নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'লেখা আছে অশ্রুজলে’......

১৬ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৩৭

আমার গুম নির্যাতনের উপর লেখা 'গুম এবং অতঃপর' বইয়ের পাঠপ্রতিক্রিয়া লিখেছেন এসোসিয়েট প্রফেসর ডক্টর মো: আদনান আরিফ সালিম( Md. Adnan Arif Salim) । লিংক পাঠিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক Mesbah Shemul লিংক-

লেখা আছে অশ্রুজলে’
ড. মো. আদনান আরিফ সালিম
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম

2
Shares

বলপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নির্মম নির্যাতন, তারপর হঠাৎ রাস্তায় ফেলে দিয়ে যাওয়া। অতি কষ্টে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন এমন সময় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া। তারপর বিনা বিচারে দিনের পর দিন আটকে রাখা। এর বাইরে এমন কোনো নারকীয় নির্যাতন নাই যা তাঁদের ওপর করা হয়নি। অপরাধ একটাই বিরোধী মত ও পথ নিয়ে লিখতেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

অনলাইন অ্যাক্টিভিসস্ট হুমায়ূন কবির কারাগারের বন্দী জীবনে দীর্ঘ নির্যাতন নিয়ে তাঁর স্মৃতিকথা লিখেছেন দুই মলাটে ধরে রাখার মতো করে। এই কথা শুনেছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে চেনা হুমায়ূন কবির ভাই কতটা দৃঢ়চেতা মানুষ সেটা জানতাম। তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে নারকীয় নির্যাতন করার পরেও বিন্দুমাত্র আপসকামিতা তাঁর মধ্যে ছিল না। প্রাণনাশের হুমকি উপেক্ষা করেও তিনি অনলাইন অফলাইনে ছিলেন সরব। কিন্তু বিগত আওয়ামী জাহিলিয়াতে তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল সেটা জানার আগ্রহ ছিল অনেকের। আর সেই আগ্রহ তিনি পূরণ করেছেন ‘গুম এবং অতঃপর: হাসিনাশাহীতে গুম অন্ধকার দিনের স্মৃতি’ শীর্ষক বইতে।

বইয়ের নাম, মূল্য বাঁধাই কিংবা মলাট আর ভাষা এগুলোকে ছাপিয়ে গিয়েছে বইটির ধারা বর্ণনা। এই বইটা পড়তে গিয়ে বারংবার থমকে গেছি। বাকরুদ্ধ হয়ে খেয়াল করেছি মনের অজান্তে দুইগাল বেয়ে নেমে আসছে অশ্রুধারা। তারপর আবার স্বাভাবিক হয়ে তারপর বইটি হাতে নিতে হয়েছে। তারপরে অনেক কষ্টে শেষ করেছি বইটা।

বন্ধু রাজু যখন এই বইটা আমাকে পড়তে বলল আমি ভেবেছিলাম ট্রেন জার্নিতে রাতারাতি পড়ে ফেলব। কিন্তু প্রথম কয়েকপাতা পড়ার পর পুরো ঝিম মেরে বসেছিলাম। আমার মনে পড়ছিল হুমায়ূন কবীর ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা বলার সেই দিনটার কথা। আমাদের থেকে অতো সিনিয়র একজন মানুষ কিন্তু কতটা প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা।

২৭ অক্টোবর ২০১৮ সাল। কাঁটাবন-শাহবাগ এলাকা থেকে কবীর ভাইয়ের দুর্ভোগের শুরু। তিনি হারিয়ে গিয়েছিলেন পিরোজপুর যাওয়ার সময়। ষ্টীমার থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছিল হায়েনার আয়নাঘরে।

মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তুলে নেওয়ার পর অন্যদের মতো তারও চোখ বেঁধে ফেলা হয়েছিল ভেজা গামছা দিয়ে। তারপর সব অন্ধকার। প্রথমবার তাঁকে যখন ওজু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তখন তিনি বুঝতে পারেন যে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্ত ততক্ষণে সর্বনাশের বাকি ছিল না। নামাজ শেষ হওয়া মাত্র তারা তাকে ধরে নিয়ে পিছমোড়া করে হ্যান্ডকাফ লাগায়। তারপর আবার ভেজা গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে। তিনি অবাক হয়ে খেয়াল করেন তাকে যারা তুলে এনেছে তারা জানে যে তিনি কফি খেতে ভালোবাসেন।

ভয়াবহতার শুরু এভাবেই। তারপর তাকে কফি অফার করা হয়। তিনি চা খাওয়ার কথা বলতেই একজন বলে ‘উনাকে চা দাও’। কিন্তু কাপে করে গরম চা নিয়ে আসার বদলে উনাকে কান-মুখ বরাবর লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয় বসে থাকার টুল থেকে। গালমুখ ফেটে রক্ত বের হয়ে গেলেও তারা তাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। সেকেন্ডের ব্যবধানে কয়েক জোড়া বুটপরা পা গিয়ে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে তার বুকে, পিঠে, ঘাড়ে ও মুখে।

প্রচণ্ড প্রহারে তাঁর একটা দাঁত ভেঙ্গে যায়। একজন বুট দিয়ে ডলে তার পুরো পা থেঁতলে দিতে থাকে। একজন তাঁর কপাল বুট দিয়ে মেঝের সঙ্গে চেপে ধরে। তারপর মুখের মধ্যে আরেকটা কাপড় ঢুকিয়ে নিয়ে আবার বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর দেখলেন মুখ থেকে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। প্রচণ্ড ক্লান্তি নিয়ে হতাশ হয়ে তিনি কয়েকবার পানি পানি কথাটি উচ্চারণ করতে পেরেছিলেন। ওদিক থেকে হাসিনার আয়নাঘরের এক হায়েনার অট্টহাসি ভেসে আসে কানে। তিনি শুনতে পান হায়েনাটা বলছে ‘ওর মুখে মুইত্যা দে’।

ভয়াবহ নিপীড়নের কথা কবীর ভাই লিখছেন ‘বরফ শীতল একটা পানীয় আমার মুখের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়ার পর কতক্ষণ কেটে গিয়েছে জানি না...। আমার শরীর অবশ। আমার হাত-পা আছে কি না বুঝতে পারছি না। এখনো আমার চোখ বাঁধা। আমি মরে যাইনি, তবে নড়াচড়া করতে পারছি না। কথা বলার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছি। আমি হুঁশ আর বেহুশ অবস্থার মাঝামাঝি। কারও কোনো সাড়াশব্দ নেই। আমি চেষ্টা করছি- আমার হাত পায়ের আঙুল নাড়িয়ে নিজ অস্তিত্ব অনুভব করার। কিন্তু কিছুই অনুভব করতে পারছি না।’

তারপর তিনি লিখেছেন ‘এমন সময় দুজন আমাকে টেনে-হিঁচড়ে ওখান থেকে বের করে ৪/৫ স্টেপ সিঁড়ি নিচে নামিয়ে নিয়ে ফ্লোরে ফেলে দেয়। বসে থাকার শক্তি আমার নেই। আমি কাত হয়ে পড়ে যাই। বেশ কিছুক্ষণ পর আমার এক হাতের হ্যান্ডকাফ এবং চোখের বাঁধন খুলে দেয়। আমি চোখে ঝাপসা দেখতে পাই কিন্তু কিছুই বুঝতে পারি না।

প্রায় অন্ধকার একটা রুম। ৫/৬ ফিট দূরে একজন কম্পিউটারে কাজ করছে। অনেকগুলো চেয়ার টেবিল থাকলেও মনে হয় একটা স্টোর রুম। এবার আমাকে তুলে ওয়ালের সঙ্গে ঠেস দিয়ে বসিয়ে দেয়। আমাকে ভাত খাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। আমি কিছুই খেতে চাই না বলার পর একজন বলে, 'চোদানির পুত, খাইতে না চাইলে পারাইয়া ধৈরা খাওয়ামু' ভয়ে আমি খেতে চেষ্টা করি...।

ঝাপসা দৃষ্টিতে দেখি, একটা প্লেটে কিছু ভাত, সবজি আর ডাল। যতটা না ক্ষুধায় তার চাইতে বেশি 'চোদানির পুত, খাইতে না চাইলে পারাইয়া ধৈরা খাওয়ামু' সেই ভয়ে ভাতের প্লেটে হাত দিতেই বুঝতে পারি আমার হাতের আঙুল থ্যাঁতলানো এবং রক্তাক্ত। তারপরও ভয়ে ভয়ে প্লেটের ওপর মুখ দিয়ে পশুর মতো কিছু ভাত গিলে ফেলি। হাত দিয়ে পানির বোতল ধরার অবস্থা নেই। একজন এসে আমার মুখে পানির বোতল উপুড় করে ধরলে আমি একটু পানি খাই, যার অর্ধেকের বেশি পানি পড়ে আমার বুক ভিজিয়ে দেয়। পানি খাবার পরই আবারও আমার দুই হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে এবং চোখ বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আগের মতোই আমাকে সেই নড়বড়ে টুলের ওপর বসিয়ে দিয়ে বলে, 'ছারেরা যা জিগায় ভালোয় ভালোয় জবাব দিবি, নইলে এবার হাড্ডি-মাংস আলাদা কইরে ফেলবে।'

হঠাৎ থমকে গিয়েছিলাম পড়তে গিয়ে। আমার মনে হচ্ছিল এটা বাস্তব কোনো ঘটনা নয়। আমি জর্জ অরওয়েলের নাইন্টিন এইটি ফোর পড়তে শুরু করেছি। কিংবা রবার্ট ব্লখের সাইকো পড়তে শুরু করেছি। তারপর এই বই পড়তে গিয়ে যখনই কবীর ভাইয়ের কথা মনে হয়েছে অজান্তেই চোখ ভিজে গেছে। আমার জীবনে আমি অনেক বইয়ের রিভিউ করেছি। ঝড়ের বেগে অনেক সিরিয়াল কিলারের কাহিনি পড়ে শেষ করে ফেলেছি। কিন্তু এই বইটা পড়তে পারিনি। বার বার থমকে গিয়েছি। মনে হয়েছে এটাও কোনো মানুষের পক্ষে করা সম্ভব!!

কবীর ভাই একটা জায়গায় লিখেছেন ‘চোখ বাঁধা, দুই হাত পিছমোড়া করে হ্যান্ডকাফ লাগানো অবস্থায় তারা আমাকে লাথি মারতে থাকে। আমি ফ্লোরে উপুড় হয়ে পড়ে আছি... যখনই শারীরিক নির্যাতন করে তখনই আমার মুখের ভেতর একটা কাপড় ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমি কোনো শব্দ করতে পারি না। তারপর আমাকে চিত করে দুই পা উঁচু করে একটা টেবিল বা চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে পায়ের তালুতে, হাঁটুতে লাঠি দিয়ে নির্দয়ভাবে মেরেছে। মার খেয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। হুঁশ ফিরে এলে আবার জিজ্ঞাসাবাদ...। যার সঠিক উত্তর আমার জানা নাই। তারপরও উত্তর দিতেই হবে।

এই কথাগুলো পড়তে পড়তে আমার মনে পড়ে সম্প্রতি ব্যাঙের ছাতার মতো গজানো অতি উদারপন্থী রাজনৈতিক নেতা, কথিত শিক্ষক নেতা আর অতি সুশীলদের কথা। যারা দেশের দুর্দিনে একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার সাহস পর্যন্ত দেখাননি। কিন্তু এখন একটা দুর্দান্ত মেশিন আবিষ্কার করেছেন। সেই মেশিনের আছে একটা মুখ এবং একটা পায়ুপথ। তারা মুখ দিয়ে আওয়ামী লীগের কাউকে ভরে দিচ্ছেন। তারপর সেই মেশিনের পায়ুপথ গিয়ে মলত্যাগের মতো বি এন পি বের হচ্ছে। বিশেষ করে আমার সহকর্মী ঝাঁকড়া চুলের প্রায় বৃদ্ধ এক শিক্ষক নেতার চেহারা হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠল। তাঁকে পুরো ষোল বছর শীতনিদ্রায় থেকে হঠাৎ করেই এই মেশিন স্ট্যার্ট করতে দেখেছি সম্প্রতি। তিনি গত কয়েকদিন তার মেশিনের মুখ দিয়ে অন্তত হাফডজন আওয়ামী পাণ্ডাকে ঢুকিয়ে পায়ুপথ দিয়ে বি এন পি পন্থী বের করে এনেছেন।

কিন্তু কবীর ভাই লিখেছেন বি এন পির আদর্শ নিয়ে বেঁচে থাকাটাও তখন কত কঠিন ছিল। তিনি লিখছেন ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে হিজবুল বাহার জাহাজে ভ্রমণসঙ্গী হয়েছিলাম- তা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম ব্লগে এবং ফেসবুকে। সেই পোস্ট সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে- "হিজবুল বাহার জাহাজে ভ্রমণ সঙ্গীদের মধ্যে এখন কে কোথায় আছে?" এবার আমি বুঝতে পারি- 'স্যার অর সব আমলনামা পাইছি... এ তো বিরাট সন্ত্রাসী স্যার। স্যার এই দেখেন- প্রিন্ট কপি'- বলার মাজেজা। আমি এই প্রশ্নের জবাব কীভাবে দেবো! প্রথমত, ঘটনার ৩৫ বছর পর কে কে ছিল, এখন তারা কে কোথায় তা আমার জানা নাই। দ্বিতীয়ত, আমি সরাসরি মাঠের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই, তবুও আমাকে বলতেই হবে!. প্রায় ১০/১২ মিনিট পর ওদের দুইজন আমাকে ফ্লোর থেকে তুলে বসিয়ে দেয়। আমার মুখ থেকে কাপড়টা বের করলে- মুখে নোনতা স্বাদ অনুভব করি। বুঝতে পারি, মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।

নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিয়ে তিনি লিখছেন ‘কেউ একজন বলে, 'ছারেরা যা যা জিগাইবে, যা যা বলতে বলবে তা স্বীকার না করলে আরও ইলেক্ট্রিক শক দিবে, পুটকির ভিত্রে আন্ডা থেরাপি দিবে...।' আমি সর্বশক্তি দিয়ে অস্ফুটস্বরে বলি- 'আমাকে আর মারবেন না, আমাকে গুলি করে মেরে ফেলুন।' আমি আল্লাহর দরবারে আমার মৃত্যু প্রার্থনা করছিলাম। কারণ, ওই নির্যাতন অসহ্য ছিল!'

প্রিয় পাঠক, আমার পড়া বইগুলোর মধ্যে কোনো বই পড়তে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছি বলে মনে পড়ে না। সম্ভবত কোনো বই রিভিউ করতে গিয়ে এই প্রথম মাঝপথে থেমে যাচ্ছি। কারণ এই বর্ণনাগুলো পড়ার পর আমার নিজের ভাষায় বলার মতো বাক্যগুলো হারিয়ে ফেলেছি। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি আয়নাঘরের বীভৎসতা বোঝার জন্য এই বইটা দেশপ্রেমিক বাংলাদেশিদের সবার জন্য অবশ্যপাঠ্য।

হুমায়ূন কবীর বর্ণনা প্রসঙ্গে যাঁদের নাম নিয়েছেন তাদের মধ্যে রাজন ব্যাপারি, ওয়াসিম ইফতেখার, শোভন, ফসিউল আলম এস এম সাগর, জাহিদ হাসান তারা ভয়াবহ নির্যাতনের চিহ্ন নিয়ে বেঁচে আছেন। ওদিকে দুনিয়া থেকে চলে গেছে আরজান ইভান। লেখকের স্মৃতি বিভ্রাট না হলে আরও অনেকের কথা তাঁর লেখার কথা। হয়তো পরে নতুন করে লিখবেন হারিয়ে ফেলা স্মৃতি থেকে তুলে আনা অনেক অজানা তথ্য। যে ভয়াবহ ট্রমা থেকে তিনি ফিরে এসেছিলেন তার তুলনায় এই বর্ণনা অনেক বেশি সাবলীল, বোধগম্য হওয়ার মতো ও সুপাঠ্য।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:১০

মেহবুবা বলেছেন: মানুষ কিভাবে এমন হিংস্র হতে পারে ! আমরা সভ্য কি করে বলি! আদিম যুগে মানুষ যে আক্রমণাত্বক আচরণ করতো সেটা পরিকল্পনা করে আয়োজন করে করতো না। এখন এই মহাকাশ বিজয়ের যুগে আমরা মাটিতে বিষবাষ্প ফেলছি।
আর কোন বর্বরতা দেখতে বা শুনতে চাই না কোথাও।

২| ১৭ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:০১

অপু তানভীর বলেছেন: এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যে গিয়েছে কেবল সেই জানে। অন্যেরা কোন দিন এটা পরিপূর্ণ ভাবে উপলব্ধি করতে পারবে না।

বইটা সংগ্রহ করেছি মেলা থেকেই, এখনও পড়ার সুযোগ হয় নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.