![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বামীজি একবার এক রাজগৃহে অতিথি হলে সেই রাজা মূর্তিপূজার বিষয়টি তুলে পৌত্তলিকতার খুব নিন্দা শুরু করেন । তিনি ছিলেন নিরাকার উপাসনায় বিশ্বাসী এবং মূর্তিপূজার ঘোতর বিরোধী । স্বামীজি দেওয়ালে টাঙ্গানো এক ছবি দেখিয়ে বলেন-ওটা কার ছবি ?
রাজা বললেন-আমার পিতামহের । স্বামীজি ছবিটি খুলে হাতে নিয়ে স্পর্ধিত কন্ঠে বলেন-আমি যদি এই প্রতিকৃতি নীচে ফেলে পদাঘাত করি-আপনার আপত্তি নেই তো ? কথাটি শোনামাত্র মুহূর্তে রাজার মুখাবয়াব ক্রোধে বিস্ফোরিত হয়ে ওঠে । স্বামীজি বলেন-আপনি বৃথাই উত্তেজিত হচ্ছেন, পদাঘাত করতে চাচ্ছি এই কাঠ কাঁচ কাগজের প্রতিকৃতিকে । তারপর স্বামীজি বললেন আপনিও তো দেখছি কম মূর্তিপূজক নন । স্বামীজির তেজ:দ্বীপ্ত কথায় রাজা তার ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমাপ্রার্থী হলেন ।
প্রকৃতপক্ষে বহু অবতার বা বহুদেবতার আবির্ভাব হিন্দুদের দূর্বল দিক নয় বরং এটাই হিন্দুদের গৌরব উজ্জ্বল পরম সম্পদ। ধর্মের দুটি দিক থাকে । একটি শাস্বত চিরন্তনী, একটি স্থানকাল পাত্রানুযায়ী পরিবর্তন পরিবদ্ধনশীল । সেই জন্য যুগের প্রয়োজনে যুগাবতারকে যুগাপযোগী বিধান নিয়ে আসতে হয় । সেই বৈদিক আরন্যক যুগ আর বর্তমানের জড়বিজ্ঞানের যান্ত্রীক যুগের প্রেক্ষাপট এক নয় । বর্তমান যুগাবতারকে আশ্রয় অবলম্বন করে অতীতের সমস্ত অবতার, দেবতা ও শাস্ত্রকে মানতে হবে । আর্যহিন্দু জাতি যদি এই সনাতনী সংবিধান মেনে চলে তাহলে জ্ঞানে-বিজ্ঞানে ভক্তি-প্রেমে আবার তারা সভ্যতার শিখর চূড়ায় সমাসীন, সমজ্জল সংবদ্র্ধিত হয়ে উঠবে । .... চলবে.....
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
অপর্না হালদার বলেছেন: ধন্যবাদ । সংগে থাকুন ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: চালিয়ে যান ।