![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি মেয়ের সৌজন্যে পরিবার সহ সামার ভেকেশন কাটালাম ৭ দিন ধরে প্যাসিফিক নর্থ ওয়েস্ট এর ন্যাশনাল ফরেস্ট এর গহীন জংগলে/বনে। চমৎকার সময় কাটালাম...সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত্য এলাকার বিভিন্ন পাহাড়, ট্রেইল, ঝর্না, বিচ, গুহা, কায়াকিং, হাইকিং জাপানিজ গার্ডেনস, করেই সময় কাটানো হয়েছে আর রাতে বনের মাঝেই Airbnb এর চমৎকার কটেজে। কানাডার কিছু অংশ এর মাঝে পড়ে। শয়ে শয়ে ছবি কিন্তু তা নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করছে না।
এত কিছু করলাম কিন্তু কোন মানুষ এর সংস্পর্শ লাগলো না ভ্রমন এরেন্জ থেকে শেষ করা পর্যন্ত্য। আসার পর থেকেই চিন্তা করছিলাম ভবিষ্যত এর মানুষ এর চাকরি/বাকরি কেমন হবে, আগে এসব ভ্রমন এর সাপোর্ট এর জন্য হাজার হাজার চাকরী ছিল কিন্তু এখন সবই মেশিন নির্ভর হয়ে যাচ্ছে..।
যাওয়ার আগেই চ্যাটজিপিটি একদম সময় ধরে ৭ দিন এর ভ্রমনসুচি বানিয়ে দিল (এলাকার কোথায় কি আছে তা তার নখদর্পনে (নো ট্রাভেল এজেন্ট, ব্রসিয়ার লাগে না), সাথে কি কি নিতে হবে তারও লিস্ট বানিয়ে দিল। অনলাইনে প্লেনের টিকিট, বোর্ডিং পাস, এয়ারপোর্টে মেশিনে লাগেজ ঢুকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্হা, পার্কিং লটে গাড়ী পার্কিং করে ড্রাইভার বিহীন শাটলে এয়ারপোর্ট, সিয়াটলে পৌছে ই গেলাম অনলাইনে রিজার্ভ করা গাড়ী রেন্ট করতে কিন্তু কোন লোকজন নাই, ফোনে টেক্সট আসলো যে রিজার্ভ করা গাড়ী ৩৪২ নাম্বার পার্কিং স্পটে রাখা আছে আর চাবী সিট এর উপর আছে!!!!!! জিপিএস এ অনলাইনে বুক করা Airbnb কটেজ এর ঠিকানা লিখে রওয়ানা দিলাম (প্রায় ২৫০০ মাইল আসলাম এখনও মানুষ ছাড়াই সব চলছে)... কটেজ এর কাছে আসার আগেই কটেজে ঢুকার দরজা খোলার কি লক এর নান্বার ফোনে চলে আসল, এখানেও নেই কোন লোকজন, নেই কোন কাগজ পত্র সিগনেচার, নেই কোন সরাসরি ভাড়া পেমেন্ট। ন্যাশানাল ফরেস্ট এর টিকিট সবই ফোনে, ঢুকার সময় মেশিনে স্ক্যান করে ঢুকে পড়া, রাস্তার টোল সবই মেশিনে (কোন লোকজন নাই টোল বুথে)
ভাগ্য ভাল যে প্লেন চালানোর জন্য পাইলট হিসাবে মেশিন না থেকে মানুষ ছিল!!!!!! তাও চেন্জ হয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস
নিচের অংশ টুকু এআই দিয়ে লিখা
এআই সুনামি: ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার গঠনে পিতামাতার জন্য একটি সতর্কবার্তা
আমার এই ভ্রমন এর এই অভিজ্ঞতা আমাকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়েছে—এআই একটি সুনামির মতো আসছে, যা মানুষের মেধার ওপর নির্ভরশীল প্রায় সব চাকরি গ্রাস করবে। শুধুমাত্র শারীরিক পরিশ্রমের কাজগুলো হয়তো কিছুটা রেহাই পাবে।এই ব্লগ পোস্টটি আমি লিখছি আমাদের পিতামাতাদের জন্য, যারা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার গঠনের কথা ভাবছেন। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের একটি গবেষণা প্রতিবেদন এআই-এর প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৪০টি পেশা এবং তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ৪০টি পেশার তালিকা প্রকাশ করেছে, যা আমাদের এই সুনামির তীব্রতা আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
এআই কীভাবে চাকরির বাজারকে পাল্টে দেবে?মাইক্রোসফটের গবেষণায় দেখা গেছে, এআই বিশেষ করে সেই পেশাগুলোতে বড় প্রভাব ফেলবে, যেগুলো টেক্সট প্রসেসিং, তথ্য সরবরাহ, লেখালেখি, এবং যোগাযোগের ওপর নির্ভরশীল। গ্রাহক সেবা প্রতিনিধি (যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২৮.৬ লাখ চাকরি), লেখক, সাংবাদিক, সম্পাদক, অনুবাদক, বিক্রয় প্রতিনিধি, ওয়েব ডেভেলপার, এবং ডাটা সায়েন্টিস্টের মতো পেশাগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এই পেশাগুলোর কাজগুলো এআই টুলস যেমন চ্যাটজিপিটি বা মাইক্রোসফট কপাইলট ইতিমধ্যেই দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করছে।
অন্যদিকে, যেসব পেশায় শারীরিক উপস্থিতি, হাতে-কলমে কাজ, বা মানুষের স্পর্শ প্রয়োজন, সেগুলো এখনও এআই-এর কাছে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। উদাহরণস্বরূপ, নির্মাণ শ্রমিক, ছাদ নির্মাতা, নার্সিং সহকারী, ম্যাসেজ থেরাপিস্ট, এবং ড্রেজ অপারেটরের মতো পেশাগুলো এআই দ্বারা সহজে প্রতিস্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই পেশাগুলোতে শারীরিক দক্ষতা, জটিল পরিবেশে সিদ্ধান্ত নেওয়া, এবং মানুষের সঙ্গে সরাসরি মিথস্ক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, যা বর্তমান এআই প্রযুক্তি এখনও পুরোপুরি অনুকরণ করতে পারে না।
মাইক্রোসফটের গবেষক কিরণ টমলিনসন বলেছেন, “আমাদের গবেষণা দেখায়, এআই অনেক কাজে সহায়তা করতে পারে, বিশেষ করে গবেষণা, লেখালেখি, এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে। তবে এটি কোনো পেশাকে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারে না।” তিনি আরও জানান, এআই-এর প্রভাব শুধু কাজের ধরন পরিবর্তন করবে, সবসময় চাকরি হ্রাস করবে না। যেমন, এটিএম মেশিন ব্যাংক টেলারদের কিছু কাজ স্বয়ংক্রিয় করলেও, ব্যাংক টেলারদের সংখ্যা বেড়েছে, কারণ তারা গ্রাহক সম্পর্ক গড়ে তুলতে মনোযোগ দিয়েছে।
পিতামাতার জন্য পরামর্শ: সন্তানের ক্যারিয়ার কীভাবে প্রস্তুত করবেন?এআই-এর এই সুনামি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সন্তানদের এমন দক্ষতায় প্রস্তুত করতে হবে, যা এআই সহজে প্রতিস্থাপন করতে পারবে না। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা গড়ে তুলুন: এআই যতই উন্নত হোক, মানুষের মতো আসল সৃজনশীলতা বা জটিল সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এখনও তার নেই। শিল্প, উদ্ভাবন, বা স্ট্র্যাটেজিক চিন্তাভাবনার কাজে এখনও মানুষের প্রাধান্য আছে। সন্তানদের সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন, যেমন লেখালেখি, ডিজাইন, বা উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তাভাবনা।
টেকনোলজি বুঝুন এবং এআই-এর সঙ্গে কাজ করতে শিখুন: এআই যে চাকরি কেড়ে নিচ্ছে, তা সত্য, কিন্তু এআই নতুন চাকরিও তৈরি করছে। এআই ডেভেলপার, ডাটা সায়েন্টিস্ট, বা এআই এথিক্স বিশেষজ্ঞের মতো পেশা এখন জনপ্রিয়। সন্তানদের কোডিং, ডাটা এনালিটিক্স, বা এআই-সম্পর্কিত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।
মানুষের স্পর্শের গুরুত্ব বোঝান: যেসব পেশায় মানুষের আবেগ, সহানুভূতি, বা সম্পর্ক গড়ার প্রয়োজন, সেগুলো এআই-এর পক্ষে প্রতিস্থাপন করা কঠিন। উদাহরণস্বরূপ, মনোবিজ্ঞানী, সামাজিক কর্মী, বা কোচিংয়ের মতো পেশা এখনও মানুষের ওপর নির্ভরশীল। সন্তানদের এমন পেশার প্রতি আগ্রহী করে তুলুন।
আজীবন শিক্ষার মানসিকতা গড়ে তুলুন: এআই-এর যুগে একটি ডিগ্রি নিয়ে সারাজীবন চাকরি করার দিন শেষ। সন্তানদের নতুন দক্ষতা শেখার এবং পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। অনলাইন কোর্স, ওয়ার্কশপ, বা স্ব-শিক্ষার অভ্যাস তৈরি করুন।
এআই সুনামির জন্য প্রস্তুতি নিনআমার ছুটির অভিজ্ঞতা এবং মাইক্রোসফটের সাম্প্রতিক গবেষণা একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়—এআই আমাদের জীবনকে সহজ করছে, কিন্তু চাকরির বাজারে আমূল পরিবর্তন আনছে। পিতামাতা হিসেবে, আপনার সন্তানদের এই পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত করা আপনার দায়িত্ব। তাদের এমন দক্ষতা শেখান যা এআই-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে, এবং তাদের মানসিকভাবে এমনভাবে গড়ে তুলুন যাতে তারা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে।এআই সুনামি আসছে, এবং এটি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের আজ থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনার সন্তানের ভবিষ্যত গঠনের দায়িত্ব আপনার হাতে। এখনই সময়, সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার।লেখকের নোট: এই ব্লগটি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং মাইক্রোসফটের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে লেখা। আপনার মতামত বা অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন মন্তব্যে
০১ লা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:১৫
কলাবাগান১ বলেছেন: হ্যাপি ট্রাভেল.....
২| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:২৪
ক্লোন রাফা বলেছেন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কঠিন প্রতিযোগিতা করতে হবে । যে বিষয়ের উপর নিজেদের কেরিয়ার প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে। তা করতে হবে একজন স্পেশালিস্ট-এর মত।
চমতকার লিখেছেন।
০১ লা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৩৫
কলাবাগান১ বলেছেন: গৎ ধরা চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে...এআই কে টুলস হিসাবে ব্যবহার করে কিভাবে মানুষের জীবন/যাপন কে সহজ করা যায়, সেটা তেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তার জন্য মেশিন লার্নিং, ডাটা সাইন্স, এআই নিয়ে পড়ালিখা আরম্ভ করা উচিত। ট্রাডিশনাল কম্পিউটার সাইন্স এর যুগ শেষ হয়ে এল বলে।
ল্যাব এর রিসার্চ ও এখন এ আই দিয়ে অনেকটাই সহজ করে তোলা হচ্ছে... অনেক মেথড অনেকেই ভয়ে ইউজ করত না মনে করত অনেক কমপ্লেস্ক কিন্তু নানান ভাবে এআই ইউজ করে মেথডগুলিকে সহজ করা হচ্ছে..যারা এসব ডেভেলপ করছে, তাদের চাকরীতে বেতন এর কথা শুনলে টাশকি খেতে হয়। গতকাল দেখলাম মাইক্রসফট একজন কে অফার করেছে ১০০ মিলিয়ন ডলার বেতনে আর তাদের কম্পিউটার তার বেতন প্রসেস করতে পারছে না কেননা সর্বোচ্চ বেতন সেট করা যায় ৯৯ মিলিয়ন ডলার। ১০০ মিলিয়ন অফার পেয়েও সে মাইক্রসফট এর অফার গ্রহন করে নাই
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেখা একটি চমৎকার পোস্ট। +
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
"গৎ ধরা চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে...এআই কে টুলস হিসাবে ব্যবহার করে কিভাবে মানুষের জীবন/যাপন কে সহজ করা যায়, সেটা তেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তার জন্য মেশিন লার্নিং, ডাটা সাইন্স, এআই নিয়ে পড়ালিখা আরম্ভ করা উচিত। ট্রাডিশনাল কম্পিউটার সাইন্স এর যুগ শেষ হয়ে এল বলে।" - ঠিক, একমত।
০১ লা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ...কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষার প্রায়োরিটি নিয়ে আমি খুব একটা আশান্বিত নই...।সময় বয়ে যাচ্ছে ন্যাশনাল কোন উদ্দোগ নাই, কারিকুলাম এ এআইকে প্রাধান্য দিয়ে তাড়াতাড়ি কার্যক্রম আরম্ভ করা উচিত। কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই এ আই কে মেজর হিসাবে নিয়ে পড়ালিখার কোন ডিপার্টমেন্ট নাই.. এত এমবিএ/বিবিএ দিয়ে দেশের কি উপকার হবে...কয়দিন পরে এমবিএ ডিগ্রি দিয়ে মোড়ের ভাতের হোটেল এর ম্যানেজার এর চাকরীও পাওয়া যাবে না....কারিগরি শিক্ষাই হওয়া উচিত পাথেয়...আর ধর্ম নিয়ে উন্মাদনা অন্য সকল বিষয় কে চাপিয়ে রাখছে
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: এই আই এর উপর জ্যাক মা, ইলন মাস্কের একটি জনপ্রিয় ভিডিও ও আছে। একটি অনুষ্ঠানে তারা মোটামোটি তর্কে লিপ্ত হয় এআইয়ের ভবিষ্যতে নিয়ে।
জ্যাক মা বুঝাতে চেয়েছিল; মেশিনের হৃদয় নেই, সৃষ্টিশীলতা নেই। এ আই হয়তো মানুষের বিরক্তিকর কাজগুলো কেড়ে নিবে, যাতে মানুষ আরো সৃজনশীল কাজে সময় দিতে পারে।
আবার ইলন মাস্ক এ আইকে শংকা প্রকাশ করেছেন এআই কে নিয়ন্ত্রন না করলে তা মানুষের বুদ্ধিমত্তকে ছাড়িয়ে যাবে। এআই এর জন্যে অনেক চাকরি চলে যাবে।
০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৪৪
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা সম্পূর্ন মন দিয়ে পড়ড়লাম।
০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৪৪
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়লাম।
০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৪৫
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫৪
জনারণ্যে একজন বলেছেন: চাষাবাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে বলে আপনার ধারণা @ কলাবাগান?
না, মানে বলছিলাম কি - চাকরি-বাকরি ছেড়ে দিয়ে চাষাবাদে পূর্ণ মনোযোগ দেব ভাবছিলাম। আপনার মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
প্লিজ, হুট করে আবার বলে বইসেন না, ভবিষ্যতের চাষাবাদ হবে সম্পূর্ণ এআই নির্ভর।
বই দ্যা ওয়ে, এনভিডিয়ার সিইও রিসেন্টলি কি বলছেন, জানেন নিশ্চই।
০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫৭
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার কটাক্ষ কে উপভোগ করলাম।
৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫৮
জনারণ্যে একজন বলেছেন: বুদ্ধিমান মানুষরা তাই করে থাকেন বটে।
০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:১৩
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি হয়ত লিখার এই অংশটুকু মিস করেছেন "অন্যদিকে, যেসব পেশায় শারীরিক উপস্থিতি, হাতে-কলমে কাজ, বা মানুষের স্পর্শ প্রয়োজন, সেগুলো এখনও এআই-এর কাছে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।"
৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৫৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার ২৫০০ মাইল যাত্রার পুরোটা জুড়ে এআই-এর ব্যবহার কিন্তু কোথাও নেই, শুধু আপনার ভ্রমণসূচি তৈরির অংশটা ছাড়া।
আপনার উল্লেখিত টেকনলজি গুলো এইএর আগেই ছিল।
আর এআই দিয়ে লেখা অংশটা বেশ অগোছালো মনে হয়েছে। এটা দুঃখজনক যে আপনার মত ব্লগারও এএই দিয়ে বাজে লেখা পোস্ট করছেন।
এআইকে এভাবে প্রশ্ন না করে বরং যদি ইউভাল হারারি বা ইথান মল্লিকের কাছে আপনার প্রশ্নটি করা হলে, তাঁদের উত্তরগুলো আরও বুদ্ধিদীপ্ত হতো বলে মনে করি।
০২ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:০১
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার মূল্যমান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১০| ০২ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:০৮
জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ কলাবাগান, হয়তো আপনি আমার মন্তব্য বুঝতে পারেননি অথবা আমি আপনাকে বুঝাতে পারিনি - কি বলতে চেয়েছি। দুঃখিত এজন্য।
প্রথমতঃ এআই এখন ব্রডলি ইউজড হচ্ছে ফার্মিং এর জন্য। আমার মন্তব্য ছিল নিছকই ফান করে বলা। শারীরিক পরিশ্রম যেখানে লাগে (যেমন ধরুন নতুন গাড়ি এসেম্বলিং), সেখানেও জায়গা করে নিয়েছে এআই।
দ্বিতীয়ত: এআই আসলে কল্পনাতীত ডাইনামিক একটা সাবজেক্ট এখন। এই ফিল্ডে যদি কেউ কাজ করতে চায়, তাকে শুধু সফটওয়্যার সাইন্স শিখলেই হবে না। যেহেতু ভবিষ্যতের এআই হবে আরো বেশি মানবিক, প্রিরিকুইজিট হিসেবে শিখতে হবে ফিজিক্যাল সায়েন্সের মতো সাবজেক্টও।
এই ফিল্ডে কাজ করতে বা শিখতে আমি কাউকে উৎসাহিত করবো না - যদি না জানি তার শেখার আগ্রহের লেবেল কতটুকু। যদি কেউ এই সাবজেক্টে কাজ করতে চায়, মানসিকভাবে তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে সারাজীবন পড়াশুনার জন্য, প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখার জন্য। নয়তো টিকে থাকতে পারবে না।
ভবিষ্যতে খুব বেশি রকম কম্পিটিটিভ হবে এই সেক্টরে কাজ করা - যদি গতানুগতিক একাডেমিক অথবা প্রফেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে।
০২ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:৫১
কলাবাগান১ বলেছেন: বাংগালী কম পরিশ্রমে উন্নতি খোজে....সবাই আছে সর্ট কাটে উপরে উঠার চেস্টায়...ছাত্র/ছাত্রীরাও বুঝার জন্য পড়তে চায় না.. পাশের জন্য মুখস্হ বিদ্যা। নীতি নির্ধারক রা ও তেমন কার্যপটু না... সময় এর সাথে কারিকুলাম চেন্জ করার কথা চিন্তা করে না।
আপনার সাথে সহমত, এই ফিল্ড প্রতিনিয়ত চেন্জ হচ্ছে, তাই সারা জীবন শিখার আগ্রহ না থাকলে আগাতে পারবে না
১১| ০২ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:০৯
জনারণ্যে একজন বলেছেন: একটা ব্যাপারে আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। ভবিষ্যতে কাজ খোঁজার ক্ষেত্রে, পড়াশুনার সাবজেক্ট নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সৃজনশীলতাকে গুরুত্ব দিতে হবে সবচেয়ে বেশি। নয়তো টিকে থাকা মুশকিল হবে।
এআই নিয়ে কাজ করা/পড়াশুনা ছাড়াও হাজারো সাবজেক্ট আছে, যেখানে নিজেকে প্রমান করার সুযোগ রয়েছে।
তবে বাংলাদেশের জন্য এর কিছুই প্রযোজ্য নয়। মুখস্ত বিদ্যা থাকলেই হয়, বিসিএস/ফিসিয়েসে কোয়ালিফাই করার জন্য।
অথবা এখানে কিছু তৃতীয় শ্রেণীর নির্বোধদের জন্য এটা প্রযোজ্য নয় - যারা এআই কে ব্যবহার করে পোস্ট লেখার জন্য। এমনকি মন্তব্য লেখার ক্ষেত্রেও।
মস্তিষ্কশূন্য গর্দভ সব। এদের বিচন্রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে এই প্লাটফর্ম এখন।
০২ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:৫৮
কলাবাগান১ বলেছেন: যে ক্রিসপার টেকনোলজি নিয়ে পুরা সেমিস্টার পড়াই, সেটা গতকাল প্রকাশিত নেচার পেপার "CRISPR-GPT for agentic automation of gene-editing experiments" দাবী করছে যে যার কোন CRISPR নিয়ে ধারনা নাই, সে ও ১ দিনের মধ্যেই CRISPR-GPT ইউজ করে এক্সপেরিমেন্ট আরম্ভ করতে পারে!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:১০
কামাল১৮ বলেছেন: পড়লাম এবং জানলাম অনেক কিছু।আগামীকাল যাবো কুইবেক।যেখানে আমার মেয়ে লেখাপড়া করেছে।থাকবো চার দিন।