![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/Iambakerbhai
সিলেট নগরের সুবিদ বাজার এলাকায় অনন্ত বিজয় দাশ নামের এক লেখক ও ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহর ভাষ্য, সকালে অনন্ত সুবিদ বাজার এলাকায় তাঁর বাসা থেকে বের হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অনন্তকে গুরুতর জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে অনন্তের বন্ধু ও সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুজ্জামান পাপলুর দেওয়া ভাষ্য, পেছন দিকে থেকে হামলাকারীরা অনন্তের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তাঁর মাথার থেকে মগজ বের হয়ে যায়। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পর অনন্তের লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
শহিদুজ্জামান পাপলু ভাষ্য, অনন্ত মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার ছিলেন। বিভিন্ন সময় তিনি বস্তুবাদ ও যুক্তিবাদ নিয়ে ব্লগে লিখতেন। এ নিয়ে তাঁর কয়েকটি বই রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত বিজ্ঞান মনস্ক লেখক অভিজিতের একটি বইয়ের ভূমিকা লিখেছিলেন অনন্ত। এ ছাড়া ‘যুক্তি’ নামের একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। *
ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বিচারই শেষ হয়নি এখনো, তার আগেই এবার সিলেটের রাজপথ রঙ্জিত হলো আরেক ব্লগার অনন্ত বিজয়ের রক্তে। আজ সকাল নয়টায় অনন্তের উপর হামলা হলে তিনি ঘটনা স্থলেই মারা যান। আমি জানি ঘটনাটি নিয়ে কিছুদিন আলোচনা হবে, কেউ দায় স্বীকার করবে। হয়তো এবার অন্য ব্লগারদের মতো অনন্তেরও ব্লগ ও লেখাগুলো সামনে আসবে, বলা হবে নাস্তিক, ইসলামনের শত্রু।
হোক না তিনি নাস্তিক, হোক না ইসলাম বিদ্বেষী। তাই বলে তাকে হত্যা করতে হবে?
কে বা কারা এরা, যারা ইসলামকে রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন? কে আপনাদের এমন দায়িত্ব দিয়েছে?
মহানৈি হযরত মুহাম্মদের সময়ে ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু ছিলেন তার ৈজের চাচা আবু জেহেল, কই তিনিতো তাকে এভাবে মারেনি? সে জুগে ইসলাম বিদ্বেষীদের তো তিনি দেশ থেকে বিতাড়িত করেন নি? তবে আপনারা কেন?
আপনারা কি অন্য কোন আল-কুরআন উদ্ভাবন করেছেন?
মনে রাখবেন আল-কুরআন একটাই, যা ইসলামের নীতি নির্ধারক। ইসলাম সর্বদা শান্তির কথা বলে ও শান্তি প্রতিষ্ঠার হূকুম দেয়, তাই এভাবে ব্লগার মেরে বা নাস্তিক মেরে ইসলামকে কলঙ্কিত করার কোন মানে নেই।
*প্রথম-আলো থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে
১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০২
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
তারপরও কিভাবে যেন কিছু মানুষ ইসলামী শাষনকে অগ্রায্য করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে ইসলামকেই হেয় করে যাচ্ছে।
২| ১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
সাদিয়া আক্তার বলেছেন: সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা এদের প্রধান কাজ নয় আর যারা এদের হয়ে বিভিন্ন ইসলামের অজুহাত দেন তাদের বলতে চাই ইসলামকে ঠিক করে জানুন এবং ইসলামকে অপপ্রচার করবেন না। দিন এর ডাক দেওয়া আর মানুষের উপর এর নামে অত্যাচার করা এক কথা নয়।
১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: দ্বীন এর ডাক দেওয়া আর মানুষের উপর এর নামে অত্যাচার করা এক কথা নয়।
সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
এ আর ১৫ বলেছেন: ইসলাম অবমাননা কারিদের হত্যার কোন নির্দেশ কোরানে নেই । সুরা আল হিজরের ৯৫ তম আয়াতে আল্লাহ স্বং বলেছেন তিনি নিজে বিদ্রুপকারিকে শাস্তি দিবেন ।
সুরা মোজ্জামেল ( ৭৩--১0 ) কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।
সুরা নিসা আয়াত ১৪0- আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।
বিদ্রুপকারীদের জন্য আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট" (সুরা আল হিজর:৯৫)