নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটাই জীবন,এটাই শেষ চান্স,মুসলিম হওয়ার।

বিজ্ঞানের ক্লাসে কোন নিউটন বা আইনস্টাইনের বাণীর প্রতি অন্ধ বিশ্বাস ও ভক্তি নিয়ে বসবেন না।প্রতি ক্ষেত্রে সন্দেহ করুন, প্রশ্ন করুন অবিরত।বিজ্ঞান কারো বাণী দিয়ে চলেনা।বিজ্ঞান চলে যুক্তি ও প্রমাণের উপর।প্রতি লাইনে লাইনে প্রমাণ চাই।

মূসা আলকাজেম

এই ব্লগের যেকোন লেখা বিনা অনুমতিতে কপি-পেষ্ট করা যাবে

মূসা আলকাজেম › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলীগ জামাত এবং ফাজায়েলে আমল সম্পর্কিত অনেক অভিযোগের জবাব

১৮ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫৮

بسم الله الرحمن الرحيم

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্‌র। অসংখ্য দরূদ নাযিল হোক তার নবীর উপর বারবার।



আজকে নেটে ঘুরতে ঘুরতে একটি খুব সুন্দর সাইট পেলাম, যাতে তাবলীগ জামাত এবং ফাজায়েলে আমল সম্পর্কে আমাদের সম্মানিত আহলে হাদিস ভাইদের পক্ষ থেকে যেসব আপত্তি ও অভিযোগ করা হয় সেগুলোর দলীল ভিত্তিক জবাব দেয়া হয়েছে। আমি উভয় দলকেই দাওয়াত দিচ্ছি যে আপনারা এই সাইটটি পড়ে দেখুন, আশা করি উপকার হবে। সব ব্যাপারে একমত হতে হবে এমন কোন কথা নাই। (বিঃদ্রঃ আমি কিন্তু দুই দলের কোন দলেই নাই)



এখানে ক্লিক করে প্রবেশ করুন সেখানে।



আমার আরো কিছু লেখার লিংক



শরীরে কোথাও প্রচন্ড ব্যাথা হচ্ছে, কি করবেন জানেন কী?



আল্লাহ্‌র অস্তিত্বঃ আস্তিক ও নাস্তিকের যুক্তিতর্কঃ আমার উপলব্ধি -২





কোরআন শিখার ভিডিও টিওটরিয়াল - শেষ পর্ব



মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৩৬

আফরোজা লাভলী বলেছেন: রমজান মাসে রাতের বেলা বিবাহ নিষিদ্ধ কিনা? দয়া করে কারো জানা থাকলে জানাবেন।

১৮ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আপনি এই লিংকে ক্লিক করুন। যে পেইজটি ওপেন হবে সেটার মাঝামাঝি ডান দিকে দেখুন লেখা আছে ইসলামিক কল সেন্টার। সেখানে কল করে আপনার মাসালা জেনে নিন।আর মাসালা জানতে হবে আলেমদের থেকে, যাকে তাকে মাসালা জিজ্ঞাস করা ঠিক নয় বোন।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১১

শিপু ভাই বলেছেন:
ওয়াতো ইংরেজী সাইট।
ইংরেজী বুঝিনা।

বাংলা কোন সাইট থাকলে লিংক দেন!!!

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪৩

মুহাম্মদ মমিনুর রহমান মুন্না বলেছেন: ভাই কোরআন হাদিসের কোথাও তো ৪০ দিন করে চিল্লা দেওয়ার কথা নাই ।

২০ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ভাই আপনি ঠিক বলেছেন।৪০ দিনের চিল্লায় তারা যে উদ্দেশ্যে যায় এবং সেখানে তারা যা শিখে সেই জন্য শুধু ৪০ দিন ব্যায় করার কথা কোরান হাদীসে নাই, বরং লাগলে সারা জীবন এবং সম্পূর্ণ মাল দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নীচের লিংকে এই ফালতু প্রশ্নের বিস্তারিত জবাব আছে।


এখানে ক্লিক করুন

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১২

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ফাজায়েলে আমালের উপর উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের জবাব সম্বলিত কিছু লিংক নীচে দিলাম।
১১টি অভিযোগের জবাব আছে এখানে।

View this link

View this link

View this link

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৯

মূসা আলকাজেম বলেছেন: বাংলায় একটি সুন্দর লিংক।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫২

মূসা আলকাজেম বলেছেন: View this link

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

কান্টি টুটুল বলেছেন:

আপনার কি মনে হয় প্রকৃত মুসলিম হওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই তাবলীগ জামাতে যোগদান এবং ফাজায়েলে আমল অধ্যয়ন করা উচিত?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

মূসা আলকাজেম বলেছেন: না, আমি এটা আবশ্যক মনে করিনা। আমি নিজেও এখন তাবলীগ জামাতের সাথে জড়িত নই। প্রকৃত মুসলিম হওয়ার জন্য আমাদেরকে কোরআন ও হাদীসের সঠিক এলেম অর্জন করতে হবে প্রকৃত আল্লাহ্‌ ভীরু এবং যোগ্য আলেমদের কাছ থেকে। এবং সেই অনুযায়ী আমল করতে হবে। এই এলেম ও আমল হাসিল করাটা হলো আবশ্যিক। এটা একজন মুসলিম যেকোন বৈধ পন্থায় হাসিল করতে পারে।তবে যদি কারো ক্ষেত্রে এমন হয় যে, তার জন্য এটা হাসিলের একমাত্র উপায় হলো তাবলীগ বা অন্য উপায় থাকলেও যেকোন কারণেই হোক সে সেগুলো অবলম্বন করবে না; তখন তার জন্য তাব্লীগে গিয়েই এলেম ও আমল হাসিল করা আবশ্যক।

প্রকৃত আলেমের পরিচয় ফাজায়েলে সাদাকাতে বিস্তারিত দেয়া আছে। তবে আমার কাছে সহজে চিনার বুদ্ধি হলো, যেই আলেমকে দেখলে আল্লাহ্‌র কথা স্মরণ হয়, যার কথার দ্বারা এলেম বৃদ্ধি পায়, যার আমল দেখলে আখেরাতের কথা স্মরণ হয়।
এরকম আলেমের একটা মজলিসের বসার পরের নামাজেই যেকোন মুমিন বুঝতে পারবে তার নামাজের খুশু খুজু বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং আরো .............

তবে কারেন্ট না থাকলে মোমবাতি দিয়েই কাজ চালাতে হয়।

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭

কান্টি টুটুল বলেছেন:

আপনার উত্তর দেয়ার ধরন পছন্দ হইছে,আরেকটা বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাই :)

অতীতে এই পৃথিবীতে অনেক ঘটনাই ঘটেছে যার কোন লৌকিক ব্যাখ্যা নাই বা যেসব ঘটনাকে আমরা অলৌকিক ঘটনা বলি,এরকম অনেক ঘটনার বর্ণনা আর-কোরআনেও আছে।

আমার প্রশ্ন .....
হযরত মোহম্মদ ( সঃ ) ইন্তেকাল করার পর যদি কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটে তবে সেসব ঘটনাবলী সংরক্ষণ, অধ্যয়ন করা একজন মুসলিম হিসাবে আমাদের উচিত হবে কিনা?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০১

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আমার মতামতের কোন মূল্য নাই। আপনি এমন কোন যোগ্য আলেমকে জিজ্ঞাসা করে নিন, যার কাছে গেলে শুধু শব্দের এলেম নয়, সাথে কিছু অন্তরের খোরাক পাওয়া যায়। যার কাছে গেলে অন্তরটা নরম হয়, গুনাহের কথা স্মরণ হয়ে চোখ দিয়ে পানি আসে ইত্যাদি।

আমি ব্লগিং করি মূলত নাস্তিকদের প্রশ্নাবলীর জবাব দেয়ার জন্য। হানাফী বা তাবলীগ বনাম আহলে হাদীস বিতর্কে আমি বলতে গেলে জড়াইনা। তবে আপনি বা আপনারা ফাজায়েলে সাদাকাতের যে ঘটনাকে শেরেকী বলেন সে ব্যাপারে কোনদিন সময় হলে কিছু বলতে চেষ্টা করবো। আল্লাহ্‌ আপনাকে আমাকে সবাইকে সঠিক বুঝ দান।
করুন। আর এই পোষ্টে একটু গিয়ে দেখেন তো একেবারে অযৌক্তিক কিছু তিনি বলেছেন কিনা?

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

কান্টি টুটুল বলেছেন:

আপনার দেয়া লিংকে ফাযায়েলে আমালের কিছু অভিযোগ পর্যালোচনা করা হয়েছে,তবে আমার আগ্রহ ফাজায়েলে হজ্জ এর ২৫৬ পৃষ্ঠার নিচের কাহিনী,দেখেন তো তাবলীগ ইজতেমার ফাযায়েলে আমাল এ কোন শির্‌ক আছে কিনা ?



সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৬ পৃষ্ঠা।

=> আল্লাহকে ছেড়ে মৃতু্র পর নবীর মাজারে গিয়ে খাদ্যের প্রার্থনা করা স্পষ্ট শিরক নয় কি?
=> মৃতুর পর নবী কবরে থেকেও খাওয়াতে পারেন এ আক্বিদাহ পোষন করা শিরক নয় কি?
=> এই রকম শিরকী আকিদাহ কি মানুষকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়, নাকি জাহান্নামের দিকে?
অথচ মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন,
ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর। (সূরা হুদ-৬)

-----------------------------------------------------------------

উপরের স্ক্রিন শটে ফাযায়েলে আমালের ২৫৬ পৃষ্ঠার শিরক সম্পর্কে Abdullah Arif Muslim ভাই যে প্রশ্ন গুলি করেছেন সে সম্পর্কে আপনার মতামত কি?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৯

মূসা আলকাজেম বলেছেন: মেরে ভাই! ইসলামে কারো আবেগ ও মনগড়া কথার কোন দাম নেই। একটা জিনিসকে আপনি নেকীর কাজ বলবেন, সেটার জন্য দলিল লাগবে। আবার একটা জিনিসকে আপনি খারাপ বলবেন সেটার জন্য দলীল (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ) লাগবে। আপনি ছোটবেলা থেকে কি শুনে এসেছেন, আপনার সমাজে কি প্রচলিত আছে বা আপনার শাইখরা কি বলেছেন সেগুলোর কোন দাম নেই। তবে এই ভালো আর খারাপের মাঝামাঝি কিছু কাজ আছে, যেসব ক্ষেত্রে কোরআন হাদীস চুপ। অতএব আপনিও চুপ থাকেন । এগুলো করাতে কোন সওয়াবও নেই আবার কোন গুনাহও নেই। আর বেদাত হলো আল্লাহ্‌ ও নবী (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেটাকে সওয়াবের কাজ বলেননি সেটাকে সওয়াবের কাজ বলা। আল্লাহ্‌ ও নবী (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে ব্যাপারে চুপ সেটা শুধু করলেই বেদাত হবেনা, সেটাকে সওয়াবের নিয়তে করলে বেদাত হবে। সওয়াবের নিয়ত ছাড়া যদি অন্য কোন কারণে করে, তাহলে সারা জীবন করলেও বেদাত হবেনা। আবার সুন্নতও হবেনা।

আল্লাহকে ছেড়ে মৃতু্র পর নবীর মাজারে গিয়ে খাদ্যের প্রার্থনা করা স্পষ্ট শিরক নয় কি?

হায় আল্লাহ্‌ ! এ কি অবস্থা! কোন দলীল ছাড়া মুমিনদেরকে মুশরিক বানিয়ে দিচ্ছেন।

আল্লাহকে ছেড়ে মৃতু্র পর নবীর মাজারে গিয়ে খাদ্যের প্রার্থনা করা স্পষ্ট শিরক এই লাইনটা আপনি হয়তো ছোটবেলা থেকে আপনাদের শায়েখদের কাছে শুনে এসেছেন। কিন্তু কোরআন ও সহীহ হাদীসের কোথাও আছে কি? দেখেন আপনারা সারাদিন দলীল দলীল বলে ........... অথচ আপনাদের কাছেই কোন দলীল নেই। আপনি বলেছেন স্পষ্ট শিরক, তাই স্পষ্ট ভাবে এই কথাটা কোন আয়াতে বা হাদীসে আছে সেটা দেখান।

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১২

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আল্লাহ্‌র কিছু গুণ আছে আল্লাহ্‌র জন্য খাস। এসব গুণাবলীর কোন একটা কোন মাখলুকের আছে বলে দাবী করলে সেটা শেরেক হবে। আর আল্লাহ্‌ পাকের কিছু গুণ এমন আছে , যেগুলো পুরাপুরি আল্লাহ্‌ পাকের সাথে খাস নয় অর্থাৎ এই গুণগুলো শুধু আল্লাহ্‌রই আছে এমন নয়। এই গুণগুলো সীমিত পর্যায়ে মাখলুকের মধ্যেও আছে । যেমনঃ দেখা, শোনা, কথা বলা, দয়া করা ইত্যাদি। তেমনি একটা গুণ হলো কাউকে কিছু দেয়া বা দান করা। এই গুণটি আল্লাহ্‌ পাকেরও আছে আবার খুব সীমিত পর্যায়ে মানুষেরও আছে। তবে এখানে দুইটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, (১) মানুষের মাঝে যে দেয়ার গুণটি আছে এটা মানুষের নিজস্ব নয় বরং মানুষের মাঝে আল্লাহ্‌ এই গুণ রেখেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহ্‌ পাকের দান করার গুণ আল্লাহ্‌ পাকের নিজস্ব, অন্য কারো থেকে অর্জিত নয়। (২) মানুষ (মৃত বা জীবিত) যখন কাউকে কিছু দান করবে সেটা সে আল্লাহ্‌ পাকের তওফিক পেলে বা হুকুম বা ইচ্ছা হলেই শুধু করতে পারবে, অন্যথায় নয়।

কেউ যদি এই দুই বিশ্বাসের কোন একটা বাদ দিয়ে কোন জীবিত মানুষের কাছেও কিছু চায় এমনকি তার পিতার কাছেও কিছু চায় তাহলে সেটাও শেরেক হবে এবং বড় শেরেক হবে। আর এই দুই বিশ্বাস নিয়ে যার কাছেই চাকনা কেন সেটা বড় শেরেক হবেনা। হ্যাঁ, যদি এমন কিছুর কাছে কিছু চায়, যেটার মধ্যে দান করার গুণ আল্লাহ্‌ পাক রাখেননি তাহলে সেটা হবে মূর্খতা, বা ছোট শেরেক বা শেরেকের সাথে সাদৃশ্য। এখন কথা হলো মৃত্যুর পর আল্লাহ্‌র নবী (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বা আল্লাহ্‌র কোন অলীর কাউকে কিছু দেয়ার ক্ষমতা আল্লাহ্‌ তাদেরকে দিয়েছেন কিনা? এবং তাঁরা আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ও হুকুমে কাউকে কিছু দিতে পারেন কিনা? এর জবাব এখন থাকুক। যার এখনই জানা বেশী দরকার তিনি নিজে একটু কষ্ট করে জেনে নিন।(আচ্ছা নাপা খেলে জ্বর সারবে এটা কি আমরা কোরআন হাদীস দিয়ে বুঝি নাকি অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝি? )


এখন কেউ বলতে পারে যে, নবীজীর মৃত্যুর পর তাঁর কবরের কাছে গিয়ে তাঁর কিছু চাওয়া যখন শেরেকী নয়, তাহলে তাবলীগের লোকেরা খাবারের দরকার হলে দলে দলে নবীজীর কবরে গিয়ে খাবার চায়না কেন?

জবাবঃ যেহেতু আমরা শুধু এতটুকু বলি যে, আলোচ্য ঘটনায় কোন শেরেক হয়নি। তাঁর মানে এই নয় যে, আমরা বলি এটা কোন সুন্নত তরীকা। এটা কোন সুন্নতও নয় আবার শেরেকও নয়।এটা শুধুমাত্র জায়েজের পর্যায়ে পরে। কোন সমস্যায় পড়লে আমরা সুন্নত তরীকা মত আমল করি। আলোচ্য ঘটনার এই বুজুর্গ ব্যাক্তিও কিন্তু জীবনে এমনটি ঐ একবারই করেছিলেন। এটা জাস্ট একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, যেটা তিনি সমস্যায় পড়ে মনের আবেগে করেছেন। এটা সুন্নত যেমন হয়নি তেমনি শেরেকও হয়নি। এই ঘটনাকে জাকারিয়া (রহঃ) নবীজী (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে কবরে জীবীত আছেন সেটার পক্ষে মূল দলীলের সাথে সহায়ক দলীল হিসাবে উল্লেখ করেছেন মাত্র। ওয়াসয়াসার রোগীরাই এর মাঝে শেরেক খুঁজে পায়। আপনারা দেখবেন কিছু মানুষ আছে তারা যখন এই মাসালা শুনে যে, অযুর মধ্যে কোন অংগ একচুল পরিমাণ শুকনা থাকলে অযু হবেনা; এরপর থেকে তারা অযু করতে গেলে শুধু সন্দেহের মধ্যে থাকে যে, নাজানি কোথাও একটু খানি শুকনো রয়ে গেলো কিনা? এই সন্দেহে পরে সে আধা ঘন্টা লাগিয়ে ২/৩ বালতি পানি অপচয় করে তাঁর অযু সমাধা করে। এমনই দশা হয়েছে এই ওহাবীদের। এরা যখন শেরেকের কঠিন শাস্তির কথা পড়ে, তখন শেরেকের প্রতি তাদের এক ধরণের ওয়াসয়াসা তৈরী হয়। ফলে যেসব বুজুর্গদের থেকে শেরেক হওয়ার চিন্তাও করা যায়না তাদের ক্ষেত্রেও তারা শেরেকে লিপ্ত হওয়ার সন্দেহ করে। যেসব ঘটনায় কোন শেরেক নাই সেখানেও তারা শেরেক খুঁজে পায়।

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

নীলপথিক বলেছেন: ধৈর্য্য সহকারে আপনার পোস্ট এবং প্রশ্ন-উত্তর পর্ব পড়লাম। আপনার যুক্তি অসাধারণ লাগলো। আমার একটা প্রশ্ন ছিলো, সেটা হল ফাযায়েলে আমল পড়বার পরে আমি যদি তদানুযায়ী আমল করি তাহলে আমার বিভিন্ন মাসআলা এবং ফায়দা সম্পর্কে জানা হল। এখন আমি যদি এগুলোর ওপরই আমল করতে থাকি এবং দাওয়াত দিতে থাকি তারপরেও কি আমার কলবের এলমের প্রয়োজন আছে? নাকি সেটা নিজে থেকেই আস্তে আস্তে হয়ে যাবে? কিংবা অন্যকোথাও থেকে শিখতে হবে? মোদ্দাকথা সৃষ্টিকর্তার সাথে সম্পর্ক তৈরীর জন্য ফাযায়েলে আমল বইটিই যথেষ্ট কিনা? আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে জানাবেন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: মোদ্দাকথা সৃষ্টিকর্তার সাথে সম্পর্ক তৈরীর জন্য ফাযায়েলে আমল বইটিই যথেষ্ট কিনা?

প্রকৃত সত্য আল্লাহই ভালো জানেন। আমার যেটা মনে হয় তা হলোঃ যথেষ্ট নয়। সৃষ্টিকর্তার সাথে সম্পর্ক সব ঈমানদারেরই কিছুনা কিছু থাকে। তবে মজবুত সম্পর্ক, একান্ত ভালোবাসার সম্পর্ক যেটা, তা আসবে- আমি মনে করি - প্রকৃত কোন আল্লাহ্‌র অলীর সোহবতের দ্বারা, তার দিক নির্দেশনা মত আমল করার দ্বারা। যেভাবে এসেছিলো হযরত ইলিয়াস (রহঃ) এর যেভাবে এসেছিলো হযরত জাকারিয়া কান্ধলভী (রহঃ) এর।

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

আফজালনবীনগর বলেছেন:
আমি কিছু দিক আমি উল্লেখ করব যা পড়লে বুঝবেন এরা কত বেহুদা দল -
১) এরা সারাদিন আমলের কথা বলে কিন্তু ঈমানের কথা বলেনা । অথচ ঈমান হল মুল । কারন যত আমল -ই করুক ঈমান না থাকলে জাহান্নামি । যার অন্যতম উদাহরন ইবলিশ ।
২) এরা বলে আমলে নাযাত অথচ নাযাত হলা আক্বীদায় আর আমলে হল মর্যাদা ।
৩) এদের নিজের পরিবার পরিজন নামায পড়েনা কিন্তু আর এক জনকে উপদেশ দেয় নামায পড়তে ।
৪) এরা যে নামায নিয়ে এত কথা বলে কিন্তু নামায কবুল হওয়ার যত শর্ত আছে তা এরা বলেনা ,জানেওনা ।
৫) নামযে হুযুরি কি এরা তা জানেনা ।
৬) হারাম হালালের কোন বাচ-বিছার এদের নাই ।
৭) তাবলীগের প্রকারভেদ ও তাবলীগ প্রচারকের প্রকারভেদ এরা জানেনা ।
৮) নিজের এলাকায় মানুষ নামায পড়েনা কিন্তু অন্য এলাকায় যায় মানুষ কে নামাযের কথা বলতে ।
৯) সুন্নত কি এরা তা জেনেনা ।
১০) পর্দা করেনা ।
১১) টিভি দেখে , গান শুনে , খেলা দেখে, ছবি তুলে অতচ এগুলা যে হারাম তা এরা মনে করেনা।
১২) এরা কোন মাসয়ালা জেনেনা । আপনি এদের যদি কোন বিষয়ে ফায়ষালা জানতে চান এরা বলতে পারবেনা ।
১৩) সারা দুনিয়া হারামে ভরপুর কিন্তু এ নিয়ে তারা কোন কথা বলেনা কারন এরা নিজেরাই হারামে মশগুল ।
১৪) মহান আল্লাহ পাক এবং নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া স্লালাম উনাদের নিয়ে কাফিরেরা কত অবমাননা করতেছে কিন্তু এদের কোন প্রতিবাদ নাই । অথচ পবিত্র কোরান শরিফ-পবিত্র হাদিস শরিফ অনুযায়ি কেউ যদি এই সময় প্রতিবাদ না করে তাহলে তার ঈমান- ই নাই ।
১৫) যে সরকার -ই ক্ষমতায় থাকুক তাদের অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে এরা কোন টু শব্দ ও করেনা।
১৬) ইসলাম এর কোথাও এরা দেখাইতে পারবে যে পরিবার পরিজন ছেড়ে এভাবে দ্বীনের কাজ করার কথা বলা হয়েছে ?
১৭) ছয় উছুলি তাবলীগের কথা কোথায় লিখা আছে ?
১৮) এদের প্রতিষ্টাতা মাওলানা ইলিয়াছ আলি নিজেই পীরের মূরিদ ছিল কিন্তু এরা এর বিরোধি ।ইহা কি ভন্ডামি নয় ?
১৯) এরা খালি মুরব্বির কথা বলে যে মুরব্বি এই কথা বলেছে ওই কথা বলেছে অথচ আমাদের রেফারেন্স কোন মুরব্বি নয় ইসলাম উনার রেফারেন্স হল পবিত্র কোরান শরিফ , পবিত্র হাদিস শরিফ,পবিত্র ইজমা শরিফ ,পবিত্র ক্বিয়াস শরিফ ।
২০) অন্যান্য ফরযের পর হালাল রিযিক তালাশ করাও ফরয কিন্তু এরা ব্যবসা -চাকরি সব ছেড়ে চলে যায়
২১) রাজাকার জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে এদের কোন প্রতিবাদ নাই ।
২২) নাস্তিকদের বিপক্ষে এদের কোন প্রতিবাদ নাই ।
২৩) স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে মাসের পর মাস এরা বাইরে কাটায় ।
২৪) নিজের স্ত্রী-সন্তান হারামে মশগুল থাকে কিন্তু সেদিকে এদের নজর নাই ।
২৫) এদের মুরব্বিদের লিখিত বইয়ের বাইরে এরা কিছুই জানেনা ।


সংগৃহিত

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

নীলপথিক বলেছেন: আমিও আপনার মতোই ধারণা করছিলাম। আপনার সম্পর্কে শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেলো মূসা ভাই। আমার সালাম জানবেন।

অঃটঃ আপনার নামটা বড় সুন্দর। কে রেখেছিলেন?

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আপনার প্রতিও সালাম। আমার নামটা আমিই রেখেছিলাম। যেহেতু আমার আত্মীয়রা আমার যে নাম রেখেছিলো সেটা কোন ইসলামী নাম ছিলোনা। আর আগের নামটা কিন্তু বলা যাবেনা।

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: + দিছি ভাই

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

মূসা আলকাজেম বলেছেন: জাজাকাল্লহ। সকল প্রশংসা শুধু আল্লাহ্‌র।

১২| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

মূসা আলকাজেম বলেছেন: যারা বলেন যে ফাজায়েলে আমালের ১ম পৃষ্ঠাতেই শিরক আছে তারা মনোযোগ দিয়ে একটু নীচের ভিডিওটি শুনুন।

১ম পৃষ্ঠাতেই শিরক!!!!!!!



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.