নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে শুধু মানুষের বসবাস রবে।

আজকের বাকের ভাই

https://www.facebook.com/Iambakerbhai

আজকের বাকের ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদার উপর হামলা ও কিছু প্রশ্ন

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭



ছবিটি গত ৫ই জানুয়ারী পরবর্তী, খালেদার গুলসান কার্যালয়ের গেটের। শেখ হাসিনার সরকার ও আমাদের বন্ধু পুলিশ তার সুরক্ষার জন্য তাকে গুলশান কার্যালয় থেকে বেরই হতে দেয়নি।


এই ছবিটি বর্তমানের,পুলিশের সামনেই খালেদার গাড়ি বহরে হামলা করছে কিছু লোক। সরকার বলছে এরা জনগন, হরতাল চলাকালে সহিংসতায় নিহতদের আত্বীয়।
আমাদের পুলিশ যে কতোটা বন্ধুত্বপুর্ণ হতে পারে তার নিদর্শন নিচের এই ছবিটি

তার কাছে অস্ত্র আছে, সেটা দেখাই যাচ্ছে। কী এমন কারণ থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি তা আপনাদের কাছে জানার ইচ্ছে রইল। তবে যাই বলবেন, কোনভাবেই তাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ, তাতে তার চাকরীই যাবার কথা, কিন্তু সত্য হলে হয়তো প্রমোশন হবে, চাকরি যাবে না।
সরকারের পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে হামলাকারীরা প্রায় সবাই ২০জোটের টানা অবরোধের কারণে খালেদার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলা চালাচ্ছে। আসাদুজ্জামান খান বলছেন খালেদা জিয়া পুলিশকে না জানিয়েই হুট করে নির্বাচনী প্রচারনায় নামছে, যার ফলে হামলা হলেও করার মতো কিছুই থাকছে না। তাই বলে এমনটা!
কেউ তিনবারের প্রধান মন্ত্রীর উপর হামলা চালাবে? আর সেই কেউ যে কারা কে তা আপনারাও জানেন।


এক দলের লোক অন্য দলের লোকের উপর হামলা চালালেতো নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গ হবার কথা, তাই না।

এবার আরো কিছু ছবি দেখুন





কি বলবেন, এদের কী দোষ? এরা খালেদার নিরাপত্বায় নিয়োজিত তাই।
গত ৫ই জানুয়ারী খালেদা যখন সরকার পতনের জন্য সমাবেশ ডাকলেন, তখনকার চিত্র মনে আছে আপনাদের। থাকারই কথা, তবু আরো একবার দেখে নেই।


সে সময় যদি খালেদার নিরাপত্বার জন্য এতো আয়োজন করা হয়ে থাকে তবে এখন কী?
কোথায় গেল আমাদের পুলিশ, যারা তার অফিসে খাবার নিতেও বাধা দিত শুধু খালেদার নিরাপত্বার অজুহাতে। ঢাকায়তো এখন নির্বচনের সময়, তো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিও থাকার কথা অনেক, কিন্তু কই?

আর আমাদের সোনার ছেলেদের হাতে কতো কাজ!
মোড়ের দোকান থেকে চাদা তোলা, নববর্ষের দিনে টিএসসিতে কোন মেয়ের ওড়না পড়ে গেলে গায়ে তুলে দেওয়া, খালেদা জিয়া সমাবেশের ডাক দিনে জনগনের সুরক্ষার জন্য রাজপথ দখলে নেওয়া, হরতালে বিশ্বজিৎ, বুয়েটের শিক্ষককে পেটানো।

ভাল কথা, বুয়েটের দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিস্কারের কারণে কঠোর কর্মসুচির ডাক দেবার হুমকি দিয়েছে ছাত্রলীগ। কথা হলো, দেশ সবার, সেখানে কেউ যদি জামায়াত করে, বিএনপি করে বা সরকারের বিপক্ষে বলে তবে তাকে মারাই কী গনতন্ত্র! তাও একজন শিক্ষককে মেরেছে তারা, সে যাই করুক একজন শিক্ষক।
তাদের এই রাগটা কই থাকে, যখন পরিমলের মতো মানুষ আমাদের শিক্ষক পেশাটিকেই অপমান করে, যখন পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাস হয়ে যায়। মানুষ কিছু বলতেই পারে, তা কারো বিপক্ষে গেলে তো মারা উচিত নয়, আর দেশে যখন মহানবী (স :)কে কুটিক্তি করা হয় তখন তারা কই থাকে, কেউ যখন ধর্মের নামে মন্দীর ভাঙ্গে কই থাকে তারা। বলতে দ্বিধা নেই আগের সেই ছাত্রলীগ আমাদের সমাজ ও দেশ গঠনে অনেক ভুমিকা রেখেছে, যার কারণে তারা সারা জীবন স্বরণীয় হয়ে থাকবে। কিন্তু বর্তমানে তারা যেভাবে কূলষইত হচ্ছে তা অব্যহত থাকলে আগামী ২০বছর পর "ছাত্রলীগের সেকাল" দিয়ে বই বের করে যানাতে হবে এরা আসলেই কখনো ভালো কাজ করত।

সর্বপোরি সকল ছাত্র ভাই-বোনকে বলব, দেশ আমাদের। আমাদের চেয়ে অনেক নিন্ম দেশ আজ সয়ংসম্পন্ন, অথচ আমরা তেমন কিছু করতে পারিনি। সময় এসেছে দেশের জন্য কিছু করার, আপনার ভবিৎষত সন্তানদের জন্য কিছু করার, নোংরা রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসার। আপনার সহপাঠী অন্যদল করবে দেখে সে আপনার শত্রু হতে পারে না, আসুন ছাত্ররা এক হই, অন্যায়ের প্রতিবাদ করি, আমাদের আগামী সুন্দর করি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.