নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুষ্পের ঘ্রাণ

Md. Abdul Ahad Sardar

আমার নাম আব্দুল আহাদ। বর্তমানে পাবনা জেলা স্কুলে লেখা পড়া করছি। অর্থাৎ আমি একজন স্কুল ছাত্র। এছাড়াও অামি একজন স্কাউট। আরো অান্তর্জাতিক রোটারী আন্দোলনের কিশোর সদস্য একজন ইন্ট্যরেক্টর আমি। শিশুদের অধিকার নিয়ে বর্তমানে কাজ করছি পাবনা জেলা শহরে। ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্সে ”সাধারণ সদস্য” -পাবনা জেলা শাখা। আমার ধর্ম ইসলাম এবং মহানবী (স) এর আদর্শ অনুযায়ি সকল ধর্মের মানুষকে সম্মান করি। আমি আমার দেশেকে ভালোবাসি। ভালোবাসি পৃথিবীকে। আমার আগ্রহের বিষয় গুলোর ভেতর আছে পদার্থবিজ্ঞান, মহাকাশ বিদ্যা, সামরিক বাহিনী, সমাজ তন্ত্র, রাষ্ট্রতন্ত্র, কম্পিউটার, সাধারণ মানুষ, খেলাধূলা, ভ্রমণ ইত্যাদ। বিঃদ্রঃ নিজেকে ভালোবাসবেন এবং অন্যকে ভালোবাসবেন, অবশ্যই আমি আপনার প্রকৃত বন্ধু হব! কথা দিলাম!

Md. Abdul Ahad Sardar › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিশোর অভিমান-১

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

কিশোর অভিমান-১:
ভূমিকা:
কিশোর বয়স, বলা হয় বয়ঃসন্ধীকাল। এই সময় একটা কিশোর বা কিশোরীর ভেতর শারিরীক পরিবর্তনের সাথে সাথে মানসিক পরিবর্তন হয়। এটা হল অভিমানের বয়স। এই বয়সে কিশোর-কিশোরীরা কারণে অকারণে অভিমান করে। বা-মার উপর অভিমান, বন্ধুর সাথে রাগারাগি, কিংবা প্রিয় কোন মানুষের সাথে ভুল বোঝা-বুঝি সবচেয়ে বেশি হয় এই বয়সে। এই সময় বাবা-মার উচিত তার সন্তানকে সময় দেওয়া। না হলে সে ভুল পথে চলে যেতে পারে। বেশির ভাগ সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসের বীজ অঙ্কুরিত হয়ছে কিশোর বয়সে। একেকজন একেক রকম। একটা কিশোর বা কিশোরী অভিমান করলে তার মনে কি চলে তা বলা মুশকিল। এখানে একটা উদাহরণ দেওয় হল- একজন অভিমানি কিশোর/কিশোরীর মনে যা চলছে:


*******************
আমার আমিকে কি আমিও ঘৃণা করি!!! বাদ তো শুধু আমিই আছি। অতিত বড় কষ্টের ছিল। ধরাতে কে চায়না একটু হাসি মুখের দর্শন। আমি কি মানসিক ভাবে ভিতর থেকে ভিতর থেকে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছি? যাই হোক চাইছি একটা নতুন কিছু। যেখানে এই আমি বলে কাওকে পাওয়া যাবে না। তাই বলে আমি থাকবো না? তা নয়। নিজের সব অতিতকে মুছে দিতে চাই। যেমনটি হয় কোন কিছু ফরমেট করার মত।

যে দিকে তাকানো যায় পাই আর নাই পাই সেই হাসি মুখের দর্শন তবুও সেই হাসির ভেতর যেন কিছু লুকিয়ে থাকে। আমি অতীতের কথা বলতে যে আর চাই না। তবু বলতে হয়। আমি ভুলে যেতে চাই আমার কোন বাবা-মা ছিল কিনা।?। আমি ভুলে যেতে চাই আমার কেউ আছে কি নেই। শুধু বুঝতে পারি সেই স্রষ্ঠার হাতেই আমার সৃষ্টি। চাই নতুন আমিকে। কেউ জানবে না যে সেই মৃত অতিতের বর্তমান আমি।

আমাকে বর্তমানে ও অতিত যেন কেউ ভালোবাসতে চাইতো না। আচ্ছা বুঝলাম এটা আমার ভুল ধারণা। তারপরও যে প্রশ্ন থেকে যায়। আমি কেন এমনটি মনে করছি? এই রকম মনে কার নিশ্চয় কোন কারণ আছে। একটা প্রশ্নের উত্তর অন্য প্রশ্নের বীজ মাত্র।
পেয়েছি শুধু অবহেলার চাহনি। কারণটা আমি নিজেও জানি না। যত কিছুই করি না কেন দোষ যেন তাতে থাকেই, না থাকলেও থাকে।
পেয়েছিলাম দুই তিন জনের নিবিড়তা। কিন্তু কি আর করার। আমার ভবিষৎ বলছে তাকে গ্রহণ করতে। তাই বড় নিষ্ঠুরের মত দুই-তিনজনকেও ভুলে যেতে হচ্ছে। হয়ত তাদের কাছে মৃত হব আমি। কিন্ত মরবে শুধু এই আমি; সেই আমি নয়। সেই আমি নতুন করে জন্ম নিবে। হয়ত তারা সেই আমাকে খুজবে, না পেয়ে ভাববে; সময় হলে ভুলে যাবে। এই আমিকে স্বরণ করার মত যখন কেউ থাকবে না তখন সেই আমি খুজে পাব নতুন ধরা। আমাকে কেও অতিতের চিনবে না। বর্তমান যেখানে অতিত, অতিত সেখানে লুপ্ত। আর তাদের বলি, আমাকে স্রষ্টা ছাড়া কেউ ভালো চিনে না। তারই সৃষ্টি বলে কথা!
- আ: আ: সরদার

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.