও রান্না করেছি। পানি শুকিয়ে গেলে রাইসকুকারের বাটনটা অটো উপরে উঠে গিয়ে অফ হয়ে যায় দেখে আমার বাটনটা কাগজের গুটলি দিয়ে চাপা দিয়ে রাখতাম, যাতে অটো অফ না হতে পারে , অবশ্য ম্যাগী নুডুলস ছিল আমাদের ফেভারীট ডিনার, ভাত তরকারি বারেবারে রান্নার ঝামেলার চেয়ে সেই ছিল ঢের ভাল
১১ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:২১
শামীম আরা সনি বলেছেন: কোন হলে থাকতেন আপামনি জানতে চাই.
ভাত আরামে খাওয়ার জন্য বহুত শর্টকাট রেসিপি আছে ( খিচুরি নয় কিনতু)
কেউ আমার কাছে চায়নি তাই আমিও দেয়নি
আমি যেভাবে নুডুলস,পাস্তা, স্যান্ডউইচ খেয়ে কাটাতে পারি নর্থবেঙ্ললের ছেলেমেয়েরা সেটা পারেনা.. বাংলাদেশীরা এমনিতে ভাতপ্রিয় তবে আমার কাছে মনে হয় নর্থবেঙ্গলের ছেলেমেয়েরা আরো এক ধাপ এগিয়ে..বাট বারবারি শুনছি রান্না করতে পারা এন্ড যেকোন সিচুয়েশনে খাপ খাওয়ানো দেশের বাইরে থাকার প্রথম শর্ত..এই দুইটা আমি পারি কিন্তু ডিশওয়াশিং আমার ভালো লাগেনা
৩০| ১২ ই জুন, ২০১২ রাত ২:২২
হিজবুল বাহার বলেছেন: একবার আমাদের ভার্সিটিতে ঈদের পরে এক্সাম, তাই আমরা ৪ বন্ধু ঈদের পরের দিনই মেসে চলে আসলাম। কাজের মহিলা নেই,তাই স্টোভ কিনে এনে নিজারাই রান্না শুরু করলাম। রান্না বলতে আলু ভরতা, ডাল, ডিম ভাজি আর সাদা ভাত। আমি ডিম রান্নার দায়িত্তে ছিলাম। একটানা ৫ দিন একই খাবার খেয়ে আরা রান্না করে আমাদের আর পড়াশুনা হয়নি। সব কিছু ভিডিও করা আছে , বিয়ের পরে বউকে দেখাবো।
১২ ই জুন, ২০১২ রাত ২:৩৭
শামীম আরা সনি বলেছেন: হায়রে
বউকে দেখাবে বলে আবার ভিডিও করছে!!!
৩১| ১২ ই জুন, ২০১২ রাত ১১:৫২
অসাদুল ইসলাম বলেছেন: মনে পরলেই হাসি পায়। আমার রান্না খুবই খারাপ কিন্তু হলে ভাল রান্না করার জন্য আমারে সবাই চিনত।
কারণ আমি যেদিন প্রথম মাংস রান্না করি সেদিন এক সিনিয়র + নেতা গোছের ভাই আমার রুমে খেয়েছিলেন। আর ঐদিনই কিভাবে জানি আমি আমার জীবনের সেরা রান্নাটা করেছিলাম, ফলে তিনি নিজ দায়িত্তে বিজ্ঞাপনের কাজ টা করেছিলেন।
কিন্তু তারপর থেকে অনেক চেষ্টা করার পর ও আমার সেই রান্না আর করতে পারি নাই।
১২ ই জুন, ২০১২ রাত ১১:৫৮
শামীম আরা সনি বলেছেন: হয়রে!! ঐ দিন কেমনে কি করছিলেন তাও কি মনে নাই??
আমারে দাওয়াত দেন রান্না ভালো হবে
৩২| ২০ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৫
িরািমষ বলেছেন: ব্যাচেলর জীবনের (২০০৩----) ভাল রান্না করার জন্য সুনাম আগে থেেক্ই আছে ।মাছ, মাংস, খিচুরি সবই পারি কিন্তু ডিম ভাজি+ আলু ভরতা Specialist
কিন্তু ডিশওয়াশিং............. এর ভয়ে রান্না ছেড়ে Cake দিয়ে মাঝে মাঝে রাত কাবার করি ।
২০ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৫৮
শামীম আরা সনি বলেছেন: আপনার বউয়ের কপাল তো ভালোই দেখছি।
ডিস ওয়াসের জন্য একটা বুয়া রাখলেই হবে
৩৩| ২১ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:০৩
মহসিন৭১ বলেছেন: রান্না নিয়ে কখনো লিখতে হবে ভাবিনি। আপনার আইডিয়াটা ভাল। আমার প্রথম রান্নার অভিজ্ঞতা সম্ভবত খিচুরি দিয়ে। তখন ক্লাশ সিক্স অথবা সেভেনের ছাত্র। আমার ইমিডিয়েট বড় বোন মাঝে মাঝে খিচুরি রান্না করতো। আমি একদিন বললাম আজ আমি রান্না করবো। বোন যেভাবে বললো সেভাবে রান্না করলাম। এরপর বিকালের দিকে মাঝে মাঝে মাকে ফাঁকি দিয়ে দুই ভাই বোনে খিচুরি রান্না করে খেতাম।
আমি যখন ক্লাশ নাইনের ছাত্র। কুষ্টিয়া মুসলিম হাই স্কুলে। তখন আমার মেঝ ভাই বিদেশ যাবেন। বড় ভাই আগেই ঢাকায় থাকেন। আম্মা ও বোন ঢাকায় গেল ভাইকে প্লেনে উঠাতে। আমার স্কুলে পরীক্ষা চলছে তাই বাসায় একা থেকে গেলাম। তারা সাত দিন ঢাকায় ছিল। তখন ভাত তরকারী রান্না করা শিখলাম। অবশ্য মাছ মাংস নয়। শুধু ডিম আলু আর ডাল। অবশ্য একই বিল্ডিং এর আন্টিরা প্রায়ই তরকারী দিতেন। তাই কষ্ট হয়নি।
তৃতীয় পর্ব সৌদি জীবন। ১৯৯৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী রাতে সৌদি আরবে পৌছালাম। রিয়াদের এক পেট্রোল পাম্প এর ম্যানেজার। আমার অধীনে ১৮ জন কর্মচারী। ৯ জন বাংলাদেশী ৯ জন ভারতীয়। মাগার কেউ কাউকে রান্না করে দিতে রাজি না। সব কাজ অন্যের দারা করাতে পারলেও রান্না কাপড় ধোয়া নিজেরটা নিজের করতে হয়। এ অবস্থায় রান্নায় বেশ পটু হয়ে গেলাম। চার বছর ছিলাম সেখানে। চার বছরই রান্না করে খেয়েছি।
বিয়ের পরে মনে হয় রান্না ভুলে গেছি। বিয়ের বয়স ১২ বছর। এখনো মাঝে মাঝে বউ বাড়ি বেড়াতে গেলে দুই এক সপ্তাহ রান্না করে খাই। এতে খারাপ নয় বরং ভালই লাগে। তবে বউ বাসায় থাকলে প্লেটটাও ধোয়া হয় না। এজন্য বউকে ধন্যবাদ দেয়া দরকার। কিন্তু রাগি বউকে ধন্যবাদ দিতে গেলে গালি শুনতে হতে পারে। তাই ওদিকে কখনো পা বাড়াই না।
ভাল থাকবেন। অনেক দিন পর আপনার লেখার বদৌলতে অনেক পুরোনা স্মৃতি মনে পড়লো। ধন্যবাদ
২২ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:৪৮
শামীম আরা সনি বলেছেন: কিন্তু রাগি বউকে ধন্যবাদ দিতে গেলে গালি শুনতে হতে পারে। তাই ওদিকে কখনো পা বাড়াই না।
এই লাইন দুইটা পড়ে মজা পাইছি
পুরোনো স্মৃতি মাঝে মাঝে ঝালাই করতে হয়।
আপনিও ভাল থাকবেন।ওলওয়েজ ওয়েলকাম ইন মাই ব্লগ
২২ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:৫০
শামীম আরা সনি বলেছেন: আপনার উপর একদিন বেশ রাগ হয়েছিলাম।
এইজন্য জাস্ট একটাই কথা বলবো মন থেকে ......সরি
৩৪| ২২ শে জুন, ২০১২ রাত ১:০৫
জেমস বন্ড বলেছেন: কান্দা আহে গো ;( ;( । দুলাভাই এহন ও রাইন্ধা খাওয়ায় আর আমি বইয়া বইয়া খাই দুলাভাই গেলেগা আমার কি হবে । বিচ্ছিরি প্রবাস জিবন শুরু হবে তাইতো ব্লগের আফুগো রান্ধার রেসিপি গোপনে সেভ করে রাখছি বাকি আল্লাহ ভরসা দোয়া রাইখেন আর পারলে রেসিপি শেয়ার করেন । আমি রাজপুত্র আছি দুলাভাই গেলে পুরাই শেফ হইয়া যামু
২২ শে জুন, ২০১২ রাত ২:৫৫
শামীম আরা সনি বলেছেন: দেশের বাইরে রান্নার ব্যাপারটা তো ইজি ভাইয়া,বাংলাদেশে তো অনেক কিছু পাওয়া যায় না।পাওয়া গেলেও দাম বেশী।
ফ্রিজ আছে?
সচেজ আর চিকেন দিয়ে ইজি স্যান্ডউইচ করবেন । করে ফ্রিজে রাখবেন। তবে খোলা বাটিতে করে যেকোন রান্না করা জিনিস ফ্রিজে রাখলে টেস্ট চলে যায়। মুখবন্ধ জার এ যেকোন কিছু বানিয়ে রাখবেন।
সচেজ,ক্যাপসিকাম,গাজর,বিএফসি/কেএফসি র জাস্ট এক টুকরা চিকেন( রেডি চিকেনে ঝামেলা কম), মেয়নেজ দিয়ে বানানো যায় দারুন মজার স্যান্ডউইচ।
বানিয়ে রেখে দিবেন। ফ্রিজে রাখবেন , খাবেন।
সবসময় খিচুরি স্বাদ লাগেনা, ভাত খেতে মন চায়।
মাংস, মাছ ধোয়ার ইচ্ছা অনেক সময় থাকেনা।
বুটের ডাল মাংসের মত রান্না করবেন ভূনা করে, একটা ডিম ফেটে তাতে দিয়ে দিবেন। ভালো লাগবে।
আবার এতটুকু কষ্ট করার সময় ও যদি না থাকে ডিম মামলেট করে সেটাই আদা,রসুন, পেঁয়াজ দিয়ে একটু ভূনিয়ে নিন। কম ঝামেলায় স্বাদ করে খেতে পারবেন।
আদা, রসুন পেস্ট করে ফ্রিজে রেখে দিবেন।পেঁয়াজ ও দু এক দিনের জন্য কেটে রাখবেন কাজে সুবিধা হবে।
এরপরও কখনো কিছু জানতে চাইলে অবশ্যই জানাবো। এতে যদি সত্যি কারো হেল্প হয় খুব ভালো লাগবে
ভালো থাকুন।
২২ শে জুন, ২০১২ রাত ২:৫৮
শামীম আরা সনি বলেছেন: একটা লাইন মিস গেছে। ফ্রিজে রাখা স্যান্ডউইচ / যেকোন রান্না জিনিস বের করে হয় ওভেনে দিয়ে নাহয় চুলায় গরম করে খাবেন। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা খাবার ডাক্তার রা সরাসরি খেতে নিষেধ করে ।
৩৫| ২২ শে জুন, ২০১২ রাত ২:৫৭
জেমস বন্ড বলেছেন: অহ হো অনেক ধন্যবাদ
২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৩:০১
শামীম আরা সনি বলেছেন: স্যান্ডউইচ বানাতে পারেন? নাকি তাও পারেন না?
৩৬| ২২ শে জুন, ২০১২ সকাল ১১:৫৭
জেমস বন্ড বলেছেন: আমি ডিম ও ভাজতে পারি না
কি করুম ট্রাই যে করব সেই সুযোগটা ও দিচ্ছে না ভাইয়া , আপুর নির্দেশ এ এখনো আমারে রাইন্ধা খাওয়ায়
তবে ৫ বছরের প্রবাস জিবনে ৩ বার ডিম বাজার রিস্ক লইছিলাম , তেলের ফুটানি টুস টুস আওয়াজে আমার ডর লাগে প্লাস আগুন ও কিঞ্চিত ডরাই তবে পারুম
, আত্নবিশ্বাস বলে কথা আছে না
২৩ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:৪৩
শামীম আরা সনি বলেছেন: পারবা পারবা
৩৭| ২৩ শে জুন, ২০১২ রাত ৩:১০
ভিজামন বলেছেন: আমার এক ফ্রেন্ড বলত' "আমি খুব ভাল পান্তাভাত রাঁধতে পরি !!"
হা হা হা...
আর আমি এখন মাশ্আল্লাহ্ সবই রাঁধতে পারি... হল এবং হল পরবর্বতী জীবণ আর কিছু না হলেও এতটুকু শিখিয়েছে....
এখনও সকাল আর দুপুর অফিসের ক্যান্টিন, রাতে নিজের রান্না অথবা জাকির মামার হোটেল...
গত ৩১ তারিখ বগুড়া থেকে এক ফ্রেন্ড এসেছি আমার খিচুরী আর মুরগী ভুনা খেতে... হা হা হা...
২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১১:৩৬
শামীম আরা সনি বলেছেন: পান্তাভাতের রেসিপি দেন.....
৩৮| ২৪ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:০৯
ভিজামন বলেছেন: হুম...
ওটা আপনাকে আমার ঐ ফ্রেন্ডের কাছ থেকে নিতে হবে...
২৪ শে জুন, ২০১২ রাত ১:৩৩
শামীম আরা সনি বলেছেন: কে পান্তাভাতের রেসিপিমেকার? আপনি নাকি আপনার ফ্রেন্ড?
৩৯| ২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৪৭
ভিজামন বলেছেন: আপনি হয়তো ঠিক খেয়াল করেন নি, আমি আমার বন্ধুর কথা কোড করেছিলাম... পান্তা ভাতের রেসিপি আমার বন্ধুর....
২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৯
শামীম আরা সনি বলেছেন: আহারে! আপনার কোন রেসিপি নাই ? ডিমভাজির রেসিপি টা আপনি দেন
৪০| ২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩২
ভিজামন বলেছেন: কোন দিম ভাজি ??
সাধারণ?
স্পেশাল ডিম ভিজা ভাজি?
ডিম ভাজি কাম ভেজিটেবল?
২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৪৬
শামীম আরা সনি বলেছেন: আপনিতো ডিম ভাজির শিল্পকার দেখতেছি
৪১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৪
অচিন্ত্য বলেছেন:
লেখাটা পড়তে পড়তে আমিও চলে গিয়েছিলাম সেই কান্না-হাসির স্মৃতিময় দিনগুলোতে। আমি বরাবরই নির্জনতাপ্রিয়। হলে থাকতাম, আড্ডা দিতাম। কিন্তু সুযোগ পেলেই হঠাৎ হঠাৎ উধাও হয়ে যেতাম। আর রমজানের ছুটি বা শীতকালীন ছুটিতে বেশিরভাগ সময় আমি হলে থাকতাম। এমন ছুটিও কেটেছে, পুরো হলে আমি একা। আশেপাশের খাবার দোকান গুলোও বন্ধ। রান্না করা ছাড়া খাওয়ার আর কোন উপায় নেই। সেই দিনগুলোতে রান্নার হাতেখড়ি। আমি দু’এক দিনের মধ্যেই রান্নায় সিদ্ধহস্ত হয়ে গেলাম। মানে যেসব খাবার সিদ্ধ করে খাওয়া যায় সেগুলো রান্নায় পারদর্শী হয়ে উঠলাম। যেমন ভাত রান্না (সিদ্ধ মানে তো এক ধরণের রান্নাই), আলু রান্না, পানি রান্না ইত্যাদি।
আমি ডাইনিং’এ খেতাম। খারাপ লাগতো না। অবশ্য কোনদিন কোন খাবারই আমার খারাপ লাগে না। অন্যরা অবাক হতো, আমি অনেক কটু স্বাদের খাবার কীভাবে খেতে পারি। আমি অবাক হতাম, মানুষ স্বাদের এত ভিন্নতা টের পায় কীভাবে।
হল জীবনের শেষের দিকে ভোজন পর্বে একেবারে মোগলাই আদব। আমরা প্রতি সপ্তাহান্তে বিরাট ভোজের ব্যবস্থা করতাম। দশ বার জন মিলে প্রাণ ভরে বাজার সদাই করে নিয়ে আসতাম। আমাদের প্রধান বাবুর্চি বাজারে যেত না। কারণ সে প্রধান। আর আমি যেহেতু রান্নার কাজে বিশেষ সাহায্য করতাম না, আমাকে বাজারের কাজের প্রধান করা হয়েছিল। বাজার শেষে কোর্মা, পোলাও, বিরিয়ানি, বেগুন ভাজি, সবজি এসব আয়োজন চলতে চলতে আমার দায়িত্ব ছিল হলের ডায়নিং থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্লেট এবং অন্যান্য বাসন কোসন জোগাড় করা এবং তারপর এগুলো ধোয়া। সব শেষে যখন হলের ডাইনিং এর খাওয়া পর্ব শেষ, আমরা আয়োজন নিয়ে হলের কিচেনে চলে যেতাম। ততক্ষণে আমাদের প্রধান বাবুর্চি ফেসবুক থেকে উঠে কিচেনে চলে আসত। সে এক পর্ব বটে। রান্নাটা দারুণ হত। এটা শুধু আমার কথা না। সবাই তাই বলত।
যাই হোক। রান্নার প্রসঙ্গ হোক আর অন্য যে কোন প্রসঙ্গই হোক, ঘুরে ফিরে সেই ফেলে আসা রূপকথার দেশের কথাই আসে। আবার যদি ফিরে যেতে পারতাম।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৭
শামীম আরা সনি বলেছেন: সবাই মিলে কাজ করলে কষ্ট কমে যায়।
বাজার করাটাই আমার কাছে কষ্টের। রান্না করাটাই আরামের
আমি সবসময় হেডবাবুর্চি ছিলাম, আমার ছিলো বিশেষ খাতির। প্রায়ই হয়ত আমাকে মসলা বাটা, মাছ মাংস ধোয়া কিছুতেই হাত দিতে হতোনা!
যেনো আমি হাত দিলেই জান ভরে যাবে সবার!
মিথ্যা না কিন্তু একদম সত্যি বলছি
এখন এটা ভেবে হটাৎ খুব গর্ব লাগছে
আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র? আর কোন হলে থাকতেন?
৪২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৯
পাকাচুল বলেছেন: পাক্কা একবছর নিজে রান্না করে খেয়েছি বুড়ো বয়সে এসে। ভাতটা রান্না করতে পারতাম না, তাই রাইস কুকার কিনে ফেলেছি।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৭
শামীম আরা সনি বলেছেন: ভালোই করেছেন
মাঝে মাঝে পোলাও খিচুরিও খাবেন আরাম করে।
৪৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৮
অচিন্ত্য বলেছেন:
@শামীম আরা সনিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, আল-বেরুণী হল। আমি বিশ্বাস করতাম না, সেই দিনগুলো কখনো শেষ হতে পারে। কিন্তু একদিন সত্যি সত্যিই শেষ হল। তখন আচমকাই স্বপ্নভঙ্গের অনুভব নিয়ে বাস্তবে ফিরে এসে মনে হল রূপকথার দেশে বসবাসের দিন ফুরাল।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৭
শামীম আরা সনি বলেছেন: ভালো লাগলো। সাহিত্য জগতের আরেকজন কে পেলাম।
সেশন কত আপনার?
৪৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২১
ধুম্রজ্বাল বলেছেন: চীনে একটা প্রশিক্ষনে গেসিলাম।
রান্নাঘরে গিয়ে একদিন দেখি চাইনিজরা আমাদের জন্য চিকেন ফ্রাই করছে সেই তেল দিয়ে যে তেলে একটু আগে সাপের মাংস ফ্রাই করেছে।
সেদিন থেকে আমার রান্না'র হাতেখড়ি।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৮
শামীম আরা সনি বলেছেন: ওমা ! কি ভয়ঙকর ব্যাপার
৪৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩১
নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: কিছুদিন পরে মেসে উঠছি।তারপরে বলবো অভিজ্ঞতা কেমন
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০২
শামীম আরা সনি বলেছেন: মেসে বুয়া থাকলে রান্নার অভিজ্ঞতা হবেনা
বুয়া নিয়মিত না আসলেই পড়বেন বিপদে
৪৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৫
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: নিজে আনন্দের সাথে রান্না করে খাচ্ছি ৫ বছর হয়ে গেল। দেশে থাকতে ঘরে কোন বুয়া রাখতাম না, বাসায় প্রবেশ করতে দিতাম না। নিজের ঘর পরিষ্কার, কাপড় কাচা, রান্না নিজেই করি। আত্ম নির্ভরশীল হবার চেষ্টা থাকা উচিত সবার। বুয়া বিষয়টি আমাদের অলস ও মানসিকভাবে পঙ্গু করে ফেলছে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২৮
শামীম আরা সনি বলেছেন: অসুস্হ হলে ব্যাচেলর লাইফে বুয়াই কিন্তু শেষ ভরসা
৪৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৬
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: অসুস্থ হওয়া বলতে কী বুঝালেন? জ্বর? ১০৩ জ্বর নিয়ে হাটাচলা করি, করেছি, রান্না-কাজ, নিজে বাজারে গিয়ে ঔষধ কেনা বন্ধ থাকেনি।
জ্বরের ভয়ে বিছানায় পড়ে থাকলে জ্বর আরো কাবু করে ফেলে, তাই এর মানে হয়না।
আরো বেশি জ্বর হলে, প্যারাসিটামল দিয়ে জ্বর নামিয়ে, ডাক্তারকে ঔষধের জন্য ফোন দিয়ে নিজে গিয়ে ঔষধ কিনে এনেছি। কী খাবার খেলে শরীরে বল হয়ে, কিনে চোখ নাক বন্ধ করে খেয়েছি। বেশি কিছু হলে তো হাসপাতালে, সেখানে ডাক্তার-নার্সের সেবা তো আছেই।
মানসিকভাবে শক্ত থাকার দীক্ষাটাও জরুরি। সুস্থ বাঙালি নিজের কাজ নিজে করতে চায়না, অসুস্থ হলে তো রাজভাগ্য লাট সাহেব এক এক জন।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৬
শামীম আরা সনি বলেছেন: গালিগালাজ কি আমার ঘাড়ে পড়লো
আমার জ্বর হলে কমসম হয়না সোজা ১০৫/১০৬
গত রোজার ঈদের আগে জ্বরে পড়ে ছিলাম। জীবনে প্রথম আব্বু আম্মুকে ছাড়া জ্বর ভালো হলো।
কাজের মেয়ে ঔষধ এনে দিয়েছে, নাহলে কেউ না কেউ আমাকে ঔষধ ঠিকি এনে দিতো এটা আমি জানি।
তবে খাবার নিজে তুলে খেয়েছি, আমি জানতাম না খেলে ঔষধ খাওয়া যাবেনা, জ্বর সারবেনা, তাই খেয়েছি। নাহলে হয়ত না খেয়ে পড়ে থাকতাম।
আমার ছোটবেলায় কয়দিন পর পর জ্বর হতো, কিছুতেই সারত না।
আমার অসুখ বিসুখ নিয়ে মনে হয় একটা আস্ত পোস্ট হয়ে যাবে তাই ক্ষান্ত দিলাম
এত কষ্ট মা বাবা শরীরে সয়ানোর অভ্যাস করেনি, তাই হয়নি তেমন অভ্যাস। কি করবো বলুন?
৪৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৫
তামিম ইবনে আমান বলেছেন:
আমার মেস এবং হোস্টেল লাইফ মিস কর্তেছি। বউ এর হাতের রান্না ভালো না
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৯
শামীম আরা সনি বলেছেন: ওরেরে বাবা!
এতো সাহস?
এই কমেন্ট বউ দেখলে কি হবে শুনি?
৪৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৫
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: "এত কষ্ট মা বাবা শরীরে সয়ানোর অভ্যাস করেনি"
বাঙালির তো ওটাই বড় সমস্যা। মেয়েকে আম্মুরা রান্না শেখাবেনা, কারণ জামাইয়ের ঘরে গিয়ে তো রান্নার কষ্ট করতেই হবে, কাজেই এখন আরাম করে নিক।
সবই যদি মা-বাবা মুখে তুলে শিখিয়ে দেয়, নিজে থেকে আর শেখার কী থাকে?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৪
শামীম আরা সনি বলেছেন: আমি কিন্তু হলে থেকে পড়াশোনা করেছি, সেটা নিয়েও তো পোস্ট! এখনও আমি নিজের রান্না, নিজের কাজ করি।
আমার বাবা মার তথাকথিত কোন বাঙালিয়নার সমস্যা নাই।
আমি লুতুপুতু টাইপের মেয়ে না।
অসুখ বিসুখ হলে সব বাবা মা ই উদ্বিগ্ন হন,নাওয়া খাওয়া ভূলে সেবা করেন সন্তানের আমার বাবা মা তার ব্যতিক্রম নন।
৫০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৫
দ্বিখণ্ডিত মগজ বলেছেন: রান্না জানলে কত সমস্যা এইবার বাসায় যাওয়ার পর আম্মা কয় , আব্বু একদিন একটু বিরিয়ানি রান্না কর তো :!> , আব্বু বলে , আজকেই রান্না কর কাল তো আমি থাকব না
বাসায়ইও কি আরাম করে ঘুমাতে পারব না ?
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৫
শামীম আরা সনি বলেছেন: হাত কেটে ফেলাই সমাধান
৫১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৫
চানাচুর বলেছেন: Ami beche thakar jonyo j tuku khawar proyojon tai kheye beche thaki jokhon hall er khabar sojjho hoyna tokhon vorta torta korei khai
amader JU te asole khabar sob e pawa jay but otirikto moshla jukto ja regularly khele ulcer howar naki possibility ache
ekhanei ektu voy
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৮
শামীম আরা সনি বলেছেন: ও আচ্ছা। আর আমাদের রাবি এর হলগুলোতে তরকারীতে মশলাই থাকতো না বলতে গেলে, মেয়েরা বলতে গেলে ১০০ ভাগ রান্নাবান্না করে খায়।
৫২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৭
নােয়ফ চৌধুরী বলেছেন: খুব বিরক্তিকর একটি কাজ কিন্তু করতে হচ্ছে দেশের বাইরে থাকি বলে, আজকে মাছ ফ্রাই আর ডাল।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৪
শামীম আরা সনি বলেছেন: আহারে
কি মাছ রান্না করলেন শুনি?
৫৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৬
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
বুয়া চান্স হাফ চান্স যাই পায় ফাঁকি সে মাসে চার পাঁচ দিন দিবেই...
সুতরাং কষ্ট লাগিলেও কিছু করার নাই...
বাঁচতে হইলে খাইতে হইবে খাইতে হইলে নান্না-বান্না কত্তে হইবেক...
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৬
শামীম আরা সনি বলেছেন: হাহাহাহা
ঠিকই তো ।
বাঁচতে হলে রান্না জানতে হবে
৫৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২০
মধুমিতা বলেছেন: হলে কখনও থাকিনি। তবে ফ্রেন্ডরা মিলে একসাথে থাকতাম। কোনদিন আড্ডায় রাত ২/৩টা বেজে যেত। তখন আমি খিচুড়ি রান্না করতাম। ডিম ভাজি আর আচার দিয়ে তা অমৃতের মতো মনে হতো। ...
আপনার লেখা বেশ ভালো লাগে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:০৬
শামীম আরা সনি বলেছেন: ছেলেরা বেশীরভাগ মনে হয় শুধু এই খিচুরি রান্নাটাই জানে
ধন্যবাদ আমার লেখার পাশাপাশি, কাছাকাছি থাকার জন্য
৫৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৩৩
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: দেশে থাকতে ভার্সিটির খুব কাছে বাসা হওয়াতে হলে থাকা হয়নি। ঘরেও রান্নাঘরের পথ মারাতাম না। যে কারনে দেশের বাইরে পা দিয়েই সত্যিকারের বিপদে পড়লাম। তবে ধীর ধীরে সবই প্রায় শিখে ফেলেছি। আমি যেখান থেকে মাস্টার্স করেছি, সেখানে গেট টুগেদার পার্টিগুলোতে বেশিরভাগ বিরিয়ানী রান্না করতাম। এর বাইরে রূপচাদা, চিংড়ি, হালিম, টিকিয়া কাবাব, কয়েক রকমের ফিলে লার্জ স্কেলে রান্না করা হয়েছে। সেই সাথে ঘরের রেগুলার রান্না তো নিজেরই করতে হয়।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৪১
শামীম আরা সনি বলেছেন: ইউরোপ, আমেরিকায় ফিশ ফিলে তো খুব জনপ্রিয়।
নিশ্চয়ই এটা খুব ভালো রান্না শিখেছেন?
আর পিজ্জা কয়রকমের শেখা হয়েছে শুনি
দেশে আসলে আমাকে রান্না করে খাওয়াবেন
৫৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০০
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: ফিশ ফিলে ভালই পারি। একবার একটা পার্টিতে আমার রান্না করা "কেনটাকি ফ্রায়েড ক্যাটফিশ" বেশ হিট করেছিল দেশে আসলে আপনাকে ওটাই রান্না করে খাওয়াবো। পিজ্জা বানানো খুব সহজ। সব উপকরনই পাওয়া যায়। মিক্স করে ওভেনে দিয়ে দিলেই হয়।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৭
শামীম আরা সনি বলেছেন: ওলে ওলে !!
দেশে চিজের যত দাম, ফতুর হয়ে যাবেন
৫৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৪
সিয়ন খান বলেছেন: বুয়া রান্না করে। স্বাদ এর কিছুই হয়না তারপরও খাইতে হয়। সুদু পেট ভরানোর জন্য খাই। কি যে কষ্ট!!!!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
শামীম আরা সনি বলেছেন: আহারে
৫৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
মেঘকন্যা বলেছেন: এখনো শিখছি...খাওয়ার উপযোগী হচ্ছে ধীরে ধীরে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
শামীম আরা সনি বলেছেন: হম আপু ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৫:২৪
জাহিদ.হাসান০৮ বলেছেন: আর অভিজ্ঞতা ... এমন ও দিন গেছে না খাইয়া ছিলুম । মাস শেষ হয়ার আগে টাকা ফুড়ুৎ । বাকি টা বুঝালন