![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ইরানের পারমাণবিক ঘোষণা: একটি ঐতিহাসিক অপরিহার্যতা ছবি এআইয়ের সহায়তায় তৈরি।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে ইরানের জন্য পারমাণবিক শক্তি অর্জন ও ঘোষণা কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অপরিহার্য শর্তে পরিণত হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যে জাতি নিজের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে না, সে জাতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কখনোই সম্মানজনক অবস্থান ধরে রাখতে পারে না। ইরান আজ যদি দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা করে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী, তবে তা হবে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে এক যুগান্তকারী ঘটনা।
পারমাণবিক শক্তি কেবল একটি সামরিক হাতিয়ার নয়, এটি একটি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠার প্রতীক। বিশ্বের বর্তমান শক্তি কাঠামো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যেসব দেশ পারমাণবিক শক্তির অধিকারী, তাদের বিরুদ্ধে কখনোই সরাসরি আক্রমণ চালানো হয় না। ইরানের জন্য এই শক্তি অর্জন তাই জাতীয় নিরাপত্তার গ্যারান্টি। ইরান যদি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে পারমাণবিক শক্তিধর হিসেবে ঘোষণা করে, তবে তা ইসরায়েলের আগ্রাসী নীতিকে স্তব্ধ করে দেবে, আমেরিকার একতরফা হুমকিকে অকার্যকর করে তুলবে এবং আঞ্চলিক শক্তি সমীকরণে ইরানকে একটি অনন্য অবস্থানে নিয়ে যাবে।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অগ্রগতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তারা ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তির অধিকাংশ উপাদান আয়ত্ত্ব করেছে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া, ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের দক্ষতা - সবই ইঙ্গিত দেয় যে ইরান চাইলে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার বিভিন্ন প্রতিবেদনও স্বীকার করে যে ইরান পারমাণবিক প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
কিন্তু প্রশ্ন জাগে, ইরান কেন এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দিচ্ছে না? এর পেছনে রয়েছে বহুমুখী কৌশলগত ও রাজনৈতিক বিবেচনা। প্রথমত, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার বলয় থেকে মুক্তির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো। দ্বিতীয়ত, JCPOA চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক চাপ কমানোর চেষ্টা। তৃতীয়ত, সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেইয়ের পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কিত ধর্মীয় অবস্থানের কৌশলগত ব্যাখ্যা।
এই ঘোষণার সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করা প্রয়োজন। একদিকে যেমন ইসরায়েল ও আমেরিকার তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপের ঝুঁকি রয়েছে, অন্যদিকে আরো কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে ইরান যদি পরোক্ষভাবে কিন্তু স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে তারা পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করেছে, তবে তা হবে এক অভিনব কৌশলগত সাফল্য, যা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা এনে দেবে।
চূড়ান্ত বিশ্লেষণে বলা যায়, ইরানের জন্য পারমাণবিক শক্তি ঘোষণা একইসাথে সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের সমন্বয়। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে যখন পশ্চিমা শক্তিগুলো তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর, তখন ইরানের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সময়ের দাবি। এই ঘোষণা কেবল মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, সমগ্র বিশ্ব রাজনীতির গতিধারা পরিবর্তন করে দেবে। একটি পারমাণবিক শক্তিধর ইরানকে আর উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না, বরং প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফোরামে ইরানের অবস্থানকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
পশ্চিমা শক্তিগুলোর ঔদ্ধত্য ও ইসরায়েলের আগ্রাসী নীতির মুখে ইরানের এই ঘোষণা হবে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিশ্বের নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠবে এই সিদ্ধান্ত। ইতিহাসের এই মোড়ে দাঁড়িয়ে ইরানের সামনে একটিই পথ - পারমাণবিক শক্তির পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা। এটি ইরানের জন্য কেবল একটি অধিকারই নয়, বরং জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার অপরিহার্য শর্ত। এই ঘোষণাই নির্ধারণ করবে আগামী দিনের বিশ্ব রাজনীতির গতিপথ, এবং ইরানকে নিয়ে যাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি অনন্য উচ্চতায়।
২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
জাস্ট গার্বেজ!
২| ২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০৬
কাঁউটাল বলেছেন: ফারমার ন্যত্যানিয়াহুর কাছে টাকা খাইছে। ব্লগে ফাতরামি করার জন্য। ইহুদির দালাল।
২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
উহার অবস্থা হয়েছে,
সমাজে ঠাই নাই, ঘরে গিয়ে মাউগ কিলাই!
ব্লগে এসে ফাতরামি করে আর একটার পর একটা আইডি ব্লকড খায়। গার্বেজ!!!
৩| ২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০৯
ফারমার২ বলেছেন:
এনসিপি'র কাছেও এটম বোমা আছে, পাকিস্তান এনসিপি'কে উপহার দিয়েছে। এখন থেকে রগকাটার বদলে এটম বোমা মারবে।
২০ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি আমেরিকায় কতজনের রগ কেটেছেন?
৪| ২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯
ফারমার২ বলেছেন:
ইরানে ও বাংলাদেশে মোল্লাদের পতন দেখার সুযোগ আপনার হবে।
২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
ব্লগে যে ফারমার২ আইডির জন্য মিলাদ হবে আপনি এই দাওয়াতটা আপনার দোস্ত ইসরায়েলের খ্যাতাখাওয়া কে দিয়ে দেন।
৫| ২০ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫৬
নতুন বলেছেন: ইরানের কাছে পারমানবিক অস্র নাই। তারা বানাতে পারলে অবশ্যই এতোদিন ঘোষনা দিয়ে দিতো।
ইরানে মধ্যপ্রাচ্যে কোন বন্ধু নাই কেন? তাদের পররাস্টনীতি ভালো না।
তবে ইরানের বাড়াবাড়ী করে হুমকি ধামকি দিয়ে সত্রুতা বাড়ানোর দরকার আছে কি?
২০ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু ইরান তো আগে হামলা করেনি। করেছে জায়োনিস্ট ইসরায়েল। ইরানের তো জবাব না দিয়ে উপায় ছিল না। পারমানবিক অস্ত্র এখন পর্যন্ত নেই, আমারও ধারণা। তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা দরকার।
৬| ২০ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নতুন@ইরান রাশিয়ার হয়ে সিরিয়ায় ওয়ার করেছে। রাশিয়া -ইউক্রেন ওয়ারে ড্রোন ডিয়ে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের শেখ হাসিনা রেজিম কে সাপোর্ট দিয়েছিল । "ইয়েমেন ও সৌদি আরবের সাথে যুদ্ধের জন্য হুথিদের সাহায্য করছে ইরান। এজন্য আমেরিকা-ইসরাইল নাখোশ। প্রোক্সি যুদ্ধ তো আছেই, পরমাণু নিয়েও ঝামেলা আছে।"
২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
দুনিয়াজুড়ে সবাই যেখানে নিজেদের স্বার্থে প্রক্সি চালায়, সেখানে এক ইরানকে দোষ দিয়ে আর লাভ কী!
৭| ২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯
নতুন বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু ইরান তো আগে হামলা করেনি। করেছে জায়োনিস্ট ইসরায়েল। ইরানের তো জবাব না দিয়ে উপায় ছিল না। পারমানবিক অস্ত্র এখন পর্যন্ত নেই, আমারও ধারণা। তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা দরকার।
বর্তমানের যুদ্ধে ইরানের জবাব দেওয়া সম্র্পর্ন যৌক্তিক। তবে তাদের কুটনিতি এবং উপরে কুতুব ভাইয়ের কমেন্টের কাজগুলি না করলে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।
ইরান অনেক মানুষের মৃত্যুর পেছনে কাজ করেছে। বর্তমানের বিশ্বে যুদ্ধ কোন সমাধান না। সব সময়েই সাধানর মানুষ ভুক্তভুগী হয়।
২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় নতুন ভাই,
আপনার দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসনীয়, তবে পুরো দোষ ইরানের ওপর চাপানো একপাক্ষিক বিশ্লেষণ।
ইরান যেমন প্রক্সি যুদ্ধ করেছে, তেমনি আমেরিকা-ইসরায়েল-সৌদিও একই পথের পথিক।
ইরান রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে, ঠিক যেমন ইউক্রেনে আমেরিকা অস্ত্র পাঠিয়েছে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি স্বার্থের খেলা—এখানে কেউই পুরোপুরি নির্দোষ নয়।
ভুক্তভোগী সত্যিই সাধারণ মানুষ, কিন্তু দায় সব পক্ষেরই ভাগ করে নিতে হয়।
৮| ২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯
ফারমার২ বলেছেন:
আপনি মোল্লা মানুষ, আপনার দৌঁড় মক্তব অবধি; ইরান "ধর্মীয় পুলিশ" করেছে, যারা পারসিক সংস্কৃতির নারীদেরকে বেদুইন নারী করার জন্য মেয়েদের লাঠি দিয়ে পেটাতো। কি পরিমাণ নারী প্রান হারায়েছে?
সব আরব দেশে "শিয়া মিলিশিয়া" গঠন করে, লেবাননের মতো উন্নত দেশকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করেছে; ইয়েমেনকে করেছে বেদুইনদের বস্তি; সিরিয়ার মতো প্রাচীন সভ্যতার দেশকে করেছে জংগীস্তান! ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা বন্ধ করে দিয়েছে হামাস সৃষ্টি করে।
কোন বিষয়ে আপনার ১ পয়সার জ্ঞান নেই।
২০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
মিস্টার বলদ সাহেব, আপনার বক্তব্য একপাক্ষিক ও আবেগপ্রবণ। ইরানের সমালোচনার যথেষ্ট কারণ থাকতে পারে, কিন্তু শিয়া মিলিশিয়া, হামাস কিংবা ধর্মীয় পুলিশের পেছনের জিওপলিটিকস আপনি উপেক্ষা করছেন। লেবানন, ইয়েমেন বা সিরিয়ার ধ্বংসে শুধু ইরান নয়—সৌদি, ইসরায়েল, আমেরিকা সবাই জড়িত। ইতিহাস বোঝা দরকার, চিৎকার নয়। বুঝতে পেরেছেন? মিস্টার বলদ!
৯| ২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৫২
ফারমার২ বলেছেন:
ইরান কতবার হজ্বের সময় মক্কাতে জংগী আক্রমণ করেছিলো? কোন ধারণা আছে ২ পসয়ার ইসলামিক স্কলারের?
২০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
কোনো ধরনের বেআদবি বরদাশত করা হবে না। বুঝতে পেরেছেন, মিস্টার বলদ সাহেব! ফারদার ফাজলামো দেখলে সরাসরি ব্লক করা হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০০
ফারমার২ বলেছেন:
২০০৬ সালে, ততকালীন মোল্লা আহমেদী নাজাদ ১০ আউন্স পরিশোধিত ইউরিনিয়াম হাতে আসার পর ঘোষণা দিয়েছিলো যে, যেদিন ১ম বোমা হাতে আসবে, সেদিন পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরায়েল মুছে যাবে; সেটার পরিণতি ঘটেছে ১৩ই জুন ও ১৪ই জুন রাতে, ৮ জন জেনারেল, ৭ জন উঁচুপদের সামরিক অফিসার ও ১৫ জন এটোমিক বিজ্ঞানী নাই হয়ে গেছে।
সামুতে, আপনি ঘোষণা দিয়েে দেন; এতে আমরা জানব যে, মোল্লাদের কাছে এটমবোমা আছে; ট্রামপ টের পাবে না। সকল মোল্লার মাথায় অনেক বুদ্ধি।