![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নাম আব্দুল আহাদ। বর্তমানে পাবনা জেলা স্কুলে লেখা পড়া করছি। অর্থাৎ আমি একজন স্কুল ছাত্র। এছাড়াও অামি একজন স্কাউট। আরো অান্তর্জাতিক রোটারী আন্দোলনের কিশোর সদস্য একজন ইন্ট্যরেক্টর আমি। শিশুদের অধিকার নিয়ে বর্তমানে কাজ করছি পাবনা জেলা শহরে। ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্সে ”সাধারণ সদস্য” -পাবনা জেলা শাখা। আমার ধর্ম ইসলাম এবং মহানবী (স) এর আদর্শ অনুযায়ি সকল ধর্মের মানুষকে সম্মান করি। আমি আমার দেশেকে ভালোবাসি। ভালোবাসি পৃথিবীকে। আমার আগ্রহের বিষয় গুলোর ভেতর আছে পদার্থবিজ্ঞান, মহাকাশ বিদ্যা, সামরিক বাহিনী, সমাজ তন্ত্র, রাষ্ট্রতন্ত্র, কম্পিউটার, সাধারণ মানুষ, খেলাধূলা, ভ্রমণ ইত্যাদ। বিঃদ্রঃ নিজেকে ভালোবাসবেন এবং অন্যকে ভালোবাসবেন, অবশ্যই আমি আপনার প্রকৃত বন্ধু হব! কথা দিলাম!
সোনার হরিণ:
মানুষের জীবনের লক্ষ্য যদি হয় সোনার হরিণ তবে সে সেই সোনার হরিণটার পেছনে ছুটবে। সোনার হরিণ সবাইকে ধরা দেয় না, সে শুধু তার যে তাকে চায়। প্রকৃত অর্থে চাওয়া মানে চেষ্টা। তাকে ধরার জন্য আমরা সারা জীবন পার করে দেই, তো কারো সোনার হরিণ নিজে এসে ধরা দেয় আবার কেউ নিজে সোনার হরিণের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে। তুমি তাকে ধরবে নাকি সে ধরা দেবে, তার আগে মনে রাখবে যে তার জন্য তোমাকে যোগ্য হতে হবে। নিজের ইচ্ছা শক্তিতে কমতি থাকলে তুমি তা কখনই পাবে না।
তুমি নিশ্চয় অধ্যাবসায়ের নাম শুনেছ, শুনেছ নিশ্চয়, একবার না পারিলে দেখ শতবার। শত কথাটা শুনে তুমি ভাবছো যে, শতবার করব! পাগল নাকি! তবে তোমাকে কে বলে রাখি সোনার হরিণ পাগলের জন্যই(সে তোমাদের কাছেই পাগল)। যদি সে পাগল হয় হয় পাগলামী হবে অধ্যাবসায়।
অনেকে আছে অধ্যাবসায় আর ব্যর্থ চেষ্টা এক করে দেখে। তবে দুইটা এক নয়। অধ্যাবসায় হল নিজের প্রকৃত চাওয়াকে হাসিল করার যুদ্ধ। আর ব্যর্থ চেষ্টা হল যেটা নিজের চাওয়া না তার পেছনে শুধু শুধু দৌড়ানো। তাকে চেষ্টা নয় বরং ব্যর্থ চেষ্টা বলে। তবে ব্যর্থ চেষ্টাও চেষ্টা হতে পারে। তার আগে নিজেকে সোনার হরিণের যোগ্য হতে হবে। যোগ্যতা অর্জনের পরই শুধু নিজের অবিরাম চেষ্টাকে অধ্যাবসায় বলা যায়, আর অধ্যাবসায়ের ভেতর ব্যর্থতা আসবেই তবে সেটা ব্যর্থ চেষ্টা হবে না। কিন্তু যোগ্যতা অর্জনের আগে সেটা নিছকই ব্যর্থ চেষ্টা।
নিজেদের আশে পাশে উৎসাহ পাওয়ার মত আওয়াজ পাওয়া খুব কঠিন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চারি দিকে নিন্দুক আর সমালোচক। কোন কাজ করেতে গেলে সমালোচনা হবেই, তার অর্থ এটা না যে কাজ বাদ দিয়ে সমালোচনা শুনবো। সমালোচনা দুই প্রকার- একটা তোমার কল্যানে আসবে আরকটা তোমার ইচ্ছা শক্তিকে নষ্ট করে দেবে। যারা তোমার কল্যানকামী তারা তোমাকে সঠিক দিশা দেখাতে সমালোচনা করবে। তোমার চেষ্টায় ভুল থাকলে তাদের সমালোচনা থেকে তুমি সঠিক দিশা পাবে। অপর দিকে আছে নিন্দুকের দল। যারা তোমায় ব্যর্থ করতে চাইবে। তারা বলবে, বামন হয়ে চাদে হাত!!! শখ কত!!! তাদেরকে একথায় জবাব দিবে; চাদে হাত নয়, চাদের মাটিতে পা দিব। তুমি জানো কিনা জানি না, এটা জেনে রাখো যে নিন্দুক সমালোচক তারাই যারা জীবনে কিছুই করতে পারে নি। তাদের ভেতর অধ্যাবসায় বলতে কিছু ছিল না। তারা সোনার হরিণ পাই নি, তাই তারা হিংসা করে। এখন তোমার মত যারা সফল হতে যাচ্ছে তাদেরকে নিজেদের দলে টানার চেষ্ট করে। সেখানে সোনার কেন; মাটির হরিণও বোধ হয় নেই। তাই তাদের কথায় কান না দিয়ে যদি নিজেকে যোগ্য মনে হয় তবে অবিরাম চেষ্টা করে যাবে।
চেষ্ট কখনোই বৃথা যায় না, লাভ একটু হলেও আছে। লাভ না হলেও দুঃখ নেই। এটা মনে রাখবে যে লাভের খাতায় শূণ্যও ভালো, লসের খাতায় একও খারাপ। খেয়াল রাখবে যে সংখ্যা রেখায় ঋনাত্মক একের চেয়ে শূণ্যের দাম বেশি। চেষ্টায় কোন ক্ষতি নেই।
অবিরাম চেষ্টার ফলে যেদিন তুমি সোনার হরিণের গর্বিত মালিক হবে সেদিন অনেক জনকে দেখতে পাবে, তুমি তাদের সত্যিই চিনবে না, বলবে যে এতদিন কোথায় ছিলে। তারা তোমার সফলতায় ভাগ বসাতে আসবে। তাদেরকে ব্যর্থতার দিনে পাওয়া যায় না। তারা কারা, জানো? তারা সেই নিন্দুক সমালোচক। ব্যর্থতার দিনে একজন উৎসাহ দিলে দশজন নিরুৎসাহিত করবে, আর সফলতার দিনে সেই একজন মনে মনে তোমার শুভো কামনা করবে আর সেই দশজন তোমার সফলতায় ভগা বসাতে আসবে। যারা তোমাকে তাড়িয়ে দিত তারাই আজ তোমার কাছে আসবে। আর যে তোমার সফলতা চাইতো সে তোমার কাছে কিছু চাইতে আসবে না, তোমার সফলতাই তার কাছে একটা বড় পাওয়া। সে আগের মতনই থাকবে, পাল্টে যাবে তুমি আর সেই দশ জন মানুষ।
তাই বলি যে- চেষ্টাই এনে দেয় সোনার হরিণ। সফলতার মূল মন্ত্র অধ্যাবসায়কে সঙ্গী করে পথ চল। সমালোচনা হবেই, থেমে থাকা যাবে না! সফলতা তোমারই। আর তাকে মনে রেখো যে তোমার সেই দিন গুলোতে পাশে ছিল। কারণ সেই তো তোমার প্রকৃত বন্ধু।
- আ: আ: সরদার
©somewhere in net ltd.