নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটাই জীবন,এটাই শেষ চান্স,মুসলিম হওয়ার।

বিজ্ঞানের ক্লাসে কোন নিউটন বা আইনস্টাইনের বাণীর প্রতি অন্ধ বিশ্বাস ও ভক্তি নিয়ে বসবেন না।প্রতি ক্ষেত্রে সন্দেহ করুন, প্রশ্ন করুন অবিরত।বিজ্ঞান কারো বাণী দিয়ে চলেনা।বিজ্ঞান চলে যুক্তি ও প্রমাণের উপর।প্রতি লাইনে লাইনে প্রমাণ চাই।

মূসা আলকাজেম

এই ব্লগের যেকোন লেখা বিনা অনুমতিতে কপি-পেষ্ট করা যাবে

মূসা আলকাজেম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈধ ও শালীন ২য় বিয়ের নিন্দা করে অশ্লীলতা, ব্যভিচার, পরকীয়া আর সমকামের সাপোর্ট দেয়, এরা কারা? ভালো মন্দের মাপকাঠিতে হুমায়ূন আহমেদের ২য় বিবাহ - পর্ব ৩

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৫৬

(এই পোষ্টটির কিছু জায়গায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় এডিট করা হয়েছে। তাই যারা আগে পড়েছেন তাদেরকে আবারও পড়ে দেখার আমন্ত্রণ রইলো)

بسم الله الرحمن الرحيم

সকল প্রশংসা আল্লাহর। অসংখ্য দরুদ নাযিল হোক তাঁর নবীর উপর বারবার।

১ম পর্ব



২য় পর্ব



যারা প্রথম দুই পর্ব পড়েননি, তারা এই পর্ব পড়ে যে একেবারে বুঝবেন না এমন নয়। তবে সমালোচনামূলক মন্তব্য করতে চাইলে আমার অনুরোধ আগে প্রথম দুই পর্ব পড়ে নিন।

কেন আবার এই পুরানো বিষয়ে লিখলাম সেটা যারা সিরিজটি ভালো করে পড়বেন তাদের আর বুঝিয়ে বলতে হবে না। এই বিষয়ে অনেক আলোচনা হলেও এই আঙ্গিকে কোন আলোচনা আমার নজরে পড়েনি। এছাড়া চিন্তা করে এই সিরিজ পড়লে নবী সাহবীদের একাধিক বিবাহ, নবী(সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বালিকা বিবাহ,ইসলামের দাসপ্রথা ইত্যাদি নিয়ে আমাদের মনে কেন খটকা লাগে এবং এই খটকা লাগাটা যে একেবারে অযৌক্তিক তা বুঝতে পারবেন আশা করি।



এখানে হুমায়ুনকে আনা হয়েছে শুধুমাত্র উদাহরণ হিসাবে। আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে যদি সত্যিই প্রয়োজন হয় তাহলে ২য় বিবাহ করা যে একজন পুরুষের বৈধ অধিকার, সেটা দেখানো এবং এই অধিকার তাদেরকে না দেয়ার কারণে সমাজে কিরকম অশান্তি হচ্ছে সেটা দেখানো। যারা নিছক আবেগ নিয়ে চলেন, সমাজের চল আর প্রথাকেই যারা খোদার আসনে বসিয়েছেন তারা জানি শত যুক্তি দিলেও এটা মানবেন না। আর ভাবার কোন কারণ নেই যে আমি একাধিক বিবাহকে উৎসাহিত করছি। ১৪ নং মন্তব্যটি পড়ুন, তাহলেই বুঝবেন।



এবার আসেন আমরা ভালো খারাপের মানদণ্ড নিয়ে আমার আগের দুই পর্বের লেখায় যা আলোচনা করলাম সেই আলোকে বিচার করে দেখি হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় বিবাহকে, এবং ইতিহাসের আরো যারা ২য় বা আরো বেশী বিবাহ করেছে তাদেরকে। ১ম পর্বে যা বলেছিলাম সেটার সারাংশ যা দাঁড়ায় তা এই যে আমরা মোটামুটি তিন ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে কোন কাজকে ভালো খারাপ বলি বা ভালো খারাপ হিসাবে নির্ধারণ করি।



১- ধর্ম দিয়ে নির্ধারণ

২- সামাজিক প্রথা দিয়ে নির্ধারণ

৩- নাস্তিকদের নির্ধারণ (হতে পারে সেটা যুক্তি দিয়ে বা অন্য কিছু দিয়ে)



তো যারা মুসলমান তারা তো তাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই ব্যাপারে টুঁ শব্দটিও করতে পারেন না। কেননা খোদ আসমান জমীনের স্রষ্টা আল্লাহ্‌ই শর্ত সাপেক্ষে চারটি বিবাহের অনুমতি দিয়ে রেখেছেন পূর্বের স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই। ভালো করে বুঝে নিন শর্তসাপেক্ষে শুধু অনুমতি আছে কিন্তু কোন উৎসাহ দেয়া হয়নি। মুসলমানের কাছে সেটাই বৈধ যেটা আল্লাহ্‌ বৈধ করেছেন; সেটাই ভালো যেটা আল্লাহ্‌ ভালো বলেছেন। তার নিজের মন কি বললো, তার সমাজ কি বললো ; আল্লাহ্‌র ফায়সালার পর এসবের পাই পরিমাণ কোন মূল্য নেই।



আর নাস্তিকদের এ ব্যাপারে কথা বলা তো চরম হাস্যকর ব্যাপার। হুমায়ূন তো কারো কোন ক্ষতি করেন নি।নাস্তিকদের মতে তো যে কেউ যে কোন কাজ করতে পারে, যদি অপরের কোন ক্ষতি না হয়। নাস্তিকদের কাছে তো লিভ টুগেদার, সমকাম সব বৈধ, আর হুমায়ূন তো এগুলো করেননি, উনি তো বিয়ে করে নিয়েছেন।চালুনি বলে সুঁই তর পিছে কেন ছিদ্র। আসলে তাদের ভাব দেখে যা মনে হয় সেটা হলো, তারা বিয়ে করার বিরুদ্ধে লেগেছে। কেউ একাধিক বিয়ে করে বৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা মিটাতে গেলে তাকে তারা নারীলোভী, কামুক বলে গালি দেয়, পক্ষান্তরে লিভ টুগেদার করলে , সমকাম করলে এটাকে লম্পটরা ব্যাক্তি স্বাধীনতা, আধুনিকতা ইত্যাদি বলে প্রচার করে। ঐ যেমন নাকি মুসলমানরা পৃথক রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করলে আমেরিকা বলে যে এরা বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসী; আর খ্রিষ্টানরা পৃথক রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করলে আমেরিকা বলে যে এরা স্বাধীনতাকামী, এদের স্বাধীনতা দেয়া হোক। তারা সমকামকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে বলে, আর ২য় বিবাহের মত একটি চিরবৈধ ও শালীন কাজকে কামুকতা বলে প্রচার করে। অথচ কোন পুরুষের যদি প্রয়োজন থাকে তাহলে ২য় বিবাহ করা তার অধিকার। এখানে কোন লম্পটের নাক গলানোর কোন অবকাশ নেই।



উপরের দুই ভিত্তিতে পাস করার পর রইলো সামাজিক প্রথার ভিত্তি। যাদের নিজস্ব কোন বিচার বিবেচনাবোধ নাই, যুক্তি দিয়ে যারা কোন কিছু বিচার করতে জানেনা, সাধারণত তারাই মূর্খ সমাজের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়ে সমাজের প্রথা ও চল দিয়ে ভালো খারাপ নির্ধারণ করে। এরা সাধারণত বদ্ধ মানসিকতার ও একরোখা মেজাজের হয়।যাইহোক সামজিক প্রথাকে হিসাবে আনলে বলতে হয় যে, কিছুদিন আগেও তো এই উপমহাদেশে হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা একাধিক বিবাহের প্রথা ছিলো।। এখনো তো একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায় নি।আর সামাজিক প্রথা রক্ষা করতে হবে এটাই বা কে বললো? তাহলে তো যারা আগের হাজার বছরের প্রথাকে ভেঙ্গে এই নতুন প্রথা চালু করেছেন তারাই চরম অন্যায় করেছেন । তাই বলতে পারি হয়তো হুমায়ূন এই অন্যায় প্রথাকে দূর করে আগের ভালো প্রথাকে ফিরিয়ে আনার জন্য এই কাজ করেছেন। কত মানুষ কত লাইনে সামাজিক প্রথা ভাঙছে তার কোন খবর নাই, সবাই লাগছে এই বিবাহের পিছনে। অথচ এটাকে ১ম স্ত্রী ও সমাজ স্বাভাবিকভাবে, উদারচিত্ততার সাথে মেনে নিলে কত পারিবারিক অশান্তি শেষ হয়ে যেত, সেটা কেউ চিন্তা করে না। তার উপর কথা হলো বর্তমানের এই মূর্খ, অর্বাচীন, লম্পট, ধর্ষক, খুনী, সন্ত্রাসী সমাজের কোন প্রথারতো কানা কড়ি মূল্যও নাই, মানারতো কোন প্রশ্নই আসেনা। এই সমাজের প্রথাইতো আমাদের মা বোনদেরকে শেষ করে দিচ্ছে, ধর্ষিতা বানাচ্ছে, বেশ্যা বানাচ্ছে, রাস্তার মজদুর বানাচ্ছে। শত ধিক আর থুতু মারি এই সমাজকে আর তার প্রথাকে। (হুমায়ূনতো সমাজের মাপকাঠিতে পাস করেননি, যদিও তাতে কিছুই যায় আসেনা; কিন্তু নবীরা ও সাহাবীরা কিন্তু এই তিন মাপকাঠিতেই ১০০ ভাগ পাস।কারণ তাদের সমাজে বহু বিবাহ মোটেই কোন খারাপ কিছু ছিলোনা।এখান থেকেই বুঝে নিন হযরত সোলায়মান (আঃ) এর ১০০ জন স্ত্রী ছিলো শুনলে যে আপনার মনটা কেমন কেমন করে, মুখের কোণে বাঁকা হাসি ফুটে; এটা নিছক মূর্খতা আর সমাজের পূজা করার কারণে হয়।নবীরা কামুক নয়, যারা তাদের সমালোচনা করে তারাই সব বিশ্ব লম্পট ও কামুক; এবং তারা পুরা সমাজকে লম্পট বানাতে চায়, এজন্য তারা কোমর বেঁধে এই চির বৈধ ও শালীন বিয়ে ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লেগেছে। ) এখানে ক্লিক করে দেখুন। সোলায়মান (আঃ) এর ব্যাপারটি আরো ক্লিয়ার হবে এই পোষ্টের শেষের দিকের আলোচনা দ্বারা।



ইংরেজরা ছিলো অতি ধুরন্ধর। তাদের সমাজ বিজ্ঞানীরা সাধারণ মানুষের মন মানসিকতা, চিন্তাধারা খুব ভালো করে স্টাডি করেছিলো। তারা বুঝেছিলো যে বেশীরভাগ মানুষই সমাজ যেটাকে ভালো বলে সেটাকে ভালো বলবে এবং সমাজ যেটাকে খারাপ বলে সেটাকে অন্ধভাবে খারাপ বলবে। বেশিরভাগ মানুষই তলিয়ে দেখবে না যে, সমাজ যেটাকে নিন্দনীয় বা খারাপ বলছে সেটা কি আসলেই খারাপ কিনা বা সমাজের মানুষ এটাকে কিসের ভিত্তিতে খারাপ বলছে। আর দু'একজন তলিয়ে দেখলেও সে সমাজের নিন্দার ভয়ে সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলবে। তাই তারা পরিকল্পনা করলো যে একাধিক বিবাহ, বাল্য বিবাহ ইত্যাদিকে মুসলিম সমাজে যেভাবেই হোক ধীরে খারাপ হিসাবে তুলে ধরতে হবে। এরপর এটা যখন মানুষের মনে গেঁথে যাবে তখন এক সময় তারা নবীদেরকেও একাধিক বিবাহের কারনে খারাপ বলা শুরু করবে। এই সুচতুর সুগভীর ষড়যন্ত্রে যে তারা সফল হয়েছে তার প্রমাণ আজকের যুগের মানুষদের নবীদের ব্যাপারে এসব প্রশ্ন করা। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে রক্ষা করুন।



মোটকথা ভালো খারাপ নির্ধারণের কোন মাপকাঠিতেই আপনি তার এই ২য় বিবাহকে খারাপ বলতে পারেন না, নিন্দা করা তো অনেক দূরের কথা।(ঠিক তেমনি ইতিহাসের আরো যারা বহু বিবাহ করেছেন ) কিন্তু অর্বাচীন, মূর্খ , অসভ্য আর বদ্ধ মানসিকতার লোকেরা কোন কিছু না বুঝেই, কেউ ২য় বিবাহ করলে তার নিন্দা শুরু করে দেয়। ঐ চিলে কান নেয়ার মত ছোট বেলা থেকে শুনে আসতেছে মূর্খ সমাজের মূর্খ লোকের প্রচারণা যে, একাধিক বিবাহ খারাপ; ব্যস, খারাপ। কেন খারাপ? কে বললো খারাপ? কিসের ভিত্তিতে বললো খারাপ? ইত্যাদি কোন কিছু চিন্তা না করে তারা সেটাকে মেনে নিলো। বাড়তি যৌন চাহিদা পূরণের জন্য ২য় বিবাহের মত একটা চির শালীন ও বৈধ পন্থার কথা কেউ অবলম্বন করেছে শুনলে এদের মাথায় যেন একটা অন্ধ ও বয়ড়া ভূত চেপে বসে, আর সভ্যতা ও ভব্যতার সীমা ছাড়িয়ে আর একজন মানুষের নির্দোষ ব্যাক্তি জীবন নিয়ে নোংরা সমালোচনা করতে থাকে। অথচ সমাজে যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে কত মানুষ যে কত লাম্পট্য করছে সেখানে সব ভেজা বেড়াল। একদিকে ২য় বিবাহের নিন্দা করে মানুষকে তা থেকে আটকে রাখা হচ্ছে, আবার অন্যদিকে অশ্লীল সিনেমা , নাটক দেখিয়ে; অশ্লীল বই, পত্রিকার বিস্তার ঘটিয়ে এবং প্রগতির নামে , নারী অধিকারের নামে সুন্দরী নারীদেরকে ঘরের বাহিরে এনে মানুষের যৌনতাকে উস্কিয়ে দেয়া হচ্ছে। তখন অটোমেটিক মানুষ তার যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য চুপি চুপি লাম্পট্যময় কাজের দিক এগিয়ে যাচ্ছে। একদিকে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, আবার অন্যদিকে যুবক যুবতীদের যৌনতাকে উস্কে দেয়ার জন্য যা যা করা দরকার সব করছে। ফলে তারা এখন প্রায় প্রকাশ্যেই লাম্পট্য শুরু করেছে। প্রাইমারীর ছেলে মেয়েরা পর্যন্ত অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িয়ে যাচ্ছে। তখন এরা মুখে কুলুপ দিয়ে বসে থাকে, বা বলে যে, আরে এই যুগের ছেলে মেয়েরা এগুলো একটু করবেই। এই নাস্তিকরা হলো শয়তানের দোসর। এরা চায় সমাজ থেকে লজ্জা শালীনতা উঠিয়ে দিয়ে সমাজে অশ্লিলতা, ব্যাভিচার আর লাম্পট্য ছড়িয়ে দিতে।বাড়তি যৌন চাহিদা পুরণের বৈধ ও শালীন পন্থাকে সামাজিক চাপ প্রয়োগ করে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, আর সর্ব দিকে থেকে যুবক যুবতীদের যৌনতাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে যাতে সে অবৈধ পন্থায় , লাম্পট্য করে তার যৌন চাহিদা মিটায়। আল্লাহ আমাদের এদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন।



এবার আসুন দেখি ২য় পর্বে আমরা যা আলোচনা করলাম সেই আলোকে হুমায়ূনের ২য় বিবাহকে বিচার করি।২য় পর্ব না পড়ে থাকলে , আমার অনুরোধ তা একবার পড়ে দেখুন। কথা দিচ্ছি আপনার সময় নষ্ট হবেনা। তো ২য় পর্বে আমরা দেখেছি যে আমরা কারো সমালোচনা করতে গিয়ে মোটামুটি চারটি ভুল করি। আসুন দেখি আমরা হুমায়ূনের সমালোচনা করতে গিয়ে এই চারটি ভুলের কয়টি করলাম।



১নং ভুলঃ হুমায়ূন ২য় বিয়ে করেছেন, এটা হলো তার একটা কাজ। এখন কথা হলো এই কাজের পিছনে উদ্দেশ্য কি ছিলো তার? ভালো উদ্দেশ্য যেমন থাকতে পারে, তেমনি খারাপ উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।কিন্তু আমার আপনার সেটা নিশ্চিতভাবে বুঝার কোন উপায় আছে কি? নেই; একদম নেই। আমরা শুধু তার সার্বিক অবস্থা দেখে আন্দাজ করতে পারি। কারো মনের কথা নিশ্চিত করে বলা কোনদিন কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু সমালোচনাকারীরা সম্পূর্ণ বিনা প্রমাণে এটাই নিশ্চিত ধরে নিচ্ছেন যে, হুমায়ূন তার যৌন লালসা মিটানোর জন্য বিবাহ করেছেন। (তেমনি তারা ধরে নিচ্ছে আমাদের প্রিয় নবীজী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ক্ষেত্রেও, অথচ তাদের এই ধরে নেয়াটা নবীজীর সার্বিক অবস্থার সাথে মিলেনা, তাদের এই ধরে নেয়াটা একেবারে প্রমাণহীন। সম্পদের লালসা ও বিবাহ Vs মুহম্মদ (সা).. সামুরাইয়ের যুক্তিখন্ডন ) পড়ুন এই পোষ্টের ১০ ও ১১ নং কমেন্ট।



ভালো করে খেয়াল করুন, আমি আপাতত এখানে সমালোচনাকারীদের একথা ঠিক ধরে নিয়ে তাদের ভুল ধরলাম যে, যৌন লালসা মিটানোর জন্য বিবাহ করা খারাপ। এটাকে বলে তাসলিমী জবাব। একটু পরে আমি দিবো ইনকারী জবাব। সেখানে দেখাবো যে ,আসলে যৌন লালসা বা চাহিদা মিটানোর জন্য বিবাহ করাকে খারাপ বলাও নিছক মূর্খতা। যৌন লালসা বা চাহিদা মিটানোর জন্য বিবাহ করা খারাপ হলে একটা বিবাহও করতে পারবেন না। সবাই বিবাহ সাদী বাদ দিয়ে জঙ্গলে গিয়ে থাকেন। আরে মিয়া কারো যৌন ক্ষমতা যত বেশীই থাকনা কেন,সে যদি বৈধ পন্থায় তা পূরণ করে,তাহলে কখনো বলা যাবেনা যে সে তার লালসা চরিতার্থ করেছে,বরং বলতে হবে,সে তার অনিবার্য প্রয়োজনকে শালীন ও বৈধ পন্থায় পূরণ করেছে। কেউ যদি তার যৌন চাহিদা অবৈধ পন্থায় পূরণ করে (ব্যাভিচার করে,সমকাম করে ইত্যাদি),তখন সেটা লালসা চরিতার্থকরন বা কামুকতা হবে। কারো যদি যৌনশক্তি অন্য কারো থেকে বেশী থাকে, কিন্তু এটা তার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সে কোন ব্যাভিচার বা ধর্ষণ না করে, তাহলে এটা তার একটা বিশেষ গুণ বলেই মানব ইতিহাসে বিবেচিত হয়ে আসছে। এটাকে কোন দোষ ভাবা ,চরম মূর্খতা ছাড়া কিছু নয়। আয়োডিনের অভাব না থাকলে কেউ এটাকে দোষ ভাবতে পারেনা। এটা যদি গুণ না হতো তাহলে সবাই যৌনশক্তি কমানোর জন্য ডাক্তারের কাছে যেতো,বাড়ানোর জন্য যেতোনা। এছাড়া পুরুষত্ব বা যৌনশক্তি বেশী থাকা মানে এই নয় যে শুধু এই গুণটাই বেশী। বরং পুরুষত্ব বা যৌনশক্তি বেশী থাকলে তার স্বাস্থ্য, বুদ্ধি, স্মরণশক্তি, বিপদে অবিচলতা, ব্যাক্তিত্ব, নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি অনেক কিছুই তার বেশী থাকবে। না জানলে নেটে সার্চ দিয়ে জেনে নেন।

( আর নবীরা যে শুধু চারিত্রিকভাবে অন্য মানুষদের থেকে শ্রেষ্ঠ হতেন এমন নয়, বরং তাঁরা শারীরিক দিক থেকেও গড়ে অন্য মানুষদের থেকে শ্রেষ্ঠ হতেন।)



২নং ভুলঃ হতে পারে হুমায়ূন কোন ঠেকায় পড়ে অপারগ হয়ে এই বিয়ে করেছেন, কিন্তু কোন বিশেষ কারণে তার অপারগতাটি কি ছিলো,তা তিনি প্রকাশ করেননি।



৩নং ভুলঃ হতে পারে ২য় বিবাহের ব্যাপারে হুমায়ূন আমাদের এই ফালতু সামাজিক প্রথার সাথে একমত ছিলেন না, সোজা কথায় তিনি এটাকে কোন খারাপ কাজ মনে করতেন না। আর কোন ব্যাপারে যে কেউ যে কোন মত রাখতে পারে । এটা প্রত্যেক মানুষের অধিকার। সুতরাং এ ব্যাপারে তাকে নিন্দা করা একেবারে সংকীর্ণ, গোঁরা আর বদ্ধ মানসিকতার পরিচয়। আর আগেই বলেছি মানব ইতিহাসের কোন সভ্য সমাজেই এটা খারাপ ভাবা হতোনা। বর্তমানের এই মূর্খ, অর্বাচীন, লম্পট, ধর্ষক, খুনী , সন্ত্রাসী সমাজের এটাকে খারাপ ভাবার দ্বারা কিছুই যায় আসেনা।



৪নং ভুলঃ (এই পয়েন্টটি বুঝতে হলে ২য় পর্ব থেকে এই জায়গাটা পড়ে আসতে হবে)এই ঘটনার অন্তরালে হয়তো এমন ঘটনা রয়ে গেছে, যা জানলে আমরাও বুঝতে পারবো যে, হুমায়ূন আসলে কোন অন্যায় কাজ করেন নি। কিন্তু সেটা এখন আর কি জানা সম্ভব। আচ্ছা হুমায়ূন বেঁচে থাকতে কি তাকে এই ব্যপারে কেউ জিজ্ঞাসা করেছিলো? আমার জানা নেই।



আরেকটা কথা হলো, এই যে আপনি কারো কোন কাজ দেখে তার উদ্দেশ্য আন্দাজ করবেন, এটা কিন্তু আপনি আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে করবেন, নিজের জীবনের ঘটনাবলীর আলোকে আন্দাজ করবেন। যদি এমন হয় যে আপনিও এই কাজটি উনি যেই উদ্দেশ্যে করেছেন সেই উদ্দেশ্যেই কোনদিন করেছিলেন, তাহলে হয়তো আপনার আন্দাজ আপনার অজান্তেই ঠিক হতে পারে। কিন্তু যদি এমন হয় যে, উনি যে উদ্দেশ্যে কাজটি করেছেন সেটা আপনার অভিজ্ঞতা থেকে দূরে তাহলে কিন্তু আপনি কোনদিনও সঠিক আন্দাজ করতে পারবেন না। যে ক্যাল্কুলেটর ১০০০ পর্যন্ত হিসাব করতে পারে আপনি যদি সেটা দিয়ে আরো বড় সংখ্যা হিসাব করতে চান তাহলে তা কখনো সম্ভব নয়।



এই সংক্ষিপ্ত কথা থেকে বুঝে নিন যারা বলে যে, হুমায়ূন আহমেদ শেষ বয়সে কিশোরী নারীর প্রতি যৌন লালসায় পড়ে শাওনকে বিবাহ করেছেন, তারা কত অন্যায় কথা বলেন। হুমায়ূন বিয়ে করেছেন এই কাজটি প্রকাশমান, কিন্তু বিয়েটা উনি কেন করলেন সেটা উনার মনে রয়েছে। আর কারো মনের ভিতর কি আছে সেটা আমি আপনি কখনোই বলতে পারবো না। যে নিজে লম্পট বা লম্পট সমাজে যে বাস করে সে হয়তো নিজের উপর অনুমান করে চরম অবিবেচকের মত হুমায়ুনকেও লম্পট বলতে পারে, কিন্তু সামান্য বিবেচনা বোধ যার আছে এমন কেউ তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন না শুধু এই হিসাবে যে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন, তাও একজন কিশোরীকে।এতটুকু পড়েও যদি কেউ নবী(সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে আয়েশা (রাঃ) এর বিবাহের ব্যাপারে নাস্তিকদের আপত্তির জবাব বের করতে না পারে তাহলে আমার কিছু বলার নেই। এতক্ষণ ধরে আমি তাসলিমী জবাব দিলাম অর্থাৎ নাস্তিকদের এই কথা তর্কের খাতিরে ঠিক ধরে জবাব দিলাম যে, যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য বিবাহ করা দোষনীয়, এবং দেখালাম যে হুমায়ূনের ক্ষেত্রে বা অন্য কারো ক্ষেত্রে এটা বলা যে তিনি যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য বিয়ে করেছেন এটা বিবর্তনবাদের মত একদম প্রমাণহীন কথা; আর খোদ ইসলামের নবীর ক্ষেত্রে এটা বলা চরম পর্যায়ের প্রমাণহীন মূর্খতাকীর্ণ কথা। এখানকার পোষ্টের ১১ নং কমেন্টটি পড়ুন । নীচে থেকে শুরু হলো ইনকারী জবাব অর্থাৎ দেখাবো যে তাদের যুক্তির এই ভিত্তিটাই ঠিকনা।



এবার আসেন আসল কথায়।ধরেন কেউ যৌন চাহিদা মিটানোর জন্যই বিবাহ করলো। তো এতে কি হয়েছে? এজন্য কি আপনি তাকে নারী লোলুপ বলতে পারেন? কখনোই পারেন না। আরে ভাই লোভ কাকে বলে এটা আমাকে বলেন।

কারো দুই রুটি খেয়ে পেট ভরে না, কারো ভরে যায়। এখন যে দুই রুটি খায় সে কি যে চার রুটি খায় তাকে পেটুক বলতে পারে?খাদ্য লোভী বলতে পারে?না। পারে না।

ভালো করে খেয়াল করুন,



১-যে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী খায় সে হলো পেটুক।



২-যে পেট ভরে যাবার পরেও শুধু জিহ্বার মজার জন্য খায়,প্রয়োজনের চেয়ে বেশী বেশী খায়, নিজেরটা খেয়ে আবার অপরের খাবারের দিকে চেয়ে থাকে সে হচ্ছে লোভী, ছোঁচা।



৩-যে অপরের খাদ্য না কিনে,না বলে খেয়ে ফেলে সে হচ্ছে চোর।



৪-আর যে ক্ষুধার্ত অবস্থায় টাকা ও খাবার থাকা সত্ত্বেও খাবার কিনে না খেয়ে উপোস থাকে সে হচ্ছে নির্বোধ।



এ কথা যদি বুঝে থাকেন তাহলে শুনুন,



পেটের ক্ষুধার মত যৌন ক্ষুধাও একটি ক্ষুধা। পেটের ক্ষুধার মত এটাও স্বাভাবিক একটি শারীরিক চাহিদা। পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য যেমন আল্লাহ পাক খাদ্যের ব্যবস্থা রেখেছেন, তেমনি নারী ও পুরুষের যৌন ক্ষুধা মিটানোর জন্যও আল্লাহ ব্যবস্থা রেখেছেন। সব মানুষের খাবারের চাহিদা এক সমান হয় না। একজন চারফুট লম্বা মানুষের যতটুকু খাবারের চাহিদা , একজন ছয় ফুট লম্বা বিশালদেহী মানুষের চাহিদা নিশ্চয়ই বেশী হবে।ঠিক এরকম মানুষের যৌন চাহিদাও একেক জনের একেক রকম। এটা শারীরিক গঠন, বংশগতি, আবহাওয়া, দেশ ইত্যাদি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।



এখন কারো যদি শরীরের যৌন চাহিদা বেশী থাকে,তাহলে আপনি আমাকে বলেন এতে কি তার নিজের কোন হাত আছে?নেই, কোন হাত নেই। এটা সম্পূর্ণ খোদা প্রদত্ত বা নাস্তিকদের ভাষায় প্রকৃতি প্রদত্ত।আর একটু আগে দেখিয়েছি এটা তার একটা বাড়তি গুণ। আপনার নিজের মনের মধ্যে লাম্পট্য থাকলেই আপনি অন্য কারো(সাধারণ মানুষ বা নবী) শরীরে বাড়তি শক্তি আছে, এটা শুনে বাঁকা হাসি হাসতে পারেন।



এবার আগের খাবারের উদাহরণের সাথে নীচের কথাগুলো মিলান



১-আপনার শরীরের যৌন চাহিদা কম বলে আপনার হয়তো এক স্ত্রীতেই কাজ চলে যায়, তাই বলে যার যৌন চাহিদা বেশী সে যদি দুই বা তিন বা চারটি বিবাহ করে তাহলে আপনি তাকে নারী লোভী বলতে পারেন না। যেমন নাকি আপনার দুই রুটিতে ক্ষুধা মিটে গেলেও যার চার রুটি খাওয়া প্রয়োজন তাকে খাদ্য লোভী বলতে পারেন না।



২-যে, এক স্ত্রী দ্বারাই তার শরীরের যৌন চাহিদা মিটে যাবার পরও আরো বিবাহ করে তাকে হয়তো কোন ক্ষেত্রে আপনি লোভী বলতে পারেন,কিন্তু এটা তো শুধু সেই জানতে পারে আসলে তার প্রয়োজন আছে নাকি নাই? এখানে আপনি আমি হাত দেয়ার কে? এর উপর আগের কথা তো খেয়াল রাখতে হবেই যে, যৌন চাহিদা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যেও সে বিবাহ করতে পারে, যেটা শুধু তাকে জিজ্ঞাসা করেই জানা সম্ভব।



৩-আর যে বিবাহ না করে যৌন চাহিদা মিটায় সে হচ্ছে লম্পট, ব্যাভিচারী বা ধর্ষক, যেমন নাকি যে অপরের খাবার খায় না কিনে সে হচ্ছে চোর বা অন্যকিছু। এখন ব্যপার হয়ে গেছে উল্টা। লম্পটরাই এখন যারা বৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা মিটাচ্ছে তাদেরকে লম্পট, কামুক বলে নিন্দা করছে।



৪-আর যে তার শরীরে বাড়তি যৌন চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এবং বিয়ে করার সুযোগ , সামর্থ্য ও প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজন পরিমাণ বিয়ে না করে একজন নিয়ে কষ্ট করে থাকে সে হচ্ছে ঐ ব্যক্তির মত বোকা যে ক্ষুধার্ত অবস্থায় টাকা থাকা সত্ত্বেও শুধু দুই রুটি খেয়ে বাকী ক্ষুধা পেটে নিয়ে বসে থাকে আর মানুষের খাবারের দিকে চেয়ে থাকে। যেকোন দুর্বল মুহূর্তে এই লোকের দ্বারা অঘটন ঘটে যেতে পারে, ঘটছে।



৫-আর যে সমাজ হুমায়ুনকে নিন্দা করলো তারা হচ্ছে চরম অর্বাচীন, পরোক্ষভাবে নারী নির্যাতনকারী, শিশু হত্যাকারী। এই নিন্দার ফলে কি হবে? অন্য নামকরা লেখকরা, সাধারণ মানুষরা, এমনকি এই নিন্দাকারীরা দ্বিতীয় বিয়ে করার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লোকনিন্দার ভয়ে বিয়ে করবে না। কেউ হয়তো পেটে ক্ষুধা নিয়ে বসে থাকবে, মরণ পর্যন্ত কষ্ট করবে। কিন্তু অনেকেই যাদের চাহিদা বেশী সে কিন্তু ঠিকই গোপনে তার ক্ষুধা মিটিয়ে নিবে, নিচ্ছে।পুরুষ মানুষের যৌন চাহিদার এই বাস্তব বিষয়টি অযথা গোঁড়ামি করে মেনে না নেয়ার কারণে সমাজে কত অন্যায় হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। হচ্ছে পরকীয়া, হচ্ছে ব্যাভিচার, হচ্ছে ধর্ষণ।বাড়ছে পারিবারিক কোন্দল, ভাঙছে সংসার, হচ্ছে আত্মহত্যা। ছোটবেলা থেকে নিজের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মাঝে দেখে আসছি এই পারিবারিক কোন্দল। গত এক বছরের পেপার ঘাটলে দেখা যাবে কত কত প্রাণ ঝরে গেছে এই কোন্দলে। অথচ স্ত্রী ও সমাজ যদি আধুনিকতা ও উদারতার সাথে স্বামীর ২য় বিবাহকে বা প্রয়োজনে আরো বেশী বিবাহকে মেনে নিত তাহলে এই ঝগড়া বিবাদ, কোন্দল কিছুই তেমন হত না। ২য় বিবাহকে মেনে না নিয়ে আমাদের কি লাভ হয়েছে? সেইতো পরকীয়া করতে গিয়ে ১ম স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য, ঝগড়া বিবাদ হচ্ছেই, সেইতো সংসার ভাঙছেই।সেইতো স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে খুন করছেই,সেইতো মা তার সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করছেই। হচ্ছে আরো শত নিদারুণ ঘটনা। এরচেয়ে ভালো কি এই নয় যে আমরা সংকীর্ণতা পরিহার করে পুরুষের যৌন চাহিদা পূরণের জন্য একাধিক বিবাহের এই বৈধ , শালীন ও নিয়ন্ত্রিত বাস্তব চাহিদাকে মেনে নেই? এই শালীন ও বৈধ জিনিস মেনে না নেয়ার কারণে কিন্তু আমাদেরকে মেনে নিতে হচ্ছে লাম্পট্য, বিচ্ছেদ, অশান্তি, আত্মহত্যা ইত্যাদি কত কি। যার ক্ষুধা বেশি লেগেছে তাকে যদি খাবার দেয়া না হয় তাহলে তো সে একসময় অসহ্য হয়ে চুরি ছিনতাই করবেই। একটা বুড়া মানুষ ধর্ষণ করেছে এই খবরে আমরা নিন্দার ঝড় বইয়ে দেই, কিন্তু চিন্তা করি না যে আমরাইতো তাকে এই কাজে বাধ্য করেছি।একদিকে লোকনিন্দার ভয়ে সে বিয়ে করতে পারেনি, যৌন চাহিদাকে দমিত করে রেখেছে অনেক দিন মূর্খ সমাজের নিন্দার ভয়ে, আরেকদিকে এই লম্পট সমাজ সুন্দরী ললনাদেরকে তার চোখের সামনে নাচিয়েছে,হাসিয়েছে; তো কত আর সহ্য করা যায়, অবশেষে ভেঙ্গে যায় ধৈর্যের বাধ কোন এক নির্জনতায়, কোন এক দুর্বল মুহূর্তে।



আমি মনের ভাবটি হয়তো গুছিয়ে লিখতে পারলাম না। কিন্তু চিন্তাশীল পাঠক আশা করি বুঝে নিবেন।কমপক্ষে ১নং কমেন্ট ও তার জবাব পড়ুন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন ।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৫৭

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ভারতীয় মনোবিজ্ঞানী হিমাংশু সাক্সেনা বলেন, ‘পুরুষেরা প্রকৃতিগতভাবেই বহুগামী।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে পরকীয়ার ব্যাপারটি অনেক আগে থেকে চললেও একে এখন স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখা হচ্ছে।’ হিমাংশু বলেন, বিবাহিত জীবন সুখের না হলে কিংবা কোনো কারণে সঙ্গীর সঙ্গে মন-মানসিকতা না মিললে মানুষ পরকীয়ার পথে হাঁটে। হিমাংশুর মতে, বর্তমান সময়ে কর্মক্ষেত্রে পুরুষ ও নারী অনেক ঘনিষ্ঠভাবে মেশে। এই কারণে, বহু ক্ষেত্রে তারা একে অন্যের সঙ্গে মানসিকভাবে অনেক কাছাকাছি চলে আসে। বিবাহিত হওয়ার পরেও নতুন কারও প্রতি এখন তাই সহজেই মানুষ আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:২৬

মূসা আলকাজেম বলেছেন: দেখেন, ভালো করে চোখ খুলে দেখেন।চির শালীন একাধিক বিয়েকে না মেনে, এখন এই চরম লাম্পট্যকে মেনে নিচ্ছে। আমাদের দেশের লম্পট নাস্তিকরা (সবাই না) এটা আমাদের দেশে আমদানী করতে চাচ্ছে। তাই এরা ষড়যন্ত্র করেছে যে, যে কেউ বৈধ পন্থায় তথা বিবাহের মাধ্যমে নিজের বাড়তি যৌন চাহিদা মিটাতে যাবে তখনই তারা তাকে লম্পট, কামুক ইত্যাদি বলে শিয়ালের মত চিৎকার করতে থাকবে, যাতে মানসিক চাপে পড়ে অন্য কেউ এই বৈধ পথে পা না বাড়িয়ে চুপিচুপি অবৈধ পথে এগিয়ে যায়। এরপর যখন ব্যাপারটি ওপেন সিক্রেট হয়ে যাবে তখন এই ইন্ডিয়া আমেরিকার মত বলবে এটা মেনে নিলেই হয়। তো আমরা কি দোষ করলাম? আমরা তো এটাই বলেছি যে, সংকীর্ণতা,গোঁড়ামি ছেড়ে দিয়ে ২য় বিবাহকে মেনে নিলেই তো হয়। এরা নিজেরা লম্পট আর পুরা জাতিকে লম্পট বানানোর ফিকির করছে। মেয়েদেরকে স্বাধীনতা আর অধিকারের মিষ্টি বুলি শুনিয়ে ঘরের বাহির করছে যাতে করে লাম্পট্য করার রাস্তা ক্লীয়ার হয়।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩২

মূসা আলকাজেম বলেছেন: সোনা ব্লগ থেকে একজনের একটি কমেন্ট এখানে তুলে দিলাম।

আবু জারীর লিখেছেন : এক খৃষ্টান সেবিকা একজন মুসলিম স্কলারকে বহু বিবাহের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে, তিনি (স্কলার)সেবিকাকে পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন যে, তোমরাতো বহু বিবাহের বিরোধী; কিন্তু বলতো তোমাদের কয়জন পুরুষ এক নারীতে সন্তুষ্ট?

অবৈধ ভাবে একাধিক নারীর কাছে না গিয়ে প্রয়োজনে এবং শর্ত সাপেক্ষে একাধিক (একত্রে চারের অধিক নয়) বিয়ে করা কি উত্তম নয়।
সেই সেবিকা স্কলারের যুক্তি মেনে নিয়ে সহমত পোষন করেছিল।
আমি জানি সেই সেবিকা সহমত পোষণ করলেও আমাদের দেশের লম্পট নাস্তিকের দল, আর সমাজ পূজারী মূর্খ নামে মুসলমানরা সহমত পোষণ করবেনা। এরা অন্ধ আর গোঁড়াই থেকে যাবে, কখনো এরা আধুনিক,মুক্তমনের আর উদারচেতা হতে পারবেনা। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন।

০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

মূসা আলকাজেম বলেছেন: John: Why Do you Opress your women, and restrict
them for the freedom and Rights of this society?

Abdullah: If you had a priceless diamond under your
possention, would yo expose it in the public or
would you keep it safe under your protection.?

John: I would keep it safe under protection.

Abdullah: Our Women are like Diamond.

John: Ok, But why dont you allow them to earn a living
for themselves?

Abdullah: Does Queen Elizabeth work?

John: NO

Abdullah: Our women are like Queens.

০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

মূসা আলকাজেম বলেছেন: A British man came to Sheikh and asked: Why it is not
permissible in Islam for women to shake hands with a
man?

The Sheikh said: Can you shake hands with Queen
Elizabeth?

British man said: Of course not, there are only certain
people who can shake hands with Queen Elizabeth.

Sheikh replied: our women are queens and queens
do not shake hands with strange men.

Then the British man asked the Sheikh: Why do your
girls cover up their body and hair?

The Sheikh smiled and got two sweets, he opened
the first one and kept the other one closed. He threw
them both on the dusty floor and asked the British:
If I asked you to take one of the sweets which one will
you choose?

The British replied: The covered one.

The Sheikh said: that's how we treat and see our
women.

Now who says that Arabs have no sense of humour?

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৫৮

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আকলমান্দের জন্য ইশারাই কাফি। আমার এই তিন পর্বের লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়লে যেমন হুমায়ূনের উপর আরোপিত অভিযোগের জবাব পাওয়া যাবে, তেমনি লম্পট নাস্তিকরা (সবাই না) মুসলমানদের প্রিয় নবী (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর যে সব বিশ্রী অভিযোগ আনে , ইসলামে অনুমোদিত বহু বিবাহ, বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনে, সাহাবীদের মধ্যকার লড়াই নিয়ে যারা কটুক্তি করে ইত্যাদি অনেক কিছুর জবাব ইনশা-আল্লহ চিন্তাশীল ব্যক্তিরা বুঝে নিতে পারবেন। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বিষয় উপলব্ধি করার তওফিক দিন।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৫৮

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ আমার অসম্ভব প্রিয় একজন মানুষ। তার কোন লিখা আমি বাদ দেইনি। তার ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কি করছেন সেটা তার একান্তই নিজের ব্যাপার। তিনি অন্যকে সমস্যায় না ফেলে নিজের চাহিদা পুরুন করতে পারেন এতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু এর পাশাপাশি একটা বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন যে তিনি সমাজের আর দশটা সাধারণ মানুষের মত নয়। তার অসংখ্য ভক্ত রয়েছে। আমাদের সমাজে তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তাই সমাজের কথা ভেবে নিজের সামান্য স্বার্থ ত্যাগ করা উচিত ছিল। কারণ আমাদের মূল্যবোধের মানদণ্ডে দ্বিতীয় বিবাহ সমর্থন যোগ্য নয়। তার উপর কন্যার বান্ধবীকে বিয়ে করা রীতিমত দৃষ্টিকটু। এরপর অন্য কেউ যদি একই কাজ করে তাহলে স্যারকে সামনে রেখে নিজেকে ডিপেনড করতে চাইবে। এই দিক ভেবে তার স্বার্থত্যাগ করা উচিত ছিল। তবে তিনি তার ব্যাক্তিগত জীবন কিভাবে কাটাবেন সেটা নিয়ে আমাদের আলোচনা সমালোচনা নিরর্থক। ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৪০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ঠিক যেমন ১নং কমেন্টের জবাবে বলা হয়েছে, তারই বাস্তব প্রতিফলন এই লোকের মন্তব্য। সমাজ পূজার নিকষ কালো অন্ধকার, সংকীর্ণ, চিপাগলি থেকে আল্লাহ্‌র বিধানের মুক্ত, আলোকিত, প্রশস্ত আকাশের নীচে বেড়িয়ে আসা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। আল্লাহ্‌ তওফিক দিক।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩১

আফিফা মারজানা বলেছেন: হুমায়ূন কি আল্লাহতে বিশ্বাসী ছিলেন ?আপনার যুক্তি ঠিক আছে কিন্তু তা প্রমাণের জন্য ভুল প্যারামিটার বেছে নিয়েছেন ।তাই আপনার লেখা গ্রহণ যোগ্যতা হারালো ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৪৫

মূসা আলকাজেম বলেছেন: এখানেই তো রহস্য। তবে আপনার কথাও ঠিক আছে। কিন্তু হুমায়ূন আল্লাহতে অবিশ্বাস করতেন এটা নিয়ে তো সমস্যার মধ্যে আছি। একেকজন একেক কথা বলছে।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৫০

আসিফরাশেদ বলেছেন: মূসা আলকাজেম বলেছেন: হিমাংশুর মতে, বর্তমান সময়ে কর্মক্ষেত্রে পুরুষ ও নারী অনেক ঘনিষ্ঠভাবে মেশে। এই কারণে, বহু ক্ষেত্রে তারা একে অন্যের সঙ্গে মানসিকভাবে অনেক কাছাকাছি চলে আসে। বিবাহিত হওয়ার পরেও নতুন কারও প্রতি এখন তাই সহজেই মানুষ আকৃষ্ট হয়ে পড়ে---- সহমত।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:০৩

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আপনি কি এটা বুঝাতে চাচ্ছেন যে, আমি যে একাধিক বিবাহের সমাধান দিলাম সেটা করেও লাভ হবে না?

এটা বুঝালে এর জবাব এই পোষ্টেই আছে। চিন্তা করতে হবে, বুঝতে হবে। শুধু প্রশ্ন না করে নিজে নিজে জবাব খুঁজার চেষ্টা করতে হবে।

ইসলামের কোন একটা বিধানকে আপনি কেটে এনে বর্তমান সমাজে লাগিয়ে দিলে তো হবে না, তখন সমস্যা পুরাপুরি দূর হবে না। অনেক ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে।

অবৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা পুরণ করাকে ঠেকানোর একটা উপায় হচ্ছে একাধিক বিবাহের সুযোগ রাখা।

আরেকটি উপায় হচ্ছে মেয়েদেরকে পর্দার ভিতর রাখা। কর্মক্ষেত্রে শুধু পুরুষ থাকবে। মেয়েরা মায়ের জাতি তারা বসে বসে খাবে, সন্তানকে উপযুক্ত করে মানুষ করবে ইত্যাদি।আমাদের সমাজে যেভাবে মেয়েদেরকে চাকরের মত ঘরের কাজে খাটানো হয় সেটা ইসলামী নীতি নয়।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৩৭

আফিফা মারজানা বলেছেন: নিজে যাচাই করে দেখুন না ।আর এই বিয়ের সাথে প্রিয় নাবী সাঃ কে জড়াবেন না ।দয়া করে লেখাটা এডিট করুন ।

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭

মহসিন আহমেদ বলেছেন: দালালি ভালই হইছে!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৪

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪

স্পর্শের বাহিরে বলেছেন: ভাই এই বিখ্যাত টপিকের ব্যাপারে আপনার মন্তব্যঃ http://forum.projanmo.com/topic37965.html

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১১

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ভাই , সময় করে পড়তে হবে, চিন্তা করতে হবে। এরপর হয়তো কিছু বলা যাবে।

৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মূসা আলকাজেম বলেছেন: বহু বিবাহ নিয়ে এই পোষ্টে একটি মোটামুটি সুন্দর আলোচনা আছে।
সেখান থেকে কিছু অংশ এখানে তুলে দিচ্ছি।

............প্রকৃতিগতভাবে নারীর চেয়ে পুরুষ বেশী বহুগামী৷ পুরুষের স্বভাবের নিকৃষ্টতম দিক হলো সে একাধিক নারীকে কাছে পেতে চায়৷ কিন্তু নারী মূলত চায় এমন একজনকে ভালোবাসতে যার একটা বড় হৃদয় আছে, যে হৃদয়ের জমিনে নিশ্চিন্তে বিচরণ করা যায়৷ একজন নারী সহজেই অন্য পুরুষকে দেখলেই পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে না৷ অথচ পুরুষের স্বভাব হলো তার কাছে সুন্দরী হোক বা না হোক৷ কোন নারী কাছে থাকলে তার ভেতরের পশুটার চোখ লোভে চকচক করে ওঠে৷ একজন পুরুষকে একাকী পেয়ে কোন নারীর দল কি শ্লীলতাহানির জন্য তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে? কোন নারী কি গাউছিয়া মার্কেটের ভিড়ে কোন পুরুষের লজ্জাস্থানে হাত দেয়? আমার জানা নেই৷ কিন্তু আমি জানি ভিড়বাট্টা যেখানে, সেখানেই একদল পুরুষ নারীর নরম শরীর হাতানোর ধান্দায় কুকুরের মতো ঘুরঘুর করে৷ পুরুষের বিরুদ্ধে বলা আমার উদ্দেশ্য নয়, বরং পুরুষ যে নারীর চেয়ে স্বভাবে বেশি বহুগামী তা বোঝাতে চেয়েছি৷ তাই বলতে হয় বহুগামিতা যদি বৈধ করতেই হয় তবে তা পুরুষের জন্য করা দরকার, নারীর জন্য নয় কারণ নারীরা সংযমী এবং বেশি আত্মমর্যাদাশীল৷ হুট করে সে যার তার কাছে দেহ সমর্পন করতে চায় না, অনেক পুরুষই অনায়াসে যা করে থাকে৷একজন পুরুষের পক্ষে সম্ভব একাধিক নারীকে গর্ভবতী করা৷ একজন পুরুষ বছরের ৩৬৫দিনই সন্তান উত্‍পাদনে সম৷ কিন্তু একজন নারী মাসে একটি নিদিষ্ট সময়ে সন্তান ধারণে সম৷ ঐ নির্দিষ্ট দিন বা সময় ছাড়া অন্য সময়ে হাজারো বার যৌন মিলন করলেও সন্তান ধারন করা সম্ভব নয়৷ এতে স্পষ্ট হওয়া উচিত যে নারী ও পুরুষ শারীরিকভাবে সমান মতা বা যোগ্যতার অধিকারী নয়৷ একজন নারী গর্ভে সন্তান ধারণ করতে পারেন, সন্তানকে নিজের শরীর থেকে খাবার জোগাতে পারেন এমনকি সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরও তার শরীর নিসৃত দুধ পান করেই সন্তান বেঁচে থাকে৷ এসব কিছু নারীর নিজস্ব মতা যা পুরুষের নেই৷ আবার পুরুষের কিছু মতা রয়েছে যা কেবল তাদেরই, নারীর নেই৷ অর্থাত্‍ ইসলাম নারী ও পুরুষকে সমানাধিকার দিয়েছে ঠিকই তবে সমান যোগ্যতা ও দায়িত্ব দেয় নি৷ উভয়ের রয়েছে স্বতন্ত্র অবস্থান৷ তাই পুরুষ একাধিক বিয়ে করতে পারলে নারীকেও করতে হবে তা যুক্তিসংগত নয়৷ এছাড়া নারীকে মাসে নির্দিষ্ট কটা দিন মাসিকের ঝামেলা সইতে হয়৷ এসময় নারীর মানষিকতা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যে সম্পূর্ণ ভিন্ন হয় তা জানতে কোন দার্শনিকের দারস্থ হতে হয় না, যে কোন নারীই এ সত্য স্বীকার করবেন৷ কিন্তু এ বিশেষ দিনগুলোতেও কোন কোন পুরুষের নারী সঙ্গ অপরিহার্য হয়ে পড়তে পারে, অনেক পুরুষই আছে সেঙ্ ছাড়া একরাতও কাটাতে অম৷ এদের যত্রতত্র নারী শিকার করে বেড়ানোর থেকে ফিরিয়ে মন্দের ভালো একটা পথ বাতলে দেয়া হয়েছে, আর তা হলো আরেকজন নারীকে স্ত্রী হিসেবে ঘরে আনা।..............

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২১

পালের গোদা বলেছেন: তাহলে যেসব নারীদের খুদা বেশি তাদেরকেও একাধিক বিয়ে করতে দেয়া হোক, কি বলেন? নাকি নারীদের খুদা থাকতে নেই?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৪

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ভাই আপনি এই প্রশ্নটা করবেন বলেইতো ৯নং কমেন্টটি আপনার জন্য রেখে নামাজ পড়তে গেলাম। আর ৯নং কমেন্টে দেয়া লিংকটিতে গেলে আরো কিছু জবাব পাবেন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৩

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আরো কিছু লিঙ্ক দিচ্ছি। বাকি আমি আপাতত স্বীকার করছি নারী কেন একাধিক স্বামী রাখতে পারবে না সেটাকে হয়তো পুরাপুরি যুক্তির আলোকে ব্যাখ্যা করা আমাদের জন্য সম্ভব হচ্ছে না, কিন্তু আল্লাহ্‌র হুকুম হিসাবে এটা আমাদের মানতে হবে। তিনি যেটা হুকুম করেছেন অবশ্যই সেটার পিছনে যুক্তি আছে যদিও আমরা জানতে না পারি। হয়তো ভবিষ্যতে আমরা এ ব্যাপারে আরো জানতে পারবো।

এই লিংকে দেখুন

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫১

মূসা আলকাজেম বলেছেন: নাস্তিকের ধর্মকথার ২টি পোষ্টের লিঙ্ক দিলাম। এই দুই পোষ্টে গিয়ে নাজনীন১ এবং মুক্ত আকাশের কমেন্ট পড়ুন। এই দুই জনের কমেন্টে অনেক প্রশ্নের জবাব পাবেন।

কোরআন ও নারী বিষয়ক জাকির নায়েকদের গালগল্পের জবাবে -১

কোরআন ও নারী এবং জাকির নায়েকদের গালগল্পের জবাবে- ২

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: নাজনীন১ এর কমেন্ট থেকে কিছু অংশ এখানে তুলে দিলাম।

আমার নিজের সহজ বুদ্ধিতে যেটা বুঝি যেহেতু ইসলামী সমাজে একজন মানুষের পারিবারিক বা সামাজিক পরিচয় হচ্ছে পিতার পরিচয়ে, যেমন আমরা স্থায়ী ঠিকানা লেখার সময় দাদার বা বাবার বাড়ির পরিচয় দেই, নিজের জেলা বলতে বাবার বা দাদার জেলা বুঝি, তাই বহুবিবাহর অনুমতি শুধু পুরুষদের দেয়া আছে। আবার পরিবারের অর্থনৈতিক দায়িত্বও পুরুষদেরকে দেয়া আছে। এক্ষেত্রে ৩/৪ জন পুরুষ মিলে একজন নারীর ভরণপোষণ করবেন, ব্যাপারটা কতটা বাস্তবসম্মত, তার চেয়ে একজন পুরুষ ৩/৪ জন নারীর ভরণপোষণ করবেন -- এটা ইকোনমিকেলী যুক্তিসম্মত। ইসলামের কোন আইন বিচ্ছিন্ন নয়, একটা আরেকটার সাথে সম্পর্কযুক্ত।

আর যে সমাজে মায়ের পরিচয়ে পরিচিত হয়, তার জন্য তো ইসলামের কোন বিধান নেই, কারণ সেটা ইসলামী সমাজের আদল নয়, তাই এক্ষেত্রে ইসলামে সমাধান খুঁজতে আসা অনর্থক। তারা তাদের মতো করে কিছু একটা করে নিক, তাতে ইসলামের কি? ইসলাম শুধু তাদের অনুসারীদের নিয়েই মূলত মাথা ঘামাবে, বাকীরা তাদের নিজের মতো চলবে।



এরপর দেখুন মুক্ত আকাশের কমেন্টের কিছু অংশ

মুক্ত আকাশ বলেছেন: এখন প্রশ্ন হল কেন নারীর প্রতি এই বৈষম্য?আসুন একটু বিশ্লেষন করা যাক।

আমরা যদি আমাদের হাতের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই,হাতের আংগুলগুলো অসমান।কোনটা ছোট কোনটা বড়।আমাদের কারো মনে কি প্রশ্ন যাগে কেন বিধাতা এমন করে বানালেন?(যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করেন।আর যারা বিবর্তনবাদী তারা ভাবতে পারেন কেন এমন হলো)কেন সব সমান নয়?একটু খেয়াল করলেই বুঝবেন,হাতের পাচ আংগুল সমান হলে হাত দিয়ে কিছু করাই কঠিন হত।

প্রকৃতিতে আছে দিন-রাত,আলো-অন্ধকার,সাদা-কালো,ভালো- মন্দ..কেন এই বৈষম্য?কারন গোটা বিশ্বব্যবস্থাপনার জন্য তা প্রয়োজন।

একটা স্কুলের প্রিন্সিপাল আর অন্য সবার ক্ষমতা কি এক?কেন ?আমাদের দেশে সংবিধান অনুযায়ি রাষ্ট্রপতির কিছু exclusive power আছে,যেটি আন্য কারো নেই।কেন এই বৈষম্য?সেনাবাহিনী,বিডিআর..এদের কেন সাধারন আদালতে বিচার হয়না?কারন আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার জন্য এই পাথর্ক্যটুকু দরকার

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৮

মূসা আলকাজেম বলেছেন: রবি লিখেছেন : ভাইসকল একটু প্রকৃতির তাকান, একটি মোরগ কত গুলো মুরগীর সাথে মিলিত হয়। অনান্য প্রনীর ক্ষেত্রও প্রায় একই, একজন পুরুষ একদিক নারীর থাকতে পারে এবং পারবে কিন্তু একজন নারী কখনও তা পারবে না। বেশীর ভাগ পুরুষ ৫০-৬০ বছর বয়সেও যৌবন এবং পিতা হওয়ার ক্ষমতা অটুট থাকে। কিন্তু একজন নারীরতো ৩৫ বছরের পরে মা হওয়া টাই ঝুকিপূর্ন। ৩৫-৪০ বছর এর মহিলাদের যৌবন বলে কিছু কি থাকে ? তাই বাংলাদেশে পুরুষের একাদিক স্ত্রী রাখাটাই স্বাভাবিক, যেমন আছে মালায়াশিয়া, ইন্দেনেশিয়া, এরাবিয়ানদের কথা বাদ দিলাম । পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে কি এক জন মহিলার (পতিতা) ছারা একাদিক স্বামী আছে ?

এই মন্তব্য নিয়েছি এই লিঙ্ক থেকে- http://www.sonarbangladesh.com/blog/post/32095

১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৮

অন্ধকার অবচেতন বলেছেন: একজন নারীর যৌন চাহিদা যদি তার স্বামীর চেয়ে বেশী হয় তখন কি করবে??

"কেননা খোদ আসমান জমীনের স্রষ্টা আল্লাহ্‌ই চারটি বিবাহের অনুমতি দিয়ে রেখেছেন পূর্বের স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই।"-- সূত্র কি?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ১ম প্রশ্নের জবাব ১০ নং কমেন্টের জবাবে দেখুন।

এছাড়া আমি আরো চিন্তা করছি এ প্রশ্নটি নিয়ে।



আর ২য় প্রশ্নের জবাবের জন্য permission of wife for second marriage এটা লিখে গুগুলে সার্চ দেন।

অনুমতি লাগে এর দলীল আছে কি? নিষেধের কোন দলীল না থাকলে সেটাই অনুমতি বলে গণ্য।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৬

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আপনার ১ম প্রশ্নটি আসলে ঠিক ১০ নং কমেন্টকারীর প্রশ্নের মত মনে হচ্ছে না। একটু ভিন্ন মনে হচ্ছে। কোন স্বামী যদি স্বাভাবিক ও সুস্থ থাকে তাহলে, তার স্ত্রীর যৌন চাহিদা ঐ স্বামীর দ্বারাই আদায় হয়ে যাবে।

কিন্তু যদি স্বামীর কোন সমস্যা থাকে যার ফলে সে স্ত্রীর যৌন চাহিদা ঠিক মত পূরণ করতে না পারে তাহলে এরও সমাধান আছে। চিন্তার কোন কারণ নেই। প্রয়োজনে স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে তালাক নিতে পারবে। তবে এই মাসালার অনেক শাখা প্রশাখা আছে। একেক অবস্থায় একেক রকম হবে। যদি কারো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তাকে কোন অভিজ্ঞ মুফতী সাহেবের কাছে সব কিছু খুলে বলে সমাধান নিতে হবে।

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৪

রকিবুল আলম বলেছেন: পরে পড়ব।পোস্ট পর্যবেক্ষন

১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৩

অন্ধকার অবচেতন বলেছেন: আমার প্রশ্নের উত্তর তো দিলেন না??

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৪

মূসা আলকাজেম বলেছেন: সংক্ষেপে জবাব দিলাম। উপরে দেখুন। পরে আল্লাহ চাহেতো বিস্তারিত দিব।

১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৮

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ইসলামের নিয়ন্ত্রিত বহু বিবাহ সম্পর্কে একটি সুন্দর পোষ্ট আছে এখানে ক্লিক করুন।

ইসলাম বিবাহ করাটা শুধু ভোগের বিষয় নয়। সাথে আছে বিরাট দায়িত্বের বোঝা। মোহর দেও, স্ত্রী সন্তানের ভরণ পোষণ করো এবং আরো।একাধিক বিবাহ করলে অনেক সময় দায়িত্বের বেড়াজালে ভোগের চেয়ে কষ্টই বেশী হয়। কিন্তু লম্পট , কামুক লোকেরা দেখলো এতেতো সমস্যা। যত ইচ্ছা তত নারীকে আর ভোগ করতে পারবো না। আবার যে কয়জনকে ভোগ করার শুধু একটু অনুমতি দিয়েছে তাও কঠিন শর্ত ও দায়িত্বের বেড়াজালে আবদ্ধ করে; তখন তারা ইসলামের এই সীমিত এবং নিয়ন্ত্রিত বিবাহের পিছনে লাগলো। এজন্য লিভটুগেদার আর সমকাম করলে এরা চুপ কিন্তু যদি কেউ বিবাহের মত বৈধ ও শালীন পন্থা অবলম্বন করে তখন এই লম্পটের দল শিয়ালের মত হুক্কা হুয়া শুরু করে দেয়, যারা শালীন, চরিত্রবান, সভ্য তাদেরকে এই লম্পটরা কামুক বলে গালি দিতে থাকে একান্ত নির্লজ্জের মত।যথেচ্ছা যাতে তারা মেয়েদেরকে ভোগ করতে পারে এইজন্য শিক্ষা, প্রগতি, নারী অধিকার, নারী স্বাধীনতা ইত্যাদি মুখ রোচক শ্লোগান তুলে তাদেরকে বেপর্দা করে ঘর থেকে বাহির করছে। আর নারীদের জন্য কি যে তাদের মায়াকান্না, কি সেই কুম্ভিরাশ্রু বর্ষণ। উদ্দেশ্য হলো তাদেরকে যথেচ্ছা ভোগ করা।

আরেকটি কথা হলো বাংলাদেশের ৮০ ভাগের বেশী পুরুষ মানুষের এক বিবাহের দ্বারাই চলে। একাধিক বিবাহ করতে পারেনা, শুধু এজন্য পরকীয়ার ঘটনা ঘটছে না, বরং পরকীয়ার পিছনে মূল কারণ হলো মেয়েদের বেপর্দা চলা।


১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৭

অন্ধকার অবচেতন বলেছেন: উত্তর দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৪

মূসা আলকাজেম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও ।

১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৫৫

রওনক বলেছেন: উহ:!! হুমায়ূন আহমেদের ২য় বিবাহ, এই টপিক আবার!!!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৫

মূসা আলকাজেম বলেছেন: না , না। এখানে অনেক নতুন কিছু আছে।

১৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

যাযাবরমন বলেছেন: এখানে আমার মতামত Click This Link

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৭

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ধন্যবাদ। দেখলাম। সংক্ষেপে সুন্দর।

১৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০১

বুলবুল আহ্‌মেদ বলেছেন: সরাসরি শোকেসে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৩

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌। জাজাকাল্ল-হ।

১৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:১২

নির্ণায়ক বলেছেন: একজন নারী কেন একসাথে একাধিক পুরুষ সঙ্গী রাখতে পারবে না,এর পক্ষের যুক্তি হিসেবে কোথায় যেন পড়েছিলাম যে যদি কোন নারীর যদি একই সাথে একাধিক স্বামী থাখে তাহলে তার গর্ভে আগত সন্তানের পিতৃপরিচয় কিভাবে নির্ধারণ করা হবে।একাধিক স্বামী থাকলে তো সন্তানের পিতা কে সেটা নির্ধারন করা সম্ভব হবে না।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: জাজাকাল্ল-হ।

২০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৫৮

শিপু ভাই বলেছেন:
আমার বৌরে এই সিরিজটা পড়াইতে হইব!!! B-))

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১২

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ঐ মিয়া আপনের মতলব কি? আগে ১৪ নং কমেন্ট পইড়া লন। এরপর ঐসব চিন্তা .................। ধন্যবাদ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২১

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আমি আমার বোনকে একবার পড়ে শুনিয়েছি। সে অবশ্য আবেগের উপর যুক্তিকেই প্রাধান্য দিয়েছে।

২১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: অন্য ধর্মের কাউকে বিয়া এবং ইসলামের আদলে এর সমাধান কি?
তালগাছ কেন পুরুষের কাছেই থাকবে? বিয়ে করতে চাইলে তো ডিভোর্স নিয়ে আরেকটি বিয়া করা যায়। আইন সবার জন্য সমান হওয়াটা কি উচিত না?
মেয়েদের মাসিক এর ব্যপারে আমার প্রশ্ন এটা কি নাপাক? মানে এই সময় নামাজ রোজা , কোরআন পড়া কি জায়েজ না?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৫

মূসা আলকাজেম বলেছেন: উপরের প্রশ্নের আর নীচের প্রশ্নের উত্তর আলেমদের থেকে জেনে নিন। আর মাঝখানের প্রশ্নের উত্তর ১০নং কমেন্টের জবাবে দেখুন। ধন্যবাদ।

২২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৫

ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: বিয়ে সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে যখন লিখেছেন তখন সব রকম উত্তর আপনার কাছে কোরআন এবং হাদীসের আলোকে থাকা উচিত। এটা ভেবে আমি কমেন্ট করলাম। আর পরিচিত আলেম থাকলে আপনার কাছে এটা লিখতাম না। আপনার যদি কোন পরিচিত আলেম থাকে তাহলে সকল যোগাযোগের মাধ্যম জানালে ভাল হোত। আমি যোগাযোগ করে জেনে নিতাম।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২১

মূসা আলকাজেম বলেছেন: নীচের ঠিকানায় দেখেন। ভালোই মনে হয়।



আপনার যদি কোন পরিচিত আলেম থাকে তাহলে সকল যোগাযোগের মাধ্যম জানালে ভাল হোত। আমি যোগাযোগ করে জেনে নিতাম আপনাকে জানানোর মত আমার কোন পরিচিত আলেমের ঠিকানা নেই।

২৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: অনেক ক্ষেত্রে সমাজই বাধা হয়ে দ্বারায়, বাবা মা বা পরিবারের অনুমুতি না থাকলে তখন আপনার কি অভিমত ? (ধরে নেন লোকটি সব দিক দিয়ে শিকল বা বিয়ের জন্য পারফেক্ট !)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৭

মূসা আলকাজেম বলেছেন: এরকম যদি বাস্তবে কারো হয়ে থাকে, তাহলে তাকে বলুন তার আশেপাশের কোন ভালো আলেমের সাথে পরামর্শ করতে। তার সার্বিক পরিস্থিতি বিস্তারিত না জেনে কিছু বলা মুশকিল। আর এমনি অভিমত জানতে চাইলে বলবো, আমার কোন অভিমতের কোন মূল্য নেই, যেহেতু আমি আলেম না। সব ব্যাপারে আগেকার পুরান ধাঁচের দেওবন্দী আলেমদের যেই অভিমত আমারো সেই অভিমত।

২৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৯

অপরিচিত অতিথি বলেছেন: ভালো লাগল

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৮

মূসা আলকাজেম বলেছেন: সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র। জাজাকাল্লহ।

২৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৩

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: "আপনার শরীরের যৌন চাহিদা কম বলে আপনার হয়তো এক স্ত্রীতেই কাজ চলে যায়, তাই বলে যার যৌন চাহিদা বেশী সে যদি দুই বা তিন বা চারটি বিবাহ করে তাহলে আপনি তাকে নারী লোভী বলতে পারেন না। যেমন নাকি আপনার দুই রুটিতে ক্ষুধা মিটে গেলেও যার চার রুটি খাওয়া প্রয়োজন তাকে খাদ্য লোভী বলতে পারেন না।

২-যে, এক স্ত্রী দ্বারাই তার শরীরের যৌন চাহিদা মিটে যাবার পরও আরো বিবাহ করে তাকে হয়তো কোন ক্ষেত্রে আপনি লোভী বলতে পারেন,কিন্তু এটা তো শুধু সেই জানতে পারে আসলে তার প্রয়োজন আছে নাকি নাই? এখানে আপনি আমি হাত দেয়ার কে"



আপনার যুক্তিতেই বলি, আপনার মতে যেমন এক স্ত্রীতে যৌন চাহিদা না মিটলে দ্বিতীয় বিবাহ করা বৈধ তাতে সমাজের কেউ বা আপনার প্রথম স্ত্রীর কোন আপত্তি থাকা উচিৎ না তেমনই আপনার স্ত্রীর যদি এক মরদে যৌন চাহিদা না মেটে তবে সমাজের কেউ বা আপনার কোন আপত্তি থাকা উচিৎ না। তাই না???
ভুল বললে যুক্তি সহকারে শুধরাইয়া দিবেন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ৯নং ও ১০ নং কমেন্ট দেখুন। ধন্যবাদ। আল্লাহ্‌ আপনাকে ভালো রাখুন।

২৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

mrof বলেছেন: +

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। জাজাকাল্লহ।

২৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

বাবা তুষার বলেছেন: ++++++

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মূসা আলকাজেম বলেছেন: কেউ মানুক বা না মানুক,নিঃসন্দেহে সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌রই প্রাপ্য। জাজাকাল্লহ।

২৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪৩

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
দারুণ। চিরজীবী পোস্ট। ++*

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

মূসা আলকাজেম বলেছেন: নিঃসন্দেহে সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌রই প্রাপ্য। সবকিছু তার দানে আর দয়াতেই সম্ভব হয়েছে। আপনার মন্তব্যে আনুপ্রাণিত হলাম। আল্লাহ পাক আপনার কথাটাকে বাস্তবে রূপদান করে পোষ্টটিকে চিরদিনের জন্য কবুল করে নিন। আমিন। সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

২৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র... :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৩০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌। আপনাকেও জাজাকাল্লহ খায়র।

৩০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

দ্য েস্লভ বলেছেন: পুরোটা পড়লাম্ । দারুন লিখেছেন

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। জাজাকাল্লহ।

৩১| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০৫

ডা: মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহু আকবর। জাযাকাল্লহ। আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন আপনার এলেম আরো বাড়িয়ে দিন। আমাদের জন্য দোয়া চাই ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.